কারণ আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা শক্তি ফাউন্ডেশন লোন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। তাই বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
শক্তি ফাউন্ডেশন হলো একটি সামাজিক সংগঠন। এই সংগঠনটি
ক্ষুদ্র লোন কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে। এই ফাউন্ডেশনটি মূলত মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তাদের সমর্থনের উপর গুরুত্ব দেয়। তাদের মাধ্যমে প্রদত্ত লোন সুবিধাগুলি সহজ শর্তে প্রদান করা হয়।
যাতে গরীব জনগণ সহজে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন এবং নিজেদের ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু বা সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হন। শক্তি ফাউন্ডেশন দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ সেবা প্রদান করে। যেটা লোনগ্রহীতাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সঠিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে।
এইভাবে শক্তি ফাউন্ডেশন শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সহায়তা নয় বরং একটি সুশৃঙ্খল ও কার্যকর উন্নয়ন প্রক্রিয়া গড়ে তুলতে কাজ করে। তাই যে সমস্ত নারীরা বাসায় বেকার বসে আছেন এবং
উদ্যোক্ত হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। তারা চাইলে শক্তি ফাউন্ডেশন থেকে লোন গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হবার দিকে এক ধাপ এগোতে পারেন।
শক্তি ফাউন্ডেশন
শক্তি ফাউন্ডেশন একটি অগ্রণী সংস্থা আর এই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাটি বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি মূলত নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা শুরু করতে সহজ শর্তে লোন প্রদান করে থাকে।
ফাউন্ডেশনটির প্রধান লক্ষ্য হলো নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করা এবং তাদের জীবনের মানোন্নয়ন করা। শক্তি ফাউন্ডেশন লোনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে যেটা নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসা পরিচালনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটি নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তাদের সমাজে একজন কার্যকর সদস্য হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এর মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখছে।
শক্তি ফাউন্ডেশন লোন কি
শক্তি ফাউন্ডেশন লোন হলো একটি বিশেষ লোন প্রোগ্রাম যা বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হলো নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রদান এবং তাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। শক্তি ফাউন্ডেশন নারীদের সৃজনশীলতা, উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য সহজ শর্তে লোন প্রদান করে।
এর মাধ্যমে নারীরা তাদের ব্যবসা শুরু বা সম্প্রসারণ করতে পারে যা তাদের জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এই ফাউন্ডেশনটি লোনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও পরামর্শও দিয়ে থাকেন। যাতে নারীরা তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়ন করতে পারে এবং
লোন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন একটি সামাজিক পরিবর্তনের সূচনা করে যা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শক্তি ফাউন্ডেশন লোনের প্রকারভেদ
শক্তি ফাউন্ডেশন লোনের প্রকারভেদ মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। এই লোন নারীদের বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এই ক্যাটাগরিগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
- মাইক্রো লোনঃ মাইক্রো লোন ছোট ব্যবসার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই লোনের পরিমাণ সাধারণত সীমিত হয়। আর এই লোন নারীদের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে বা পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এই লোনের মাধ্যমে নারীরা তাদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।
- মিডিয়াম ও লং টার্ম লোনঃ এই ধরনের লোন সাধারণত বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রযোজ্য। নারীরা এই লোনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারে। এটি উচ্চ পরিমাণে এবং দীর্ঘ মেয়াদে উপলব্ধ থাকে। এই লোনটি নারীদের ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে থাকে।
- এন্টারপ্রাইজ লোনঃ এন্টারপ্রাইজ লোন বিভিন্ন শিল্পে নারীদের উদ্যোগের উন্নয়নের জন্য প্রযোজ্য। এটি উন্নত প্রযুক্তি, উচ্চমানের উপকরণ বা নতুন ব্যবসায়িক ধারণা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন প্রদান করে।
- বিশেষ প্রকল্প লোনঃ এই লোনটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা প্রকল্পের জন্য প্রদান করা হয়। যেমন কৃষি উদ্যোগ, হস্তশিল্প বা স্থানীয় উৎপাদন।
- অতিরিক্ত সুবিধাঃ শক্তি ফাউন্ডেশন লোনের সাথে সাথে নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সাপোর্ট প্রোগ্রামও রয়েছে। যাতে নারীরা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি, বিপণন কৌশল, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
এই বিভিন্ন প্রকারের লোন নারীদের ব্যবসায়িক প্রচেষ্টাকে সমর্থন এবং তাদের জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শক্তি ফাউন্ডেশন ই-লোন কারা পাবে
শক্তি ফাউন্ডেশন
ই-লোন মূলত বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে বা সম্প্রসারণ করতে চান। এই লোন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য আবেদনকারীদের নারী হতে হবে এবং তারা ক্ষুদ্র, মাঝারি বা বৃহৎ ব্যবসায়িক উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।
প্রার্থীদের অবশ্যই আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার ইচ্ছা থাকতে হবে এবং তারা এমন ব্যবসায়িক উদ্যোগে নিযুক্ত থাকবেন যা তাদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক উন্নয়নে সহায়ক। এছাড়াও শক্তি ফাউন্ডেশনের ই-লোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা এবং শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমা, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং নিয়মিত লোন পরিশোধের সক্ষমতা।
শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোন পাওয়ার যোগ্যতা
শক্তি ফাউন্ডেশন ই-লোন পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে। শক্তি ফাউন্ডেশন এই সংস্থা থেকে লোন পেতে হলে আবেদনকারীর যে সমস্ত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তা নিতে ব্যাখ্যা করা হলো।
- প্রার্থীর নারী হতে হবে কারণ এই প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে নারীদের উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে।
- আবেদনকারীর সাধারণত ১৮ বছর বা তার উপরে হতে হবে।
- আবেদনকারীকে একটি ক্ষুদ্র বা মাঝারি ব্যবসায়ে যুক্ত থাকতে হবে যেটা সে পরিচালনা করছে বা শুরু করতে চায়।
- আবেদনকারীকে তার আয় এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সম্পর্কে স্বচ্ছ তথ্য দিতে হবে। তার আগে কোনও লোন থাকলে তার পরিশোধের রেকর্ড ভালো হতে হবে।
- আবেদনকারীর কাছে একটি স্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা থাকতে হবে। যেটা লোন ব্যবহারের উদ্দেশ্য এবং ব্যবসার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে ধারণা প্রদান করবে।
- কিছুপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং ব্যবসার নিবন্ধনপত্র প্রস্তুত থাকতে হবে।
এই যোগ্যতা পূরণ করে নারীরা শক্তি ফাউন্ডেশন ই-লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন লাভ করতে পারেন।
শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোন পাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোন পাওয়ার জন্য যে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- জাতীয় পরিচয়পত্রঃ আবেদনকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে।
- ব্যবসার পরিচয়পত্রঃ যদি ব্যবসা ইতিমধ্যে পরিচালিত হয় তাহলে ব্যবসার নিবন্ধন বা লাইসেন্সের কপি।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বিবরণঃ একটি সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে। যেটাতে লোনের টাকা জমা করার জন্য ব্যবহার করা হবে।
- আয় সনদঃ ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক আয় প্রমাণ করার জন্য উপযুক্ত সনদপত্র।
- ব্যবসায়িক পরিকল্পনাঃ লোন ব্যবহারের উদ্দেশ্য এবং ব্যবসার পরিকল্পনা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য।
- সাবেক ঋণের রেকর্ডঃ যদি পূর্বে লোন গ্রহণ করা হয়ে থাকে তাহলে সেই লোনের তথ্য এবং পরিশোধের বিবরণ।
- ছবিঃ আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
এই কাগজপত্রগুলো সংগৃহীত হলে আবেদনকারীরা শক্তি ফাউন্ডেশনের অফিসে জমা দিতে পারেন। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ফাউন্ডেশন প্রয়োজনীয় যাচাইকরণ ও পর্যালোচনা করে লোন অনুমোদন করবে।
শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোন পরিশোধের নিয়ম
শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোনের পরিশোধের নিয়ম সুবিধাজনক এবং এই লোন গ্রাহকদের সামর্থ্য অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। লোন গ্রহণকারীরা সাধারণত মাসিক কিস্তিতে লোন পরিশোধ করে থাকে যেটা তাদের আয়ের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও এই লোনের কিস্তির পরিমাণ ও সময়সীমা ব্যবসার ধরণ, আয় এবং লোনের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
গ্রাহকদের সুবিধার্থে কিস্তি পরিশোধের সময় সাধারণত ৬ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তবে সময়মতো লোন পরিশোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোন সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা বা অতিরিক্ত সুদের হার প্রযোজ্য হতে পারে। ফাউন্ডেশনটি লোন গ্রহীতাদের নিয়মিতভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে থাকে যাতে তারা সহজে লোন পরিশোধ করতে সক্ষম হন।
শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোন আবেদন
শক্তি ফাউন্ডেশন ই-লোনের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ এবং সুসংগঠিত। শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোন আবেদন পদ্ধতি বা পদক্ষেপ গুলো যারা জানতে চান, তাদের সুবিধার্থে নিচে আবেদনের প্রক্রিয়া বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- যোগাযোগ স্থাপনঃ প্রথমে আবেদনকারীদের শক্তি ফাউন্ডেশনের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে বা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে তারা ই-লোনের তথ্য এবং আবেদন ফরম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- আবেদন ফরম পূরণঃ আবেদনকারীদের একটি নির্দিষ্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এই ফরমে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যবসায়িক তথ্য এবং লোনের উদ্দেশ্য উল্লেখ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাঃ আবেদন ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যবসার নিবন্ধনপত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, আয় সনদ এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।
- যাচাইকরণ প্রক্রিয়াঃ আবেদন জমা দেওয়ার পর শক্তি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করবে। এটি সাধারণত ব্যবসার কার্যক্রম, আর্থিক স্থিতি এবং আবেদনকারীর ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা হয়।
- লোন অনুমোদনঃ যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলে আবেদনকারীকে লোন অনুমোদনের বিষয়ে অবহিত করা হবে। এরপর লোনের অর্থ আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে।
- লোন পরিশোধের পরিকল্পনাঃ লোন গ্রহণের পর আবেদনকারীকে লোন পরিশোধের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রদান করা হবে যেটা সাধারণত মাসিক কিস্তি হিসেবে পরিশোধ করতে হয়।
তবে এই লোন গ্রহণের পূর্বে আবেদনকারীরা ফাউন্ডেশনের অফিসে গিয়ে সরাসরি পরামর্শও করে নিবেন। এছাড়াও লোন পরিশোধের শর্তাবলী এবং সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করা উচিত।
শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোনের সুদের হার
শক্তি ফাউন্ডেশন ই-লোনের সুদের হার সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়ে নির্ভর করেঃ
- লোনের প্রকারঃ বিভিন্ন প্রকারের লোনের জন্য সুদের হার ভিন্ন হতে পারে। যেমন, মাইক্রো লোন, মিডিয়াম টার্ম লোন, এবং লং টার্ম লোনের জন্য আলাদা সুদের হার নির্ধারিত করা হয়।
- আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থানঃ লোনগ্রহীতার আর্থিক স্থিতি এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ভিত্তিতে সুদের হার কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
- বাজারের পরিস্থিতিঃ সাধারণভাবে বাজারের সুদের হার এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেও লোনের সুদের হার পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারণত, শক্তি ফাউন্ডেশন নারীদের জন্য অপেক্ষাকৃত কম সুদের হার প্রদান করে যাতে তারা সহজে লোন পরিশোধ করতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি নির্দিষ্ট সুদের হার এবং অন্যান্য শর্তাবলী জানার জন্য আবেদনকারীদের শক্তি ফাউন্ডেশনের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রতিটি লোন আবেদন এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া আলাদা হয়ে থাকে। তাই বিস্তারিত তথ্যের জন্য সরাসরি ফাউন্ডেশনের অফিসে যোগাযোগ করা উত্তম।
FAQ
শক্তি ফাউন্ডেশন সম্পর্কে তথ্য
শক্তি ফাউন্ডেশন একটি অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে। এটি বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য ক্ষুদ্র লোন প্রদান করে। যেটা স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে পাওয়া যায়। এছাড়া ফাউন্ডেশনটি প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ সেবার মাধ্যমে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভরশীলতা গড়ে তোলার জন্য সহায়তা করে। যাতে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে।
শক্তি ফাউন্ডেশন হেড অফিস
শক্তি ফাউন্ডেশনের হেড অফিস বাংলাদেশের ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থিত। এই অফিস থেকেই তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন ক্ষুদ্র লোন কার্যক্রম এবং প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
শক্তি ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা কে
শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন রোকেয়া আফজাল রহমান। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও উদ্যোক্তা। তিনি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র লোনের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনে উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয়বস্তু শক্তি ফাউন্ডেশন ই লোন সহ শক্তি ফাউন্ডেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে আসবে। এই পোস্ট সম্পর্কিত আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন থেকে থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। [ আসসালামু আলাইকুম]
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url