কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন করুন সহজ প্রক্রিয়ায়
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ও শাখা সমূহকর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন, কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি এবং এর শাখা সমূহ সহ কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোনের আবেদন করতে চান। কিন্তু কিভাবে সহজে লোন আবেদন করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তাদের জন্য সাজানো হয়েছে এই আর্টিকেল।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করার পূর্বে আপনাকে এই ব্যাংক এবং এই ব্যাংকের লোন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য গুলো জানতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে এই ব্যাংক সম্পর্কিত এবং এই ব্যাংকের লোনের ধরন, শর্তাবলী, আবেদন পদ্ধতি সহ বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই বিষয়গুলো জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র
- ভূমিকা
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন পদ্ধতি
- কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন
- কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আবেদন ফরম
- কর্মসংস্থান ব্যাংক এর শাখা সমূহ
- বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন সুদের হার
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধের সময়সীমা
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নেওয়ার যোগ্যতা
- কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অনলাইন লোন আবেদন সম্পর্কিত তথ্য
- লেখকের মতামত
ভূমিকা
কর্মসংস্থান ব্যাংক হল রাষ্ট্রীয় অধীনস্থ একটি ব্যাংক এবং এই ব্যাংকটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য দেশের বেকার ও অর্ধ বেকার যুবসমাজকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলে দেশের অর্থনীতিকে আরো উন্নত করা। এই ব্যাংকের লোন আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং লোন গ্রহণের সত্যাবলীও সীমিত। তাই যে সকল ভাই ও বোনেরা শিক্ষিত হয়েও বেকার বসে আছেন এবং উৎপাদনশীল দক্ষতা থাকার পরেও টাকার সংগঠনের কারণে বেকার বসে আছেন।
তারা চাইলেই সহজ কিছু শর্তের মাধ্যমে এই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। আমরা এই পোস্টে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন এবং এই ব্যাংকের আবেদন প্রক্রিয়া সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই এই ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পূর্বে বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকুন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৪
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ২০২৪ এর লোন গ্রহণ করতে হলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ব্যাংক কেবলমাত্র লোন দিয়ে থাকে। সব সময় কর্মসংস্থান ব্যাংক দক্ষ এবং শিক্ষিত গ্রাহকদের সহজ শর্তে স্বল্প সুদে এবং জামানতবিহীন এর লোন দিয়ে থাকে।কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন পদ্ধতি গুলো জেনে নেওয়ার আগে এই ব্যাংকের কয়েকটি খ্যাত সম্পর্কে ধারনা নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।
- সেবা খাত
- মৎস্য সম্পদ
- বাণিজ্যিক খাত
- প্রাণি সম্পদ
- শিল্প কারখানা
- ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
- অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রকল্প
উপরের উল্লেখিত খাত সমূহের জন্য একজন গ্রাহক লোন আবেদন করতে পারবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন পদ্ধতি
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন পদ্ধতি বলতে বোঝাচ্ছি যে এই ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করার জন্য কিছু ধাপ অনুসারে আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হয়। নিচে সেই ধাপগুলো তুলে ধরা হলো।
ধাপ ১ঃ এই ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করার পূর্বে দেখতে হবে কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোনের শর্তাবলী পূরণের যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনকারীর রয়েছে কিনা।
ধাপ ২ঃ এরপরে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ধার্যকিত প্রয়োজনে কাগজপত্র জোগাড় করা।
ধাপ ৩ঃ তারপর আবেদনকারীর নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা থেকে ফরম সংগ্রহ করা। অথবা চাইলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তারপর সেই ফরমটিতে চাওয়া সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
ধাপ ৪ঃ তারপর তাদের ধার্যকিত প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আবেদন ফরমের সাথে নিকটত্ব কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হবে।
ধাপ ৫ঃ ব্যাংকে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে লোন আবেদনটি মঞ্জুর অথবা বাতিল করা হবে। আর এই বিষয়ে আবেদনকারী কে এসএমএস অথবা ফোন কলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
আশা করি আপনারা একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। আপনি চাইলে এই ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করার পূর্বেই আপনার নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখায় গিয়ে সেই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীর সাথে আলোচনা করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে তাদের ব্যাংকে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হ্যাসেল না পুহিয়ে আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে এই ব্যাংক অনলাইনের মাধ্যমে লোন আবেদন সেবাটি চালু করেছে। যে সকল ব্যক্তিরা সহজ মাধ্যমে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন পদ্ধতি বেস্ট অপশন।
এবং এই পদ্ধতির আবেদন প্রক্রিয়াটি ও অনেক সহজ। ব্যস্ত একটি সিম্পল টেপ অনুসরণ করতে হবে। এই ব্যাংকের অনলাইন আবেদন ফরমে যে তথ্যগুলো চাবে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। নিচে আবেদন ফরম এর ছবি আপনাদের দেখানোর উদ্দেশ্যে দেওয়া হলো।
উপরের ছবির দেওয়া তথ্যগুলো সঠিকভাবেপূরণ করতে হবে তাই অনলাইন আবেদন করার সময় এই সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতের নাগালে রাখতে হবে এবং সময় নিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আর কোন একজন ব্যক্তি বা আবেদনকারী যদি অনলাইনে লোন আবেদন করতে চাই কিন্তু অনলাইন সম্পর্কে খুব একটা ভালো বোঝেনা তাহলে সেই ব্যক্তি বা আবেদনকারী যেকোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বললেই তারা এই লোনের আবেদন করে দিবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আবেদন ফরম
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে দুই ভাবে লোন নেওয়া যায়। এক অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে এবং দুই সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে আবেদন করার মাধ্যমে। আপনি সরাসরি ব্যাংকে আবেদন করার জন্য প্রথমে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। সেই আবেদন ফরমটি আপনি সরাসরি ব্যাংক থেকে গ্রহণ করতে পারেন আবার অনলাইন থেকে আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
অনলাইন থেকে কর্মসংস্থান ব্যাংকের আবেদন ফরম ডাউনলোড করে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে সেই ডাউনলোডকৃত পিডিএফ আবেদন ফরম টিকে প্রিন্ট করে বের করে নিবেন। তারপর সেই ফরমে চাওয়া তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে। নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকে জমা দিবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক এর শাখা সমূহ
বাংলাদেশের সকল জেলাতে ও উপজেলাতেই কর্মসংস্থান ব্যাংকের একাধিক শাখা রয়েছে। এবং এই ব্যাংকের ৩৩ টি শাখা আঞ্চলিক পর্যায়েও রয়েছে। মূল কথা হলো বাংলাদেশের সকল জেলা-উপজেলা এমনকি আঞ্চলিক পর্যায়েও কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা রয়েছে। তাই আপনি যদি এই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে চান।
সেক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজ জেলা বা উপজেলার কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা থেকেই লোন গ্রহণ করতে পারবেন। এই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে আপনি আপনার নিকটস্থ শাখায় গিয়ে তাদের শর্তাবলী ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিলে খুব সহজেই লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি সেটা জানতে চাই। আবার এমনও মানুষ আছে যারা জানেনা যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান লোন বলে কিছু আছে। তাই নিচে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নিয়ে আলোচনা করব। বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে বা বিদেশি কোম্পানিতে কোন কাজের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি যদি যেতে চাই কিংবা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে কিন্তু টাকার অভাবে তা হয়ে ওঠে না।
এই সমস্যার সমাধানে কর্মসংস্থান ব্যাংক বৈদেশিক কর্মসংস্থান লোন সেবা গ্রাহকদেরকে প্রদান করে থাকে। আর এই কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে এই লোন সেবাটি পেতে হলে লোন আবেদনকারী কে কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, বৈধ ভিসার ফটোকপি, ইউনিয়ন/পৌরসভা থেকে স্থায়ী ঠিকানার সনদপত্র, ম্যানপাওয়ার কার্ড, বিদেশী যে কোম্পানিতে বা যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবে সেই কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র লাগবে।
এছাড়াও গ্যারেন্টার কিংবা জামিনদার প্রয়োজন পড়বে। জামিনদারেরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে যেমন, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং জামিনদারের জামানত হিসেবে সম্পত্তির দলিল ইত্যাদি দাখিল করার প্রয়োজন হবে হবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন সুদের হার
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই ব্যাংকের সুদের হার অন্যান্য ব্যাংকের থেকে তুলনায় অনেকাংশেই কম। এবং এই প্রতিষ্ঠান সহজ শর্তে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে লোন প্রদান করে থাকে যা অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগে। নিচে কর্মসংস্থান ব্যাংকের কোন লোনে কত পারসেন্ট সুদের হার আলোচনা করা হলো।
- বাণিজ্যিক লোন বা বাণিজ্যক খাতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুদের হার ১৩%।
- কৃষি লোন বা কৃষি খাতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুদের হার ৮% হতে ৯% পর্যন্ত হয়।
- প্রাণিসম্পদ লোন বা প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুদের হার ১০%।
- ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুদের হার ১৩%
উপরোক্ত এই সব লোনের সুদের হারগুলো কর্মসংস্থান ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সময় পরিবর্তন সাপেক্ষে তাদের লোনের সুদের হার পরিবর্তন হতে পারে। তাই এই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের পূর্বে নিজ দায়িত্বে অবশ্যই কর্মসংস্থান ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইট ভিজিট করে সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে আবেদন করবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধের সময়সীমা
২ থেকে ৫ বছর মেয়াদে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধের সময় ধার্য করা রয়েছে। এবং এই ব্যাংক থেকে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। আসলে লোনের ধরন এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধের সময়সীমা ভিন্ন ভিন্ন হয়।
সাধারণত মাসিক অথবা দ্বি-মাসিক ও ত্র্রি-মাসিক এবং ষান্মাসিক সহবাসিক কিস্তিতে এই লোন পরিশোধ করা হয়। যে সকল ব্যবসায়ীরা মাসিক হিসেবে আয় করে তারা মাসিক কিস্তি হিসাবে লোন পরিশোধ করে থাকেন এবং যে সকল ব্যবসায়ীরা বাৎসরিক হিসেবে আয় করে থাকেন সে সকল ব্যবসায়ীরা বাৎসরিক কিস্তিতে লোন পরিশোধ করে থাকেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে অবশ্যই লোন গ্রহীতার দরকারি কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো নিজের পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলো।
- লোন গ্রহীতার জাতীয় পরিচয় পত্র
- ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- যেই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তির প্রমাণপত্র বা সনদপত্র
- জামিনদার বা গ্যারান্টার এর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
- জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি রঙিন ছবি
- লোন গ্রহীতা এবং জামিনদারের স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের কাগজ
কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নেওয়ার যোগ্যতা
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে আপনার অবশ্যই কিছু যোগ্যতা থাকা জরুরী। তাছাড়া আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাহলে চলুন জেনে নেই কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে একজন লোন আবেদনকারীর কি কি যোগ্যতা থাকাটা প্রয়োজন।
- লোন আবেদনকারী কে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।
- লোনা আবেদনকারীর অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণী পাস হতে হবে।
- লোন আবেদনকারী যে এলাকার শাখায় লোন আবেদন করবে অবশ্যই তাকে সেই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে।
- লোন আবেদনকারী যদি অন্য কোন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে লোন খেলাপি করে থাকে তাহলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
- আবেদনকারী কে অর্ধ বেকার অথবা বেকার হতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান (টিটিসি, বিটাক, উন্নয়ন কেন্দ্র ইত্যাদি ) কিংবা সরকারি অনুমোদিত যে কোন বেসরকারি দক্ষতা প্রশিক্ষণ মূলক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন প্রশিক্ষণ নিতে হবে গ্রহণকারীকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং সেই কোর্স এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
উপরে দেওয়ার যোগ্যতা গুলো যদি লোন গ্রহীতার থেকে থাকে তাহলে সে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন আবেদন করতে পারবে।
কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অনলাইন লোন আবেদন সম্পর্কিত তথ্য
লোন আবেদন করার আগে আপনার অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত! কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোনের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একজন বাংলাদেশের নাগরিক করতে হবে। এবং আপনার নির্দিষ্ট কোন একটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য কিংবা নিজের একটি ব্যবসা থাকতে হবে। ব্যাংক এর কাছে যেটি আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে।
যদি আপনি নিজের কোন একটা অর্থ আয়ের মাধ্যম অথবা যুক্তিসঙ্গত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেখাতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রয়োজনমতো লোনের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোন আবেদন করতে পারবেন।
অর্থাৎ যদি আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে চান। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে এটি প্রমাণ করতে হবে যে আপনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। এবং আপনি একজন উদ্যোক্তা কিংবা অর্ধ বেকার। যদি আপনি আপনার ব্যক্তিগত একটা ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য অথবা আপনার কোন একটা ব্যবসা আছে সেই ব্যবসাটাকে আরো উন্নত করার জন্য আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংকের কাছে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেল কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পেতে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সহ এই ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলোর আলোচনা আপনাদের ভালো লেগেছে। আমরা এই ওয়েবসাইটে নানান ধরনের ব্যাংকিং সেবামূলক আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। তাই এমনি সব ব্যাংকিং সেবামূলক পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url