জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন সহ কৃষি, হোম, স্যালারি ও পল্লী লোন
জরুরী লোন বাংলাদেশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন মূলত গ্রাহকরা তাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ লোন/ঋণ নেয়। জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত লোন প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে গ্রাহকদেরকে। আজকে এই আর্টিকেলে জনতা ব্যাংকের বিভিন্ন লোন সেবা নিয়ে আলোচনা করব।
আপনারা যারা জনতা ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে চান এবং এই ব্যাংক কি কি লোন প্রদান করে সে বিষয়ে জানতে চান। তাহলে আপনাকে স্বাগতম এবং আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের লোন সেবা নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি জানতে চান জনতা ব্যাংকের লোনের ধরন গুলো তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্র
- ভূমিকা
- জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন
- জনতা ব্যাংক কৃষি লোন
- জনতা ব্যাংক হোম লোন
- জনতা ব্যাংক স্যালারি লোন
- জনতা ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন
- জনতা ব্যাংক শিক্ষা লোন
- জনতা ব্যাংক পল্লী লোন
- জনতা ব্যাংক গাভী পালন লোন
- জনতা ব্যাংক লোন ফরম
- জনতা ব্যাংক লোন এর আবেদন প্রক্রিয়া
- জনতা ব্যাংক লোন এর বৈশিষ্ট্য
- জনতা ব্যাংক লোন পদ্ধতি
- লেখকের মতামত
ভূমিকা
জনতা ব্যাংক প্রতিষ্ঠান তাদের লোন সেবায় বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জনতা ব্যাংকের পার্সোনাল লোন, কৃষি লোন, হোম লোন, স্যালারি লোন, নারী উদ্যোক্তা লোন, শিক্ষা লোন, পল্লী লোন ও গাভী পালন লোন নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও জনতা ব্যাংকের লোন আবেদন প্রক্রিয়া সহ এই ব্যাংকের বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই সকল বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণটা পড়ুন।
জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন
জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন হলো এমন একটি লোন প্রক্রিয়া যেটার মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে যেকোনো ব্যক্তি লোন গ্রহণ করে তাদের ব্যক্তিগত খরচ যেমন, বাড়ি নির্মাণ বা চিকিৎসার খরচ ও বিবাহ ইত্যাদি মিটিয়ে থাকে। জনতা ব্যাংক থেকে যেকোন মানুষ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এই পার্সোনাল লোন সেবাটি নিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ প্রায় সব ব্যাংকের লোনের প্রযোজ্যতা দিন কে দিন বেড়েই যাচ্ছে। তার মধ্যে জনতা ব্যাংক লিমিটেড হলো একটি। জনতা ব্যাংকে অনেকেই আবার উদার ব্যাংক হিসেবে চিনে থাকে। কেননা জনতা ব্যাংক অনেক ধরনের লোন সেবা দিয়ে থাকে যেমন, স্টুডেন্ট লোন, সেলারি লোন, উদ্যোক্তা লোন, কৃষি লোন, পল্লী লোন ইত্যাদি।
জনতা ব্যাংক কৃষি লোন
কৃষি লোন হলো জনতা ব্যাংকের অন্যতম প্রধান একটি লোন। যখন একজন কৃষক কৃষি লোন নিয়ে থাকে তখন সে তার সর্বোচ্চ উৎপাদন ফলাতে পারেন। যার ফলে কৃষক লাভবান হয় এবং দেশেও অগ্রগতির উন্নতি হয়।
আর এজন্যই জনতা ব্যাংক বিভিন্ন কৃষকদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের লোন সুবিধা রেখেছেন। যেমন, মৎস্য চাষ, গবাদি পশু পালন, চাষাবাদ ইত্যাদি। জনতা ব্যাংক আপনাদের বিভিন্ন প্রকল্পে লোন দিবে। তবে আপনাকে অবশ্যই কৃষি কাজের সঙ্গে সরাসরি নিয়োজিত থাকতে হবে। তা না হলে জনতা ব্যাংক আপনাকে কখনোই এই ধরনের লোন সেবা দিবে না।
আর এই সব ভিন্ন ভিন্ন লোন এর ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে মূলত আপনি ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন। এছাড়া যদি আপনি একটা গবাদি পশু পালন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি একটা গবাদি পশুর জন্য ৯০ হাজার টাকা করে পাবেন। এবং আপনি সর্বোচ্চ চারটি পশুর জন্য লোন গ্রহণ করতে পারবেন। মূলত জনতা ব্যাংকে লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৯% তবে বিভিন্ন কারণে উপর নির্ভর করে সুদের হার পরিবর্তন হতে পারে।
জনতা ব্যাংক হোম লোন
যারা নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে চায় বা পুরনো বাড়ি বিনির্মাণ করতে যায় কিংবা ফ্লট ক্রয় করতে চায় তারা চাইলে জনতা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে পারবে। জনতা ব্যাংক থেকে আপনি হোম লোন প্রকল্পের মূল্যের ৬০% লোন নিতে পারবেন। বোঝানোর সুবিধার্থে ধরুন আপনি একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করবেন এবং সেটির মূল্য .১ কোটি টাকা এখন আপনি যদি জনতা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিতে চান তাহলে ব্যাংক আপনাকে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করবে।
জনতা ব্যাংকের হোম লোনের সুদের হার ৬% থেকে ৭% হয়ে থাকে। এবং আপনি চাইলে মাসিক কিস্তি হিসাবে এই লোন পরিশোধ করতে পারবেন অথবা তিন মাস পরপরও দিতে পারেন। এবং জনতা ব্যাংকের হোম লোন এর মেয়াদ সীমা ১৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে জনতা ব্যাংক থেকে এই লোন নিতে আপনাকে জামানত হিসেবে আপনার জমির মূল দলিল, সংশ্লিষ্ট নির্মানাধীন বাড়ির রেজিস্ট্রেশন কিংবা প্লটের মূল মালিকানা পত্র ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়ে রাখতে হবে।
জনতা ব্যাংক স্যালারি লোন
জনতা ব্যাংক স্যালারি লোন ব্যক্তিগত লোন এর মধ্যে একটি। এই লোন চাকরিজীবীদের মাসিক বেতনের উপর ভিত্তি করে লোন দিয়ে থাকে। এবং লোনের ধরন অনুযায়ী কত পারসেন্ট সুদ দিতে হবে তা ধার্য করা হয়। আর এই স্যালারি লোন ২থেকে ৪ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে এবং এই লোনের সুদের হার ৯% হয়।
জনতা ব্যাংক নারী উদ্যোক্তা লোন
বর্তমানে আমাদের সমাজে অনেক নারী রয়েছে যারা ছোটখাটো একটা ব্যবসা শুরু করে নিজে উদ্যোক্তা হতে চায়। কিন্তু তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ না থাকায় তারা তাদের এই ব্যবসা শুরু করতে পারছে না। তাই জনতা ব্যাংক তাদের জন্য নারী উদ্যোক্তার লোন নামক একটি লোন সেবা চালু করেছে। যাতে করে খুব সহজেই তারা এই ব্যাংক থেকে এই লোনটি নিয়ে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারে।
তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে নারী উদ্যোক্তার লোন কত বছরের মধ্যে কত পারসেন্ট সুদে পরিশোধ করতে হয় এবং এই লোনটি নেওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে জানবো।
- লোন গ্রহীতা কে অবশ্যই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে এবং তার সঙ্গে তার এনআইডি কার্ড থাকতে হবে।
- এবং আপনি যেই ব্যবসা করতে চান অবশ্যই সেই ব্যবসার একটি ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
- তাছাড়া আপনার সম্পত্তির দলিল অথবা যে কোন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হবে।
- যে লোন নিবে তিনি ছাড়া ও অন্য আরেক ব্যক্তিকে নমিনি করতে হবে।
- যদি আপনি এন টিভি গুণবতী বা ভাগ্যবতী লোন গ্রহন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এক বছরের ব্যবসায়ী অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এবং উৎপাদনশীল কাজ করতে হবে।
- এই লোন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৯% হারে সুদ প্রদান করতে হবে এবং ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এই লোনটি পরিশোধ করতে হবে।
জনতা ব্যাংক শিক্ষা লোন
যে সকল ব্যক্তিরা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাতে চাকরিগত, বিভিন্ন সরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিংবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত অথবা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সর্বনিম্ন দুই বছর চাকরির বয়স হয়েছে। সে সকল ব্যক্তিগণ এই শিক্ষা লোন গ্রহণ করতে পারবে।
জনতা ব্যাংক শিক্ষা লোন ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে। এই লোনের সুদের হার ৯% থেকে ১১% হয়। মাসে কিনবা তিন মাস পর পর এই লোন পরিশোধ করতে পারবে। এ ধরনের সর্বোচ্চ মেয়াদ সীমা ৫ বছর হয়।
জনতা ব্যাংক পল্লী লোন
স্বল্প আয়ের মানুষ বা মধ্যবিত্ত আয়ের ব্যক্তিদের জন্য জনতা ব্যাংক পল্লী লোন প্রকল্প সেবা প্রদান করে। এই লোনের আওতায় সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যাবে এবং এই পল্লী লোনের সুদের হার ৯% ধার্য করেছে জনতা ব্যাংক। এই লোনের ধরন এবং লোন গ্রহীতার বর্তমান
মাসিক ইনকাম এর ওপর ভিত্তি করে কিস্তির হিসাব ধার্য করা হয়। কত টাকা লোন পাবে সেটি ধার্য করা হয় কোন কাজের জন্য লোন নিচ্ছে অর্থাৎ টাকার পরিমাণ প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়।
জনতা ব্যাংক গাভী পালন লোন
যে সকল ব্যক্তিরা কৃষিকাজের সঙ্গে সরাসরি ভাবে যুক্ত এবং সে ব্যক্তি যদি প্রকৃত কৃষক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকে তবে সেই ব্যক্তি চাইলে জনতা ব্যাংক থেকে গাভী পালন লোন সেবাটি উপভোগ করতে পারবে। এই লোনের মোট ৪ টি গাভী কেনার অর্থ লোন দেওয়া হয় এবং এক একটি গাভী ক্রয়ের জন্য ৯০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
অর্থাৎ জনতা ব্যাংক গাভী পালন লোনে মোট ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা লোন দেওয়া হয়। এবং এই লোনের সুদের হার ৯% হয়ে থাকে। এই লোনে জনতা ব্যাংকে কোন ধরনের জামানত দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
জনতা ব্যাংক লোন ফরম
যদি আপনি জনতা ব্যাংক থেকে অনলাইনের মাধ্যমে লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে লোন এজন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং একদিনের মধ্যেই আপনার একাউন্টে লোনটি চলে আসবে। কিন্তু তার জন্য নিচে উল্লেখিত ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে। জনতা ব্যাংক অনলাইন অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে ফর্মটি পূরণ করে দিলেই আপনি খুব সহজেই জনতা ব্যাংক থেকে লোন পেতে পারেন।
জনতা ব্যাংক লোন এর আবেদন প্রক্রিয়া
জনতা ব্যাংক থেকে লোন পেতে জনতা ব্যাংকের আবেদন প্রক্রিয়া কেমন হয় তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন এসে থাকে। আসলে জনতা ব্যাংকের লোনের ধরনের উপর ভিত্তি করে আবেদন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। জনতা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার নিকটস্থ জনতা ব্যাংক শাখায় গিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
এবং ফরমে চাওয়া তথ্যগুলো পূরণ করে আবেদন করতে হবে। জনতা ব্যাংক থেকে লোনের জন্য আবেদন করতে আবেদনকারীকে কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো।
- প্রথমে আপনার নিকটস্থ জনতা ব্যাংকের যেকোন শাখায় গিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন। আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেও এই ব্যাংক থেকে লোনের আবেদন করতে পারেন।
- আবেদন ফরমে চাওয়া সকল তথ্যগুলো সময় নিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র, ঠিকানার প্রমাণ, আয়ের প্রমাণপত্র সহ ব্যাংকের শর্তাবলী অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনপত্রের সাথে ব্যাংকে জমা দিন।
- তারপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবেদন ফরমের তথ্য গুলো যাচাই-বাছাই বা প্রক্রিয়াকরণ করবে তার জন্য সময় দিন এবং লোন অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন।
- এরপরে লোন অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পর লোন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে। তারপরে ব্যাংক আপনাকে আপনার লোনের টাকা একাউন্টে ট্রান্সফার করে দিবেন।
জনতা ব্যাংক লোন এর বৈশিষ্ট্য
জনতা ব্যাংকের বেশ কিছু গুণাগুণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার মধ্য থেকে নিচে কয়েকটি জনতা ব্যাংকের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।
- দ্রুত এবং সহজ আবেদন প্রক্রিয়াঃ জনতা ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। আর এই ব্যাংকের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের লোনের ভিন্ন ভিন্ন আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে। সেজন্য এই ব্যাংক থেকে দ্রুত লোন পাওয়া যায় এবং আবেদন প্রক্রিয়াও অনেকটা সহজ হয়।
- তুলনামূলক সুদের হার কমঃ বর্তমান সময়ে মানুষ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের বড় একটি সমস্যা হলো লোনে উচ্চ সুদ আরোপ করা। বিভিন্ন ব্যাংকের তাদের লোনের সুদের হার ১২% থেকে ১৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু জনতা ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় কম সুদে লোন প্রদান করে। জনতা ব্যাংকের সুদের হার হয়ে থাকে ৯%।
- নমনীয় পরিশোধের অপশনঃ আপনারা জানেন জনতা ব্যাংক বিভিন্ন খাতে লোন প্রদান করে থাকে। আর তাদের ভিন্ন ভিন্ন লোনের আবেদন প্রক্রিয়াও ভিন্ন হয়। ঠিক তেমনি ভিন্ন ভিন্ন লোনে লোন পরিশোধের সময়কালও ভিন্ন হয়। কারণ লোনের ধরনের উপর নির্ভর করে লোন পরিশোধের সময়কাল নির্ধারণ করে জনতা ব্যাংক। যা লোন গ্রহীতাদের জন্য নমনীয় পরিশোধের অপশন।
- ডেডিকেটেড কাস্টমার সাপোর্ট সেবাঃ জনতা ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের সাপোর্টের কথা মাথায় রেখে তারা তাদের সাপোর্ট সিস্টেমকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। গ্রাহক সাপোর্ট সিস্টেমের কাছ থেকে যা জানতে চাই তারা সেটা বিনয়ের সাথে উত্তর দিয়ে থাকে।
জনতা ব্যাংক লোন পদ্ধতি
যদি আপনি জনতা ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের লোন সেবা নিতে পারবেন। যেমন : গৃহ নির্মাণ লোন, কৃষি লোন, শিক্ষা লোন, অবসরপ্রাপ্ত লোন, স্যালারি লোন ইত্যাদি। আর এক এক ধরনের লোনের জন্য একেক রকমের নিয়ম আছে। তবে আপনাকে সেই নিয়মগুলো মেনে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। তাহলে চলুন জনতা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সমস্ত পদ্ধতি গুলো জেনে নেই।
- লোন আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন: এনআইডি কার্ড এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি থাকতে হবে।
- এবং ব্যাংক থেকে লোন আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সকল তথ্য সঠিক দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
- আপনি জনতা ব্যাংক থেকে যেই বিষয়ে লোন নিতে চান সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য ও কাগজপত্র ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হবে।
- আপনার সম্পত্তির মূল দলিল ব্যাংকের কাছে জামানত দিতে হবে এবং একজন গ্যারেন্টারের প্রয়োজন হবে। এই গ্যারানটার আপনার পরিচিত যে কেউ হতে পারে যেমন : মা বাবা ভাই বোন অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি। তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন গ্যারানটারকে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে হবে।
- এছাড়াও আপনি যে ধরনের লোন নিতে চাচ্ছেন সেই লোনের সুদের হার কত সত্য বলে কি পরিষদের সময়সীমা ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাংককৃত পক্ষের কাছে থেকে জেনে নিবেন।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল জনতা ব্যাংকের পার্সোনাল লোন সহ এই ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের লোন নিয়ে। যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে এবং আশা করি সেইসব ধরনের লোন সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবামূলক পোস্ট পাবলিশ করে থাকে। এমনই সব তথ্যমূলক পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url