নিম পাতার ক্ষতিকর দিক, উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও ব্যবহার

গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়মনিম পাতার ক্ষতিকর দিক, নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম ও নিম পাতার উপকারিতা-অপকারিতা এবং নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় সহ নিম পাতা বিভিন্ন সমস্যাই ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
আপনারা যারা নিম পাতা খাওয়ার ও বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহার নিয়ম গুলো জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে আজকের এই পোস্টটি স্বাগতম। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে নিম পাতা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাই নিম পাতা সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্র

ভূমিকা

নিম পাতা এটি একটি অত্যান্ত উপকারী উপাদান। এই নিম পাতা বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ও নানান শারীরিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদিক ঔষধে নিম পাতার ব্যবহার ব্যাপকভাবে হয়ে আসছে সেই প্রাচীন কাল থেকে। শরীরের ছোট বড় যে কোন সমস্যাই নিম পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। কি কি সমস্যায় নিম পাতা ব্যবহার করতে পারবেন ও খেতে পারবেন সে বিষয়গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক

আমাদের শরীরে যেমন নিম পাতা উপকার করে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আমরা এখন নিম পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করবো।


  • যদি গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় নিম পাতার রস খায় তাহলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য গর্ভবতী মায়েরা নিম পাতা খাওয়ার থেকে বিরত থাকুন।
  • দীর্ঘদিন খালি পেটে নিমপাতা সেবন করার ফলে শরীর অতিরিক্ত শুকিয়ে যেতে পারে।
  • নিম পাতা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • ডায়রিয়া বা মাথা ব্যথার সমস্যা হলে নিম পাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • যদি আপনার নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে নিমপাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো পড়ে আপনারা হয়তো জানতে পেরেছেন যে নিম পাতার ক্ষতিকর দিকসমূহ। এজন্য আশা করছি যদি আপনারা নিম পাতা খান তাহলে পরিমাণ মতো খাবেন। কেননা অতিরিক্ত নিম পাতা সেবন করলে উপকারের থেকে অপকার বেশি হবে।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে নানা ধরনের উপকার পাওয়া যায়। আপনি নিমপাতা যেভাবেই সেবন করেন না কেন উপকার আপনি পাবেন। যদি আপনি খালি পেটে নিমপাতার রস খান তাহলে আরো বেশি উপকার পাবেন। তাহলে চলুন খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে জেনে নেই।

  • নিম পাতার রস খালি পেটে খেলে পাকস্থলীতে ফাঁকা নানা ধরনের ক্ষতিকর ও ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমির সমস্যা দূর করা যায়।
  • খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস পান করুন।
  • যদি সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া যায় তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

আপনারা হয়তো উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন যে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এই সম্পর্কে।

নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অনেক জরুরী আর নিম পাতা খেলে এর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ ও নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা যায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে। সেই দিকের কথা মাথায় রেখে নিমের গুনাগুন সম্পর্কে তুলে ধরা হলো। আর এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বহুগুণের কথা বিবেচনা করে ২১ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এজন্য ঠিক আর পাশাপাশি নানা ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ও অনেক উপকারী বলেও জানায় মেডিকেল নিউজ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ থেকে সৌন্দর্য চর্চা সবকিছুতেই নিমপাতা অনেক উপকারী। নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টিভাইরাল এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের জন্য এবং পেট পরিষ্কার করতে কার্যকর।

১ কাপ নিমপাতায় ৩৫ গ্রাম ক্যালরি থাকে। এজন্য প্রতিদিন নিম পাতার রস খেলে রক্ত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে নিম পাতার নির্জা সে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মিমের কাঁচা ফল বাকল মূল এবং কাণ্ড এগুলো সব রোগের বিরুদ্ধে এই লড়াই করার ক্ষমতা আছে। গ্রামাঞ্চলে মিমের ছাল ত্বকের রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয় এটা এমন একটা ঔষধি যা শরীরের মধ্যে থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলি বের করতে সাহায্য করে এবং এটা রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে

নিম পাতার রস রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখে। নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে দারুন ভাবে কাজ করে রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সহায়তা করে নিমপাতা। ভালো ফলাফল পেতে নিমের কচি পাতা রস করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। খালি পেটে সকালে ১০ টি নিমপাতা ও ৫ টি গোল মরিচ পাঠায় বেটে সেটা খেলে ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকলে সব ধরনের রোগী নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিম পাতা কিভাবে খাবেনঃ আয়ুর্বেদের মতে নিম পাতা চিনির মিষ্টির সাথে অথবা চিনি নিম একসাথে খেলে কাশি ভালো হয়। আপনি চাইলে করে নিম ক্যাপসুল প্রতিদিন নিতে পারেন। নিম পাতার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি অনেক রোগ নিরাময় করতেও ক্ষমতা রাখে। এটি হৃদপিন্ড এবং লিভার সুস্থ রাখে। নিম পাতা তিতা হওয়ার কারণে অনেকেই নিম পাতার রস খেতে চান না। কিন্তু আয়ুর্বেদের মতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে শরীরের নানা অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

যেভাবে বানাতে পারেনঃ ডাল থেকে নিমপাতা ছাড়িয়ে পাঠায় বেটে মিহি করে নিতে হবে। তারপরে বাটা নিমপাতা গুলো ছোট বড়ির মত করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপরে কাচের জারে রাখতে পারেন। এটি অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে এবং এর গুনাগুলো ভালো থাকবে। প্রতিদিন নিম পাতা না পাওয়া গেলে এভাবে সংরক্ষণ করা যাবে।

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়

এই পাঠের মাধ্যমে আমরা জানাবো নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় এই সম্পর্কে। আমরা প্রায় মানুষ জানি যে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। যদি আপনি নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দেন তাহলে এটা আপনার ত্বকের জন্য বেশ কিছু উপকার করবে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে নিম পাতা ত্বকের ব্যবহার উন্নতি করার জন্য হয়ে আসছে।
আপনি যদি নিমপাতা আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে এটি আপনার ত্বকে নানা ধরনের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। তার মধ্যে রয়েছে ঘামাচি ব্রণ এলার্জি সহ আরো নানা ধরনের সমস্যা সমাধান করবে। একটি প্রাকৃতিক শক্তিশালী জীবাণুনাশক হলো নিম পাতা। এছাড়াও তোকে নিম পাতা সাথে হলুদ ব্যবহার বেশ কিছু উপকার হয়। কি কি উপকার হয় সেগুলো জেনে নেই।

  • রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে
  • ত্বকের বলী রেখা দূর করতে সাহায্য করে
  • বয়সের চাপ দূর করে
  • মুখে ব্রনের দাগ ও ব্রণ দূর করে
  • স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে
  • ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে
  • ত্বকের এলার্জির সমস্যা দূর করে
  • ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে
  • ত্বকের চুলকানি দূর করে
  • ফুসকুড়ি সমস্যা প্রতিহত করে
  • ত্বকের সকল ধরনের ময়লা বের করে ত্বককে করে নরমও আকর্ষণীয়

উপরে উল্লেখিত ছিল নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যবহারের কার্যকরী উপকার। এগুলো ছাড়াও নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যবহারে আরো অনেক ধরনের উপকার হয়।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

এক ধরনের মারাত্মক রোগ হল চর্মরোগ যাদের এই রোগ হয় তারাই একমাত্র বোঝে এই রোগের যন্ত্রণা কতটা। বিশেষ করে চর্মরোগ বর্ষাকালে হয় কারণ বর্ষাকালে আদ্রতার সমস্যার জন্য এই রোগ হয়ে থাকে। তবে এই চর্মরোগ সমস্যা দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনি যদি নিমপাতা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চর্মরোগ খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার অনেক কার্যকরী যদি আপনি বর্ষাকালে চর্মরোগ এগিয়ে চলতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে শুকনো এবং পরিষ্কার জামা কাপড় পরিধান করতে হবে।
এবং এর পাশাপাশি হাত-পা বেশি ভিজতে দেওয়া যাবে না। কেননা অতিরিক্ত হাত পা ভেজা অবস্থায় থাকলে চুলকানি ও দাদ এর সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই চর্ম রোগের জন্য নিম পাতা অনেক উপকারী। প্রাচীন যুগ থেকে নিম পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। আর এই নিমপাতায় অনেক ঔষধি গুন আছে যা নানা ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

চর্মরোগের সমস্যা দূর করতে প্রথমে নিম গাছের শুকনো ছাল তুলে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপরে তিন গ্রাম পাউডার এক গ্রাম পানিতে সেই শুকনো চালের গুড়ো ভিজিয়ে রাখতে হবে সারা রাত। এরপরে সকালে সেই ভিজিয়ে রাখা পানিতে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি এভাবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চর্মরোগ অনেক দ্রুত কমে যাবে। তাহলে ইতিমধ্য আপনারা জানতে পেরেছেন যে চর্ম রোগে নিমের পাতার ব্যবহার কতটুকু রয়েছে।

মুখে নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতা ত্বকের যত্নে অতুলনীয় এটা ত্বকের চুলকানি ও ব্রণ ও রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সক্ষম। এছাড়াও ত্বক সুন্দরও উজ্জ্বল করতে নিম পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

  • এক মোট নিমপাতা ১ ঘন্টা জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এরপরে মিহি করে বেটে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • দুইটি নিম পাতা ৩টি তুলসী পাতা দুইটি পুদিনা পাতা এবং একটি লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি মধ্যে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • নিম পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে নিন পরিমাণ মতো গোলাপজল দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট এরপরে ধুয়ে ফেলুন।
  • ১ চামচ নিম পাতার গুড়োর সাথে ১ চামচ বেসন ও পরিমান মত টক দই দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ১৫ মিনিট তাকে লাগিয়ে রাখুন এরপরে ধুয়ে ফেলুন।
  • মুঠো ভর্তি নিমপাতা বেটে ১ চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগানোর পরে ধুয়ে ফেলুন।
  • নিম পাতা গুরু ও অ্যালোভেরা জেল একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

আমাদের চুল বৃদ্ধি করতে নিমপাতা একটি অপরিহার্য উপাদান। আমাদের চুলে নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহারের ফলে চুল পড়া কমে যায়। চুলের গোড়ায় শক্তিশালী করে তোলে এবং চুল হয় কমল ও মসৃণ। নিয়মিত চুলে নিম পাতা ব্যবহার করার ফলে চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে এবং উকুন নিধনে বেশ কার্যকরী।
নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল সহ আরো প্রয়োজনীয় উপাদান যা আমাদের চুলের খুশকি দূর করতে সক্ষম এবং এটি আমাদের মাথার ত্বকের নানা ধরনের সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে।

ব্যবহারের নিয়ম

নিমপাতা মাথায় ব্যবহারের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে এর মধ্যে এসব থেকে সহজ পদ্ধতি হলো সরাসরি নিমপাতা বেটে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতিটি খুব সহজ এবং কার্যকরী।

দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো নিম পাতার রস চুলে ব্যবহার করা পরিমাণ মতো নিম পাতা ব্লেন্ড করে বা বেটে তারপরে থেকে রসগুলো বের করে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলে নিম পাতার রস ব্যবহারে মাথা ঠান্ডা থাকে।

তৃতীয় পদ্ধতিটি হলো নিম পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে সেই ফোটানো পানি ঠান্ডা করে মাথায় চুলে ব্যবহার করা। প্রথমে ২ থেকে ৩ লিটার পানিতে বেশ কিছু নিমপাতা দিয়ে ফুটিয়ে পানিটা ঠান্ডা করেছে একে নিন তারপরে সেই থেকে রাখা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে এতে করে খুশকি দূর হয়।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

চুলকানির জন্য অনেকেই চিকিৎসার জন্য আগ্রহী হন। অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যান আবার অনেকেই ভেষজ চিকিৎসা করেন। ভেষজ চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিম পাতা অনেক কার্যকরী। নিচে নিম পাতার ঔষধি গুণাবলী এর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • যদি চোখে চুলকানি হয় তাহলে নিম পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে ঝাপটা দিলে চোখের চুলকানি ভালো হয়।
  • শরীরে যদি কোন রেস বের হয় তাহলে জ্বালাপোড়া করে আর এই সময় যদি পুরো শরীরে নিম পাতা বেটে মেখে রাখা যায় তাহলে চুলকানি ও রেসের জ্বালাপোড়া ভালো হয়।
  • গা খোসপাচার সারাতে নিম পাতা ও হলুদ বেটে চুলকানি জায়গায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে চুলকানি সেরে যায়।
  • যেকোনো ধরনের চুলকানি ভালো করতে এক মুঠো নিম পাতা সিদ্ধ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর নামিয়ে ওই পানি দিয়ে গোসল করলে সব ধরনের চুলকানি ভালো হয়।

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বক ভালো ও সুন্দর রাখতে নিম পাতার কত বেশি উপকারিতা গুণ রয়েছে তা আমরা প্রায় সকলেই জানি। ত্বক সুন্দর, ফর্সা রাখার জন্য এই নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। নিম পাতা শুধু টককে সুন্দর রাখেনা এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের জীবাণুকেও নাস করে থাকে এবং তার সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে।

কিন্তু শুধু নিম পাতা ব্যবহার করলেই হবে না জানতে হবে নিম পাতা ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও উপায় গুলো। ত্বকে এই নিম পাতা আপনি সব ঋতুতেই ব্যবহার করতে পারবেন। নিচে নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও ত্বক উজ্জ্বল করার উপায় গুলো দেওয়া হয়েছে।

নিম পাতা ব্যবহার করলে যে সব উপকার গুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলঃ-

  • নিম পাতার ব্যবহারে ত্বক ফর্সা ও মসৃণ করে তুলে।
  • নিম পাতা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
  • নিম পাতায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়াল সেজন্য এই পাতার ব্যবহারে খুব সহজেই ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • নিমপাতা ব্যবহারের ফলে বলিরেখা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
  • ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই নিম পাতা।
  • এছাড়াও আরো বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা দূর করে থাকে এই নিম পাতা।

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার নিমপাতার ক্লিনজারঃ

নিমপাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে এই নিম পাতা। ব্ল্যাক হেডস, ব্রণ সমস্যার জন্য এ পাতাটি অত্যন্ত উপকারী। এবং নিমপাতা মুখে মাখার কারণে মুখের ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে ফেলে। লোমকূপে জমে থাকা ময়লাও খুব সহজে পরিষ্কার করতে সক্ষম এই উপকারে পাতাটি।

বানানোর নিয়ম

নিম পাতার ক্লিনজার তৈরি করতে কয়েকটি নিমপাতা নিতে হবে। তারপরে একটি পাত্রে একটা পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপরে সেই পানিতে নিম পাতাগুলো দিয়ে পুনরায় পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। পানের রংটি সবুজ আকার ধারণ করা পর্যন্ত পানি ফুটাতে হবে।

তারপর পানি ঠান্ডা করে একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পানিটা ছেকে নিতে হবে। এই পানি একটি পরিষ্কার শুকনো বোতলে সংরক্ষণ করে রাখবেন এবং এটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করবেন। এই পানি তুলা অথবা নরম কাপড় দিয়ে মুখে ও গলায় লাগাবেন।

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার নিমপাতার ফেসপ্যাকঃ

ত্বকের নরমাল সমস্যা হোক কিংবা বড় কোন সমস্যা হোক সবকিছুতেই এই নিম পাতা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। তোকে জ্বালাপোড়া অথবা ইনফেকশন হলে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। আবার রুক্ষ শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ, উজ্জ্বল করতেও নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।

বানানোর নিয়ম

নিম পাতার ফেসপ্যাক বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে নিম পাতা রোদে দিয়ে শুকাতে হবে এরপরে ব্লেন্ডার দিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। তারপর সেই শুকনো গুড়কৃত নিমপাতা ২ টেবিল চামচ ও চন্দন পাউডার ২ টেবিল চামচ এবং সামান্য একটু পানি সহ ১ টেবিল চামচ গোলাপজল একত্রে মিশিয়ে নিতে হবে।

এরপরে এ মিশ্রণটি মুখে অ্যাপ্লাই করবেন। এটি মুখে লাগিয়ে ২০/২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিম পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন এই নিমপাতা ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। আর এই নিম পাতার ব্যবহার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রাচীন আমল থেকে হয়ে আসছে। নিম পাতাই রয়েছে ১৩০ টি ঔষধি গুনাগুন। নিম পাতার গাছকে ২১ শতকের বৃক্ষ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

নিম পাতায় এত ধরনের উপকারিতা গুণ রয়েছে যা বলে শেষ করা কঠিন। তবে এই নিম পাতায় অল্প সংখ্যক কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। নিচে আলোচনা করা হয়েছে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা দিকগুলো নিয়ে।

নিম পাতার উপকারিতাঃ-

ভাইরাস প্রতিরোধ করেঃ প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের জন্য নিম গাছের নিম পাতা রোগ প্রতিরোধের নিরাময় ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে প্রাচীনকাল থেকে ভারত মহাদেশে এই নিম পাতার আয়ুর্বেদিক ওষুধের প্রচলন বেশি। চর্মরোগ, হাম, পক্স ইত্যাদি রোগ হলে নিমপাতা বাটা লাগানো হতো। নিম পাতা ও পানি মিশিয়ে সেই মিশ্রিত পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে গোসল করলে চুলকানি ও ত্বকের জ্বালাপোড়া ভালো হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াইয়ঃ নিমপাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি নিম পাতা পিষে এক গ্লাস পানির সাথে সেই নিমের মিশ্রণটি মিশিয়ে পান করেন। তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পাবে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ নিমের ফুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ওজন কমাতে। নিমের ফুল খেলে মানব দেহের শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় আর অতিরিক্ত চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখে। তলপেটের চর্বি কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে এই নিমের ফুল।

১ মোঠ নিমের ফুল নিয়ে সেটি থেতো করে তার সাথে আধা চা চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে নিবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই মিশ্রণটি খেলে খুব দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করবে।

ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে কাজ করেঃ একটি পাত্রে পানি নিয়ে তার সাথে কিছু নিমপাতা নিয়ে পানিকে ফুটিয়ে নিবেন। তারপর সেই পানি ঠান্ডা করে স্প্রে বতলে ধরে রেখে দিন। তারপর প্রতিদিন নিয়মিত ঘরের আনাচে-কানাচে স্প্রে করবেন এতে মশার উপদ্রব কম হবে এবং ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু সহ অসহায়িত সব রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

এলার্জি দূর করতে সাহায্য করেঃ আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত নিম পাতার সাথে পানি ফুটিয়ে তা ঠান্ডা করে গোসল করুন। এটা ছাড়াও আপনি চাইলে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে সেটা শরীরে লাগিয়ে পারেন এতে অ্যালার্জি সমস্যা কমে যাবে।

চোখের চুলকানি ভালো করেঃ আপনার যদি চোখ চুলকানোর মতো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিম পাতা ও পানি একটি পাত্রে নিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর পানিটি ঠান্ডা করে সেই পানি চোখে মারুন এতো অনেকটাই আরাম পাবেন।

পোকার কামড়ের ব্যথা দূর করেঃ পোকার কামড় দেওয়ার স্থানে যদি নিমের পাতা বাটা কিংবা নিম গাছের ছাল বাটা লাগানো হয় তাহলে ব্যথা কমে যায়। তবে বিষধর কোন পোকা হলে অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসালয়ের শরণাপন্ন হতে হবে।

খুশকি দূর করতে সাহায্য করেঃ মাথার চুলের খুশকি দূর করতে এই নিম পাতার ব্যবহারের জনপ্রিয়তা অনেক। নেমে থাকা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া নাশক উপাদান থাকে যা খুশকি দূর করতে ভূমিকা রাখে। একটু পাত্রে তিন চার কাপ পানি নিয়ে তার সাথে এক মুঠো পরিমাণ নিমপাতা নিতে হবে এবং সেই পানে ফুটাতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত পানির কালারটি সবুজ আকার ধারন করে।

তারপর পানি ঠান্ডা করে মাথায় শ্যাম্পু করে সেই নিম পাতা মিশ্রিত ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করলেই মাথা ঘুরছে ভালো হয়ে যাবে।

উকুন থেকে মুক্তি দেয়ঃ নিমের পাতা বেটে মাথায় দিলে উকুন দূর হয়। সপ্তাতে দুই থেকে তিনবার এই নিমের পেস্ট মাথায় দিলে উকুন দূর হবে। নিমের পাতা বেটে টা মাথায় লাগিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর কাকই বা উকুনের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচরাতে হবে।

বাত ব্যথা দূর করেঃ মিমের তেল দিয়ে মেসেজ করলে বাতের ব্যথা কমে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় নিমের বীজ, বাকোল, নিম পাতা ব্যবহার করা হয় বাত ব্যথা কমাতে।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিম ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখে। রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতেও সঠিক রাখতে ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিম পাতার খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালে আট-দশটি নিম পাতা ও চার-পাঁচটি গোলমরিচ একসাথে বেটে নিয়ে খেয়ে নিবেন। এটি খেলে শুধু ডায়াবেটিসই নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নয় এর সাথে সাথে আপনার রক্তনালীকেও প্রসারিত করবে এবং রক্তের সরবরাহ ব্যবস্থাকে উন্নতি করবে।

দাঁতের রোগ ভালো করেঃ নিম গাছের বাকল, ডাল কিংবা পাতা দিয়ে যদি প্রতিদিন দাঁত মাজেন তাহলে দাঁতের গোড়া মজবুত হবে এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচাবে।

চর্মরোগ ভালো করেঃ নিমপাতা অ্যাকজিমা, ব্রণ, ফোঁড়া সহ নানান ধরনের চর্মরোগ ভালো করতে কার্যকরী একটি উপাদান। ত্বকের বা শরীরের যে স্থানে এ সকল চর্ম সমস্যা দেখা দেয় নিমপাতা বেটে সেখানে নিম পাতার প্রলেপটি লাগিয়ে দিবেন।

নিম পাতার অপকারিতাঃ

  • গর্ভবতী মহিলাদের নিম পাতা খাওয়া যাবে না কারণ গর্ভাবস্থায় নিম পাতা খেলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • কিছু কিছু সময় নিমপাতা খাওয়ার ফলে বন্ধ্যাত্বতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই জন্য যারা সন্তান নিতে চাচ্ছেন তারা নিম পাতা খাবেন না।
  • বেশি পরিমাণে খালি পেটে নিম পাতা খেলে কিংবা অধিক সময় ধরে খালি পেটে নিম পাতা খেলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেজন্য লং টাইম ধরে নিমপাতা না না খাওয়াটাই উচিত।
  • যেকোনো ধরনের অপারেশনের ১৫/২০ দিন আগে থেকে নিমপাতা সেবন বন্ধ করতে হবে।
  • যে সকল মানুষের নিম্ন রক্তচাপের মত সমস্যা আছে সে সকল মানুষ নিমপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • নিমপাতা খাওয়ার পরে যদি মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব হওয়ার মত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে নিমপাতা খাওয়া বাদ দিতে হবে।
  • প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি নিম পাতার চেয়ে বেশি খাওয়া উচিত নয়।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ছিল নিম পাতার খাওয়ার নিয়ম ও বিভিন্ন সমস্যায় এই নিম পাতার ব্যবহার এর নিয়ম নিয়ে তাছাড়াও নিম পাতার আরো বিভিন্ন তথ্য গুলো নিয়ে সাজানো হয়েছিল আজকের এই আর্টিকেলটি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এমনই সব স্বাস্থ্যসেবা মূলক পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url