মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা ও ব্রণ দূর করার উপায়

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়, রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা ও মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সহ মধু দিয়ে আরো বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল।
মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়
আপনারা যারা মধুর নানান সমস্যায় ব্যবহারিক গুনাগুন ও মধু সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলে স্বাগতম। আমরা এই আর্টিকেলে মধুর নানা মুখি ব্যবহারিক গুনাগুন সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

মুখের ত্বকের সমস্যা দূর করতে মধুর ব্যবহার করে থাকে অনেকেই এবং এই মধুর ব্যবহারের ফলে মুখের ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। শুধু মুখের ত্বকের জন্যই মধু কাজ করে না এই মধু বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে। আজকে আমরা জানবো মুখের ত্বকের কোন কোন সমস্যা দূর হয় মধু ব্যবহারে। তাই বিষয়গুলো জানতে পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

মধু কি

মধু এক ধরনের মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ যা মৌচাকে সংরক্ষণ করে মৌমাছির দল ফুলের নির্যাস হতে। মধু উন্নত মানের ঔষধ এবং ভেষজ তরল পদার্থ এবং এর উপকারিতা অনেক।

মধুর প্রধান উপাদান


  • এনজাইমঃ মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে থাকে তাতে নেক্টারে এনজাইম যোগ করে যা জটিল শর্করা কে সরল শর্করাতে রূপ দেয় এবং মধু তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • খনিজ পদার্থঃ মধু হলো একটি প্রাকৃতিক খাবার যার মধ্যে আছে পটাশিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,এবং কিছু পরিমাণের অন্যান্য খনিজ পদার্থ। এই খনিজ পদার্থ গুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
  • ফ্রুকোজ এবং গ্লুকোজঃ মধুতে পাওয়া যায় এই দুটো প্রধান উপাদান যা মধুকে মিষ্টি স্বাদ দেয় এবং শক্তি সরবরাহ করে থাকে।
  • ভিটামিনঃ মধুতে অল্প পরিমাণে থায়মীন রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি আরো কিছু ভিটামিন থাকে। ভিটামিন এবং পরিমাণ একটি তৈরি ব্যবহৃত ফুলের নেক্টারের নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
  • পানিঃ যে মধুতে বেশি পানির উপাদান থাকে সে মধু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যে মধুতে কোম্পানির উপাদান থাকে সে মধু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে মধুতে পানির উপাদান থাকলে তার গুণমানে জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মধুতে পানির পরিমাণ ও এর রং এবং গন্ধ কে প্রবাহিত করে।
  • পলিফেনলঃ মধুতে পাওয়ায় পলিফেনলের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পদার্থ। এই পদার্থ ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোগ ব্যাধি হাত থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও অনেক সহায়তা করে।
  • অ্যামিনো এসিডঃ মধুতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যামিনো এসিড থাকে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী এটি শুধু মানুষের জন্য উপকারী।

মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য অনেকেই মধু ব্যবহার করে। ত্বক ফর্সা করার জন্য মধু অনেক উপকারী। মধু ব্যবহার করলে খুব কম সময় ত্বক ফর্সা করা যায়। মধু দিয়ে কি করে ত্বক ফর্সা করা যায় সেই সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকে। সেই জন্য আমাদের আর্টিকেলে মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো আলোচনা করেছি।
কেউ যদি নিয়ম করে মধু ত্বকে লাগায় তাহলে ত্বক ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে ত্বকে যে সমস্যা থাকে সেগুলো দূর করতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলো জেনে নেই।

উপায় ১

মধুর মতোই দারুচিনি ও অনেক গুণ আছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মধুর সাথে দারুচিনি মিশিয়ে ত্বকে লাগালে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মধু ও দারুচিনির গুড়া গরম পানির সাথে মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই ব্যক্তির ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে ত্বক ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে ত্বকের চুলকানি ভাব ও জ্বালাপোড়াও ভালো হয়।

উপায় ২

মধুর সাথে বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় এবং এর ফলও ভালো হয়। প্রথমে ১ চামচ বেসন ও পরিমাণ মতো মধু নিয়ে ভালো করে মিক্সড করতে হবে। তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট মত ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। যখন অল্প টানটান ভাব হবে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এইভাবে ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যে ত্বক ফর্সা হবে।

উপায় ৩

ত্বক ফর্সা করার জন্য মধু খুবই উপকারী মধুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের যে কোষ আছে তাকে সতেজ রেখে ত্বকের উপকার করে। সরাসরি ত্বকে মধু লাগালে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু মধুর সাথে বিভিন্ন ধরনের উপাদান মিক্স করে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এজন্য সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করতে হবে মধুর প্যাক।

উপায় ৪

ত্বকের জন্য পেঁপে অনেক উপকারী কারণ পেপেতে আছে অ্যান্ড্রাইম যা ত্বকের গভীরভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধিতে ও অনেক কাজে আসে।পেঁপের একটি স্লাইস নিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপরে পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপরে মুখটি ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই পেস্টটি লাগালে ত্বক আস্তে আস্তে ফর্সা হবে।

উপায় ৫

কাঁচা দুধ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী কাঁচা দুধের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগানো যায়। এই প্যাকটি ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। দুধের সাথে মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করা যায়। তাছাড়া ত্বকের চামড়া ও ভালো থাকে এবং ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে।

উপায় ৬

লেবু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী কারণ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। সেই জন্য লেবু ও মধু মিশিয়ে একসাথে ত্বকে লাগানো যায়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চামচ মধুর সাথে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিক্স করে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

উপায় ৭

মধু ও নিম পাতা ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন সমস্যাও দূর করে। যেমন: ব্রণের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পরিমাণ মতো নিম পাতা পেস্ট করে সামান্য মধু মিশিয়ে ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে।

উপায় ৮

মধু ও টক দই ত্বক ফর্সা করতে অনেক কাজে আসে। ১ চামচ দই ও মধু একসাথে মিক্স করে মুখে লাগাতে হবে। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে টক দইয়ে ল্যাকটিক এসিড থাকায় ত্বকের অনেক ধরনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

উপায় ৯

মধু ও মুলতানি মাটি ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হয়। মুলতানি মাটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ১ চামচ মুলতানি মাটি গুঁড়ো করে পরিমাণ মতো মধু দিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং ত্বকে লাগাতে হবে। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে এইভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা করা সম্ভব।

উপায় ১০

অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী অ্যালোভেরা ও মধু ব্যবহার করে ত্বকের ব্রণ সহ ও আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করা সম্ভব। তাছাড়া ত্বকের দাগ দূর করে থাকে এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে।

রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা

মুখে মধুমাখার উপকারিতা হয়তো অনেকেই জানেন কিন্তু আপনি জানেন কি রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা সম্পর্কে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে কোন সমস্যা নেই আজকে আমাদের এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা। তাহলে চলুন জেনে নেই রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা সম্পর্কে।

  • মধু ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও ত্বককে কমল রাখতে সাহায্য করে। সেজন্য রাতে মধু ব্যবহার করা ভালো।
  • মধুতে আছে অ্যান্টি ফাঙ্গাস এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করে এজন্য রাতে ব্যবহার করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
  • মধুর যে উপাদান থাকে সেগুলোর ব্রণের মত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় তার সাথে সাথে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করে এবং ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
  • মধু মৃত কোষ কে তুলতে পারে এবং নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে। সেজন্য মধু রাতে ব্যবহার করলে অনেক উপকার হয়।
  • মধু তে থাকে প্রবায়োটিক ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের পুষ্টি সরবরাহ করেও ত্বক টানটান রাখে।

রাতে মুখে মধু মাখার নিয়ম

রাতে মধু মাখার যে সময় আছে সেই সময়ের মুখে মধু মাখতে হবে। রাতের খাওয়া শেষ করে রূপচর্চা করতে হয় লেবুর রস ও মধু তার সাথে দুধ মিক্স করে প্যাক বানানোর পরে মুখে এই প্যাকটি ত্বকে লাগাতে হবে। এবং রাতে লাগানোর পর সকালে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
মুখ ধোয়ার পর ক্রিম লাগানো যাবে না। কারণ এতে উপকার আসে না অপকার হতে পারে। এই প্যাকটি লাগানোর আগে মধু দিয়ে মুখ ভালো করে মাসাজ করতে হবে। লেবুর রস মধু ও দুধ দিয়ে এই প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

ত্বকের ব্রণ দূর করতে মধুর গুরুত্ব অনেক। মধু ব্যবহার করলে ত্বকের জীবাণু থেকে ত্বককে মুক্ত করতে সাহায্য করে। যার ফলে ব্রণ হতে বাধা দেয়। নিচে মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো দেওয়া হলোঃ-

১.মধুও দই

  • একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ পানি নিতে হবে।
  • ওই পানিতে আধা চা চামচ মধু মেশাতে হবে।
  • এবং আদা চা চামচ দই মিশিয়ে নেড়ে নিতে হবে।
  • একটি তুলা টুকরা পানিতে ভিজিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • এবং মধু ও দই এর প্যাকটি রাতে ত্বকে লাগাতে হবে লাগিয়ে সারারাত রাখার পর পর দিন সকালে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে।

২.মধু ও নিম

  • একটি পাতের নিম পাতার গুড়ো নিতে হবে করতে হবে।
  • প্রয়োজন মত মধু মিশে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
  • রাতে পেস্টটি ত্বকে লাগিযে ৩০ মিনিট ত্বকে রাখতে হবে।
  • ৩০ মিনিট পর ত্বক মুছে নিতে হবে।
  • পরের দিন সকাল বেলা ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • সরাসরি মধু লাগান ত্বকে।
  • ব্রণ যুক্ত ত্বকে মধু লাগাতে হবে।
  • ব্রান্ড এইড দিয়ে ত্বকে ঢেকে দিতে হবে।
  • সারারাত রাখতে হবে।
  • পরদিন সকালের ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

শুধু মধু মুখে মাখলে কি হয়

মধু মাখলে ত্বকের জীবাণুকে দ্রুত বিনাশ করতে সাহায্য করে। মধুতে রয়েছে পুষ্টি উপাদান যেমন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখতে সাহায্য করে। মধু মাখলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। মধু মাখার মাধ্যমে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বক সুন্দর করতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত ত্বকে মধুর ব্যবহার

গরমের সময় ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেশি লক্ষ্য করা যায় যার কারনে ব্রণ হতে পারে। তাছাড়া ত্বকের লোম কূপের ভেতরে অনেক ধরনের ধুলাবালি জমে ত্বকে কালো কালো ছোপ পড়তে দেখা যায়। সেজন্য তোকে মধুমাখার প্রয়োজন রয়েছে। ত্বকে মধু মাখলে ত্বকের তেলতেল ভাব দূর করা যায় এতে করে ত্বকের ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। ত্বকে কিভাবে মধু ব্যবহার করা যায় চলুন দেখে নেওয়া যাক।

কলা ও মধু

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য কলা ও মধু একসাথে মাখলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রথমে একটা পাকা কলা অর্ধেক নিয়ে ও দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। তারপর ২০ মিনিট ধরে প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

হলুদ ও মধু

১ চামচ হলুদের গুড়োর সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগানো যায় এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা যায়।

মধু ও দুধ

ত্বকের তৈলাক্ত দূর করতে মধু ও দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। আধা কাপ মধুর সাথে আধা কাপ দুধ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে মুখে লাগাতে হবে। প্যাকটি শুকানোর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

অলিভ অয়েল মধু ও লেবু

এক চামচ অলিভ অয়েল এক চামচ মধু ও আধা চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগাতে হবে। এবং ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে ব্যবহার করে ত্বকের তৈলাক্ত দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়।

ডিম মধু ও লেবু

ত্বকের তৈলাক্ত দূর করার জন্য ডিমের সাদা অংশ আধা চা মধু ও আধা চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। মিশ্রণটির শুকনর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে ব্যবহার করে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা সম্ভব।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ছিল ত্বকে মধুর ব্যবহারিক নিয়ম ও এর গুনাগুন নিয়ে। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এবং ত্বকে কি কি উপায়ে মধু ব্যবহার করলেন উপকার আসবে সে বিষয়ে জানতে পেরেছেন। লাইফস্টাইল বিষয়ক আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url