মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ, ডায়েট চার্ট, ব্যায়াম ও উপায়
মেয়েদের ও ছেলেদের চুল পড়া রোধে কোন শ্যাম্পু ভালোমেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ, ডায়েট চার্ট, ব্যায়াম সহ মেয়েদের ওজন কত হওয়া উচিত নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল। যে সকল মেয়েরা তাদের ওজনগত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি।
কারণ এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানানোর চেষ্টা করেছি কি কি উপায়ে খুব দ্রুত আপনি আপনার ওজন কমিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক ওজন নিয়ে আনতে পারেন তা নিয়ে। তাই বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
এখনকার মেয়েরা চায় যেন তাদের ওজন একটু কম হয় এবং শারীরিক গঠন সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। তাই তারা তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ ও জন যেন না বেড়ে যায় সে বিষয়ে অনেক সচেতন ও আগ্রহ প্রকাশ করে। অধিকাংশ মেয়েদেরই ওজন সমস্যায় ভুগছেন। আরে ওজন কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং দ্রুত ওজন কমানোর বেশ কিছু উপায় সহ মেয়েদের ওজন ঘটিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টে।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
ইন্টারনেটে এখন বহু আকারের মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো।
- পরিমিত ঘুমান
- কালো কফি পান কারুন
- প্রতিরোধ প্রশিক্ষণ
- জল পান করুন
- গ্লুট প্রোটিন খাবার গ্রহন
- জার্নালিং জাতীয় খাবার পরিহার
- গ্রিন টি পান করুন
- প্রাতরাশে ডিম খান
- সবজি এবং ফল খাওয়া
- ধীরে ধীরে চিবানো
- প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান
- অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার কমান
- খাদ্য আসক্তি কাটিয়ে ওঠা
- সামান্য ভারোত্তোলন মন্দ নয়
- অ্যারোবিক্স শুরু করা
- যোগব্যায়ামের অনুশীলন
- প্রোবায়োটিক শুরু করুন
- খাবারের আসক্তি কাটিয়া অল্প পরিমাণে খান
- ছোট প্লেট ব্যবহার করুন
- চাপ কমান
- লো কার্ব ডায়েটে লক্ষ্য রাখুন
- বিচক্ষণ খাওয়া-দাওয়া
- ফাইবার জাতীয় খাবার
- বেনিয়মে খেলে শুধু পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট
পরিণত ঘুমানঃ নিয়ম করে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন আছে।পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিমাপের ঘুমই পারে ওজন কমাতে। ঘুমের অভাবে বিপাক ক্রিয়া কমানোর সাথে সাথে শরীরের জল ধরে রাখার ফলে ওজন কোন তে বাধা দেয়। তাই ওজন কমানোর জন্য ভাল ঘুমের প্রয়োজন আছে।
কালো কফি পান কারুনঃ কালো কফিতে ক্লোরোজেনিক এসিড থাকার জন্য ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই এসিড শরীরে গ্লুকোজ এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ক্যাফিন পর্যাপ্ত ক্ষিদে কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিরোধ প্রশিক্ষণঃ নির্দিষ্ট পরিমাণে পরিশ্রমের মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। তাই নিয়মিতভাবে পরিশ্রম করা দরকার।
জল পান করুনঃ নিয়মিতভাবে খাওয়ার পর আগে জল পান করলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণে বাধা দেয়। এজন্য খাওয়ার আগে জল পান করা দরকার আছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গ্লুট প্রোটিন খাবার গ্রহনঃ ওজন কমানোর প্রধান উৎস হল সামুদ্রিক খাবার মাংস ডিম এবং দুগ্ধ জাত খাবার। উচ্চমাত্রার প্রোটিন যুক্ত খাবার ডায়েট করতে এবং খাবার তৃষ্ণা মেটাতে পারে। তাছাড়া প্রোটিনযুক্ত খাবার ধীরগতিতে ওজন বৃদ্ধি করে। তাই মহিলাদের ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জার্নালিং জাতীয় খাবার পরিহারঃ জার্নালিং খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখার প্রধান কারণ যা সচেতন সৃষ্টি করে।
গ্রিন টি পান করুনঃ মেয়েদের ওজন কমাতে গ্রিন টির গুরুত্ব অনেক তাই নিয়ম করে পরিমাণ মতো গ্রিন টি পান করা শুরু করুন।
প্রাতরাশে ডিম খানঃ ডিমে উচ্চমানের প্রোটিন থাকে যেমনঃ খনিজ পদার্থ চর্বি ভিটামিন যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। একটি বড় ডিমে ৭৪ ক্যালোরি থাকার ফলে পুষ্টিগুণ পূরণ হয় এবং মেয়েদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সবজি এবং ফল খাওয়াঃ সবজি এবং ফলে থাকে প্রচুর ফাইবার ভিটামিন কার্বোহাইড্রেট খনিজ পদার্থ রয়েছে এগুলো খেয়ে ডায়েট করা যায়। তাছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ থাকায় রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ধীরে ধীরে চিবানোঃ ধীরে ধীরে জীবনের ফলে হজম সহজ হয় সেজন্য খাবার ধীরগতিতে এবং টুকরো করে পর্যাপ্তভাবে ভেঙে খাবার খাওয়া উচিত।
প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খানঃ প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করলে মহিলাদের অবাঞ্ছিত ক্যালোরি গ্রহণে বাধা দেয় যার কারণে ওজন কোনে সুস্থ থাকতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার কমানঃ মেয়েদের ওজন কমানোর প্রধান উপায় হলো খাবারের চিনি ব্যবহার কমানো। চিনি ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে মেয়েদের ওজন কমানো যেতে পারে।
খাদ্য আসক্তি কাটিয়ে ওঠাঃ অনেক মেয়ে আছে যারা খেতে পছন্দ করে সুস্বাদু খাবার দেখলে নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। এরকম খাদ্যের প্রতি আসক্তি কাটিয়ে উঠতে পারলে ওজন কমানো সম্ভব।
সামান্য ভারোত্তোলন মন্দ নয়ঃ কর্মব্যস্ততায় পারে ওজন কমাতে তাই কর্মে ব্যস্ততায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারলে মেয়েদের চর্বি কমিয়ে ওজন কমানো সম্ভব।
অ্যারোবিক্স শুরু করাঃ অ্যারোব্রিক্স মহিলাদের ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে বেশি উপকারী। তাই অবশ্যই অ্যারোবিক্স শুরু করার গুরুত্ব অনেক।
যোগব্যায়ামের অনুশীলনঃ যোগ ব্যায়াম যেমন ওজন কমায় ঠিক তেমনি মানসিক চাপ কমিয়ে শরীর ও মন ভালো রাখে।এবং মানসিক বিকাশ ঘটায় ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
প্রোবায়োটিক শুরু করুনঃ প্রবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এছাড়া সুস্থ পরিপাক ক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
খাবারের আসক্তি কাটিয়া অল্প পরিমাণে খানঃ অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলেই মহিলাদের বাজে খাবার খাওয়া কমানো সম্ভব। অল্প করে খাবার ফলে পেট ভর্তি ও থাকে।
ছোট প্লেট ব্যবহার করুনঃ ছোট প্লেটে খাবার খেলে খাবার বেশি মনে হয় তখন মন ও পেট দুটোই ভরে এবং তৃপ্তি সহকারে খাবার খাওয়া যায়।
চাপ কমানঃ মানসিক চাপের ফলে স্ট্রেস কোটিসল নামক খিদেবোধক হরমোন বৃদ্ধি পায়। তাই চাপ কমানোর মাধ্যমে মেয়েদের ওজন কমানো যায়।
লো কার্ব ডায়েটে লক্ষ্য রাখুনঃ লোক কার্ব ডায়েট এ লক্ষ্য করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস থেকে প্রতিরোধ করে। কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত কিছু খাবার হলো লেবু, বাদাম, ফল, গোটা খাদ্য, এবং বীজ।
বিচক্ষণ খাওয়া-দাওয়াঃ মহিলাদের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি খুব অমনোযোগী হওয়ায় তারা অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলে। সেজন্য টেলিভিশন দেখা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। খাবার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত খাওয়া বন্ধ করা সম্ভব।
ফাইবার জাতীয় খাবারঃ ডায়েট করার জন্য ৩০ গ্রাম ফাইবার জাতীয় খাদ্য খাওয়া উচিত যা মেয়েদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার জাতীয় খাদ্য খেলে পেট ভরা থাকে। এ ধরনের খাবারগুলো হলো মিষ্টি আলু, মটরশুটি, আপেল, পালং শাক যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায় ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্য ফাইবার জাতীয় খাদ্য ও খুবই উপকারী।
বেনিয়মে খেলে শুধু পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটঃ পাস্তা পিজ্জা হোয়াইট ব্রেড এবং চিপস এবং ফ্রাই জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। এর বদলে গোটা শস্য জাতীয় খাদ্য খাবার খাওয়া উচিত ওটস, কুইনোয়া, ব্রাউন রাইস, খাবার মাধ্যমে মেয়েদের ওজন কমানো সম্ভব।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধ
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর জন্য বাজারে এখন অনেক ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। যা ব্যবহারের মাধ্যমে মেয়েদের ওজন কমানো সম্ভব। যে ওষুধগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে মেয়েদের ওজন কমানো যায় সেগুলো নিচে দেওয়া হলো। এই ঔষধ গুলোর মাধ্যমে মেয়েদের অতিরিক্ত মেদ কমানো সম্ভব। চলুন তাহলে দ্রুত ওজন কমানোর ঔষধের নাম গুলো জেনে নিই।
- স্টিমুলান্টঃ এই ঔষধটি সহজে সব জায়গায় পাওয়া যায় না। এটি বাহিরের দেশের কোম্পানির পণ্য সেই কারণে এই ওষুধটি পাওয়া একটু কঠিন হয়। স্টিমুলান্ট ঔষধটি সংগ্রহ করতে হলে অবশ্যই শহরের বড় বড় ফার্মেসিতে খোঁজ করতে হবে। এই ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করতে হবে।
- অরলিফিটঃ এই ঔষধটির মূল্য হলো ৫০ টাকা আর কোম্পানির নাম অপসোনিন ফার্মেসি লিঃ।
- ডায়োটিলঃ ডায়োটিল ৬৫ এর মূল্য ৪০ টাকা এই ঔষধটি Eskayef ( sktf) বাংলাদেশ লিঃ এর এটা বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
- নো ফ্যাট ১২০ এম জিঃ এটি শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে বড় বড় ফার্মেসিতে এই ওষুধটি পাওয়া যায়। ফ্যাট কমানোর জন্য ড্রাগ এডিস্টেড জিনিস মেশানো থাকার ফলে অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
- জিরো ফ্যাট ১২০ এম জিঃ এই ঔষধটি মেয়েদের মেদ কমাতে সাহায্য করে তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা উচিত না। না হলে নেশায় পরিণত হতে পারে কারণ এটিতে ড্রাগ অ্যাডিস্টেড ঔষধ মেশানো থাকে। কিন্তু সঠিক নিয়মে সেবন করলে মেয়েদের শরীরের ফ্যাট খুব সহজেই কমানো সম্ভব।
- অ্যাডিপোনিলঃ এই ওষুধের দাম ৪০ টাকা এই ঔষধের কোম্পানির নাম ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ।
- লোয়েটঃ এই ওষুধের দাম ৫৫ টাকা Albion ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ।
- ফ্যাট বার্নারঃ এই ঔষধটি যেকোন জায়গায় নাও পেতে পারেন। বড় বড় ফার্মেসিতে খোঁজ করলে পাওয়া যেতে পারে। এই ঔষধটি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে কিন্তু ড্রাগ এডিস্টেড মিশানোর কারণে পরিমাণ করে সেবন করতে হবে। অতিরিক্ত সেবন করলে নেশায় পরিণত হতে পারে।
- Olistat: এই ঔষধের মূল্য ৩০ টাকা এটি স্কয়ার কোম্পানির ফার্মেসিউটিক্যালস লিঃ এর।
- স্লিমফাস্টঃ ওষুধের মূল্য ৫০০ টাকা যার মধ্যে ৩০ টি ক্যাপসুল আছে। এই ঔষধের কোম্পানির নাম হলো ভাটারা, ঢাকা বাংলাদেশ হামজা ল্যাবরেটরীজ।
আয়ুর্বেদিক ঔষধ এর মধ্যে রয়েছে
- নবীন চিরতঃ এই ওষুধের দাম ১৫০ টাকা যার মধ্যে ৫০ টি ক্যাপসুল পাওয়া যায়।
- স্লিফটঃ এই ওষুধের দাম ৫০০ টাকা যেই প্যাকেটে ৩০ টি ক্যাপসুল পাওয়া যায়। এই ওষুধটি ঢাকা ও বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
- লোফ্যাটঃ এই ওষুধের দাম ৮৬০ টাকা এর মধ্যে 50 টি ক্যাপসুল পাওয়া যায় এটির কোম্পানির নাম হলো এবি ফার্মেসিউটিক্যালস
- ফ্যাট রিডিউসারঃ এই ঔষধের মূল্য ৪৫০ টাকা এর মধ্যে ৩০ টি ক্যাপসুল পাওয়া যায়। ঔষধের কোম্পানির নাম হলো মার্কো ইউনানী ফার্ম।
- হাল্যাক্সঃ এই ওষুধের মূল্য ১০০ টাকা এর মধ্যে ৫০ টি ক্যাপসুল পাওয়া যায়। এর কোম্পানির নাম হল হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ।
বিদেশি ঔষধের নাম
- Obe slim fat reducer - (মূল্যঃ ৮৫০ টাকা)
- glow zero - (মূল্যঃ ৪৫৫ টাকা)
- Ayurslim - (মূল্যঃ ৩১৫ টাকা)
- Forever garcinia plus - (মূল্যঃ ১৬০০ টাকা)
- Detoxi slim - (মূল্যঃ ৮৯৯ টাকা)
- Max slim - (মূল্যঃ ৯৯৯ টাকা)
- Saffron capsul - (মূল্যঃ ৮৯৯ টাকা)
- Super slimming herd dietr pills - (মূল্যঃ ৬৫০ টাকা)
- Nano fast slim thailand's slimming capsule - (মূল্যঃ ১১৯০ টাকা)
- True slim pro - (মূল্যঃ ২৩৬৮ টাকা)
ডায়েট ছাড়াই ওজন কমানোর কৌশল
যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন কসরতের পাশাপাশি নানা ধরনের ডায়েট ফলো করতে হয়। কিন্তু ডায়েট না বুঝে বা না জেনে কখনোই অনুসরণ করা উচিত না। যেকোনো ডায়েট শুরু করার আগে আপনার শরীরের জন্য সেটা উপযোগী কিনা তা যাচাই করতে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
কোন ডায়েটটি আপনার জন্য প্রযোজ্য সেটা আগে জানুন। আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন, যে শুধু ব্যায়াম না করে বরং কিছু সাধারন নিয়ম আছে যেগুলো মেনে চললে খুব সহজেই আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন। নিয়ম গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
- হালকা গরম পানি পান করুন
- ৬ থেকে ৮ ঘন্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন
- স্বাস্থ্যকর ও ঘরের খাবার খান
- রাতের খাবার খান
- খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটুন
- মৌসুমী ফল রাখুন পাতে
হালকা গরম পানি পান করুন
অতিরিক্ত ওজন কমাতে গরম পানি মধু ও লেবুর উপকার তার কথা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু শুধু কুসুম গরম পানি পান করেও ওজন কমানো সম্ভব। শরীরের টক্সিন দূর করতে গরম পানি অনেক সাহায্য করে এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলে শরীরে যেই অতিরিক্ত মেয়ের জমে তা গরম পানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৬ থেকে ৮ ঘন্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন
অবাক করা বিষয় হইলেও এটা প্রমাণিত যে পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমানোর আরও একটি সহজ উপায়। গবেষণা করে দেখা গেছে যে ঘুমের অভাব হলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে যার জন্য ওজন বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন। এতে করে আপনার মানসিক ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
স্বাস্থ্যকর ও ঘরের খাবার খান
ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই দিনে তিন বেলা খাবার খেতে হবে। শরীরের হজম প্রক্রিয়া নিয়মিত কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন। এজন্য সকাল দুপুর এবং রাতে খাবার খান এতে আপনার শরীরের ওজন যেমন কমতে সাহায্য করবে ঠিক তেমনি আপনার ডাইজেস্ট প্রক্রিয়া ভালো থাকবে।
রাতের খাবার খান
যতই আপনি ওজন কমাতে চান না কেন রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। তবে হালকা খাবার খেতে হবে এবং ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া শেষ করতে হবে। রাতের বেলা ভারী খাবার একেবারেই খাওয়া যাবেনা।
খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটুন
খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটাহাটি করুন। যারা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন না তারা এই ট্রিক্স টি ফলো করতে পারেন এতে আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়তে সাহায্য করবে এবং সেই সঙ্গে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারবে না। এবং ওজন থাকবে একেবারে বশে।
মৌসুমী ফল রাখুন পাতে
খাবার তালিকায় বেশি মৌসুমী ফল রাখুন। এছাড়াও বাদাম, শাকসবজি, কুমড়ার বীজ, মৌসুমী ফল খান এতে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং ক্ষুধা মেটায়। তাই বারবার খেয়ে ওজন বাড়ানোর হাত থেকে খুব সহজেই রক্ষা পাবেন।
মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট
মেয়েদের ওজন কমানোর চার্ট নিচে দেওয়া হলো এখানে সকাল দুপুর ও রাতে কি খাবেন বা কতটা পরিমাণে খাবেন ৩ ভাগে বলা হয়েছে। এজন্য স্টেপ বাই স্টেপ মেনে চলার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনিও খুব সহজে ওজন কমাতে পারবেন।
সকালের ডায়েট
সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে একটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটা সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন খাবেন। বাকি দিনে আমলকি, আদা, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করা পানি পান করুন। ওজন কমাতে এবং শরীর ও ত্বকের জন্য এটা খুবই উপকারী।
সকালে এই পানীয়টি পান করার পর ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাস্তা করে নিন। অনেকেই আছেন যারা সকালের খাওয়াটা স্কিপ করে যান। এটা একদমই উচিত নয় বরণ সকালের নাস্তা হেবি করা উচিত। ২ রুটি ১ বাটি সবজি তরকারি ১ সেদ্ধ ডিম খান। অথবা কোনদিন মাখন লাগিয়ে ৪ পাউরুটি ২ সিদ্ধ ডিম খান। তবে যে কোন খাবারে সাথে চিনি খাবেন না।
চিনির বদলে পাউরুটিতে সামান্য গোল মরিচ ছড়িয়ে দিতে পারেন। যেকোনো মৌসুমী ফল যেমন :আম, আপেল, পেঁপে, আঙুর যেকোনো একটা ফল সকালের নাস্তায় খাবেন। যদি আঙ্গুর খেতে চান তাহলে ১০টির মত খাবেন এর বেশি না। এছাড়াও হালকা বয়েল করা সবজি সুপ বা দুধ রুটি পোয়া খেতে পারেন। একেক রকমের খাবার একেক দিনে খাবেন।
দুপুরের ডায়েট
যেহেতু বাঙালিদের ভাত ছাড়া চলে না এজন্য দুপুরে ভাত খান কিন্তু ১ বাটির বেশি না। সাথে ২ থেকে ১ রুটি সবজি, ডাল, মাছ বা আপনার বাসায় যা রান্না হয়েছে তা খান। তবে খাবারে তেল ঝাল মসলা কম দেওয়ার চেষ্টা করুন। পেট ভরে খান। কিন্তু গাদা গাদা ভাত খেতে যাবেন না। সর্বোচ্চ ১ বাটি দুপুরের খাবার খাওয়ার পর যাদের ঘুমানোর অভ্যাস আছে তারা সেই অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। ওজন কমাতে চাইলে ঘুমানো চলবে না।
রাতের ডায়েট
খুবই ভালো হয় যদি আপনি রাতে ভাত না খান কিন্তু যারা ভাত না খেয়ে থাকতে পারেন না। তারা হাফ বাটি ভাত খাবেন এর বেশি নয়। সাথে ১টা রুটি হাফ বাটির তরকারি ডাল এগুলো রাতে খাবেন। ডিম মাছ মাংস রাতে না খাওয়াই ভালো। রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং রাতের খাবারটা রাত ৮ থেকে ৯ মধ্যে খেয়ে ফেলুন। রাতে খেয়ে সাথে সাথে ঘুমাতে যাবেন না রাতের খাবারের পর ১ থেকে ২ ঘন্টা পরে ঘুমাবেন।
এই ডায়েটের মধ্যে যদি আপনার হালকা খিদে পায় তাহলে যেকোনো একটি ফল খান তবে মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাবেন না ৫ থেকে ৬ টা কাট বাদাম বা কাজুবাদাম খেয়ে পানি খান। হালকা খিদে কমাতে এগুলো দারুন কাজ করে।
- আরো পড়ুনঃ শীতে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্রিম
উপরে উল্লেখিত মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে এক মাসের মধ্যে আপনি নিজেকে হালকা বোধ করবেন। বাইরের খাবার যেমন অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, ফাস্টফু,ড কোল্ড ড্রিঙ্ক, মিষ্টি জাতীয় খাবার, এইসব খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন আপনি যদি নিজে না চান তাহলে পৃথিবীর কোন ডায়েট আপনার ওজন কমাতে পারবে না।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ব্যায়াম
প্রায় ওজন বৃদ্ধি পেলে অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দেয় যেমনঃ হৃদরোগ ডায়াবেটিস। শরীরের ওজন কমানোর জন্য একেক জন একেক ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকে। ওজন কমানোর জন্য পুষ্টি ও ব্যায়াম দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে অতিরিক্ত মেদ কমাতে ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা দরকার ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে এবং বার্নআউট প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। ব্যায়াম করলে মেয়েদের ওজন কমানোর সাথে সাথে চেহারা উজ্জ্বল হয় এবং শরীর অসুস্থ থাকে। তাহলে চলুন যে ব্যায়ামগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
- সাইকেল চালানো
- হাঁটা
- হাই -ইনটোসিটি ট্রেনিং
- জগিং বা দৌড়ানো
- মহিলাদের জন্য ওয়েট ট্রেনিং
- একটি সাপ্তাহিক ওয়ার্ক আউট সময়সূচী তৈরি করা
- সার্কিট ট্রেনিং
- স্ট্রেন্থ ট্রেনিং
সাইকেল চালানোঃ মেয়েদের ওজন কমানোর জন্য সাইকেল চালানো খুবই ভালো উপায়। বাড়ি বা বাইরে সাইকেল চালানো যেতে পারে। প্রথমে শুরু করার জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট সাইকেল চালানো যেতে পারে পরে আস্তে আস্তে এর গতি আরো বাড়ানো যেতে পারে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সাইকেল চালানোর অভ্যাস করা উচিত নিয়মিত সাইকেল চালালে হার্ট ভালো থাকে এবং পা অনেক ভালো থাকে। তাছাড়া মেয়েদের ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।
হাঁটাঃ ওজন কমানোর জন্য হাঁটা সহজ উপায় হাঁটলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এবং তাজা বাতাস অনুভব করা যায়। মেয়েরা তাইলে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে এই ব্যায়াম করতে পারে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটলে মেয়েদের ক্যালরি কমিয়ে ওজন কমাতে পারে। দ্রুত ওজন কমানোর জন্য দিনে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট জোরে হাঁটার প্রয়োজন। মহিলাদের দুই বাহু দোলানোর মাধ্যমে দীর্ঘদিন বাহু ভালো থাকে যার ফলে হার্ট ও ভালো থাকে।
হাই -ইনটোসিটি ট্রেনিংঃ হাই ইনটোসিটি ট্রেনিং করলে মেয়েদের দ্রুত চর্বি কমিয়ে ওজন কমানো সম্ভব। তাই হাই - ইনটোসিটি ট্রেনিং এর গুরুত্ব অনেক।
জগিং বা দৌড়ানোঃ জগিং বাড়িতে করা যায় জগিং বা দৌড়ানো ওজন কমাতে খুবই উপকারী। প্রথমে ১০ থেকে ২০ মিনিট জগিং শুরু করে পরে এর দূরত্ব বাড়াতে হবে। সপ্তাহে ৩০ মিনিট করে দৌড়ালে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।
মহিলাদের জন্য ওয়েট ট্রেনিংঃ ওজন কমানোর জন্য ভারী কাজ করা প্রয়োজন। ভারী ধরনের কাজ করলে শরীরের আকার সুন্দর দেখায় এছাড়াও হার শক্তিশালী হয় এবং হজম শক্তিও বৃদ্ধি করে।
একটি সাপ্তাহিক ওয়ার্ক আউট সময়সূচী তৈরি করাঃ সাপ্তাহিক ওয়ার্কআউট সময়সূচী চালু করলে যেমন শরীর ভালো থাকে তেমনি মনও ভালো থাকে। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। সে কারণে ওয়ার্কআউট সময়সূচী তৈরি করার অভ্যাস করা উচিত।
সার্কিট ট্রেনিংঃ এই ধরনের ব্যায়াম করলে দ্রুত মেয়েদের চর্বি কমানো যায়। শরীর টোন করার জন্য অনেক সুবিধা। সার্কিট ব্যায়াম ফুসফুসের জন্য ও অনেক ভালো এবং ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।
স্ট্রেন্থ ট্রেনিংঃ স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করলে অনেক সুফল পাওয়া যায় যেমন: শরীর টোন করা, হজম শক্তি বৃদ্ধি করা, হার শক্তিশালী করা, ইত্যাদিতে সাহায্য করে। এই ব্যায়াম দ্বারা শরীরের ওজন কমানো সম্ভব।
আশা করছি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনাদের অনেক উপকার হবে। এবং যে ব্যায়ামগুলো মেয়েদের ওজন কমাতে সাহায্য করে তা আপনারা অবশ্যই করার চেষ্টা করবেন।
মেয়েদের ওজন কত হওয়া উচিত
মেয়েদের কত উচ্চতায় কতটা ওজন হওয়া উচিত এই সম্পর্কে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের এই অংশ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। এজন্য পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করুন তাহলে জানতে পারবেন মেয়েদের কত উচ্চতায় কতটা ওজন হওয়া উচিত।
- যদি আপনার উচ্চতা ৪ ফুট ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৩৫ থেকে ৫৫ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ১ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৪৫ থেকে ৫৭ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৪৬ থেকে ৫৮ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৪৮ থেকে ৬১ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৪৮ থেকে ৬৩ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি হয় তাহলে সে অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৫০ থেকে ৬৫ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৫৩ থেকে ৬৭ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৫৪ থেকে ৬৯ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৫৬ থেকে ৭১ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৫৭ থেকে ৭২ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৫৯ থেকে ৭৩ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৬১ থেকে ৭৫ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৬ ফুট ০ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৬৩ থেকে ৭৭ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৬৪ থেকে ৭৯ কেজি।
- যদি আপনার উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি হয় তাহলে সেই অনুযায়ী আপনার ওজন হওয়া উচিত ৬৭ থেকে ৮১ কেজি।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল এর আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল মেয়েদের ওজন ঘটিত সমস্যা সমাধানের উপায়, ডায়েট চার্ট, ব্যায়াম ও ঔষধ নিয়ে। যা আমরা উপরোক্ত আলোচনায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং যে সকল মেয়েদের ওজন নিয়ে সমস্যা এই পোস্টটির নির্দেশন গুলো অনুসরণ করলে আমরা আশা করতে পারি তাদের সমস্যা সমাধান হবে ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ সবাইকে!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url