লেটুস পাতার কিভাবে খায় এর উপকারিতা ও দাম
চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতালেটুস পাতার উপকারিতা, লেটুস পাতা কিভাবে খায় ও লেটুস পাতার দাম সহ লেটুস পাতা সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল।
আপনারা যারা লেটুস পাতা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলের স্বাগতম। আমরা এই আর্টিকেলে লেটুস পাতা বিষয়ক নানান সব তথ্য তুলে ধরেছি। তাই বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
লেটুস পাতা বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং এই পাতা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই আর্টিকেলে লেটুস পাতার উপকারিতা, কিভাবে খেতে হয়, এর চাষ পদ্ধতি, রেসিপি, এর স্বাদ কেমন, সালাদ ও এই লেটুস পাতার দাম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিষয়গুলো জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
লেটুস পাতার উপকারিতা
যদি আপনি লেটুস পাতা খাওয়ার আগে লেডিস পাতার ৩০ টি ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি আরো উত্তম পন্থায় লেটুস পাতা খেতে পারবেন। যেটা আপনাকে ভিন্ন রকম লেটুস পাতা খাওয়ার অভিজ্ঞতা দিতে পারে। লেটুস পাতার ৩০টি উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হবে।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে লেটুস পাতায় এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি উপকারিতা লেডিস পাতার উল্লেখ করা হবে। আশা করছি লেটুস পাতার তিরিশটি উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জেনে উপকৃত হবেন নিচে লেটুস পাতার ৩০টি উপকারিতা দেওয়া হলো।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে
- চুলের সঠিক বৃদ্ধি করে
- ওমেগা ৩ এসিড সম্পূর্ণ
- দুশ্চিন্তা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে
- প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- অ্যামেনিয়া দূর করে
- শরীরের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে
- শরীরের ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ প্রতিরোধ করে
- দাঁতও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
- শরীরের প্রবেশকৃত জীবাণু বিরুদ্ধে লড়াই করে
- মস্তিষ্কের সেলগুলোকে সম্ভাব্য ক্ষতির থেকে রক্ষা করে
- আশঁ যুক্ত খাবার দেহের জন্য অনেক উপকারী। এতে দ্রুত হজম হয় এবং লেটুস পাতার একটা আশঁযুক্ত সবজি। এতে সামান্য কোলেস্টেরল রয়েছে।
- যে সকল রোগীদের কিডনির সমস্যার কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় তাদের জন্য লেটুস পাতা খুবই উপকারী।
- লেটুস পাতায় ৯৫. ৫ গ্রাম পানি রয়েছে এই পানির রক্তের লোহিত রক্তকনিকা অনুচক্রিয়া শ্বেতকনিতা ও অন্য উপাদান কে সুস্থ সবল রাখে। এতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় মোটা ব্যক্তিদের সহজেই ওজন ও চর্বি কমায়।
- বিস্বয় বোধ করছেন? লেটুস পাতায় কিছু জাত রয়েছে যাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে যা বিপাকক্রিয়ায় এর ভূমিকা অনেক।
- ত্বকের কোন স্থানে ছিড়ে বা কেটে গেলে এই পাতা থেঁতলে কাঁটা স্থানে লাগালে ব্যথা ভালো হয়।
- গর্ভবতী মায়েরা কাঁচা লেটুস পাতা খেলে শিশু এবং মা দুজনই শরীরের রক্ত মাত্রা বাড়ে।
- সব ধরনের সবুজ সবজিতে আয়রন থাকে গর্ভবতী অবস্থায় আয়রন এর প্রয়োজন পড়ে। এবং মেয়েদের ঋতু চলাকালীন যে রক্ত বের হয় সেই সময়ও আয়রনের প্রয়োজন অনেক। তাই তারা যে কোন খাবারের সাথে লেডিস পাতা খেতে পারে।
- যারা নিয়মিত লেটুস পাতা খান তাদের গ্যাস হওয়া, পেট ভার হয়ে থাকা, খুধা না লাগা এই সমস্যাগুলো দূর করে। এবং ত্বকের বলিরেখা ও বাঁধক্য আসে দেরিতে।
- লেটুস পাতায় প্রোটিন কম থাকলেও প্রতিদিন প্রোটিন পেতে লেটুস পাতা কাজে লাগতে পারে। দেহের পেশী গঠনে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- চোখের ইনফেকশন জনিত সমস্যা বা চোখ উঠা সমস্যা হলে ১ থেকে ২ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম লেটুস পাতা ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটিয়ে সেই ফুটানো পানি দিয়ে চোখ ধুলে চোখ উঠা দ্রুত ভালো হয়।
- লেটুস পাতায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি না থাকলেও প্রতিদিন লেটুস পাতা থেকে ক্যালসিয়াম পেতে পারেন। দাঁত এবং হাড় গঠনে এর বিকল্প নেই।
- ভিটামিন বি এর বিভিন্ন ধরন রয়েছে বিভিন্ন খাবার থেকে ভিটামিন বি পাওয়া যায়। এছাড়াও লেটুস পাতায় ও কয়েক ধরনের ভিটামিন বি রয়েছে। এজন্য লেটুস পাতা খেতে পারেন।
- লেটুস পাতা খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে লেটুস পাতার গুড়ো অনেক শ্যাম্পুতে ব্যবহার করা হয়।
- রোদের তাপে ত্বকে কালচে পড়া ভাব দেখা দিলে লেটুস পাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের পোড়া ও কাল যেভাব দূর হয়।
- মানবদেহে রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। লেটুস পাতা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এজন্য লেটুস পাতা নিয়মিত খেতে পারেন।
লেটুস পাতা কিভাবে খায়
লেটুস পাতা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। যেভাবে আপনি লেটুস পাতা খেতে চান সেভাবেই খেতে পারেন। নিচে লেটুস পাতা খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলো।
সালাদ হিসেবে
সালাদ হলো লেটুস পাতার সবচেয়ে জনপ্রিয় রেসিপি। বেশিরভাগ মানুষ লেটুস পাতা সালাদ হিসেবে খেতে বেশি পছন্দ করে। সাধারণত সালাদের উপকরণ হিসেবে লেটুস পাতা বেশি ব্যবহার করা হয়। বড় বড় রেস্তোরাঁ বা হোটেলে লেটুস পাতা সালাদ হিসেবে বেশি ব্যবহার করা হয়।
সসের সাথে মিশ্রিত করে
আপনি চাইলে সসের সাথে লেটুস পাতা মিশ্রিত করেও খেতে পারেন। লেটুস পাতা সসের সাথে মিশ্রিত করে খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়।
জুসের সাথে মিশ্রিত করে
আপনি চাইলে লেটুস পাতা জুসের সাথে মিশ্রিত করেও খেতে পারেন। গরমের দিনে বিশেষ করে কোন জুসের সাথে বরফের মধ্যে গুঁজে দিয়ে সামান্য লেটেস্ট পাতা ছিড়ে দিয়ে সেই জুস খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
স্যুপের সাথে মিশ্রিত করে
লেটুস পাতা খাওয়ার আরেকটি সহজ নিয়ম হলো স্যুপের সাথে খাওয়া। স্যুপের সাথে লেটুস পাতা খাওয়া বর্তমানে খুবই উপকারী একটি খাদ্য হিসেবে পরিচিত।
তরকারি হিসেবে
লেটুস পাতা আরো একটি জনপ্রিয় রেসিপি হলো লেটুস পাতার তরকারি। বর্তমানে অনেকে আছেন যারা বিভিন্ন তরকারির মধ্যে লেটুস পাতা দিয়ে তরকারি রান্না করে সেটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
লেটুস পাতার দাম
লেটুস পাতার দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের। তবে রাজধানীর বাজারগুলোতে লেটুস পাতার দাম সাধারণত প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুস পাতার দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। সরবরাহের ভিন্নতার কারণে এবং বাজারের ভিন্নতার কারণে বছরের বিভিন্ন সময় লেটুস পাতার দাম উঠা নামা করে। তবে প্রতি ১০০ গ্রাম লেটুস পাতার দাম সাধারণত ৩৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি
লেটুস পাতা অনেক পুষ্টিগুণ থাকে এটা এক ধরনের শাক যা চাষে প্রতিনিয়ত চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠছে। কারণ এই লেটুস পাতার চাহিদা অনেক বেশি। সেই জন্যই লেটেস্ট পাতা চাষ পদ্ধতি জানার প্রয়োজন আছে। তাহলে চলুন লেটেস্ট পাতার পদ্ধতি গুলো নিচে থেকে জেনে নেই।
জাত নির্বাচন
লেটুস পাতা অনেক জাতের হতে পারে। এর মধ্যে কিছু লেডিস পাতা হলো প্যারিস হোয়াই, বারি লেটুস-১, নিউ নিউইয়র্ক -৫১৫, বিগ বোস্টন, কুইন ক্রাউন, হোয়াইট বোস্টন, গ্র্যান্ড ব্যাপিড, ডার্ক ইম্পিরিয়াল-৫৪,গ্রিন গ্রেটলেগ,সিম্পসন,কিং ক্রাউন এইসব ছাড়াও আরো কিছু লেটুস পাতা জাত আছে।
আরো পড়ুনঃ গরম জলে মধু খাওয়ার উপকারিতা
এই জাত গুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বারি লেটুস-১ এই জাতের লেটুস পাতা বেশি চাষ হয়।কারণ এই লেটুস পাতাটি খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় ফলন ভালো হয় এবং পাতা সবুজ হয়। তাছাড়া এই পাতাটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। লেটুস পাতা চাষের প্রথমে সঠিক জাত নির্বাচন করা প্রয়োজন তাহলে লাভবান হওয়া যাবে।
চাষের মৌসুম
লেটুস পাতা চাষের সঠিক সময় হল মৌসুম কাল। এই পাতা মৌসুমে চাষ না করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে না। যেই দেশগুলোতে লেটুস পাতা ১২ মাস চাষ হয় সেই দেশগুলো শীত প্রধান হয়। বাংলাদেশের যেহেতু শীত প্রধান না যার কারণে রবি মৌসুমে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাসে লেটুস পাতা চাষ করলে ভালো জন্মায়। তাই লেটুস পাতা মৌসুমে চাষ করতে হয়।
জমি তৈরি এবং বীজ রোপন
দোআঁশ মাটিতে লেটুস পাতা চাষের জন্য উপযোগী। লেটুস পাতার ভালো ফলনের জন্য দোআঁশ মাটি নির্বাচন করা জরুরী। জমি নির্বাচন করে বীজ রোপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন মাটির উর্বর ও ঝরঝরে হতে হবে এবং জমিতে পরিমাণ মতো জৈব সার ব্যবহার করতে হবে।
এতে করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে তারপর জমিতে মই দিয়ে মাটি ঝড়ঝড়ে করতে হবে। লেটুস পাতা বীজ তোলা তৈরি করে ও সরাসরি বীজ রোপন করা যায়। খেয়াল রাখতে হবে বীজ রোপন যেন ঝুরঝুরে মাটিতে করা হয়।
লেটুস পাতা চাষের জন্য প্রয়োজ ৪ গ্রাম শতাংশ বীজ আর বীজ তোলা তৈরি করে রোপন করলে প্রয়োজন ২০ গ্রাম শতাংশ বীজের। বীজ ছোট হওয়ার জন্য বীজের সাথে গোড়ামাটি বা ছাই মিশিয়ে নিতে হবে।
চারা রোপন
চারার বয়স ২০ থেকে ৩০ দিন হলে জমিতে চারা রোপন করা যায়। তবে জাতও আবহাওয়ার জন্য সময় কম বেশি হতে পারে। চারা রোপন লাইন অনুসার করতে হয় লাইনের দূরত্ব হতে হবে ১২ ইঞ্চি একটি গাছের দূরত্ব অন্য গাছের চেয়ে ৮ ইঞ্চি দূরে হতে হবে। এই নিয়মে চারা রোপন করলে ভালো ফলন হয়। চারা রোপনের ভালো সময় হলো বিকাল।
সার প্রয়োগ
ভালো ফলন পেতে হলে অবশ্যই সঠিক সময় জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। লেটুস পাতা চাষের জন্য যতটুকু করে সারের প্রয়োজন হয় পটাশ ১০০ গ্রাম খৈল ৮০০ গ্রাম টিএসপি ১০০ গ্রাম গোবর ২০ কেজি ইউরিয়া ৪০০ গ্রাম জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করার জন্য গোবর সার জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপনের সময় পটাশ ও টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
প্রথমবার চারার ১০ দিনে ইউরিয়া সার দুইভাগে ভাগ করে প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়বার চারার বয়স ২০ দিন হলে আবার প্রয়োগ করতে হবে। এই নিয়মে লেটুস পাতা চাষ করলে ফলন ভালো পাওয়া যায় এবং মাটির পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে।
রোগবলাই ব্যবস্থাপনা
লেটুস পাতা চাষের সময় বিভিন্ন পোকা মাকর ও রোগ বালাই আক্রমণ করতে পারে। পরিচিত পোকাটি হলো কাটা ধারী গুয়োপোকা এই পোকা পাতার অনেক ক্ষতি করে এবং পাতাকে ছিদ্র করে থাকে। তাছাড়া আল্টারনারিয়া ব্লাইট নামক ছত্রাকজনিত রোগ হয় যা পাতায় বাদামী দাগ সৃষ্টি করে থাকে। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।
এই রোগ উপকার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য ভালো জাতের বীজ নির্বাচন করার প্রয়োজন। যেগুলো রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে। নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করতে হবে। মাটির শুকনো হলে পানি ছেচ করতে হবে ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজন হলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। কীটনাশক ব্যবহার করার পর ১৫ দিন লেটেস্ট পাতার না খাওয়াই ভালো। কারণ লেটুস পাতা বিষমুক্ত থাকে না।
ফসলের পরিচর্যা এবং ফসল সংগ্রহ
লেটুস পাতা চাষ করেফলন পেতে হলে যে কাজটি অবশ্যই জরুরী তা হলো সঠিক নিয়মে ফসলের পরিচর্যা করা এবং ফসল সংগ্রহ করা। আগাছা পরিষ্কার করার সাথে সাথে মাটি শুকিয়ে গেলে পানির সেচ দিতে হবে। তবে নজর রাখতে হবে জমিতে যেন পানি না জমে। সেজন্য পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোন রোগ বালাই আক্রমণ করলে তা দমনের ব্যবস্থা করতে হবে। লেটুস পাতার ফলন এক মাসের মধ্যে পাওয়া যায়।
লেটুস পাতার ফলন প্রায় প্রতি শতাংশে চল্লিশ কেজি হয়ে থাকে। আশা করছি লেটুস পাতার পদ্ধতি গুলো আপনাদের কে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
লেটুস পাতার সালাদ এর গুনাগুন
লেটুস পাতায় ভরপুর প্রোটিন এই প্রোটিন সমৃদ্ধ লেটুস পাতার সালাদ ইফতারে রাখতে পারেন। লেটুস সালাদের একটি উপাদান হিসেবে পরিচিত। এটি ফাস্টফুড খাবারে ব্যবহার করা হয়। লেডিস পাতায় নানা রকম ভিটামিন রয়েছে এছাড়াও রয়েছে কম ক্যালরি।
- লেটুস আঁশযুক্ত সবজি এটা মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। এটি দ্রুত হজম হয় লেটুস পাতায় সামান্য কোলেস্টেরল রয়েছে এবং এটি হৃদযন্ত্রের জন্য অনেক উপকারী।
- সব ধরনের সবুজ সবজিতে কিছু আয়রন রয়েছে গর্ভবতী অবস্থায়াতে গর্ভবতী মায়ের শরীরে যে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তা দূর করতে পারে লেটুসপাতা। এবং মেয়েদের ঋতু চলাকালীন যে রক্ত বের হয়ে যায় সেই রক্তস্বল্পতা দূর করতে লেটুস পাতা অনেক সাহায্য করে।
- লেটুস পাতায় যে স্বল্প পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে তা বেশি গঠনের মূল ভূমিকা রাখে। লেডিস পাতায় অল্প প্রোটিন থাকলেও এর প্রোটিন নিয়মিত পেতে লেটুস পাতা খেতে পারেন।
- কম পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে লেটুস পাতায় তবুও নিয়মিত লেটুস পাতা থেকে ক্যালসিয়াম পেতে পারেন। দাঁত এবং হাড় গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। লেটুস পাতা অন্যান্য ক্যালসিয়াম পূর্ণ খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- লেটুস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায় যেটা রক্তের জন্য অনেক উপকারী। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। তাই নিয়মিত লেটুস পাতা খেতে পারেন।
লেটুস পাতার স্বাদ কেমন
লেটুস পাতার স্বাদ কেমন মূলত এই প্রশ্নটি আপেক্ষিক একটা প্রশ্ন। সব জিনিসের স্বাদ সকল মানুষের কাছে এক নয়। কেউ এত জিনিস সুস্বাদু হিসেবে খায় আবার কেউ সেই জিনিসকে বিষাদ মনে করে খায়না। আর এজন্যই লেটুস পাতার স্বাদ কেমন এই প্রশ্নটি আপেক্ষিক একটি প্রশ্ন।
আরো পড়ুনঃ গরুর ভুড়ি খাওয়ার অপকারিতা
তো যাই হোক লেটুস পাতার স্বাদ কেমন এটা নির্ভর করবে আপনি কিভাবে লেটুস পাতা খাচ্ছেন তার উপর। যদি আপনি লেডিস পাতা সালাদ হিসেবে খান তাহলে এক ধরনের স্বাদ পাবেন। আবার যদি স্যুপের সঙ্গে মিশ্রিত করে খান তাহলেও অন্য এক ধরনের স্বাদ পাবেন। সুতরাং লেটুস পাতার স্বাদ কেমন তা নির্ভর করবে আপনি তা কিভাবে খাচ্ছেন তার উপর।
লেটুস পাতার রেসিপি
অনেকেই আছেন যারা লেটুস পাতা রেসিপি বা কিভাবে রান্না করতে হয় তার সঠিক একটি ধারণা নেই। কারণ এই সবজিটির সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষই পরিচিত নয়। তাই এই পোস্টে কিভাবে লেটুস পাতা রান্না করা যায় তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
লেটুস পাতার রেসিপি করতে যা যা উপাদান লাগবে তা হলোঃ-
- ১ টি বেগুন
- ২টি আলু
- ১ টি গাজর
- এক বাটি লেটুস পাতা
- পরিমাণ মতো ডালের বড়ি
- ৪ থেকে ৫টি কাঁচা লঙ্কা
- ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো
- ১ চামচ পাঁচফোড়ন
- পরিমাণ মতো তেল
- স্বাদ অনুযায়ী লবণ
- এবং এক বাটি ভাত
যেভাবে রান্না করতে হবেঃ-
- প্রথমে লেটুস পাতা এবং সব সবজিগুলো ছোট ছোট করে কেটে নিবেন।
- তারপরে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে ডালের বড়ি গুলো হালকা করে ভেজে নিবেন। তারপর তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে শাকসবজিগুলো এক এক করে দিয়ে লবনও হলুদ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে তাতে ঝোলের পানি দিয়ে দিবেন। তারপরে জোলটা ফুটে উঠলে ভেজে রাখা বরি গুলো দিয়ে দিবেন। জলের গ্রেভিটা ঘন হয়ে গেলে তরকারি নামিয়ে নিবেন।
- এইতো হয়ে গেল আমাদের লেডিস পাতার তরকারি তারপরে গরম ভাতের সঙ্গে লেটুস পাতার তরকারি পরিবেশন করুন।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ছিল লেটুস পাতার বিভিন্ন গুনাগুন ও এর খাবার নিয়ম গুলো নিয়ে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সুস্বাস্থ্য বিষয়ক এমনই আরো পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ডিলিট করুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url