কমলার খোসার ব্যবহারে যা যা উপকারিতা পাবেন

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত - শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়কমলার খোসার উপকারিতা ও কমলার খোসার অপকারিতা সহ কমলার খোসার ব্যবহারে বিভিন্ন গুণাগুণ নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা কমলার খোসার উপকারিতা ও কোন কোন সমস্যায় কমলার খোসা ব্যবহার করা যায় তা জানতে চান তাহলে এই পোস্টটা আপনাকে স্বাগতম।
কমলার খোসার উপকারিতা
কারণ এই পোস্টটিতে আমরা কমলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই কমলার খোসা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

কমলার খোসায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ যা শরীরের ও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে। অনেক মেয়েরাই ত্বকের যত্নে ও চুলের যত্নে এই কমলার খোসা ব্যবহার করে থাকে এবং ত্বক ও চুলের সমস্যার সমাধানে জাদুকরি কাজ করে। কিন্তু সেজন্য কমলার খোসার সঠিক ব্যবহার যানা প্রয়োজন। আর এই পোস্টে এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

কমলার খোসার উপকারিতা

যদি আপনি সঠিকভাবে কমলার খোসা খেতে বা ব্যবহার করতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন। কমলার খোসার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে সেগুলো আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করবো। তাহলে চলুন জেনে নেই কমলার খোসার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।


  • উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধঃ কমলার খোসায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যেটা আপনার শরীরের ফাইবারের চাহিদা পূরণ করতে পারে। শরীরে ফাইবারের চাহিদা পূরণ করতে নিয়মিত কমলার খোসা খেতে পারেন।
  • ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধঃ ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ কমলার খোসা। যা আপনার শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ কমলার খোসায় অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ঘাটতি পূরণ করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ যদি আপনি নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান সেক্ষেত্রে কমলার খোসা নিয়মিত খেতে পারেন।
  • হজম শক্তি বাড়ায়ঃ কমলার খোসা হজম শক্তি বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ন্যাচারাল স্কিন কেয়ারঃ আপনি ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার হিসেবে কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কমলার খোসা নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
  • খাদ্যের ফ্লেভার হিসেবেঃ যদি আপনি কোন খাদ্যদ্রব্যে কমলা সেবার দিতে চান তাহলে কমলার খোসা গুড়ো হালকা করে ছিটিয়ে দিতে পারেন।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কমলার খোসা নিয়মিত খেলে শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • পোকামাকড় থেকে সুরক্ষা দেয়ঃ যদি আপনি কমলার খোসা ঘরে সামান্য পরিমাণ রেখে দেন তাহলে সেই ঘরে পোকামাকড় প্রবেশ করবে না।
  • ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ কমলার খোসা নিয়মিত খেলে শরীরের ইউনিয়ন সিস্টেমকে অনেক শক্তিশালী করে তোলে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ কমলার খোসায় ভিটামিন সি উপাদান থাকা এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করেঃ যদি আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি থাকে সেক্ষেত্রে নিয়মিত কমলার খোসা খেতে পারেন। কেননা কমলার চেয়ে কমলার খোসায় বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

কমলার খোসার অপকারিতা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতিমধ্যে এই জানতে পেরেছি কমলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। এবার আপনাদের জানাবো কমলার খোসার অপকারিতা সম্পর্কে তাই পোষ্টের এই অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে জানতে পারবেন কমলার খোসার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেই কমলার খোসার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে।


  • এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি করেঃ এক এক ব্যক্তির একেক জিনিসের বা খাবারে এলার্জি থাকতে পারে। তাই যাদের কমলার খোসায় এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা এই কমলার খোসা থেকে বিরত থাকুন।
  • পেট খারাপ হতে পারেঃ কমলার খোসা বেশি পরিমাণে খেলে পেট খারাপ হতে পারে
  • ঔষধের সাথে খেলে ওষুধের কার্যক্ষমতা হৃাস পেতে পারেঃ যদি আপনি ঔষধের সঙ্গে কমলার খোসা খান তাহলে ঔষধের গুনাগুন কমে যেতে পারে।
  • তীক্ত সাদ যুক্তঃ কমলার খোসার স্বাদ অতিরিক্ত তিক্ত এজন্য অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও এই কমলার খোসা খেতে পারে না।
  • সকলের জন্য উপকারী নয়ঃ শিশু রোগী এবং বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য কমলার খোসা উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হতে পারে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হতে পারেঃ যদি শিশুরা কমলার খোসা খায় তাহলে তাদের শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • দাঁতের গোড়া নষ্ট হতে পারেঃ অধিক পরিমাণে এসিড থাকে কমলার খোসায় যা দাঁতের গোড়া নষ্ট করতে পারে।
  • গ্যাস্টিকের প্রভাব বাড়তে পারেঃ কমলার খোসা খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা বাড়তে পারে।
  • ত্বকের সেন্টিটিভিটি বাড়তে পারেঃ ত্বকে কমলার খোসা ব্যবহার করলে ত্বকের সেন্টিটিভিটি বাড়তে পারে।
  • চুলকানি বেড়ে যেতে পারেঃ যদি আপনার চুলকানি সমস্যা থাকে তাহলে কমলার খোসা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। কেননা কমলার খোসা খেলে কখনো কখনো চুলকানি বেড়ে যায়।
  • অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়তে পারেঃ অ্যাজমা রোগীদের জন্য কমলার খোসা খাওয়া উচিত নয়। কেননা কমলার খোসা খেলে অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • অতিরিক্ত হিস্টামিন রিলিজ করতে পারেঃ কমলার খোসায় অধিক পরিমাণে হিস্টামিন রিলিজ করে।
  • অতিরিক্ত খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারেঃ অতিরিক্ত পরিমাণে কমলার খোসা খেলে তা কিডনির উপর প্রভাব পড়তে পারে।

কমলার খোসার ফেসপ্যাক


কমলার খোসা ও আমন্ড অয়েল

আধা চামচ কমলার খোসার গুড়োর সাথে এমন রয়েল এক চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপরে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিকভাবে জেলে আসবে।

কমলার খোসা ও অ্যালোভেরা জেল

কমলার খোসার গুঁড়ো আধা চা চামচ এবং এলোভেরা জেল এক চামচ দিয়ে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন।

কমলার খোসা হলুদ ও নারিকেল তেল

আধা চামচ কমলার খোসার গুড়ো সাথে ১ চামচ নারিকেল তেল ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিটের মত রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করতে মাসে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।

কমলার খোসার গুঁড়ো ও ডিম

১ চামচ কমলার খোসার গুড়ার সাথে ১ টি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে মেশান। তারপরে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

কমলার খোসা ও গোলাপজল

পরিমাণ মতো কমলার কমলার খোসা নিয়ে এ তাতে গোলাপজল মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপরে ত্বকে সেই পেস্টটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল করতে এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।

কমলার খোসা ও অলিভ অয়েল

এক চামচ কমলার খোসার গুড়ার সাথে পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপরে তোকে পেজটি দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপরে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।

কমলার খোসা চুলের যত্নে

প্রায় সবার ঐ পছন্দের ফল হলো কমলালেবু। এই ফলটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যার শরীরের জন্যই শুধু উপকারী নয় এটি ত্বক থেকে শুরু করে চুলের যত্নেও বেশ কার্যকর। এই কমলার খোসা আমাদের চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। কমলালেবুর রস খোসা এবং শ্বাস সবকিছুই রূপচর্চায় কাজে লাগে।এজন্য আজকে আপনাদের সাথে কমলার খোসা চুলের যত্নের সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন জেনে নেই কমলার খোসা দিয়ে কিভাবে চুলের যত্ন করা যায় সেই সম্পর্কে।


  • কমলা থেকে খোসা ছাড়িয়ে পানিতে খোসা দিয়ে ফুটিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন সেই ফুটানো পানি থেকে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে করে চুল হবে উজ্জ্বল নরম এবং খুশকি মুক্ত।
  • যেকোনো তেলের সাথে কমলার খোসা গুঁড়া মিশিয়ে চুলে এবং স্কেলপে মাসাজ করুন এতে চুল দ্রুত লম্বা এবং উজ্জ্বল হয়।
  • দুই থেকে তিন চামচ কমলার খোসা গুড়ো নিন তাতে নারিকেলের দুধ পরিমাণ মতো দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। এবং ২ থেকে ৩ ঘন্টা পরে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • শুধু কমলার খোসা পাঠায় বেটে টক দই দিয়ে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া কবে এবং চুল সিল্কি করে।

কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন

  • একটি পাত্রে ২ থেকে ৩ চামচ কমলার খোসার গুড়ো নিন এবং দুই চামচ ইয়োগাট নিয়ে দুইটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণটি তোকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • প্রথমে এক চামচ কমলার খোসার গুড়ো নিয়ে তাতে কাঠবাদাম বা ওয়ালনাট এর গুড়ো এবং এক চামচ চন্দন গুড়ো দিয়ে তিন থেকে চার চামচ গোলাপ জল মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে তারপর ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের জন্য। এরপরে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • এক চামচ কমলার খোসার গুড়ার সাথে এক চামচ মুলতানি মাটি দিয়ে এরপরে তাতে পরিমাণ মতো গোলাপজল দিয়ে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপরে পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • এক চামচ কমলার খোসার গুড়ো নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো মধু দিয়ে মিশে মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। এবং শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এটি ত্বকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে।
  • ১ চামচ কমলার খোসার পেস্ট নিয়ে তাতে সামান্য কমলার রস দিয়ে ১ চামচ পাকা কলার যোগ করুন। মিশ্রণে ভারসাম্য আনতে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা গ্লিসারিন দিয়ে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। এবং কিছুক্ষণ রেখে ত্বক ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ১ চামচ কমলার খোসার গুড়ো দিয়ে তাতে সমপরিমাণ পুদিনা পাতার রস এবং শঙ্খ গুলোর সাথে মিশিয়ে পুরো ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে টানা সাত দিন ব্যবহার করলে নিজের উজ্জ্বলতা নিজেই বুঝতে পারবেন।
  • ১ চামচ কমলার খোসার গুড়ার সাথে ৩ চামচ আলুর রস দিয়ে একটি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তাতে সামান্য কমলার রস দিয়ে সবকিছু উপাদান ভালো করে মিশে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপরে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এই ফেস প্যাকটি মেছতার জন্য অনেক উপকারী।

কমলার খোসা দিয়ে সিরাম

বাড়িতে বসে কোন পরিশ্রম ছাড়াই আপনি খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারবেন কমলার খোসা দিয়ে সিরাম। এবং সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়ে যাবে এই হোমমেক সিরামটি। এই ফেস সিরামটি ত্বকের আর্দ্রতা মাত্রা বাড়িয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাহলে চলুন দেখে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেস সিরাম বানাতে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে।

  • কমলার খোসার গুড়া
  • অরেঞ্জ এসেন্সিয়াল অয়েল
  • অ্যালোভেরা জেল
  • গ্লিসারিন
  • ভিটামিন ই অয়েল

তাহলে চলুন শিখেনে কমলার খোসা দিয়ে ফেস সিরাম বানানোর পদ্ধতি। কমলার খোসার গুড়া আপনি বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কমলার খোসা শুকিয়ে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কমলার খোসার গুড়ো। আবার আপনি চাইলে বাজারে যে কোন দোকান থেকেও এ কমলার খোসার গুড়ো পেয়ে যাবেন।
একটা পাত্রে পরিমাণ মতো কমলার খোসার গুড়া নিন তার সাথে এলোভেরা জেল মিশান। দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে তার মধ্যে একটা চামচ গ্লিসারিন যোগ করুন এবং ওই মিশ্রণে ভিটামিন ই ক্যাপসুলেশন মেশান। সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

তাহলে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়ে যাবে। সেই মিশ্রণে অরেঞ্জ এসেন্সিয়াল ওয়েল মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি একটি কাঁচের শিশিতে ঢেলে রাখুন। এটা কোন একটি অন্ধকার ও ঠান্ডা জায়গায় রাখাই ভালো।

এই সিরাম টি সঠিকভাবে ব্যবহার করুন

দিনে দুইবার এই ফেস সিরাম টি ব্যবহার করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ধোয়ার পরে কয়েক ফোঁটা এই সিরামটি ত্বকে লাগান।

এই ফেস সিরামের যত গুনাগুন

আপনার ত্বকের হাল ফেরাতে এই সিরামটি অত্যন্ত কার্যকর। কেননা এতে রয়েছে কমলার নির্যাস এবং সব প্রাকৃতিক উপাদান। যেগুলো ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কমলার খোসাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। এবং এটি এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকবে। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা নেবে।

এই সিরাম ব্যবহারে যেসব উপকার পাবেন

সিরামে উপস্থিত গ্লিসারিন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে। এবং এলোভেরায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ঝটপট ত্বকের টক্সিন বের করে দিবে। আবার ভিটামিন ই আপনার ত্বকের জেল্লা খুব তাড়াতাড়ি ফেরাবে। এই ফেস সিরাম টি দিনের ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে সবার নজর আপনার দিকেই থাকবে।

কমলার খোসার চা

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চা খেলে সর্দি কাশি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া হজমের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে এই কমলার খোসার চা খেতে পারেন। এতে আপনার অনেক উপকার হবে। এছাড়াও ওজন কমাতে কমলার খোসা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে এই চা বানাতে হয়।
কমলার খোসা শুকিয়ে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিলে কমলার খোশার গুঁড়ো তৈরি হয়ে যাবে। এবার সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে ১ চামচ কমলার খোসা গুড়ো দিয়ে নেড়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে কমলার খোসার চা। এই চায়ের সাথে আপনি একটু আদা কুচিও দিতে পারেন এতে স্বাদ বাড়বে।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ছিল কমলার খোসার ব্যবহার নিয়ে। যা উপরোক্ত আলোচনায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এমন সব লাইফস্টাইল মূলক পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url