কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে নাকোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা ও কোন কোন ডালে এলার্জি আছে এবং এলার্জি যুক্ত খাবার গুলো নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা এলার্জিযুক্ত খাবার কোনগুলো সেইসব খাবারগুলোর বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। তাদেরকে এই পোস্টে স্বাগতম।
কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা
কারণ এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা অ্যালার্জিযুক্ত খাবার তালিকা সহ এলার্জি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাই বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

আমরা অনেকেই এলার্জি সমস্যায় ভুগে থাকি। একেক জনের এলার্জি এক এক ধরনের হয়ে থাকে কারণ এই এলার্জির ধরন অনেকগুলো। এলার্জি সমস্যা হলে বিশেষ করে খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তাই আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কোন কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে সেসব খাবারের তালিকা নিয়ে হাজির হয়েছি।

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তার তালিকা

এমন কিছু খাবার আছে যেগুলোতে অধিক মাত্রার অ্যালার্জি থাকে। যা শরীরে এলার্জির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বাচ্চাদের ও প্রচুর অ্যালার্জি হয়ে থাকে। বেশিভাগ পাঁচ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে এলার্জি সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অনেক বাচ্চাদের ডিমে এলার্জি হয় আবার ভেড়া বা গরুর ছাগলের দুধেও অ্যালার্জি হয়ে থাকে। গরুর মাংসতেও প্রচুর পরিমাণে এলার্জি থাকে। যে খাবারগুলোতে অধিক মাত্রায় অ্যালার্জি থাকে সেগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ-

বাদাম 

যাদের বাদামে অ্যালার্জি আছে তাদের বাদাম না খাওয়াই ভালো। চিনা বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, এবং আখরোটের মত বাদামের প্রচুর পরিমাণ এলার্জি থাকে।

ডিম

বেশিরভাগ মানুষেরই ডিমে থেকে এলার্জি হয়ে থাকে। কারণ ডিমে অধিক মাত্রা অ্যালার্জি আছে। তবে ডিমের সাদা অংশে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।

গম

অনেকের গমের রুটি পাউরুটি খেলে অ্যালার্জি বেড়ে যায়।

গরুর দুধ

গরুর দুধ থেকে ও শিশুদের এলার্জি হয়ে থাকে। গরুর দুধে অনেক পুষ্টি ও ক্যালসিয়াম আছে তবে এই দুধে অনেক পরিমাণ এলার্জি আছে।

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছ যেমন টোনা স্যালমন সার্ডিন জাতীয় সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ এলার্জি হয়ে থাকে। তাছাড়াও শামুক কাঁকড়া চিংড়ি জাতীয় খাবারের শক্ত খোল থেকেও এলার্জি হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষেরই এই খাবারগুলো খেয়ে এলার্জিতে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।

সয়া

সয়াবিন থেকেও বাচ্চাদের এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এছাড়াও যে কোন মানুষেরই সয়াবিন থেকে এলার্জি আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।


ফল ও সবজি

টাটকা শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন গুণ থাকে। কিন্তু এগুলোতে আবার অধিকারে এলার্জির পরিমাণও বেশি থাকে। এমন কিছু সবজি যেমন : টমেটো, সিম, বেগুন, কলা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি থেকে অনেকেরই এলার্জি হয়ে থাকে।

সালফাইট

সালফাইড ব্যবহৃত হয় খাবারের রং বৃদ্ধি করার জন্য। যার ফলে সালফাইড যুক্ত খাবার খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়।

কোন কোন ডালে এলার্জি আছে

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে কোন কোন ডালে অ্যালার্জি আছে। আর অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও হয়তো সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না যার জন্য আপনাদের এলার্জি সমস্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো কোন কোন ডালে এলার্জি আছে এই সম্পর্কে। এজন্য এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করুন।

মুগ ডাল

বাঙালিদের খুব পরিচিত একটা ডাল হল মুগ ডাল। এই মুগ ডালে ও সামান্য কিছু এলার্জির সমস্যা রয়েছে।

খেসারীর ডাল

মসুর মুগ ডালের চেয়ে খেসারির ডালে এলার্জি সমস্যা অনেক কম। এজন্য যাদের এলার্জি সমস্যা তারা মসুরও মুগ ডালের চেয়ে খেসারী ডালী বেশি খেয়ে থাকে। তবে যাদের অনেক বেশি পরিমাণে এলার্জি সমস্যা তারা খেসারির ডাল খেলেও অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

মসুর ডাল

ডালের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ডাল হলো মসুর ডাল। যা বাঙালিদের প্রতিদিন ভাতের সাথে মসুর ডাল না হলেই চলেই না। তবে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে মসুর ডালে এলার্জি পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রয়েছে। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা যদি এই ডাল খায় তাহলে সাথে সাথেই তার শরীরে চুলকানি সমস্যা থেকে শুরু করে লাল লাল রেস বের হয়ে শরীর ফুলে যেতে পারে।
এজন্য সর্বশেষে বলবো আপনাদের মধ্যে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তারা এই কয়েকটি ডাল খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন, কেননা এই ডালগুলোতে এলার্জির সমস্যা রয়েছে।

কোন কোন শাকে এলার্জি আছে

কিছু ব্যক্তির এমন কিছু খাবারে বা শাকের সবজিতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। এলার্জির লক্ষণ গুলোর মধ্যে চুলকানি ফুসকুড়ি খোলা ভাব বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অন্যান্য শাক সবজির তুলনায় কিছু শাক আছে যেগুলোতে এলার্জি সমস্যা বেশি হওয়ার চান্স থাকে।

যার মধ্যে হলোঃ- পালং শাক, পুঁইশাক, কচু শাক, মিষ্টি কুমড়ার শাক, পাট শাক, লাউশাক ইত্যাদি। আপনার যদি এই শাক গুলোতে অ্যালার্জি থাকে তাহলে এই শাকগুলো খাওয়ার পরে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার এলার্জি আছে কিনা।

কোন কোন সবজিতে এলার্জি আছে

মানুষের শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে যে পুষ্টির ঘাটতি থাকে তার পূরণ হয় সবজির থেকে। কিন্তু অনেকের ওই অজানা থাকে যায় কোন সবজিতে এলার্জি আছে। তাদের সুবিধার জন্য নিচে কোন সবজিতে এলার্জি আছে তা তুলে ধরা হলো। শারীরিক ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য শাকসবজি প্রয়োজন অপরিসীম। শাকসবজিতে এলার্জির সম্পর্কে জানতে নিচের তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন।

কচু

কচু প্রায় মানুষেরই অনেক প্রিয় সবজি। যা আমরা নিয়মিত খেয়ে থাকি কচু পরিচিত সবজির মধ্যে একটি সবজি। এই কচুর নাম সবজিতে রয়েছে উপকারিতা যা চুল থেকে ত্বকের জন্য অনেক ভালো। তাছাড়া অনেক রোগের জন্য উপকারী। কিন্তু এই কচু খেলে অনেকের ঐ অ্যালার্জি বৃদ্ধি পায় যার ফলে অনেক মানুষ কচু খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখে।

বেগুন

প্রায় সবার প্রিয় খাবার বেগুন তাই সকলের বাসাতেই বেগুন রান্না করতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষ বেগুনের ভর্তা, তরকারি, ও বেগুন ভাজা খেতে পছন্দ করে।বেগুনের অনেক গুন আছে তবে বেশি বেগুন খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তার সাথে সাথে এলার্জিতেও আক্রান্ত হতে পারে। কারণ বেগুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যালার্জি থাকে। যাদের শরীরে এলার্জি থাকে তাদের বেগুন খেলে অ্যালার্জি সমস্যা বেশি হতে পারে।

বাঁধাকপি

অনেক মানুষ এই বাঁধাকপি ভাজি পছন্দ করে। বাঁধাকপি শীতের সবজি এই সবজির পাকড়াও খাওয়া যায়। বাঁধাকপি এমন একটি সবজি যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা দূর করে থাকে। বাঁধাকপি অনেকেরই পছন্দ সবজি তারপরও এই সবজিতে অ্যালার্জি থাকার ফলে বাঁধাকপি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হয়।

মিষ্টি কুমড়া

মিষ্টি কুমড়া একটি সুস্বাদু সবজি এই সবজিতে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে আরো মজা লাগে। মিষ্টি কুমড়া প্রায় সবাই অনেক পছন্দ করে। মিষ্টি কুমড়া খেলে ত্বক ভালো থাকে কিন্তু এই সবজিতে অনেক এলার্জি থাকায় অনেকেই মিষ্টি কুমড়া খেতে পারে না।

টমেটো

টমেটো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি এটা দিয়ে তরকারি ছাড়াও সালাত ও সস করেও খাওয়া যায়। কিন্তু এই টমেটো তো এলার্জি আছে।

চাল কুমড়া

চাল কুমড়া দিয়ে তরকারি ছাড়াও বড়ি হালুয়া করা যায়। চাল কুমড়ার ভাজি খেতে অনেক মজা। কিন্তু চাল কুমড়া খেলে এলার্জি হতে পারে। এতে এলার্জি থাকার কারণে এই সবজি অনেকেই খেতে পারে না।

ফুলকপি

শীতকালীন সবজি ফুলকপি যা স্বাদেগুণের সম্পূর্ণ। এই সবজির উপকারিতা অনেক যা শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যাও দূর করে থাকে। এইসবজি ছাড়া তরকারি অসম্পূর্ণ কিন্তু এই মজার সবজিটা অনেকেই খেতে পারে না এলার্জির কারণে।

কোন কোন ফলে এলার্জি আছে

ফলে যেমন স্বাদ আছে তেমনি পুষ্টিতেও ভরপুর এবং এর উপকারিতা অনেক বেশি। সেই কারণে ফল অনেকেই খুব পছন্দ করে। কিন্তু কিছু ফলে এলার্জি থাকার কারণে অনেকেই আছে যারা ফল স্বাদ ও পুষ্টি এবং উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের সুবিধার জন্য আমরা আজকে কোন কোন ফলে অ্যালার্জি আছে সেই সম্পর্কে জানাবো। আশা করি তথ্যগুলো পেলে আপনাদের অনেক উপকার হবে। কোন কোন ফলে এলার্জি আছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

কমলা

কমলা রসালো ফল এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং ভিটামিন- সি যুক্ত ফল। এই ফল খেলে যেমন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে তেমনি চোখের জন্য খুবই উপকারী। কমলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি আছে সেই সকল মানুষগুলো এই ফল খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কারণ এই ফলে এলার্জি থাকার জন্য আপনাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

কলা

কলা একটি জনপ্রিয় ফল কলা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম আছে। কলা সুন্দর ও সুস্বাস্থ্য একটি ফল যার প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালরি রয়েছে। অনেকেই কলা খেতে খুব ভালোবাসে কিন্তু কলাতে এলার্জি থাকার ফলে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকে। তাদের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয় না। কারণ কলার মধ্যে এলার্জির সমস্যা লুকিয়ে থাকে।

নারকেল

আমরা নারকেলের পানি খেতে খুব পছন্দ করে থাকি এবং নারকেল দিয়ে পিঠা পুলি বানিয়ে থাকি। নারকেলে রয়েছে ফাইবার যে কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাছাড়া চুল পরা বন্ধ হয়। নারকেলের উপকারিতা অনেক কিন্তু এলার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য অপকারিতা রয়েছে। যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তাদের নারিকেল খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি বেড়ে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে। তাই অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের নারকেলের না খাওয়াই ভালো।

আপেল

আপেল যেমন দেখতে সুন্দর তেমনি স্বাদের গুণে পরিপূর্ণ আপেল ফল খাওয়ার মাধ্যমে হাড়ের সমস্যা দূর করে এবং স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপেল শ্বাসকষ্ট দূর করতে এবং মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। তারপরও যাদের এলার্জি আছে তাদের আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ আপেল এলার্জির জন্য ক্ষতিকর।

জলপাই

জলপাই অনেক টক হওয়ার পরেও সবার জনপ্রিয় একটি ফল। জলপাইয়ের আচার করা যায় জলপাই ত্বকের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। জলপাই দেহের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু কারো যদি এলার্জি থাকে তবে জলপাই খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। এলার্জির সমস্যা থাকলে জলপাই খাওয়ার ফলে হিত এর বিপরীত হতে পারে।

তেতুল

তেঁতুল মেদ কমাতে কাজে আসে তাছাড়া হায় প্রেশার কমাতে পারে। তেতুল ফলটির মেয়েরা খুব পছন্দ করে, তেঁতুল খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। খারাপ কোলেস্টের কমিয়ে ভালো কোলেস্টের কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু তেঁতুল খেলে এনার্জি বেড়ে যেতে পারে।

বাদাম

বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর আরো অনেক রোগ থেকে বাদাম খাওয়ার ফলে রেহাই পাওয়া যায়। অনেকে বাদাম খেলে খুব পছন্দ করে। বাদাম খেলে বুদ্ধি বিকাশ ঘটে। কিন্তু এলার্জি থাকলে বাদাম না খাওয়াই ভালো কারণ বাদামে এনার্জি আছে।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরি দেখতে সুন্দর সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণে পরিপূর্ণ এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এই ফল খাওয়ার মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে হার্টের রোগ থেকে মুক্তি দেয়। স্ট্রবেরির ক্ষতিকর ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে পারে। আরো অনেক গুন আছে এই ফলের। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের এই ফল না খাওয়াই উত্তম, কারণ স্ট্রবেরিতে এলার্জি লুকিয়ে থাকে।

কোন কোন মাছে এলার্জি আছে

যাদের কোন মাছের প্রতি বিশেষ এলার্জি থাকে তখন সেই সমস্ত ব্যক্তি মাছের প্রোটিনের সংস্পর্শে আসে, অথবা যখন মাছ খায়। তখন ইমিউন সিস্টেম তাদের এই প্রোটিন গুলোকে ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করে। এবং এই ইমিউন প্রতিক্রিয়ায় এলার্জির লক্ষণ গুলোকে প্রকাশ করে। মাছে এলার্জি থাকার মধ্যে কিছুই সাধারণ লক্ষণ গুলোর মধ্যে হলো চুলকানি, ফুসকুড়ি ফোলাভাব, আমবাত, শ্বাসকষ্ট পেটে খিচুনি বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া। মাছে এলার্জি হতে পারে এমন কিছু মাছের নাম হলোঃ-

  • স্যালমন
  • টুনা
  • ইলিশ
  • সার্ক
  • পাঙ্গাস
  • সার্ডিন
  • ম্যাকারেল
  • কই
  • চিংড়ি
  • তেলাপিয়া
  • চিতল মাছ
  • বোয়াল মাছ
  • পুঁটি
  • ক্যাটফিশ

উপরে উল্লেখিত মাছগুলো মানুষের মধ্যে কিছুটা এলার্জি প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তবে এই মাছগুলো খেলেই যে সবার অ্যালার্জি হতে পারে এমনটা নয়। এটা ব্যক্তি ভেদে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কারো যদি কোন খাবারে অথবা কোন মাছে অ্যালার্জি থাকে তাহলে সেটা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নির্দেশনা গ্রহণ করতে পারেন।

কোন কোন মাংসে এলার্জি আছে

অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে যে গরুর মাংস হাঁসের মাংস ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই এলার্জি হাত থেকে বাঁচার জন্য খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, দুম্বার মাংস খাওয়া যেতে পারে।

হাঁসের মাংস কি এলার্জি আছে?

হাঁসের মাংস এলার্জি আছে তা অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে। তবে হাঁসের মাংস খেলে অ্যালার্জি হয় কিনা তা যাচাই করার জন্য নিজে খেয়ে দেখতে হবে। হাঁসের মাংস খেয়ে তার যদি এলার্জি না হয় তাহলে বুঝতে হবে হাঁসের মাংসের তার এলার্জি নেই। তখন সে হাঁসের মাংস খেতে পারে।

গরুর মাংসে কি এলার্জি আছে?

সাধারণত গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি আছে তা অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে। গরুর মাংস খেয়ে যদি এলার্জি হয় তাহলে গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো। তবে আপনার গরুর মাংস এলার্জি আছে কিনা আপনি নিজে খেয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। গরুর মাংস অধিক পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্য হানি ঘটতে পারে এমনকি জীবনযুকের মধ্যেও পড়তে পারেন। যাদের গরুর মাংস এলার্জি আছে তাদের বুঝেশুনে গরুর মাংস খেতে হবে।

মুরগির মাংসে কি এলার্জি আছে?

আমি যতটুকু জানি মুরগির মাংস তেমন এলার্জি নেই। তবে কারো মুরগির মাংস খাওয়ার পরও যদি অ্যালার্জি লক্ষণ বুঝতে পারা যায়। তাহলে মুরগির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কক মুরগির মাংস কি এলার্জি আছে?

কারো কারো কক মুরগির মাংস খেলে এলার্জি হতে পারে। কক মুরগির মাংসে এলার্জি আছে কিনা অনুসন্ধান করার জন্য এই মাংস নিজে খেয়ে দেখতে হবে। খাওয়ার পর এলার্জির ভাব আছে বুঝলে এ মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ছাগল বা খাসির মাংস কি এলার্জি আছে?

অনুসন্ধান করে যতদূর জানা গিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে ছাগল বা খাসির মাংস এলার্জি নেই। কিন্তু মনে সন্দেহ হলে নিজেকে পরীক্ষা করা যেতে পারে। তাহলে বুঝা যাবে তার এই মাংসে এলার্জি আছে কিনা। পরীক্ষা করার পর এলার্জির লক্ষণ না পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে ছাগল বা খাসির মাংসের তেমন কোন এলার্জি নেই।

ব্রয়লার মুরগির মাংস কি এলার্জি আছে?

ব্রয়লার মুরগির মাংসের এলার্জি আছে বলে তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এই মাংসে এলার্জি আছে কিনা সে যদি খায় তবে বুঝা যাবে ব্রয়লার মুরগিতে মাংস খাবার পর এলার্জির লক্ষণ বুঝা যায় তবে এই মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর যদি খাওয়ার পর এলার্জি লক্ষণ না পাওয়া যায় ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া যাবে।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আমাদের আর্টিকেলের আজকের বিষয়বস্তু ছিল কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে তা নিয়ে। যে সকল মানুষদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এলার্জি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট নিয়মিত পাবলিশ করে থাকে। তাই এমন ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url