পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - কাজের ভিসা, খরচ, আবেদন
কুয়েত ১ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকাআজকের এই আর্টিকেলটির বিষয়বস্তু হল পোল্যান্ড কাজের বেতন কত, কাজের ভিসা, ভিসা খরচ, কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম নিয়ে।
আপনারা যারা পোল্যান্ডে কাজে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ও পোল্যান্ডের এইসব বিষয়গুলো জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। নিচে পোল্যান্ড ভিসা ও কাজ সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই পোল্যান্ডে যাবার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে এবং পোল্যান্ডে কোন কাজের সবথেকে চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি সে বিষয়গুলো জানতে চান। এছাড়াও পোল্যান্ড বিষয়ক আরো নানান বিষয় জানার আগ্রহ দেখান অনেকেই। তাই এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি পোল্যান্ড বিষয়ক সকল খুঁটিনাটিক বিষয়গুলো। বিষয়গুলো জানতে হলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোল্যান্ড কাজের বেতন কত
ইউরোপের যেই দেশগুলির নাম আমরা প্রায় শুনে থাকি তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হলো পোল্যান্ড। পোল্যান্ড সরকারিভাবে পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র হিসেবে একটি রাষ্ট্র এবং ঐতিহাসিক অঞ্চল। পোল্যান্ড এর রাজধানীর নাম হলো ওয়া্রশ।বর্তমানে ইউরোপের যেই কয়েকটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে সেই দেশগুলোর মধ্যে প্রো ল্যান্ড সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটা দেশ। যদি আপনি এই প্রোল্যান্ড দেশটিতে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিসা এবং পাসপোর্ট সম্পন্ন করতে হবে।
পোল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একসাথে একটা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালে জানতে পেরেছি যে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার এরও বেশি শ্রমিক পোল্যান্ডে নিয়োগ করা হয়। যখন আপনি বিদেশে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন, তখন কোন দেশে কাজের বেতন কত হবে এবং কোন দেশে গেলে ভালো হয় এই তথ্যগুলো জেনে নেওয়া যাওয়া উচিত।
আরো পড়ূনঃ সৌদি রিয়াল রেট বাংলাদেশ
এক্ষেত্রে যদি আপনি মনে করেন যে পোল্যান্ডে প্রবাসী হিসেবে জীবন যাপন করবেন অথবা যাতায়াত করবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে শিক্ষিত হতে হবে। কারণ দক্ষ ও শিক্ষিত কারিগরদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিদেশে। এবং আপনাকে অবশ্যই পোল্যান্ড কাজ করার জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষিত হতে হবে সঠিকভাবে। যাতে যে কোন সময় আপনি তাদের যেকোনো কাজ ধরতে পারেন এবং এই কাজের ওপর ভিত্তি করে আপনার বেতন ও বৃদ্ধি পাবে।
অন্যান্য দেশে তুলনায় পোল্যান্ড দেশের কাজের বেতন অনেক বেশি হওয়ায় বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কারণ এই দেশের যে মুদ্রা রয়েছে তার দাম অনেক বেশি। যদি আপনি পোল্যান্ডে দেশে গিয়ে থাকেন তাহলে সেখানকার সর্বনিম্ন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর্মী হিসেবে কাজের বেতন পাবেন।
তবে কাজের ক্ষেত্র অনুযায়ী অথবা ভালো কোন কোম্পানির কাজ করলে বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। আর ডলার রেট বৃদ্ধি পেলে আপনার বেতন বাংলাদেশী টাকায় অনেকাংশেই বেড়ে যায়।
আগের তুলনায় বর্তমানে পোল্যান্ড দেশে যাওয়া অনেকটা সহজ হয়েছে। যার জন্য আপনি সহজে অল্প সময়ে পাসপোর্ট ও ভিসা সম্পন্ন করে পোল্যান্ড দেশে যেতে পারেন। যারা বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ডে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ও পোল্যান্ড দেশের বিভিন্ন কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে কাজ করছেন প্রতি মাসে তাদের দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অনায়াসে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
আপনাদের মধ্যে অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে পোল্যান্ডে কোন কাজের সবচেয়ে চাহিদা বেশি। তাদের উদ্দেশ্যে এই মূলত বলতে চাই যে পোল্যান্ডে রেস্টুরেন্টের যে সকল কাজগুলি রয়েছে সেগুলোর চাহিদা অনেক বেশি এবং সেই কাজের বেতন অনেক ভালো পাওয়া যায়। এবং সফটওয়্যার কোম্পানি ও ড্রাইভিং এর বেতন বেশি প্রদান করা হয়ে থাকে পোল্যান্ডে।
কিন্তু যারা বাংলাদেশ থেকে সাধারণ কর্মী হিসেবে যায় তারা কিন্তু ভালো কোন কোম্পানির কাজ করার সুযোগ তেমন একটা পায় না। যদি আপনি পোল্যান্ডে সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য যেতে চান তাহলে আপনার জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ যারা সফটওয়্যার কোম্পানিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অনলাইনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে সফটওয়্যার কোম্পানিতে যোগদান করে থাকে।
যারা পোল্যান্ডে কাজ করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে মূলত বলতে চাই যে, পোল্যান্ডে ভালো একটা কোম্পানিতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন যাতে করে পরবর্তী সময়ে অধিক বেতন দিয়ে নতুন কোম্পানি আপনাকে দেখে নিবে।
পোল্যান্ডে অনেক বেশি নেটওয়ার্কিং এর চাহিদা এজন্য যদি আপনি নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত কোন কাজ সঠিকভাবে জেনে থাকেন তাহলে পোল্যান্ডে গিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি পোলেন দে একজন নেটওয়ার্কিং এর কর্মী হিসেবে কাজ করেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে তিন থেকে চার লাখ টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র জরুরী দক্ষতা অবলম্বন করে এবং পোল্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর এই কাজের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া যায়।
যদি আপনি পোল্যান্ড দেশের বেসিক বেতন কত এই তথ্যটি জানতে চান তাহলে আপনাদের বলতে চাই যে পোল্যান্ডে 2 লক্ষ 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে আরো বেশি বেতন দেওয়া হয়। এবং আপনি কোন কোম্পানিতে কাজ করছেন তার উপরে আপনার বেতন নির্ভর করে। আপনি সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি ও বেতন পেতে পারেন ভালো কোম্পানিতে কাজ করলে। আইসিটি রিলেটেড কাজগুলোতে যারা বিশেষ করে যুক্ত রয়েছে তারা ডিজাইনার অথবা developer হতে পারেন সেই অনুযায়ী আপনার বেতন আরো বেশি পরিমাণে দেওয়া হয়।
কোন ব্যক্তি পোল্যান্ডে যাওয়ার পরে তার বেতন সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মেন্ডো এগ্নিকালচার কৃষি সহ অন্যান্য কাজগুলিতে আপনি সমপরিবার বেতন পাবেন। এবং পোল্যান্ডে একজন সিকিউরিটি গার্ডের বেতন এক লাখ আশি হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে আপনি সপ্তাহে ৬ দিনে ও ডেইলি 8 থেকে 12 ঘন্টা ডিউটি করা লাগে।
তবে যদি আপনি অন্যান্য কাজে অথবা ফ্যাক্টরির কাজে নিয়োজিত থাকেন তাহলে আপনি ভালো পরিমাণের একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি নরমাল ওয়ার্কার হিসাবে কর্মরত থাকেন সেক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারেন। যদি আপনি পোল্যান্ড এর সর্বোচ্চ বেতন কত তা জানতে চান তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে ৬ লাখ ৬০ টাকা বর্তমানে পোল্যান্ডের সর্বোচ্চ বেতন।
পোল্যান্ড কাজের ভিসা
পোল্যান্ড দেশে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পোল্যান্ড ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে নিজে পছন্দ করে ভিসা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যদিও আপনি কোন ভিসাটি দিতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনার পজিশন এবং কাজের ধরনের ওপর তো চলুন জেনে নেই পোল্যান্ডের কাজের ভিসা ধরন সম্পর্কে
১.টাইপ এ ভিসা
কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং অনেক উচ্চমানের যোগ্যতা ব্যক্তিদের জন্য এই টাইপ ভিসার ব্যবস্থা রয়েছে। বেতনের পরিমাণ এবং যে ভিসার আন্ডারে কাজ দুটোর পূর্ব-নির্ধারিত থাকে।
২.টাইপ বি ভিসা
পর্যটন বা কৃষি সেক্টরে কাজ করার ক্ষেত্রে রোল্যান্ডে যাওয়ার পূর্বে এই ধরনের ভিসার ব্যবস্থা করতে হয়। এই ভিসাতে কাজে নির্দিষ্ট সময় ও উল্লেখ করতে হবে। এবং এই ধরনের ভিসার অপর নাম হচ্ছে সিজনাল ভিসা।
৩.টাইপ সি ভিসা
আপনি কি পোল্যান্ড কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করতে চান? তাহলে বেছে নিতে পারেন এই টাইপ সি ভিসা। বিশেষজ্ঞ পদে বা ম্যানেজারিয়াল পুলিশ শাখায় মূলত বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্যই এই ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪.টাইপ ডি ভিসা
আপনি পোল্যান্ডে যেতে পারেন এই টাইপ ডি ভিসার আন্ডারে সাধারণত কর্মসংস্থান জন্য। এই ভিসার অপর নাম হচ্ছে কর্মী ভিসা। যার সাহায্যে পোল্যান্ডে আপনি যেকোনো কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৫.টাইপ এস ভিসা
এই ভিসার অপর নাম হচ্ছে শর্ট স্টে ওয়ার্ক ভিসা। যার আন্ডারে আপনি পোল্যান্ডে অবস্থান করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৯০ দিন।
পোল্যান্ড ভিসা খরচ
যদি আপনি পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে ফ্লাইট ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক সকল খরচ বিলে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মতো লাগবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাইলে সে ক্ষেত্রে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
তাছাড়াও প্রল্যান্ডে ভ্রমণ ভিসায় যেতে চাইলে ১-১.৫ লক্ষ টাকা লাগে। কিন্তু যদি আপনার বন্ধু অথবা পরিবারের সদস্য যদি আপনার জন্য পোল্যান্ড থেকে ভিসা পাঠিয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা বা তারও কমে পোল্যান্ডে ভ্রমণ করতে যেতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ ইউরোপ মহাদেশে কয়টি দেশ আছে এবং কি কি
তাছাড়াও আপনার ভিসার মেয়াদ খরচ লাইট এর ধরন ও আনুষাঙ্গিক খরচ বিবেচনা করে কিছু কমও বেশি হতে পারে তবে আমরা যা আনুমানিক ধারণা উপরে উল্লেখ করেছি এর পরিমাণ টাকা হলেও আপনি পোল্যান্ডে যেতে পারবেন। যদি কোন দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে সাধারণের খরচের থেকে বেশি খরচ হবে । এজন্য নিজ প্রচেষ্টায় বা সরকারিভাবে পোল্যান্ড ভিসা করার চেষ্টা করুন।
পোল্যান্ড ভিসা আবেদন
পোল্যান্ড ভিসা আবেদনের জন্য সর্বপ্রথম ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কি কি দরকারি কাগজপতি লাগবে তা ঠিকঠাক করে নিন। তারপরে online ভিসা application from পূরণ করুন। এরপরে Roland Embassy New Delhi অথবা Sweden visa application centre Dhaka থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করে আবেদনটি জমা দিন।
অল্প মেয়াদী পোল্যান্ড ভিসা যেমন বিজনেস ভিসা ট্রাভেল ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে Sehongen ভিসার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত Sweden embassy তে আবেদন করতে হবে।
অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি প্রল্যান্ড ভিসা যেমন student visa, work permit VISA জন্য আপনাকে national ভিসার জন্য Poland Embassy New Delhi থেকে আবেদন করতে হবে।
পোল্যান্ড ভিসা এজেন্সি
পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে বেশ কিছু এজেন্সি রয়েছে যেগুলো আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং করা ভিসা আবেদন করা সহ সকল আনুষঙ্গিক কাজের সাহায্য করবে। নিচে উল্লেখ করা হলো পোল্যান্ড ভিসা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত এজেন্সি গুলোর তালিকা
- sticker visa
- visa thing
- visa hub
- Skyways Travels
- obokash
এছাড়াও বাংলাদেশে আরো বেশ কিছু ভিসা এজেন্সি আছে যেগুলো এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে তারা আপনাকে ভিসা আবেদন করা সহ আরো আনুষঙ্গিক কাজে সাহায্য করবে।
পোল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি
যেকোনো দেশেই এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা একটু বেশি থাকে। তেমনি পোল্যান্ড ও তার ব্যতিক্রমী কিছু নয়। পোল্যান্ডে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা। নিচে তা উল্লেখ করা হলো।
- ক্লিনার
- সেলসম্যান
- পাম্বার
- ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
- আইটি ইনস্টিটিউট
- কনট্রাকশন
- ইলেকট্রিশিয়ান
- ড্রাইভিং ইত্যাদি
পোল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত
প্রতিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে সর্বনিম্ন বেতনের তালিকা সরকারের নির্ধারিত রয়েছে। এজন্য সর্বনিম্ন বেতন তালিকা রয়েছে এই দেশটিতে। বর্তমানে পোল্যান্ড কাজের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ১০৬০ ডলার যেটা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। পোল্যান্ডে কর্মীরা গৌর বেতন পাচ্ছে প্রতিমাসে ১৮১৩ ডলার। যেটা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২ লাখ টাকা।
আরো পড়ূনঃ ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
আশা করছি আপনারা অনুমান করতে পেরেছেন যে পোল্যান্ডে সর্বনিম্ন বেতন কত। তাছাড়াও আপনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, যোগ্যতা, এবং কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে আপনার বেতন কম বা বেশি হবে।পোল্যান্ডে সাধারণত ৪০ ঘণ্টা সপ্তাহে ডিউটি করতে হয় সেখানে ১৫০ ঘণ্টার বেশি ওভারটাইম করে কাজ করা যায় না।
বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
পোল্যান্ড কাজের বেতন কত এই তথ্যটি জানার পর আপনি হয়তো আরো জানতে চাইবেন, যে পোল্যান্ড দেশে যেতে কত টাকা লাগে বা যাওয়ার খরচ কত। যেহেতু পোল্যান্ড ইউরোপের ইইউ(EU) দেশ। যার জন্য পোল্যান্ডে যেতে একটু বেশি খরচ হয়ে থাকে। যদি আপনি দেশটিতে দালালের মাধ্যমে যান তাহলে আপনার খরচ হবে ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকার মত। আর যদি দালাল ছাড়া সরকারি ভাবে যান তাহলে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা হলে আপনি পোল্যান্ডে যেতে পারবেন।
- স্টুডেন্ট ভিসা (৩ থেকে ৪ লাখ টাকা)
- ওয়ার্ক পারমেন্ট ভিসা (৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা)
- ভিজিট ভিসা (২ থেকে ৩ লাখ টাকা)
পোল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
পোল্যান্ড টাকার নাম হল পোল্যান্ড জলটি। পোল্যান্ড ১ জলোটি বাংলাদেশি টাকায় কত টাকা তার নিজের দেখে নিন।
পোল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের (২৭ টাকা ৪৩ পয়সা)
এই মুহূর্তে পোল্যান্ড এক টাকা বাংলাদেশের (২৯ টাকা ২৮ পয়সা)
বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম
পোল্যান্ড যাওয়ার জন্য ভিসা বাধ্যতামূলক প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা,এবং ভিজিট ভিসার মাধ্যমে আপনি পোল্যান্ড দেশটিতে যেতে পারবেন।
পোল্যান্ড ভিজিট ভিসা
পোল্যান্ড ভিজিট ভিসায় এই দেশটিতে গেলে আপনাকে সর্বপ্রথম প্রমাণ করতে হবে যে আপনি নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। এবং আপনি একজন পর্যটক। এর পাশাপাশি আপনাকে আরো প্রমাণ করতে হবে যে আপনি দেশটিতে গেলে সময়মতো নিজ দেশে পুনরায় ফিরে আসবেন। এজন্য ভিসা কৃতপক্ষ ভিজিট ভিসা দেওয়ার পূর্বে সাধারণত ব্যাংক ব্যালেন্স পেশা ট্রাভেল হিস্ট্রি শুনে থাকেন।
পোল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা
পোল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অর্থনৈতিক ভাবে ও শক্তিশালী হতে হবে। এবং দেশটির যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তির অফার লেটার পেতে হবে। যদি আপনার দেশটিতে খাওয়া থাকা পড়াশুনার খরচের সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই পোলার স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন।
পোল্যান্ড জব ভিসা
সাধারণত এই ভিসাটি ওয়ার্ক পারমিট কিংবা কাজের ভিসা হিসেবে পরিচিত। দেশটির কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজের অফার পেতে হবে ভিসা পাওয়ার জন্য। অনলাইনে আপনি বিভিন্ন জব পোটালে চাকরি জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি আপনার আবেদনপত্রটির দেশটির কোন কোম্পানি গ্রহণ করে তাহলে আপনাকে তারা কাজের অফার বা ওয়ার্ক পারমিট লেটার দিবে। এরপরে আপনি পোল্যান্ড জব ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আশা করি আমাদের আজকের এই পোল্যান্ড এর ভিসা ও কাজ সম্পর্কিত আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেল টি যদি আপনি সম্পূর্ণ করে থাকেন তাহলে পোল্যান্ডের কাজ, বেতন ও ভিসা সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত বিভিন্ন দেশের কাজ ও ভিসা এবং কোন কাজে চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকে। এমনি সব পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url