আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা - লক্ষণ, এন্টিবায়োটিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা
পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নামআমাশয় রোগীর খাবার তালিকা ও আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ছাড়াও আমাশয় রোগের আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা আমাশয় রোগের সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
পোস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আমাশয় রোগ সম্পর্কিত অনেক বিষয় জানতে পারবেন। আমাশয় রোগ সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
অনেক সময় আমরা আমাশয় নামক একটি রোগে ভুগি। এ রোগের জন্য ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হয় এবং এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের তরল ও লবণ বের হয়ে যায়। যার জন্য শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পরে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো এই আমাশয় রোগ হলে কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে এবং কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না। এছাড়াও আরো জানব আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। তাই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করুন।
আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা
আমাশয় রোগির জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। কারণ পুষ্টিকর খাবার আমাশা রোগের নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাশয় আক্রান্ত রোগী ঘনঘন পাতলা পায়খানা করার ফলে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তাই পানি শূন্যতা পূরণের জন্য প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন এর পানি খাওয়া উচিত।
আমাশয়ে রোগের আক্রান্ত হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত তা হয়তো অনেকেই জানেন না। এজন্য আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে আমাশয় রোগীর খাবার তালিকা তুলে ধরা হলো।
- তরল জাতীয় খাবারঃ আমাশয় আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে যেমন ডাবের পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, সুপ, পাতলা খিচুড়ি, এবং মারি ভাত খেতে হবে।
- শাক সবজিঃ মসলা জাতীয় খাবার পরিহার করে শাকসবজি খেতে হবে। কারণ শাকসবজিতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। এজন্য শাক সবজি খাবার ফলে শরীরের যেকোন ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে সাহায্য করে। গাজর মাশরুম শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমাশয় রোগী এগুলো খেতে পারেন।
- কাঁচা কলাঃ আমার সাথে আক্রান্ত রোগীর জন্য কাঁচা কলার তরকারি খুবই উপকারী। তাছাড়াও কাঁচা কলা সিদ্ধ করে ভর্তা বানিয়েও খাওয়া যায়। কাঁচা কলা অন্তকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
- চিড়াঃ আমাশয় রোগীর জন্য চিড়া পানি এবং চিড়া খাওয়া খুব উপকারী। আমাশয় রোগ নিরাময় করতে চিড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
- প্রচুর পানি পান করাঃ যেকোনো রোগেই বেশি বেশি পানি খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাশয় সংক্রমিত ব্যক্তিকে কিছুক্ষণ পর পর প্রচুর পানি এবং স্যালাইনের পানি পান করাতে হবে।
- ফলমূলঃ আমাশয় রোগের জন্য পাকা ফলমূল খাওয়া খুবই জরুরী। যেমন পাকা কলা, পাকা পেঁপে, আপেল, বেল, পেয়ারা এইসব ফল হজমের সাহায্য করে এবং পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে থাকে। এই সময়ে বাড়িতে বানানো বিভিন্ন ফলে শরবত খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
- ডাবের পানিঃ স্যালাইন এর পানির পাশাপাশি ডাবের পানি পান করা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাবের পানি শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে।
- ভাত ও রুটিঃ সাদা ভাত ও রুটিতে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা সহজে হজম হয় এবং ক্যালরি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এগুলোর পাশাপাশি পাউরুটি বা ভালো মানের বিস্কুট খাওয়াও যেতে পারে।
- আলুঃ আমাশয় রোগীকে আলু সিদ্ধ করে বা রান্না করে খাওয়ানো যেতে পারে। আলুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে যা শরীরের জন্য অনেক জরুরী । এবং আমাশয় রোগীর জন্য মিষ্টি আলু অনেক উপকারী।
- বাদামঃ বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষেরও খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখা দরকার।বাদাম সুক্রোজ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
যে খাবারগুলো আমাশা আক্রান্ত রোগীদের খাওয়ার যাবেনা সে খাবারগুলোর নিচে দেওয়া হলো।
- চিনি মুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
- ভাজা খাবারও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা।
- অতিরিক্ত তেল মশলা খাবার বর্জন করতে হবে।
- পচা এবং বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত শক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
- দুধ যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
- উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আমাশয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো পরিষ্কার না থাকা। আমাশয় রোগ ছোঁয়াচে খুব তাড়াতাড়ি একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।আমাশয় আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি আসলে অন্য ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগে সংক্রমিত হলে স্বাস্থ্য হানির সাথে সাথে মৃত্যুর যুকিও বেড়ে যায়। তাই এই ভয়াবহ রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার কথা নিচে আলোচনা করা হলো।
- গুড়ঃ আমাশা রোগের জন্য কুশুরের গুড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গুড়ের শরবত স্যালাইনের কাজ করে তার সাথে শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ করে। এবং পেট পরিষ্কার করে। কারো পুরনো আমাশা হয়ে থাকলে প্রতিদিন আখের গুড়ের শরবত খেলে আমাশা ভালো হতে পারে। কেউ চাইলে গুড়ের শরবতের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।
- থানকুনি পাতার রসঃ আমরা প্রায় সকলেই থানকুনি চিনে থাকি। এটা গ্রাম এলাকায় বেশি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা ঔষধ হিসেবে কাজ করে। আমাশা রোগের জন্য থানকুনি পাতার রস অনেক উপকারী। এ পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বা পাটায় বেটে তারপর থেকে এর রস খেতে হয়। এ পাতায় একটু তিতা হয় এজন্য সামান্য মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- আম -জাম পাতার রসঃ যেসব মানুষ আমাশয় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আম জাম পাতার রস করে খান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই রোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন।
- ডাবের পানি/ নুন লেবুর পানিঃ ঘনঘন আমাশা হওয়ার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দেখা দেয় শরীরে পানি শূন্যতা। যার জন্য ডাবের পানি ও নুন লেবুর পানি খেতে পারেন। এই সময়ে এই পানিয় গুলো খুবই উপকারী। এজন্য প্রচুর পরিমাণে ডাবের পানি ও নুন লেবুর পানি পান করতে হবে। এগুলো পান করলে শরীরের দুর্বলতা দূর হবে ও শরীরকে সচল করতে সাহায্য করবে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখবে।
- অর্জুন ছালঃ আমাশা রোগের জন্য অর্জুন গাছের ছাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ছালকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রস করে খেলে আমাশার রোগ ভালো হতে পারে।এছাড়াও এই রস দুধের সাথে ফুটিয়েও খাওয়া যায়। অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে ঔষুধি গুন। যার নানা রোগ দূর করতে সক্ষম।
- পেঁপে ও কাঁচা কলাঃ আমাশা রোগীদের জন্য তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এই সময়ে আমাশার রোগীদের জন্য পেঁপে কাঁচা কলার তরকারি খুবই উপকারী। পেঁপে, কাঁচা কলা, ডাটা, গাজর দিয়ে একসাথে ঝোলের তরকারি খাওয়া যেতে পারে।যার শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
- কুলে খাড়ার রসঃ আমাদের পেটে অনেক সময় আম বা অপক্ক মল জমে থাকলে পেট ব্যথা হয়। কুলে খাড়ার রস খেলে জমে থাকা আম বা অপক্ক মল বেরোতে সাহায্য করে।এই রস মধুর সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায়।
এছাড়াও কিছু আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল।
- প্রচুর পরিমাণে কলা খাওয়া যেতে পারে। কলাতে ফাইবার রয়েছে যা জমে থাকা মল শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার করে কমলা লেবুর রস খেতে পারেন।
- দুধের সাথে কালো লবন মিশিয়ে খেতে পারেন।
- ডালিমের খোসা বেটে নিয়ে দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- পানি ফুটিয়ে পান করুন এবং খাবার ভালো করে সিদ্ধ করে নিন।
- মধু দুধ লেবু একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- বাথরুম থেকে আসার পর ভালো করে হাত পা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমাশয় রোগের লক্ষণ
আমাশয় রোগের নানা ধরনের লক্ষণ আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
- আমাশয় আক্রান্ত হলে প্রচন্ড পেটব্যথা হতে পারে।
- কিছুক্ষণ পরপর ঘনঘন পাতলা পায়খানা হয়।
- আমাশয় আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে খিচুনি ভাব দেখা দিতে পারে।
- রোগীর শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে জ্বর আসতে পারে।
- অনেক সময় পাতলা পায়খানার সাথে মিউকাস বের হতে দেখা যায়।
- প্রসাবের পরিমাণ কমতে থাকে এবং শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়।
- দেহে শক্তি কমে যায় এবং ওজন কমতে থাকে।
- কিছুক্ষণ পরপর বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
- খুদা কমে যেতে পারে।
আমাশয় রোগের কারণ
শিগেলা, সালমোনেরা, ক্যাম্পাইলোবেক্টর,এশেরিকিয়া, কোলাই ইত্যাদি নামক ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাশার রোগের সৃষ্টির প্রধান কারণ। এই ব্যাকটেরিয়া গুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। যা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং খুব দ্রুত অন্ত্রের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। স্থান অনুপাতে ব্যাকটেরিয়াগুলো লক্ষণ আলাদা হতে পারে। আমেরিকাতে শিগেল ব্যাকটেরিয়াটির প্রভাব দেখা যায়।
তেমনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারত দেশেও ক্যাম্পোইলোবেক্টরের প্রভাব দেখা দেয় আমাশয় রোগে।তাছারা পেটে কৃমি থাকলেও আমাশা হতে পারে। আমাশা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া টি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে এগুলো নিচে দেওয়া হলো
- পচা বাঁশি নষ্ট খাবার খেলে।
- দূষিত পানিতে গোসল বা সাঁতার কাটলে।
- দূষিত পানি পান করলে।
- সংক্রমিত ব্যক্তি যদি মলত্যাগের পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার না করে।
- সংক্রমিত ব্যক্তি সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলে।
আমাশয় রোগের জীবাণুর নাম কি
আমাশয় প্রধানত দুই প্রকার হয়। অ্যামিবিয় আমাশয় বা অ্যামিবিয়াসিস আর ব্যাসিলারি আমাশয় বা শিগেলোসিস এই ব্যাকটেরিয়া গুলো অন্ত্রের সংক্রমণের কারণ। এবং এগুলোর ফলে পায়খানা দিয়ে রক্ত সহ পাতলা মল বের হয়।
আমাশয় রোগের এন্টিবায়োটিক
Zox -500 mg tablet.
- খাওয়ার নিয়মঃ এই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের নাম জক্স ট্যাবলেট এটি স্কয়ার কোম্পানি বাজারজাত করে থাকে। এই ট্যাবলেটটি ১২ ঘন্টা পর পর ১ টি করে ট্যাবলেট প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সেবন করতে পারে। এই ট্যাবলেটটি তিন দিন খেতে হবে।
- দামঃ জক্স নামক এই ট্যাবলেটটির প্রতি পিস ১০ টাকা এবং প্রতি পাতা ট্যাবলেট ৬০ টাকা।
Doxicap capsule
- খাওয়ার নিয়মঃ এই ডক্সিক্যাপ মেডিসিন টা রেটিনা লিমিটেড কোম্পানির।আমাশয় হলে এই এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। এই ওষুধটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন খেতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ২ করে এবং পরে ১ করে ক্যাপসুল সেবন হবে।
- দামঃ প্রতি পাতার মূল্য ২২ টাকা এবং প্রতি পিস ২.২১ টাকা।
আমাশয় হলে কি ডিম খাওয়া যায়
আমাশা হলে ডিম খাওয়া যাবে কিনা এই প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খায়। অনেকেই তো আবার মনে করেন যে ডিম যেহেতু পুষ্টিকর সেহেতু আমাশা হলেও হয়তো ডিম খাওয়া ভালো। পুষ্টিবিদ মো: ইমদাদ হোসেন শপথ বলেন, ডিমে অনেক পুষ্টি আছে তবে বেশি আমাশয় হলে ডিম খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে
ডিম শরীরে পুষ্টি দিয়ে থাকে কিন্তু দীর্ঘ সময় লাগে এটি হজম করতে। আমাশয় হলে দ্রুত হজম হবে এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। ডিম শরীরে শক্তি যোগায় ও পুষ্টির জন্য অন্যতম। এজন্য সরাসরি গোটা ডিম না দিয়ে বিভিন্ন খাবারের সাথে ডিম দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। অর্ধ সিদ্ধ বা কাঁচা ডিম আমাশা হলে খাওয়া যাবে না ।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আমাশায় এর লক্ষণ, কারণ, খাবার তালিকা ও প্রতিকার নিয়ে। আশা করি আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ করেছেন এবং আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাশায় এর সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট নিয়মিত প্রকাশ করা হয়, এমনই সব তথ্যবহুল পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url