রানের চিপায় চুলকানি, দাউদ দূর করার ক্রিম, মলম ও করণীয়

পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় - লক্ষণ, করণীয়রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম ও রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা এই চুলকানিতে ভুগছেন এবং এই সমস্যা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করেছি রানের চিপায় চুলকানি, দাউদ হলে করণীয় কি এবং চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় কি কি সহ এ চুলকানি দূর করার ভালো ক্রিম ও মলমের নাম নিয়ে। তাই চুলকানি সম্পর্কিত সকল বিষয় গুলো বিস্তারিত জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

অনেক মানুষই আছেন যাদের রানের চিপায় চুলকানি হয়ে থাকে। আর এই চুলকানি ভালো করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, মলম ও ওষুধ ব্যবহার করে থাকে কিন্তু দেখা যায় খুব তাড়াতাড়ি এই চুলকানি ভালো হয় না। তাই অনেকেই চুলকানি ভালো করার জন্য কোন ক্রিম বা মলম ভালো সে বিষয়ে জানতে চাই। সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি রানের চিপায় চুলকানি হলে কোন কোন ক্রিম ও মলম সবচেয়ে ভাল কাজ করে।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

একটা সাধারণ সমস্যা হল চুলকানি। যে কোন মানুষেরই এই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু রানের চিপায় চুলকানি হলে লজ্জা জনক ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এজন্য প্রায় মানুষ রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চাই। আমরা আজকে এই পোস্টে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার বিভিন্ন ক্রিমের নাম আলোচনা করব। যে সকল মানুষেরা রানের চিপায় চুলকানি নিয়ে কষ্টে ও অস্থিরতা নিয়ে দিন পার করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে মূলত আমাদের এই পোস্টটি বানানো। এবং তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম। ও রানের চিপায় চুলকানি হলে করণীয়। রানের চিপায় চুলকানি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রানের চিপায় চুলকানি দূর করার জন্য তারা কিছু ভালো মানের ক্রিম উল্লেখ করেন। নিচে কিছু ক্রিমের নাম দেওয়া হল।

  • বেটাথ্যাসোন ক্রিমঃ এটা একটা স্টেরয়েট ক্রিম যা প্রদাহ এবং চুলকানি কমাতে ব্যবহার হয়।
  • মিকোনাজল ক্রিমঃ এটাও আরেকটা এন্টিফাঙ্গাস ক্রিম যা চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করে।
  • লিজোকেন ক্রিমঃ এটা ব্যথা রোধ করার ক্রিম যা চুলকানি ভালো করতেও ব্যবহার করা হয়।
  • ক্রোট্রিমাজল ক্রীমঃ এটা এন্টি ফাঙ্গাস ক্রিম যা ব্যথা ও চুলকানি ভালো করে।
  • কোটোকোনাজল ক্রিমঃ এটি একটা অ্যান্টি ফাঙ্গাস ক্রিম যেটা ব্যবহারের দাঁদ, ফুসকুড়ি, চুলকানি, ও অন্যান্য চর্ম জনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।

রানের চিপায় চুলকানির জন্য নিচে আরো কিছু ক্রিমের নাম উল্লেখ করা হলো।

  • antifungal
  • nyclobate
  • licerin cream
  • bet CL cream
  • fangin cream
  • ezex cream
  • darmasol - an
  • payvison

এই ক্রিম গুলো রানের চিপায় চুলকানি দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত চুলকানি সমস্যায় এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার পরও যদি ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে৷

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার মলম

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার মলম

চুলকানি এমন একটা সমস্যা যেই স্থানে হয় সেখানে আঁচড়াতে ইচ্ছে করে। এলার্জি হলেও চুলকানি হতে পারে।এবং চুলকানির বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এদের চেহারা দেখলে চেনা যায় বা জানা যায়। যে কোন ধরনের চুলকানি। যাদের শরীরে ত্বক শুষ্ক চুলকানিটা তাদের বেশি হয়। এই চুলকানির কিছু লক্ষণ আছে। যেমন ফোসকা পড়া, বা ফুলে যাওয়া, প্রদাহ, চুলকানি স্থানটি লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি তেমন একটা গুরুতর লক্ষণ নয়।
এই সমস্যা প্রায় সবারই মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে। তবে যদি দীর্ঘদিন ধরে চুলকানি সমস্যা থাকে। তাহলে কিছু বড় ধরনের অসুখের লক্ষণ হিসেবে চুলকানিক সমস্যা হতে পারে। যেমন লিভার ও কিডনির ত্রুটি। চুলকানির সমস্যা অনেকগুলো প্রভাবশালী চিকিৎসা রয়েছে। যেমন ঔষধ, ঘরোয়া উপায়, ও ক্রিম ব্যবহার করে সাময়িকভাবে স্বস্তি দিতে পারে। রানের চিপায় চুলকানি দূর করার কিছু মলম এর নাম নিচে দেওয়া হল।

  • ক্যালসিনেউরিন ইনহিবিটারসঃ এ মলমটি চুলকানি বিশিষ্ট স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • জেলসঃ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক শুষ্ক নিরাময় ও ত্বক শান্ত করতে এটি ব্যবহার করা উচিত।
  • এন্টিডিপ্রেসান্টসঃ শরীরে হরমোন গুলোর উপর প্রভাব ফেলে এন্টিডিপ্রেসান্টস গুলো। এজন্য চুলকানি সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়।
  • এন্টিহিস্টামিনসঃ সাধারণ খাবার ওষুধ হল এন্টিহিস্টামিনযুক্ত ঔষধ যা এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।এটি প্রদাহ কম করে যার জন্য চুলকানিও কমে যায়।
  • কটিকোস্টেযয়েড ক্রিমঃ এই ক্রিমগুলো ঔষধ যুক্ত যা ত্বকে লাগালে চুলকানি নিরাময় হয় এবং আরাম পাওয়া যায়। এই ক্রিম ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বক তৈলাক্ত ও নরম হয়। এবং চুলকানি কমতে শুরু করে। এই ক্রিমের মধ্যে ১ পারসেন্ট হাইড্রোকরটিজোন থাকে এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করা উচিত নয়।

রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয়

রানের চিপায় দাউদ হলে করণীয়

রানের চিপায় কি দাউদ হচ্ছে। বর্তমানে এই সমস্যাটা প্রায় মানুষের পড়তে থাকেন। এই সমস্যা হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন পরিষ্কার না থাকলে, মশা কামড়ালে, শরীরের কোন জায়গায় খোঁচা লেগে গেলে, ইনফেকশন জাতীয় কোন খাদ্য গ্রহণ করলে হতে পারে। যার দাউদের সমস্যা আছে তার কাপড় বা গামছা ব্যবহার করলে ও সহজে দাউদ হতে পারে। এই দাউদ হলে কিছু করনীয় আছে যেগুলো ব্যবহার করলে সহজেই রানের চিপায় দাউদ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নেই প্রতিকারগুলো।
  • অ্যালোভেরাঃ এন্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্রমাটরি উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরাতে। যা ইনফেব্রান থাকা কোষ গুলো দ্রুত সারাতে পারে। দাউদের সমস্যা দাউদের সমস্যায় অ্যালোভেরার রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে দাউদ কমে যাবে।
  • হলুদের পেস্টঃ হলুদ হল অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও আন্টি ইনফ্রমেটরি হিসেবে কাজ করে। রানের চিপায় দাউদ হলে হলুদের পেস্ট লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে আপনার দাউত কমতে শুরু করবে।
  • চা গাছের তেলঃ চা গাছের তেল দাউদ কমানোর অনেক ক্ষমতা রয়েছে। কেননা এতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও ইনফ্রেমাটরি যা দাউদ রোধ করতে অনেক সাহায্য করে।
  • মধুঃ ২০১২ এর এক গবেষণা দেখা গেছে যে ছোটখাটো দাউদের সমস্যার মধু ব্যবহার করলে তা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। দাউদ এর স্থানে মধু লাগাতে পারেন। এই উপাদান কোষ ঠিক করার মতো অনেক ক্ষমতা রয়েছে।
  • ভিটামিন -ইঃ আন্টি ইনফ্লামেটরি ও আন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ভিটামিন -ই আপনার শরীর কোষ গুলো সহজেই ঠিক করতে পারে। ছোটখাটো দাউদ হলে ঘরোয়া উপায়ে তা সরানো সম্ভব । কিন্তু যদি দাউদ অনেক বেশি হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। ও তার নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে ও চলতে হবে।

মেয়েদের রানের চিপায় চুলকানি

এলার্জি ছাড়াই হঠাৎ করে চুলকানির সমস্যা শুরু হতে পারে। চুলকানির সমস্যাটা যদি ওই সাধারণ। তবে এটি যখন অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায় তখন তাকে সাড়ানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়তে হয়। কিন্তু যখন চুলকানির সমস্যাটা কম থাকে তখন তা ঘরোয়া উপায় সারানো সম্ভব। চুলকানি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হল।

  • বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা চুলকানি দূর করতে অনেক কার্যকারী। বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এবং চুলকানিস্থানে লাগিয়ে রাখুন। তাহলে দেখবেন যে আপনার চুলকানি আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। তাছাড়াও আপনি চাইলে বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটা বালতিতে এক বালতি পানি নিয়ে তার মধ্যে দুই কাপ বেকিং সোডা দিয়ে মিশিয়ে সেই পানি শরীরে দিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন এতে করে শরীরের ও রানের চিপায় চুলকানি দূর হবে।
  • তুলসীঃ নিয়মিত তুলসী পাতা ব্যবহার করলে আপনি চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। এ জন্য নারকেল তেলের সাথে কিছু তুলসী পাতা থেঁতো করে তেলের সাথে মিশিয়ে রানের চিপায় লাগিয়ে রাখুন তাহলে চুলকানি কমে যাবে।
  • পেট্রোলিয়াম জেলিঃ যদি আপনার ত্বক সেন্সেটিভ হয় তাহলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি সারা শরীর ব্যবহার করতে পারেন। ও চুলকানির স্থানে লাগাতে পারেন। শরীর নরম ও তৈলাক্ত করতে পেট্রোলিয়াম জেলি অনেক সাহায্য করে এবং চুলকানি ও কমায়।
  • চন্দন কাঠের ব্যবহারঃ চন্দন শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরে যে কোন চুলকানি বা রানের চিপায় চুলকানি দূর করতে সক্ষম। আপনার যেই স্থানে চুলকানি সেখানে যদি চন্দন কাঠের পেস্ট ব্যবহার করেন তাহলে আপনি চুলকানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • নিমের ব্যবহারঃ নিম স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীরে চুলকানি দূর করতে অনেক সহায়তা করে। চুলকানি থেকে রেহাই পেতে আপনি নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। অথবা নিম পাতা পানি দিয়ে ফুটিয়ে গোসল করতে পারেন। তাহলে রানের চিপায় চুলকানি সহ শরীরের কোন ফুসকুড়ি থাকলে সেগুলো সেরে যাবে।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

রানের চিপায় চুলকানি দূর করতে অনেকেই ক্রিম ব্যবহার করতে থাকে। তবে এই সমস্যা যদি কম থাকতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলা যায় তাহলে বিশেষজ্ঞদের মতে চুলকানি কমে যাবে। ও কোন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। তো আসুন জেনে নেই চুলকানি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় যেগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করলে আপনার রানের চিপায় চুলকানি দূর হবে।

  • নারকেল তেলঃ আপনার যদি রানের চিপায় চুলকানি হয় তাহলে আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুলকানি হওয়ার জায়গায় দিনে ৩ থেকে ৪ বার নারিকেল তেল দিয়ে রাখুন। দেখবেন চুলকানি কমে যাবে।
  • অ্যালোভেরা জেলঃ চুলকানি দূর করতে এলোভেরা জেলের অনেক ভূমিকা রয়েছে। চুলকানি স্থানে এলোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন এতে চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।
  • বরফঃ রানের চিপায় অতিরিক্ত চুলকানি হলে আপনি ফ্রিজের বরফ লাগাতে পারেন। চুলকানির স্থানে কিছুক্ষণ বরফ লাগিয়ে রাখলে চুলকানি দূর হয়।
  • লেবুর রসঃ চুলকানি দূর করতে লেবুর রস অনেক সহায়তা করে। এজন্য চুলকানি হলে লেবুর রস লাগিয়ে রাখতে পারেন।
  • নিমপাতাঃ যেকোনো ধরনের চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার অনেক পুরনো। নিম পাতা চুলকানি সমস্যা দ্রুত কমাতে পারে। পানিতে কিছু পরিমাণের নিমপাতা দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিন ও ঠান্ডা নিন। তারপরে নিম পাতা ফুটানো পানিতে তুলা ভিজিয়ে রানের চিপায় লাগান। তাহলে খুব দ্রুতই চুলকানি সেরেও যাবে। এছাড়াও নিম পাতার ও পানি দিয়ে ফুটিয়ে গোসল করতে পারেন। এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে ও সেই সাথে চুলকানিও ভালো করে।
  • আপেল সিডার ভিনেগারঃ চুলকানি দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার অনেক সাহায্য করে। ১ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও ১ চামচ পানি দিয়ে মিশিয়ে তার মধ্যে তুলা ভিজিয়ে রানের চিপায় বা চুলকানির স্থানে লাগালে চুলকানি দ্রুত কমে যাবে।
  • চা গাছের তেলঃ রানের চিপায় চুলকানি দূর করতে একটা কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে তা হলো তা গাছে তেল। এই তেলটি ফাঙ্গাস ইনফেকশন এর বিরুদ্ধে চমৎকার ভাবে কাজ করে। রানের চিপায় চুলকানি দূর করতে এই গাছের তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। ১ চামচ অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে রানের চিপায় এই তেলের মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন। এতে করে জ্বালাপোড়া ব্যথা ও চুলকানি সব দূর হয়ে যাবে।
  • মধু ও রসুনের পেস্টঃ কয়েক টুকরা রসুনের কোয়া ভালো করে পিষে রস বের করে নিন। সেই রসের সাথে তিন ভাগের এক ভাগ পানি মিশিয়ে কুসুম গরম করে নিন। তারপরে সেই রসের মধ্যে এক চামচ মধু মিশিয়ে গানের চিপায় ও আশেপাশের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণটি দিনে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করুন। এতে করে রানের চিপায় চুলকানি দূর হবে।
  • ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলুনঃ রানের চিপায় চুলকানি হয় মূলত ভেজা কাপড় বেশিক্ষণ শরীরে রাখার কারণে। এজন্য ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলতে হবে। বেশিক্ষণ ধরে ভেজা কাপড় পড়ে থাকবেন না।
  • সহবাস পরিত্যাগঃ রানের চিপায় চুলকানি হলে সহবাস করা যাবে না। এর থেকে দূরে থাকতে হবে।

চুলকানির স্থানে কোনভাবেই ঘাম জমতে দিবেন না। যদি ঘাম জমতে শুরু করে তাহলে টয়লেট টিস্যু দিয়ে হালকা করে মুছে ফেলবেন। চুলকানি সমস্যা হলে জাঙ্গিয়াপড়া থেকে বিরত থাকুন। এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ছিল রানের চিপায় চুলকানি ভালো করার উপায় গুলো নিয়ে। আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি করে আপনারা জানতে পেরেছেন কিভাবে রানের চিপায় চুলকানি দূর করা যায়। আমরা এই ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানান ধরনের পোস্ট করে থাকে। এমনই সব পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url