পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও ভিটামিনপাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম, কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় ও পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না এ বিষয়গুলো নিয়ে আজকের এই পোস্ট।
আপনারা যারা পাতলা পায়খানার এই বিষয়গুলো জানতে চান তাদের জন্য এই পোস্ট। পাতলা পায়খানা বিষয়ক সমস্ত বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
পাতলা পায়খানা হলে মানুষের শরীর অল্পতেই অনেক দুর্বল হয়ে যায় কারণ পাতলা পায়খানার সাথে শরীরের সকল তরল পদার্থ ও লবণ বের হয়ে যায়। তাই পাতলা পায়খানা কে সাধারণভাবে নেওয়া উচিত নয়। অনেকেই পাতলা পায়খানার ওষুধ ও ট্যাবলেট এর নাম সহ কি কি উপায়ে পাতলা পায়খানা বন্ধ করা যায় সে বিষয় সম্বন্ধে জানতে চান। এই পোস্টে পাতলা পায়খানা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
পাতলা পায়খানা হলে আপনাকে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হবে। নিচে বেশ কিছু কার্যকারী ওষুধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো সেবন করলে আপনার পাতলা পায়খানা দ্রুত সেরে যাবে। তবে যে কোন একটি থেকে দুটি ঔষধ খাওয়ার পরও যদি আপনার পায়খানা ভালো না হয়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ হবে। এবং সে অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
- ইমোটিল ক্যাপসুল।
- ফিলমেট ৪০০ ট্যাবলেট।
- সিপ্রোসিন ২৫০ ট্যাবলেট।
- মেট্রিল।
- মেট্রো।
- অ্যামোডিস।
- এপ্রোসিন।
- ফ্লাজিল।
- মেট্রোনিডাজল।
- ফ্লোনটিন।
- জোকস ট্যাবলেট।
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ হিসাবে
- সিপ্রোফোক্রসিন।
- অ্যাজিথ্রোমাইসিন।
পাতলা পায়খানা হলে উপরোক্ত ট্যাবলেট গুলো খেতে পারেন। এই ঔষধ গুলো আপনি যেকোন ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন।
কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়
অনেক মানুষের পাতলা পায়খানা বন্ধ করা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য আজকে আমরা পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব। যাতে তাদের এই বিষয়গুলো জেনে উপকার হয়। এজন্য পোস্টটি সম্পন্ন পরার অনুরোধ রইলো। নিচে কিছু পাতলা পায়খানা বন্ধের ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করলে বা মেনে চললে সহজে পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
লেবুর পানি
অ্যান্টি ইনফ্লোমেটরি উপাদান রয়েছে লেবুতে।যা পেট পরিষ্কার করে সহজে। পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে এটি বহু দশক ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।
নিয়মঃ
একটা লেবু থেকে সম্পূর্ণ রস বের করে নিন এবং তার মধ্যে একটা চামচ চিনি ও একটা চামচ লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবং আপনার পাতলা পায়খানা যতক্ষণ না বন্ধ হচ্ছে এই শরবতটা প্রতি ঘন্টায় পান করুন। ভালোভাবে পেট পরিষ্কার করতে তিনদিন ধরে এই লেবু মিশ্রণটি পান করুন। এতে ভালো ফল পাবেন।
সরিষা বীজ
কিছু এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে সরিষা বীজে। যা পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে অনেক সাহায্য করে। ১ চামচ পানিতে ১/৪ চা চামচ সরিষা বীজ মিশিয়ে এক ঘন্টা রেখে দিন। তারপর ওই সরিষা বীজ ভেজানো পানিটা পান করুন। পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পেতে এর প্রতিকারটি দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
মেথির বীজ বা মেথি
মেথির মধ্যে এন্টিফাঙ্গাস ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুন রয়েছে। যা পাতলা পায়খানা চলাকালীন তার সাথে লড়াই করার জন্য একটা দারুণ ঘরোয়া প্রতিকার।
নিয়মঃ
১ থেকে ২ চামচ শুকনো মেথির বীজকে গুঁড়ো করে নিন। সকালে খালি পেটে প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সাথে এই গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এই পানি খেলে আপনি পাতলা পায়খানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ডালিম
পাতলা পায়খানা সমস্যাটাকে ডালিম ফলটি কার্যকর ভাবে কমিয়ে দিতে পারে। ডালিমের বীজ পাতলা পায়খানার সময় খাওয়া উচিত। এটা আপনার কষ্ট কমাতে সাহায্য করবে। পাতলা পায়খানা হলে দিনে ২ টি করে ডালিম ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ভীষণ উপকার পাবেন।
নিয়মঃ
আপনি ডালিমের বীজসহ একটা মিক্সারে ব্লেন্ড করে তার জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এতে কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।দিনে তিন থেকে চার বার এই জুস পান করুন। আপনি চাইলে ডালিমের পাতা ফুটিয়ে বা ভিজিয়ে রেখে তার পানি খেতে পারেন।
ঘোল
ভারতে গোলকে একটা স্বাস্থ্যকর পানীয় বলে মনে করা হয়। শরীর সুস্থ ও ঠান্ডা রাখতে গোল অনেক কার্যকারী। গোল আপনার পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে। এবং ঘোলে থাকা এসিড যা ব্যাকটেরিয়া রোগ প্রতিরোধ করে।
নিয়মঃ
এক গ্লাস গোলের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, গোলমরিচের গুঁড়ো, ও সাথে সামান্য নুন মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন বার গোলটি পান করুন।
মধু
মধুকে প্রাকৃতিক ঔষধ বলা হয়। স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে ও বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করতে ঘরোয়া উপায় মধুর অত্যন্ত কার্যকারী প্রতিকার।
নিয়মঃ
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ খাঁটি ও ফ্রেশ মধু নিন। ও তার মধ্যে ১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। এই প্রতিকারটি দিনে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন। পাতলা পায়খানার সমস্যাকে নির্মূল করে দেবে এই প্রতিকারটি।
বেল পাতার পাউডার
বেল ফল বা বেল পাতা কাট আপেল নামেও পরিচিত। পাকস্থলীর যে কোন সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বেলপাতা বা বেল ফল এর ঝুড়ি নেই।
নিয়মঃ
২ চামচ মধুর সাথে ২৫ গ্রাম শুকনো বেল পাতা বা ফলের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে চার বার এই মিশ্রনটি খান। এবং আপনার পাতলা পায়খানা কমে না যাওয়া পর্যন্ত খেতে থাকেন।
সাবু
সাবু পেটের ব্যথা কমাতেও হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পানি দিয়ে সাবুদানা দুই থেকে তিন ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রাখুন। যেহেতু সাবুদানা পানি গ্যাস করে তাই খেয়াল রাখতে হবে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে কিনা। পেটের ব্যথা থেকে আরাম পেতে সাবুদানা ভেজানো পানি পান করতে পারেন। এটা পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। দিনে বেশ কয়েকবার এই পানি পান করুন। এতে ভালো প্রভাব পাবেন।
লাউয়ের রস
পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া উপায়ে লাউয়ের রস একটি দারুন প্রতিকার। লাউ এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমান পানি রয়েছে। যা শরীরকে ডি হাইড্রেট হওয়া থেকে বাঁচায়।
নিয়মঃ
একটা টাটকা লাউ নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে টুকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।এবং পেস্ট টা থেকে সম্পূর্ণ রস বের করে সেই রসটি পান করুন।শরীরে পানি শূন্যতা দূর করতে এই রসটি দিনে এক থেকে দুইবার পান করুন।
তরল পান করুন
পাতলা পায়খানা হলে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। ও আপনার শরীর পানি শূন্যতা হয়ে পড়ে। এই সময়ে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণ পানি পান করা উচিত।
- প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন।
- আর স্বাস্থ্যকর ফলের রস ও সুপ খেতে পারেন।
- পানির সাথে ইলেকট্রোলাইট পাউডার মিশিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন। এতে করে পেট ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
- শরীরকে হাইড্রেট রাখতে ডাবের পানি অনেক সাহায্য করে। এজন্য নিয়মিত ডাবের পানি খেতে পারেন।
একটা স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রস্তুত করে খেতে পারেন
এজন্য পরিমাণ মতো পানিতে ২ চা চামচ দই এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো এক চিমটি হিং ও পরিমাণ মতো কারি পাতা দিয়ে সামান্য নুন দিয়ে পানিটা ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। পাতলা পায়খানা হওয়ার থেকে তিন দিন পর্যন্ত এই পানীয়টি দিনে ২ থেকে ৩ বার পান করুন।
কাঁচা পেঁপে
পাতলা পায়খানার কমাতে একটা আদর্শ উপাদান হলো কাঁচা পেঁপে। তাছাড়াও পেট ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে কাঁচা পেঁপে অনেক সাহায্য করে।
নিয়মঃ
তিন কাপ পানিতে পরিমাণ মতো কাঁচা পেঁপে দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ও পানিটি হালকা গরম অবস্থায় ছেঁকে পান করুন। যতক্ষণ না আপনি নিজেকে সুস্থ অনুভব করছেন ততক্ষণ একটু পর পর এই পানি পান করতে থাকুন।
মার সমৃদ্ধ খাবার
পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ও পেট ব্যাথা থেকে আরাম পেতে আপনি মাড় সমৃদ্ধ যে কোন খাবার খেতে পারেন। যেমন সেদ্ধ আলু, রান্না করা গাজর, মারি ভাত, ও স্বাভাবিক রান্না করা সাদা ভাত ইত্যাদি।
শুকনো আদার পাউডার
আদতে রয়েছে এন্টি ফাঙ্গাস ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা পাতলা পায়খানা বন্ধ করার পাশাপাশি পেট ব্যথা ও পেটের কামড় দূর করতে সাহায্য করে।
নিয়মঃ
এক গ্লাস ঘোল বা পানিতে হাপ চামচ শুকনো আদার পাউডার মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন এটা খেলে দুইদিনে আপনার পাতলা পায়খানা কমে যাবে।
ক্যামোমিল চা
পেটের চিকিৎসায় ক্যামোফ্লাজ ফুল দিয়ে বানানো চা খুবই কার্যকরী। এবং এটা আপনার পাচনতন্ত্রের উন্নতির পাশাপাশি পাতলা পায়খানা কমাতে অনেক সাহায্য করে। বাজারে সহজেই ক্যামোমিল চা ব্যাগ পাওয়া যায়। এই চা ব্যাগ দিয়ে আপনি এক কাপ চা সহজেই বানিয়ে খেতে পারেন।
আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ভেষজ চা খেতে চান তাহলে...
১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ পুদিনা পাতা ও ক্যামোমিল ফ্লাওয়ার দিয়ে ফুটিয়ে চা বানিয়ে তা পান করতে পারেন। এটা হজমের সমস্যা থেকে ভালো আরাম দেয়।
বিশ্রাম নিন
পাতলা পায়খানা হলে পেটে অনেক ব্যথা হয় ও পুরো শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। যার জন্য একটু বেশি বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।
- একেবারে বেড রেস্ট নেওয়ার চেষ্টা করুন তাহলে খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
- বিছানায় থাকা অবস্থায় হালকা লবণ দিয়ে গরম স্যুপ খেতে পারেন এতে অনেকটা আরাম পাবেন।
- আর যদি পেট ব্যথা বেশি অনুভব করেন তাহলে পেটে হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি খুব বেশি পাতলা পায়খানার সমস্যায় ভুগেন তাহলে উপরে দেওয়া উপায়গুলো বানিয়ে তৈরি করে দেখুন এবং নিয়ম আকারে খেতে থাকুন। তাহলে ভালো ফল পাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবেনা।
পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না
আমাদের মধ্যে প্রায় সবাই জানেন যে পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা।যদি আপনি এই বিষয়ে কিছু না জেনে থাকেন, তাহলে জেনে নিন আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে। পাতলা পায়খানা চলাকালীন ঘরোয়া কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা।
- মদ্যপানঃ পেটের যেকোনো সমস্যায় বা পাতলা পায়খানা হলে বিরত থাকুন মদ্যপান করা থেকে। এটি খেলে হজমশক্তি বেড়ে যায় যা পায়খানা চলাকালীন মোটেও ঠিক না। এজন্য পাতলা পায়খানা হলে মদ্যপান পরিহার করুন।
- দুধঃ পাতলা পায়খানা হলে যে কোন দুগ্ধ বা গন্ধ জাতীয় খাবার খাবেন না যেমন মাখন, দুধ, পনির, ডিম, চিজ ইত্যাদি এসব খাবার পরিহার করুন। দুধ পেটের গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে ও হজমের সমস্যা করে এজন্য এগুলো না খাওয়াই ভালো।
- তৈলাক্ত ও ঝাল খাবারঃ পাতলা পায়খানা হলে অতিরিক্ত ঝাল তেল মশলা খাবার এড়িয়ে চলুন। কেননা ডুবো তেলে ফ্রাই বা ঝাল খাবার খেলে পেটের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
- কফি বা চাঃ পাতলা পায়খানা হলে কফি বা চা পেটের জ্বালা বাড়াতে পারে। এ জন্য এই সময় কফি বা চা এড়িয়ে চলুন। তবে এর বদলে আপনি আদা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। পাতলা পায়খানা হলে এই চা আপনার উপকারে আসবে।
- বাজারকৃত জুসঃ পাতলা পায়খানা চলাকালীন যে কোন বাজারকৃত জুস খাবেন না। কারণ বাহিরে জুসে নানা ধরনের কেমিক্যাল অ্যাসিড ব্যবহার করে। যা এই সময় শরীর ও পেটের জন্য ভাল নয়। আপনি বাহিরে জুসের পরিবর্তে বাসায় বানানো ডালিমের জুস, কমলার জুস, তরমুজের জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের অনেক উপকার হবে।
- বাইরের খাবারঃ পাতলা পায়খানা হলে বাইরের কেক, মিষ্টি, যেকোনো ধরনের বিস্কুট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।পাতলা পায়খানা হলে বাইরের কোন খাবার খাওয়াই উচিত নয়। এই ধরনের খাবারগুলো খেলে পাতলা পায়খানা দীর্ঘ ধরে থাকতে পারে।
পাতলা পায়খানা হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
পাতলা পায়খানা হলে শারীরিকভাবে আমরা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যাই। আর অনেক চিন্তা করি যে কোন জিনিসটা খাওয়া যাবে আর কোন জিনিসটা খাওয়া যাবেনা। পাতলা পায়খানা হলে আমাদের দেহ থেকে নানা প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। যা আমাদেরকে শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল করে তোলে।
আমরা অনেক সময় পাতলা পায়খানার ওষুধ খাওয়ার পরেও ভাবি যে কি ফল খেলে পাতলা পায়খানা থেকে আরাম পাওয়া যাবে। এবং আমাদের শরীরের দুর্বল কাটাতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নেই ফলগুলো কি কি।
- ডালিমঃ পাতলা পায়খানা চলাকালীন ডালিমের রস অনেক উপকারী। প্রতিবার পায়খানা হওয়ার পরে যদি ডালিমের রস খাওয়া যায় তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে ডালিম ফলটি অনেক সাহায্য করে।
- কাঁচা কলাঃ পাতলা পায়খানা হলে আমাদের সবারই উচিত কাঁচা কলা খাওয়া। কেননা কাঁচা কলা পায়খানা বন্ধ করতে অনেক সাহায্য করে। কাঁচা কলায় সিদ্ধ করে ভর্তা খেলে বা কাঁচা কলার তরকারি রান্না করে খেলে পাতলা পায়খানা সেরে যায়।
- তরমুজঃ তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা এই অবস্থায় শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে। পাতলা পায়খানা হলে তরমুজ খাওয়াও অনেক জরুরী।
- লেবুঃ পটাশিয়ামে ভরপুর হলো লেবু। পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে লেবু অনেক সহায়তা করে। প্রতিবার পায়খানা হওয়ার পরে লেবুর রস করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ডাবের পানিঃ স্যালাইন খাওয়ার পাশাপাশি ডাবের পানিও খেতে পারেন। পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইনের মতোই বিকল্প হতে পারে ডাব বা ডাবের পানি।
- পেঁপেঃ পাতলা পায়খানা হলে আমাদের শরীর থেকে যেহেতু খনিজ ও লবণ পানি বের হয়ে যায়। এজন্য সেগুলোর ঘাটতি পূরণ করতে অত্যান্ত জরুরি পেঁপে খাওয়া। বিশেষ করে পাকা পেঁপে খেলে বেশি উপকার। পেঁপেতে রয়েছে পটাশিয়াম যা পায়খানা চলাকালীন সময়ে শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।
- আনারসঃ পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে আনারস দারুন সহায়ক হতে পারে। এজন্য এই সময়ে কিছু পরিমাণ আনারস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- ফলের রসঃ ডালিম, ডাব, তরমুজ, ও কমলা জুস আপনার শরীরের পানির পরিমাণ এর মাত্রা ঠিক রাখবে। এই ফলগুলো দিয়ে আপনি বাসায় জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এগুলোর জুস খেলে মাথা ঘুরানো ও শরীর দুর্বল কমে যাবে।
- আলুঃ আলু সিদ্ধ করে গোল মরিচের গুঁড়ো ও সামান্য নুন দিয়ে চটকে ভর্তা বানিয়ে খেলে পাতলা পায়খানা কমে যায়। এজন্য চেষ্টা করুন আলুর ভর্তা বা তরকারি খাওয়ার।
- খিচুড়িঃ পাতলা পায়খানা হলে বাইরের ভাজাপোড়া বা কোন ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো। এই সময়ে বাড়িতে মুগ ডাল দিয়ে নরম করে খিচুড়ি বানিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। এভাবে খিচুড়ি বানিয়ে খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। এবং পাতলা পায়খানা কমাতেও সাহায্য করে।
পাতলা পায়খানা হলে কি চিড়া খাওয়া যাবে
আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসে যে পাতলা পায়খানা হলে কি চিড়া খাওয়া যাবে। এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর হল অবশ্যই চিড়া খাওয়া যাবে। কিন্তু চিড়া পানি দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রেখে নরম হয়ে গেলে তারপর খাওয়া যাবে। চিড়া পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এজন্য পাতলা পায়খানা হলে চিড়া অবশ্যই খাওয়া উচিত।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম এবং কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সহ পাতলা পায়খানা বিষয়ক সমস্ত তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপরের উল্লেখিত বিষয়বস্তুগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এবং আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এমনই স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url