যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় - ক্রিমের নাম ও ঔষধ

  রানের চিপায় চুলকানি, দাউদ দূর করার ক্রিম, মলম ও করণীয়যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় ও যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। আপনারা যারা চুলকানিতে ভুগছেন এবং চুলকানি বিষয়ক তথা চুলকানি ভালো করার তথ্য গুলো জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।

যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়

এই চুলকানি সম্পর্কিত সকল খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি নিচের দেওয়া তথ্য গুলো অনুসরণ করলে খুব জলদি আপনার চুলকানি সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ভূমিকা

অনেকেই এই চুলকানির সমস্যায় ভুগেন আর এই চুলকানি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। বিশেষ করে দুই রানের চিপায় ও যোনিতে এই চুলকানি হয়ে থাকে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো জানার চেষ্টা করে থাকে এছাড়াও এই চুলকানি ভালো করার ক্রিম, মলম ও ঔষধ সম্বন্ধেও জানার আগ্রহ পোষণ করে। সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা চুলকানি সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছে। নিচের দেওয়া তথ্য গুলো পড়ে বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নিন।

যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়

যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়

আমাদের দেশে এমন অনেক মেয়ে আছেন যাদের যোনিতে যে কোন ধরনের চুলকানি বা অন্যান্য সমস্যা হলে তারা তা লজ্জায় চেপে রাখে। যার জন্য অস্থিরকর এবং কষ্টদায়ক একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যোনিতে সংক্রমণ অথবা এনার্জি যে কোন সমস্যা হোক না কেন একটু সচেতন হয়ে থাকলে এই সমস্যাগুলো দ্রুত দূর করা সম্ভব।
তবে চুলকানি অতিরিক্ত হলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও ঔষধ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলেও সেবন করলে চুলকানি সহজে দূর করা যায়। তো আসুন বন্ধুরা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেই যোনিতে চুলকানি হলে করণীয়। যৌনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়। এবং যোনিতে চুলকানির ঔষধ ও ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত।

যদি আপনার যোনিতে চুলকানি অথবা সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে এতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এজন্য আতঙ্কিত না হয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে জানতে পারবেন যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

  • এলোভেরাঃ অ্যালোভেরা জেল টি অনেক শীতল এবং ময়শ্চারাইজিং যা চুলকানির স্থানে সামান্য লাগিয়ে রাখলে প্রশান্তি পাওয়া যায়।
  • দইঃ চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে দই অনেক কার্যকারী। কেননা প্রোবাটোটিক সমৃদ্ধ দই যৌন উদ্ভিদ পুণরোক্ষায় করতে অনেক সাহায্য করে। এজন্য মিষ্টি দই যোনিতে লাগাতে পারেন। এতে যৌনের জ্বালা এবং চুলকানি দুটো থেকে রেহাই দিবে।
  • বরফঃ তাৎক্ষণিক চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে ফ্রিজের ঠান্ডা বরফ যোনিতে লাগিয়ে লাগিয়ে সেঁক দিতে হবে। এই চুলকানি সমস্যা যখন রাতের বেলা বেশি তীব্র হয় তখন এই প্রতিকারটি ব্যবহার করলে অনেক বেশি কার্যকরী ফল পাওয়া যাবে।
  • আপেল সাইডার ভিনেগারঃ দুই চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার হালকা গরম পানির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হবে। এর প্রতিকারটি দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলে চুলকানি কমতে শুরু করবে।
  • নুন পানি দিয়ে গোসলঃ বাথটাবে অথবা গোসলের পানিতে ৪ চামচ নুন দিয়ে মিশিয়ে ওই পানি নিজের শরীরে দিয়ে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। টানা এক সপ্তাহ এভাবে গোসল করলে যৌনাঙ্গের চুলকানি সহ শরীরের চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।
  • বেকিং সোডাঃ বেকিং সোডা চুলকানি দূর করতে অনেক কার্যকারী। এজন্য আপনার গোসল করার পানিতে ২ চামচ বেকিং সোডা দিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে সেই পানি শরীরে কিছুক্ষণ রেখে ভালোভাবে গোসল করে নিন। তাহলে চুলকানি সমস্যা থেকে আস্তে আস্তে রেহাই পাওয়া যাবে।
  • চা গাছের তেলঃ ক্যারিয়ার অয়েল টা গাছের তেলের সাথে মিশিয়ে চুলকানি হওয়ার স্থানে লাগান। কেননা এটি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ফাঙ্গাস যুক্ত। যার জন্য এটি ব্যবহার করলে চুলকানি দ্রুত কমে যাবে।
  • নারকেল তেলঃ এন্টি ইনফ্লমেটরি এবং এন্টি ফাঙ্গাস রয়েছে নারকেল তেলের। তাই চুলকানি দূর করতে যৌনাঙ্গে অল্প পরিমাণে নারকেল তেল লাগান। এতে আপনি চুলকানি খুব সহজে দূর করতে পারবেন।
  • ওটস মিলের ব্যবহারঃ আপনার যদি চুলকানির কারণে বিরক্তকর ও অস্বস্তিকর লাগে। তাহলে এই সমস্যা থেকে আপনাকে ওটস মিল আরাম পাইয়ে দেবে।
  • কোল্ড কমপ্লেক্সঃ কোল্ড কমপ্লেক্স চুলকানির হওয়ার স্থানে ব্যবহার করলে তা প্রদাহ কমিয়ে আপনাকে প্রশান্তি দিয়ে থাকবে।
  • স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনীঃ আপনাকে চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। এবং আরাম দায়ক এবং সুতি কাপড় পরিধান করতে হবে। অ সুগন্ধি যুক্ত পণ্য ব্যবহার করা যাবে না এটি এড়িয়ে চলুন এবং সর্বশেষ হাইড্রেটেেড থাকুন।

যোনিতে চুলকানি হয় কেন

যোনিতে চুলকানি হয় কেন

নানা সমস্যায় মেয়েরাই বেশিরভাগ ভুগে থাকেন। তার মধ্যে একটা কমন অসুখ হলো যৌনাঙ্গের চুলকানি ও ফাঙ্গাস। এটি খুব বিব্রতকর সমস্যা। ৫ বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে ৬০ বছর পর্যন্ত এই সমস্যা প্রায় অনেক মহিলায় ভুগে থাকেন। এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে প্রত্যেক ৪ জন মেয়ের মধ্যে ৩ জনই ছত্রাক ও বাইন্ট আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
যোনিতে নানা কারণে চুলকানি হতে পারে সেগুলোর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ হলো

  • ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজভনোসিস সংক্রমণ হলো যৌনাঙ্গে চুলকানি হওয়ার অন্যতম কারণ। যখন এই ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করে তখন ওই যৌনাঙ্গে চুলকানি অথবা ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
  • candida albicans ছত্রাক টির কারণে মূলত যৌনাঙ্গে চুলকানি সমস্যা হয়ে থাকে। পর যে বি হিসেবে মেয়েদের যৌনাঙ্গে এই ছত্রাকটি বসবাস করে। তাদের জন্মের জন্য ইস্ট গুলো অনুকূল পরিবেশ পায়ে যার ফলে যোনিতে চুলকানি দেখা দেয়।
  • পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর প্যাড অথবা কাপড় ব্যবহার করলে যৌনিতে চুলকানি সৃষ্টি হয়।
  • একজিমা রেনাল ডিজিজ ডায়াবেটিস এবং রক্তে যেকোনো রোগ থাকলে ও যোনিতে চুলকানি হয়।
  • বিভিন্ন সুগন্ধিযুক্ত সাবান কেমিক্যাল রংওয়ালা টিস্যু পেপার ডিটারজেন্ট স্প্রে ব্যবহার করলে যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়।
  • সেক্সচুয়ালি ডিসিজ যেমন এডিটস গনোরিয়া সিফিলিস ইত্যাদির কারণে ও যোনিতে চুলকানি বা ইটিং হতে পারে।
  • তাছাড়াও জমিতে মাইক্রোপ্রজেমা ও খোসপাচরা এবং জেনেটালিয়াম ও সংক্রমণ হলে যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়।
  • মনোপজের পর মেয়েদের ইস্টোজেন নামক হরমোন কমে যায় যার। কারণে যৌনি শুকিয়ে যায় ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় এবং এর জন্যই যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়।

যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম

যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম

চুলকানি এমন একটা সমস্যা যা যে কারোই যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় হতে পারে। অনেক মেয়েরা আছেন যাদের যোনিতে চুলকানি সমস্যা হওয়ার পরও কারো সাথে শেয়ার করতে পারেনা লজ্জার কারণে। চুলকানি দূর করার আসল উপায় কি। কিভাবে যৌনির চুলকানি দূর করা যায় এই বিষয়ে অনেকে জানতে চান।
যোনিতে চুলকানি মূলত শুরু হয় ছত্রাকের কারণে। যদি যোনিতে কোন ধরনের ছত্রাক ও আক্রমণ করে তাহলে সেই আক্রান্ত জায়গায় থেকে অতিরিক্ত চুলকানি শুরু হয়। যৌনাঙ্গের যে ছত্রাকের কারণে চুলকানি শুরু হয় সেই ছত্রাকের নাম হলো Candida Albicans এটি পরজীবী হিসেবে ছত্রাকটি মেয়েদের যৌনাঙ্গে বাস করে। কিন্তু মেয়েদের যৌনাঙ্গে এই ছত্রাকটি কোন বড় বংশবিস্তার করতে পারে না। কারণ যৌনাঙ্গে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে যা ছত্রাক কে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। এই ব্যাকটেরিয়ার নাম হলো ল্যাকলোব্যাসিলাস।

অনেক সময় বিভিন্ন কারণে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যায়। যার জন্য যৌনিতে ইনফেকশনও অতিরিক্ত চুলকানির সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্য ডাক্তাররা এই চুলকানি দূর করার জন্য যৌনিতে ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যৌনাঙ্গে চুলকানি দূর করার জন্য নিচে কিছু ক্রিমের নাম উল্লেখ করা হলো।

মাইক্রোনাজল ক্রিম

ক্যানডিডা অ্যালবিক্যানস নামে ছত্রাক এর সংক্রমণ দূর করতে এই ক্রিমটি অনেক কার্যকরী। যৌনিতে চুলকানির সমস্যা এই ক্রিমটি ব্যবহার করা হয়।

ক্লোটিমাজল ক্রিম

ক্লোটিমাজল ক্রিম টা আসলে ক্যানডিডা অ্যালবিক্যানস নামক ছত্রাকের সংক্রমণ রোধ করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ক্রিমটি দিনে একবার করে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

টেট্রাসাইক্রিন ক্রিম

ব্যাকটেরিয়াল ও ভ্যাজইনোসিস নামক ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ রোধ করতে এই ক্রিমটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দিনে দুইবার করে টেট্রাসাইক্রিন ক্রিমটি ব্যবহার করা হয়।

হাইড্রোকোরটিসোন ক্রিম

হাইড্রোকোরটিসোন ক্রিমটি প্রদাহ কমাতে অনেক কার্যকারী। এটি দিনে দুইবার করে সপ্তাহে সাত দিন ব্যবহার করা হয়।

কোটিসোন ক্রিম

এই ক্রিমটা পদাহ কমাতে অনেক সাহায্য করে।এটি দিনে দুইবার করে টানা কয়েকদিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।

নিচে আরো কিছু যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম দেওয়া হল

  • steroid cream
  • pevisone cream
  • Lidocaine cream
  • clobestasole cream

যৌনিতে চুলকানি হলে উপরোক্ত ক্রিম গুলো ব্যবহার করা পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যোনিতে অতিরিক্ত চুলকানি হলে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন না। কারণ এটা একটা কোমলয় স্থান যৌনাঙ্গ যা অনেক ধরনের অনেক সময় অ্যানার্জি অথবা ছত্রাক কে বা অন্য কোন প্রদানের জন্য যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে।

যোনিতে চুলকানি হলে ঔষধ

যোনিতে চুলকানি হলে ঔষধ

যৌনাঙ্গে ছত্রাকের সংক্রমণ হলে চুলকানি সমস্যা দেখা দিতে পারে। যোনিতে অতিরিক্ত চুলকানি হলে ক্রিমের পাশাপাশি ঔষধ ও সেবন করা যেতে পারে। যেমন

  • fluconazole
  • tioconazole
  • clotrimazole
  • miconazole
  • ketoconazole
  • loratadine
  • fexofenadine

এগুলো ঔষধ সেবন করলে যৌনাঙ্গের চুলকানি দ্রুত সেরে যেতে পারে

যোনিতে চুলকানি হলে করনীয়

যোনিতে চুলকানি হলে কি কি করনীয় তা নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার কমাতে বাথরুম ব্যবহার করার পর সব সময় সামনে ও পেছনের দিক দ্রুত করুন।
  • এবং আপনার পরিধানের কাপড় ধোয়ার জন্য ডিটারজেন্ট এড়িয়ে চলুন।
  • স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পানি পান করুন। যৌনি শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে এবং যৌন টিস্যু বজায় রাখতে এটি অনেক সাহায্য করে।
  • সুতি এবং পাতলা কাপড় পরিধান করুন। এতে করে হাওয়া বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং আদ্রতা কমাতে অনেক সাহায্য করবে।
  • অল্প খামির সংক্রমের জন্য সাপোজিটরি বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই প্যাকেজের নির্দেশনাবলী গুলো অনুসরণ করে ব্যবহার করবেন।
  • প্রয়োজন ছাড়া ডুশ ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ব্যবহার করবেন না।
  • দই বেশি বেশি খান এতে ল্যাকটোব্যামিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে।
  • নিয়মিত গোসল করুন।
  • অতিরিক্ত ওজন থাকলে সেটা কমান।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • প্রতিদিনের অন্তঃবাস নিয়মিত ধুয়ে রোদে শুকাতে দিন যাতে করে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়।
  • রাসায়নিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
  • আটসাট পোশাক পড়বেন না।
  • ঘাম বেশি পরিমাণে হলে পোশাক বদলাতে থাকুন। চাপ নেওয়া থেকে দূরে থাকুন ও নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অনুশীলন করুন।

গর্ভাবস্থায় যোনিতে চুলকানি হলে করণীয়

নিচে কিছু ঘরোয়া সহজ ও কার্যকরী উপায় রয়েছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় যৌনাঙ্গে চুলকানি হলে এই প্রতিকার গুলো চুলকানি নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক সাহায্য করবে।

  • নরম ও সুতি কাপড়ঃ এই সময় এই ঢিলেঢালা সুতি কাপড়ের অন্তবাস পড়লে খুবই ভালো হয়। পাতলা এবং সুতি অন্তবাস এই সময় পড়লে অনেক আরামও প্রশান্তি পাবেন। খুব আটসাট বা টাইট অন্তবাস ও পায়জামা না পড়াই ভালো।
  • বরফ দিয়ে ঠান্ডা সেঁকঃ চুলকানি কমতে বরফ দিয়ে ঠান্ডা সে দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এজন্য মোটা সুতি কাপড়ে কয়েক টুকরা বরফ দিয়ে মুড়িয়ে যৌনাঙ্গে যে জায়গায় চুলকানির সমস্যা রয়েছে সেখানে চাপ দিয়ে ধরে থাকতে পারেন। অথবা সেঁক দিতে পারেন। চুলকানি না কমা পর্যন্ত এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চেপে চেপে সেঁক দিতে থাকুন তাহলে চুলকানি কমে যাবে।
  • বেকিং সোডাঃ যৌনাঙ্গে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া কমাতে বেকিং সোডা অনেক সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে একটি বড় গামলা নিয়ে তার তারপরে তাতে কুসুম গরম পানি দিয়ে এক থেকে দুই চামচ বেকিং সোডা দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপরে ওই গামলার মধ্যে এমন করে বসুন যেন আপনার দুইটি পা ফাঁকা হয়ে যায়। এবং যৌনাঙ্গে সেই সোডা মেশানো পানি সংস্পর্শে যায়। এবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট এভাবে বসে থাকুন। এর প্রতিকারটি দিনে দুইবার করলে গর্ভাবস্থায় যৌন চুলকানি কমে যেতে পারে।
  • মেন্থল যুক্ত ক্রিম লোশনঃ মেন্থল বা ক্যালামাইন যুক্ত ক্রিম যৌনাঙ্গের বাহিরে অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্যবহারে গর্ভাবস্থায় যৌন চুলকালে কিছুটা হলেও আরাম দিতে পারে। এটি গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
  • চুলকানোর বিকল্প নিয়মঃ আসলে চুলকানীর তাড়না দমিয়ে রাখাটা অনেক কঠিন। চুলকানি স্থানে চুলকালে কিছুক্ষণ আরাম পাওয়া যায়। তারপর কিন্তু সেই আবার চুলকাতে ইচ্ছা করে। এজন্য চুলকানি হওয়ার স্থানে চুলকালে এর তাড়না আরো বেড়ে যায়। এভাবেই চুলকানির সাথে লেগে থাকলে চুলকানির স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং সেই ক্ষতে ইনফেকশন ঘটাতে পারে।

এজন্য যৌনাঙ্গে অতিরিক্ত চুলকানি উঠলেও সেখানে না চুলকানোর চেষ্টা করুন। এবং দমিয়ে রাখুন আপনি চুলকানোর বদলে সেই চুলকানির স্থানে হাতের তালু দিয়ে আলতো করে নাড়তে পারেন। ইনফেকশন ও আঘাত থেকে রক্ষা পেতে হাতের নখ ছোট করে কেটে রাখার চেষ্টা করুন ও নখ পরিষ্কার ও মসৃণ রাখুন।
যৌনাঙ্গের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য শরীরে নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। এজন্য আলাদাভাবে বাহির থেকে পরিষ্কার করার কোন প্রয়োজন হয় না। বরং সাবান অথবা কোন সুগন্ধি ও অন্য কিছু দিয়ে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করতে গেলে হিতের বিপরীত হতে পারে। এমন কি ইনফেকশন হতে পারে। এজন্য আলাদা করে সাবান বা অন্য কিছু দিয়ে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করতে যাবেন না।

  • যোনিতে শাওয়ার জেল, সাবান, সুগন্ধি জাতীয় ওয়াস বা ডুশ ব্যবহার করবেন না। এগুলো থেকে এড়িয়ে চলুন। এবং সুগন্ধ জাতীয় ওয়েব টিস্যু ও পারফিউম্য ব্যবহার করবেন না
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যে কোন ধরনের অ্যান্টিফাঙ্গাল ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না।
  • পায়খানা ও প্রশাব সেরে পরিষ্কার করার সময় পায়ুপথের দিক থেকে যোনির দিক পর্যন্ত সম্পূর্ণ পরিষ্কার করুন। এটি পায়ুপথ থেকে যৌনাঙ্গের ব্যাকটেরিয়া ছাড়ানো সম্ভাবনা রোধ করতে সাহায্য করবে।
  • ছত্রাক খুব সহজেই স্যাঁতস্যাঁতে ও ভজা স্থানে বংশবৃদ্ধি করে এজন্য সব সময় যৌনাঙ্গ পরিষ্কার এবং শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। পায়ু পথ থেকে যৌনাঙ্গ পর্যন্ত বাহিরের অংশটুকু ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। যেকোনো কারণে কাপড় ভিজে গেলে তা দ্রুত পরিবর্তন করুন।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ছিল যৌনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়াভাবে কি কি উপায়ে চুলকানি ভালো করা যায় ও এই চুলকানি কেন হয় এবং এই চুলকানির ক্রিম, ঔষধ নিয়ে। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করে এই চুলকানির বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং এই চুলকানি ভালো করার ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে পেরেছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url