পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় - লক্ষণ, করণীয়
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ - কিডনি পাথরের লক্ষণপায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায়, পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে এই পোস্টে স্বাগতম।
আমরাই পোষ্টের মাধ্যমে জানাতে চলেছি কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এটি কিসের লক্ষণ আর এই সমস্যা হলে কি কি করণীয় সে বিষয়ে। তাই এই বিষয়গুলো জানতে হলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
পায়খানার সাথে রক্ত পড়া সমস্যাটি প্রায় সকল বয়সের মানুষেরই হয়ে থাকে এবং এটি নারী পুরুষ উভয়দেরি এই সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা নিয়ে এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই এটি মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যর জন্য হয়ে থাকে। পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়ার কারণ, লক্ষণ ও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের বিষয়গুলো আমরা বিস্তারিত এই প্রশ্নের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। তাই বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায়
পায়খানার সাথে রক্ত বিভিন্ন কারণে যেতে পারে আর প্রায় সব বয়সী মানুষের এই সমস্যাটা কম অথবা বেশি হয়ে থাকে। পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া দেখলে বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় জানা থাকলে সহজে রক্ত পড়া থেকে পরিত্রাণ পাবেন। পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় গুলো নিচের অংশগুলো পড়ে জেনে নিন।
- উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খানঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা প্রায় সব মানুষের হয়ে থাকে, যদি আপনার মল নরম হয় তাহলে এই পায়খানা দিয়ে রক্ত পড়া দূর হয়ে যাবে। এজন্য আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণ খেতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ পায়খানার দ্বার দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার আরো একটি উপায় হল প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। যখন আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করবেন তখন আপনার মল অনেক নরম হবে আর নরম পায়খানা করলে আর মলদ্বার দিয়ে রক্ত আসার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।
- পায়খানার সময় কোথ দিয়া বন্ধ করুনঃ পায়খানা করার সময়ে অনেক মানুষ আছে যারা বেশি কোথাকুতি থাকে যা মোটেও করা ঠিক নয়। কারণ পায়খানা করার সময় বেশি পরিমাণ কোথাকুতি করলে মলদ্বারের শিড়া ছিড়ে যেতে পারে এবং সেখান থেকে রক্ত বের হতে পারে। এজন্য যতটুকু পায়খানা স্বাভাবিকভাবে হয় ততটুকু করাই উচিত বেশি পেসার দেওয়া ঠিক হবে না।
- ফল ও শাকসবজি খানঃ প্রচুর পরিমাণে সুষম ফল ও সবুজ শাক সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। শাকসবজি খেলে মল অনেক নরম হয় এবং পায়খানা সহজে ক্লিয়ার হয়। এজন্য চেষ্টা করুন খাবারের তালিকায় নিয়মিত ফল ও শাকসবজি রাখার।
- তামাক জাতীয় ও অ্যালকোহল ত্যাগঃ তামাক জাতীয় যেমন পান, সিগারেট এবং অ্যালকোহল কোমল পানীয় জাতীয় জিনিস সম্পন্নভাবে পরিত্যাগ করুন।
- পরিমাণ মতো নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে খাবার গ্রহণ করুনঃ যে কোন খাবার পরিমাণমতো গ্রহণ করুন খাবার গ্রহণের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করুন।
- মানসিক চাপ দূর করুনঃ মানসিক চিন্তা থেকে মুক্তি থাকুন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকুন। প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
পায়খানা করার সময় রক্ত যাওয়া বা পায়খানার রং ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পায়খানার সাথে রক্ত কিসের লক্ষণ
অনেকে হয়তো জানে না যে পায়খানার সাথে রক্ত কিসের লক্ষণ। প্রায় সব বাড়িতে কমবেশি এই সমস্যাটা দেখা যায় যারা কিনা এই সমস্যার জন্য চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ করতে চাই না। আজকে আপনাদের এই বিষয়ে সকল তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। পায়ুপথে রক্ত আশার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা যেটা দেখা যায় সেটা হল পাইলস।
পাইলস সমস্যার জন্য মানুষের পায়ুপথের সাথে রক্ত আসে এবং রক্তের পরিমাণ অনেক হতে পারে। যার জন্য রক্তশূন্যতা দেখা দেয় মানুষের শরীরে। আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন মাথা ঘোরা, শরীর দুর্বলতা, খাবারের প্রতি অরুচি ভাব দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনার যখনই মলের সাথে রক্ত যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা দিবে তখনই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার পাইলসের সমস্যা হয়েছে।
যারা সব সময় স্বাভাবিক ও সুস্থ রয়েছে তাদের বেশি সম্ভাবনা নেই মনের সাথে রক্ত পড়ার। কিন্তু আপনার দেহে যদি কোন বড় ধরনের রোগ বাসা বাঁধে ঠিক তখনই এই সমস্যা বেশি শুরু হয়ে যায় এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যাদের প্রথমবার পাইলসের সমস্যা হয় তাদের খাদ্যর পরিবর্তনের জন্য প্রায় মাঝে মাঝেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এখন আধুনিকতার সাথে যেভাবে অপারেশন করা হচ্ছে এমন ভাবে অপারেশন করলে কোন ধরনের রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং এই পাইলসের সমস্যা থেকে রোগীরা খুব সহজে মুক্ত হতে পারে। যদি আপনার এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনাকে নরম ধরনের খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। এছাড়াও শরীরে বেশি রেস্ট দিতে হবে তাহলে দেখবেন যে আপনার এই সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
যদি পাইলসের সমস্যা হয় তাহলে মলদ্বার অনেক ব্যথা করে এজন্য আপনাকে চিকিৎসকের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করতে হবে। আর সে অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে অথবা যদি আপনি চান তাহলে সাপোজিটরি ব্যবহার করতে পারেন এবং স্বাভাবিক মেডিসিন খেতে পারেন। তাহলে মেডিসিনের মাধ্যমে আপনার এই বাজে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
তবে আরেকটা কথা পায়ু পথের সাথে রক্ত আসা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে যেমন রক্ত ক্ষরণ হলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর যাদের ক্যান্সার হয় তাদের পায়খানা করার সময় তাদের মলের রং অন্যরকম হয় এবং সাথে রক্ত বের হয়। যখন দেখবেন যে আপনার মনের রংটা অন্যরকম তখন বুঝতে হবে যে আপনার পাইলস সমস্যা নাই আপনার শরীরে অন্য কোন সমস্যা হয়েছে।
এজন্য আপনাকে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করতে হবে। আর যারা এ ধরনের মানুষ আছেন যে এগুলো বিষয়ে এত ভাবেন না বা গুরুত্ব দেন না তাদের কিন্তু বড় ধরনের কোন রোগ হয়ে যেতে পারে এবং সেটা মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। এজন্য সব মানুষের উচিত সকল অসুখ-বিসুখ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
হঠাৎ পায়খানার সাথে রক্ত
পায়ুপথে অথবা মলের সাথে রক্ত বের হওয়া বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিলে চলবে না। সাধারণভাবে পাইলস সমস্যা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এই রক্তপাত মলের সাথে অনেক সময় কালো রংয়ের পিচ্ছিল রক্ত যায় তবে এটা তাদের কোন রক্ত নয়। সাধারণত পাকস্থলী থেকে রক্ত ক্ষরণ হলে তা পায়ুপথে সাথে কালো রং ধারণ করে।
- পাইলসঃ পাইলস এর অন্যতম লক্ষণ হল রক্তক্ষরণ যা যে কোন বয়সের মানুষের মলের সাথে তাজা রক্ত বের হয়। কিন্তু বিশেষ করে মধ্য বয়সের মানুষদের এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয় এবং গর্ভবতী অবস্থায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য অনেক সময় দেখা দেয়। গর্ভবতী অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। এটা প্রথম অবস্থায় ফিনকি বা ফোঁটা ফোটা পায়ুপথ দিয়ে তাজা রক্ত যায়। যদি আপনার পাইলস হয় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে আর এর জন্য ওষুধ রয়েছে এই সমস্যার আকার জটিলতা হলে শল্য চিকিৎসা করতে হবে।
- অ্যানাল ফিশারঃ পায়খানা করার সময় অনেক রক্তক্ষরণ সহ ব্যথা হয় তা ফিশারের জন্য হয়েছে বলে ধরা চলে। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য পায়ুপথের শিড়া ছিড়ে গেলে এই সমস্যা হয়। এতে করে অনেক সংক্রমণ হতে পারে আর এই সমস্যার বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যেমন ওষুধ পানি দিয়ে সেক বা ক্রিম চিকিৎসা রয়েছে।
- রেকটার পলিপঃ বাচ্চাদের বেশি এই সমস্যাটি হয় এটিও প্রায় পাইলস স এর মত। পায়ুপথের সাথে তাজা রক্ত যাওয়া এবং গোটা গোটা পিণ্ড বের হয়ে আসা। সার্জারি করে পলিপ সারানোর প্রয়োজন হয়।
- রেকটাল ক্যান্সারঃ ৪০ বছরের পর কোন মানুষের যদি ক্যান্সার হয় তাহলে রেকটাল ক্যান্সার বেশি হয়। পায়ুপথের রক্তক্ষরণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা ইত্যাদি হতে পারে এর লক্ষণ। পায়খানার সাথে রক্ত বের হলে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করুন এবং পরীক্ষা করে শিওর হয়ে নিন।
পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের উপসর্গ। তবে সকল মানুষের প্রতিটা বিষয়ে জেনে রাখা বা ধারণা থাকার খুব দরকার। কারণ এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো জানা না থাকলে অনেক মানুষের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য প্রায় সকল মানুষের কিছু কিছু বিষয়ে রাখাটা প্রয়োজন।তাই আপনাদের সুবিধার্থে এবার আমরা পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে কি কারণে সেই বিষয়ে সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বাথরুমের সাথে রক্ত পড়া সমস্যা যাদের রয়েছে তারা বাসায় বসে থাকবেন না যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিন। অনেক সমস্যা ছোট থেকেই অনেক বড় আকার ধারণ করে যা মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। পুরুষের বিভিন্ন কারণে পায়খানার সাথে রক্ত বের হতে পারে এবং অনেকের পাইলসের সমস্যা ও থাকতে পারে, এজন্য তাদের পায়খানার সাথে রক্ত বের হতে পারে।
মানুষ বিভিন্ন সময়ে অনেক ধরনের শক্ত খাবার খেয়ে থাকে ও অনেক মাংস খেয়ে থাকে যার কারণে পায়খানা করতে অনেক বেশি সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও একটা মানুষের যখন অতিরিক্ত পায়খানা শক্ত হয় তখনই তাদের পাইলস সমস্যা হয়ে থাকে, এবং পায়খানার সময় অনেক সমস্যা হতে পারে ও পায়খানার দ্বার দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।
যদি আপনাদের কারো এ ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুন। কারণ পাইলসের চিকিৎসা করলে আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন ও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন। এই সমস্যার সমাধান আপনি যদি না করেন তাহলে এই পাইলসের ছোট সমস্যাটা অনেক বড় ধরনের আকার ধারণ করতে পারে। মানুষ অনেক সময় এই সমস্যাগুলোতে ভোগেন কিন্তু সহজে চিকিৎসা নিতে চাই না।
তারা মনে করে হয়তো এগুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু না এগুলো যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে কিছুদিন পর আবার এই সমস্যাটি জেগে উঠবে। সেজন্য এই সমস্যাই আপনাদের চিকিৎসা নেওয়া জরুরী। আপনারা যদি এই বিষয়টাকে একটি ছোট বিষয় মনে করে চিকিৎসা না নেন তাহলে এখান থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ একটা ক্ষতস্থান যদি বারেবারে ক্ষত হয় তাহলে সেখানে ইনফেকশন হয় আর সেখান থেকে ক্যান্সার হওয়া একটা স্বাভাবিক বিষয়।
অনেক সময় যদি ভেতরের কোন ধরনের ক্যান্সার হয় অথবা যদি তাদের টিউমার হয়ে যায় তাহলে পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসা সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। পিত্তথলিতে টিউমার ও পিত্তথলিতে র পাথরও হয়ে যায়, এক কথায় পুরুষের যদি ভেতরে কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আগে পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার সিমটম টা আগে দেখা দেয়।
এজন্য যখন কোন পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত বের হওয়া শুরু করবে তখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সাথে এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এবং চিকিৎসকের নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয়
অনেক মানুষই বর্তমানে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাই ভুগছেন যার জন্য পায়খানার সাথে রক্ত যাচ্ছে। এই আর্টিকেলের এই অংশবিশেষে আমরা জানবো পায়খানার সাথে রক্ত গেলে করণীয় কি। তাহলে চলুন নিচে থেকে জেনে নিন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কি কি করণীয় রয়েছে।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ গ্লাস।
- পায়ুপথ পরিস্কার রাখুন।
- মলত্যাগের সময় বেশি কোত দেওয়া বা ফোর্স করা বন্ধ করুন।
- প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় নরম খাবার ও শাক-সবজি সহ ফলমূল খাবার চেষ্টা করুন।
- মলদ্বারের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি আইসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনার খাদ্য তালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন।
- ভেজা ওয়াইপ দিয়ে আপনার মলদ্বার পরিষ্কার করুন এতে চুলকানি থেকে আরাম পাবেন।
- মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
- আঁশযুক্ত খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহন করুন।
- সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ করুন ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- বেশি সময় ধরে টয়লেটে বসে থাকা থেকে বিরত থাকুন।
- নিয়মিত মলের রং ও অবস্থার পর্যবেক্ষণ করুন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য অবহেলা করবেন না।
দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে, গর্ভবতী অবস্থায়, ভারী কোন জিনিস তোলা, পায়খানার জন্য চাপ, পায়ুপথের স্থলতা এবং সঙ্গমসহ নানা কারণে হেমোরয়েড হতে পারে এবং যে কারোরই এই সমস্যা হতে পারে। পাইলস হিসেবে কখনো কখনো অ্যানাল ফিশার বিবেচিত হয়। পায়ুপথের কাছে ফেটে যাওয়া বা কেটে যাওয়াকে অ্যানাল ফিশার বলে। যদি আপনার মল খুব শক্ত হয় তাহলেও এটি ঘটতে পারে।
লেখকের মতামত
প্রিয় ভিউয়ার্স আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি মলদ্বার দিয়ে তাজা রক্ত পড়া কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে। উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ করেছেন এবং বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। আমরা এই ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট করে থাকি এমনই সকল স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url