পুরুষের ও মেয়েদের মুখের কালো দাগ এবং ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় কত হলে নরমালমুখের কালো দাগ দূর করার উপায় ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা মেয়েদের ও পুরুষের মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায় গুলো জানতে চান অথবা জানার জন্য এই পোস্টটি ওপেন করেছেন তাদেরকে স্বাগতম।
পুরুষের ও মেয়েদের মুখের কালো দাগ এবং ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

কারণ এই পোস্টে মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এই পোস্টটির তথ্যগুলো অনুসরণ করলে আপনার মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

ভূমিকা

মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ নিয়ে আমরা অনেকেই ভুগি সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। আর এই মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ ভালো করতে আমরা বিভিন্ন মেডিসিন যুক্ত প্রোডাক্ট যেমন ক্রিম, ফেসওয়াশ, মশ্চারাইজ ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। এতে করে ভালোর থেকে খারাপই বেশি হয়। আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া উপায়ে মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করা যায়। তাই বিষয়গুলো জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

একটা সুন্দর এবং উজ্জ্বল মুখ সবারই কাম্য। আমরা কেউই চাই না যে আমাদের ত্বকে কোন ধরনের দাগ বা স্পর্ট থাকুক। আমরা সবাই চাই যেন আমাদের ত্বকটা উজ্জ্বল কোমল মসৃণ ও নিখুত ত্বক হয়। বর্তমান সময়ের মেয়েরা ফর্সা ত্বকের জন্য মরিয়া হয় না। তারাও চায় তাদের ত্বক যেন উজ্জ্বল ফ্রেশ এবং নরম ঝলমলে হয়। আপনার অতি সুন্দর ত্বকে কালো দাগ আপনার ত্বকে সৌন্দর্য টাই নষ্ট করে দেবে। তাই চলুন জেনে নেই তোকে কালো দাগ দূর করার সহজ উপায় গুলো।
  • বাইরে থেকে আসার পরপরই ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে কয়েকটি বরফের টুকরা সুতি পাতলা কাপড় নিয়ে চোখে ও মুখে চারপাশে আসতে আসতে মাসাজ করুন। এতে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
  • ত্বকের কালো দাগ দূর করতে আলু অনেক বড় ভূমিকা পালন করে, মিছতার মত কঠিন দাগ ও দূর করে আলু। প্রথমে আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তারপরে আলুর স্লাইস করে কেটে মুখে হালকা করে মাসাজ করতে হবে। আলুর সাথে অল্প পরিমাণে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ত্বকে আলুর মাসাজ করলে ত্বকের কালো দাগ হালকা হতে থাকবে।
  • ভিটামিন ও সাইট্রিক এসিড রয়েছে কমলার খোসায়। ত্বকের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা অনেক সাহায্য করে। স্কাপ হিসেবে কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে বা ব্লেন্ড করে গুড়ো করে ত্বকের স্ক্রাব বানানো যায়। আরো ভালো হয় যদি এর সাথে মধু বা কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। স্ক্রাপটি মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এবং প্রতিদিন একবার করে স্ক্রাপটি ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে। এবং ত্বক হবে উজ্জ্বল কোমল ও মসৃণ।
  • অনেক সময় মুখের ব্রণ মেছতার চলে গেলেও সেগুলোর দাগ সহজে যেতে চায় না। আর সঠিক সময় সঠিক ব্যবস্থা না নিলে ত্বকের দাগ স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।এজন্য ত্বকের দাগ স্থায়ী হতে যেন না পারে এজন্য ২ চা চামচ চন্দন গুড়ের সাথে সামান্য পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে একটা ঘন মিশ্রণ বানাতে হবে। ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি সপ্তাহে ১ থেকে ২ ব্যবহার করতে হবে। এতে মুখের দাগ দূর হবে।
  • ত্বকের কালো দাগ দূর করতে শসা অনেক কার্যকারী। শসার পেস্ট এর সঙ্গে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এবং শসা স্লাইস করে কেটে চোখ বন্ধ করে চোখের উপরের লাগিয়ে রাখলে ক্লান্তি দূর হতে অনেক সাহায্য করে।
  • কমপক্ষে দিনে দুই থেকে তিনবার একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। মুখের ত্বকের সাবান না লাগানোই সবথেকে ভালো।
  • রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে লেবুর রস পরিমাণ মত লাগিয়ে ঘুমান। এতে ত্বকে কোন ধরনের ব্রণ বা দাগ থাকবে না।
  • যদি আপনার ত্বক অনেক শুষ্ক হয় তাহলে মুখ ধোয়ার পর রাতে শোবার আগে দুই থেকে তিন ফোঁটা যে কোন ধরনের বেবি অয়েল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকে লাগান।কিন্তু মনে রাখবেন। তৈলাক্ত ত্বকে বেবি অয়েল ব্যবহার করা যাবে না।
  • অতি সাশ্রয়ী আর অনেক সাধারণ ঘরোয়া রূপচর্চার উপাদান হল গোলাপ জল। গোলাপ জলে গোলাপের পাপড়ি কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। যদি সম্ভব হয় তাহলে প্রতিবার মুখ ধোয়ার সময় এই পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক হবে নরম উজ্জ্বল ও দাগহীন।
  • ব্রণের দাগ ও ব্রণ দূর করতে ভিনেগার ও পানি দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে তা গরম করে ঠান্ডা করে নি। এবং মিশনটি ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
  • মুখের বিষন্নতা বয়সের ছাপ ও কালো দাগ দূর করতে চন্দন অনেক কার্যকর। হলুদ আর দুধের সাথে চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে নিয়মিত লাগান। ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল করতে এর জুড়ি নে।
  • সারাদিন কাজে-কর্মে ব্যস্ত থাকলেও দিনশেষে ত্বকের ও শরীরের যত্ন নিতে ভুলবেন না। রাতে শোবার আগে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার করুন। এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যদি রাতে ত্বক পরিষ্কার না করেন, তাহলে জীবাণু সারারাত ধরে আপনার ত্বকে অনেক ক্ষতি করবে। এজন্য ত্বক পরিষ্কার করাটা অত্যন্ত জরুরি। এবং ত্বক মনোরম উজ্জ্বল ও দাগহীন রাখতে এটা সব থেকে ভালো উপায়।

পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

ছেলেরা বা পুরুষেরা তাদের মুখের কালো দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে এবং বিভিন্ন প্রোডাক্ট ইউজ করে থাকে। ছেলেদের বা পুরুষদের মুখে বিভিন্ন কারণে কালো দাগ হয়ে থাকে আর সেই কালো দাগ দূর করার জন্য নানারকম ক্রিম, মেডিসিন, ফেসওয়াশ ইত্যাদি ইউজ করে থাকে। এতে দেখা যায় ভালো হওয়ার থেকে মুখের আরো ক্ষতি হয়ে যায়।
আজ আমরা আলোচনা করব পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায় গুলো নিয়ে। যার দ্বারা খুব সহজেই পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। তাহলে চলুন নিচের দেওয়া তথ্যগুলো থেকে জেনে নিন কিভাবে বা কি ইউজ করলে প্রাকৃতিক উপায়ে পুরুষের মুখের কালো দাগ দূর করা যায়।

  • আলুঃ ত্বকের কালো দাগ দূর করতে আলুর রস অনেক ভালো কাজ করে। আলুর রসের সাথে মধু সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবং ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • টমেটো ও শসাঃ মুখের আদ্রতা ও উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে এই দুটো উপাদানই অনেক বেশি কার্যকর। শসা টুকরো করে কেটে পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে সামান্য মধু মিশিয়ে ত্বকের ভালোভাবে লাগান। টমেটো চাঁকা করে কেটে তার মধ্যে ১ থেকে ২ ফোঁটা মধু দিয়ে ত্বকে হালকা করে মাসাজ করুন। ও শুকিয়ে গেলে ত্বক পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • লেবুঃ লেবু অনেক দরকারি উপাদান। মুখের কালো দাগ দূর করতে লেবুর অনেক অবদান রয়েছে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের কালো দাগ দূর করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। লেবু চাঁকা করে কেটে দাগের উপরে আলতো ভাবে ঘষতে থাকুন। এবং কিছুক্ষণ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • মধু ও দুধঃ মধু ও দুধ একসাথে মিশে মিশ্রণটি কালো দাগের জায়গায় সহ সমস্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন। ও পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে উঠবে দাগ হীন।
  • পাকা পেঁপেঃ কালো দাগ কমাতে পাকা পেঁপে অনেক সাহায্য করে। পাকা পেপে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। তারপরে মুখ ধুয়ে ফেলু। পেঁপের পেস্ট এর সাথে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফলাফল অনেক ভালো আসবে।
  • এলোভেরাঃ ত্বকের দাগের উপরে হালকা করে এলোভেরার রস বা জেল মালিশ করুন। নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে ও ত্বকের দাগ মুছতে অনেক সাহায্য করবে। এটি ত্বকে লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তাছাড়া এলোভেরার রস না থাকলে জেল দিয়ে মাক্স তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

মিছতার দাগ (ট্যান) রোদে পোড়া দাগ দূর করতে

  • লেবুর রস নিয়মিত ত্বকে লাগাতে পারেন।
  • আলুর পেস্ট ও অ্যালোভেরা জেল ত্বকে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
  • গ্লিসারিনের সাথে গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে ত্বকে দিতে পারেন।
  • কমলার খোসা বেটে তার সাথে সামান্য দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন, এতে শীঘ্রই ফলাফল পাবেন।
  • পেঁপে, মধু, ও লেবুর রস একসাথে পেস্ট করে প্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্যাকটা দাগ কমাতে অনেক বেশি কার্যকর।
  • মধু ও আলমন্ড রয়েল একসাথে মিশিয়ে ত্বকে আলতো ভাবে ঘষতে থাকুন। তারপর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। অনেকটা উপকার পাবেন।
  • মুখের যে জায়গায় মিছতা আছে সেখানে সামান্য ভিনেগার ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে। যদি আপনি চান তাহলে এর সাথে পানিও মিশাতে পারেন।

ব্রণের দাগ দূর করতে যা করতে পারেন

  • মধুর সাথে কাঁচা হলুদ বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। হাতের কাছে কাঁচা হলুদ না থাকলে গুড়ো হলুদ হলেও ব্যবহার করা যাবে।
  • মুখে টমেটোর রস ব্যবহার করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • কালো দাগের স্থানে নিয়মিত এলোভেরা জেল বা রস ব্যবহার করলে শীঘ্রই দাগ কমে যাবে।
  • মুখের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে পাকা কলার পেস্ট অনেক কাজে আসে।
  • টি - ট্রি ওয়েল ও নারিকেল তেল দাগের স্থানের দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • তৈলাক্ত ত্বকে টক দই, লেবুর রস, ও মুলতানি মাটি মিশিয়ে লাগান এতে দাগ কমবে ও উজ্জ্বলতা বাড়বে।
  • প্রতিদিন রাতে শোবার আগে রসুন ও লবঙ্গের মিশন মুখে ব্যবহার করুন। ও সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • গোলাপ জলের সাথে সামান্য চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • সাধারণত ও তৈলাক্ত ত্বকে আলুর রস, শসার রস লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
তাছাড়াও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে

  • হস্তমৈথুন করবেন না।
  • রাত জাগা যাবে না।
  • তেলে ভাজা খাবার কম খাবেন।
  • বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন।
  • এলোমেলো প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।
  • কুসুম গরম পানি দিয়ে নিয়মিত ধৌত করবেন।
তবে ত্বকে অতিরিক্ত দাগ দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন । আপনার ত্বকের সঙ্গে যে প্রোডাক্ট উপযোগী সে প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এবং কেনার আগে মেয়াদ তারিখ দেখে কিনুন ব্যবহার করুন।

মেয়েদের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

মেয়েদের মুখের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

সকল মানুষের মূল সৌন্দর্য হলো তার চেহারা। আর সেই চেহারাতে যদি কোন ধরনের ব্রণ, মেছতা, বা দাগ থাকে তাহলে কিন্তু আয়নার সামনে নিজের চেহারা নিজেকেই দেখতে ভীষণ খারাপ লাগে। আপনি যদি চান তাহলে আপনার ত্বকের যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে পারেন। এজন্য আপনাকে নিজের ত্বকের যত্ন নিতে হবে। এবং ত্বকের জন্য ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তো চলুন জেনে নেই কিছু ভালো মানের ক্রিম সম্পর্কে।
  • 1.Excellent.
  • 2.Super miracl.
  • 3.Vitnovit cream.
  • 4.Nomarks cream.
  • 5.Himalaya clarina anti-acne cream.
  • 6.Gornier men oil clear fairness.

আশা করছি ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্নের পাশাপাশি এই ক্রিম গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বকের দাগ সহজেই দূর করতে পারবেন। তবে ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

আপনারা যারা মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে চান বা ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। কারণ এই পোস্টে আমরা ছেলে ও মেয়েদের মুখের কালো দাগ দূর এবং ব্রণের দাগ দূর করার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। তাই বিষয়গুলো জানতে নিচের দেওয়া তথ্য গুলো সম্পন্ন পড়ুন।
  • মুলতানি মাটিঃ ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দিতে পারে। ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে পানি দিয়ে মুলতানি মাটির পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে।
  • পুদিনা পাতাঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে ব্রণ ও নানা ধরনের ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। আর সেই ফুসকুড়ি গুলো দূর করতে পুদিনা পাতা অনেক কার্যকারী। পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগালে ত্বকের ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর হতে পারে। টাটকা পুদিনা পাতা ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।
  • শসার রসঃ যেকোনো ত্বকের জন্য শসা অনেক উপকারী। বাহিরে থেকে আসা মাত্রই প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। অথবা আইস কিউব করে ব্যবহার করতে পারেন। শসা রস যে কোন ভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
  • তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতার রস ত্বকের ব্রণের জন্য অনেক উপকারী। কেননা আয়ুর্বেদিক গুণ রয়েছে এই তুলসী পাতার মধ্যে। ব্রণ হওয়ার স্থানে তুলসী পাতা বেটে বা রস লাগিয়ে রাখুন ও শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের সাদা অংশঃ রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের জায়গায় ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে রাখতে পারেন সারারাত। আর ভালো হবে যদি সামান্য লেবুর রসও যোগ করা যায়। এই মিশ্রণটি আপনার মুখের ব্রণের পাশাপাশি খসখসে ভাব ও দূর করবে।
  • গোলাপ জল ও দারুচিনি গুড়োঃ নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ এমনিতেই চলে যায়। গোলাপ জলের সাথে দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রণের স্থান সহ সমস্ত মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলকানি ব্রনের সংক্রমণ ও ব্যথা অনেক কমে যাবে।
  • লেবুর রস ও চন্দন গুড়োঃ গোলাপ জলের সাথে চন্দন কাঠের গুঁড়ো মিশিয়ে তারপরে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন। যাদের ত্বকে গোলাপজল একজাস্ট হয় না তারা গোলাপ জলের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করলে বেশি ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
  • নিম পাতা ও মুলতানি মাটিঃ ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও ৪ থেকে ৫ টা নিমপাতা ও সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে মিশন টি ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে হালকা করে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • চন্দন কাঠের গুড়ো ও কাঁচা হলুদঃ চন্দন কাঠের মত হলুদ ব্রণের জন্য অনেক কার্যকারী। সমপরিমান চন্দন কাঠের গুড়ো ও বাটা কাঁচা হলুদ একত্রে পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। ও ব্রণের হওয়া জায়গায় প্যাকটি লাগে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ও মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি শুধু ব্রণ করবে না তার সাথে ত্বক উজ্জ্বল বাড়াতে সাহায্য করবে।

লেবু দিয়ে মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

লেবু দিয়ে মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়

প্রতিদিন প্রসাধনী ব্যবহার অথবা বয়সের কারণে মুখের কালো দাগ দেখা দেয়। আরো অনেক ধরনের কারণ আছে। যেমন ভিটামিনের অভাব, হরমোনের সমস্যা, মনোপজ, গর্ভধারণ, রোদে পোড়া, মানসিক চাপ, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে মুখে বিভিন্ন ধরনের দাগ বা কালো দাগ দেখা দেয়। 
ত্বকের কালো দাগ প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করতে লেবুর রস অনেক কার্যকারী। আজকের এই আয়োজনের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো যে কালো দাগ দূর করতে লেবুর রস কিভাবে ব্যবহার করবেন। তাইলে চলুন জেনে নেই এক নজরে।
  • ১. আপনার মুখে যেখানে কালো দাগ রয়েছে সেখানে আপনি লেবুর রস সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষভাবে হাঁটু ও কনুই এর দাগ দূর করে লেবুর রস। নিয়মিত ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার করলে কালো দাগ কমতে শুরু করবে।
  • ২. লেবুর রস ও শসার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ও ধুয়ে ফেলুন এই মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করলে দ্রুত মুখের দাগ কমে যায় ।
  • ৩. একটা পাত্রে পরিমাণ মতো লেবুর রসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপরে একটা কটন বাটের সাহায্যে দাগের উপর আলতো করে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন।ও ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • ৪. আধা চা চামচ লেবুর রসের সাথে ১ চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে তোকে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন ।
  • ৫. এক চা চামচ ভিটামিন -ই অয়েল এর সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে রাতে শোবার আগে দাগের স্থানে সহ সমস্ত মুখে ব্যবহার করতে হবে। এবং সকালে উঠে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দাগ দূর না হওয়া পর্যন্ত এই মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে দাগ নিমিষেই উধাও হয়ে যাবে।
  • ৬. সামান্য পানির সাথে পরিমাণ মতো লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পরে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।তাছাড়াও লেবুর রসের মধ্যে তুলা ভিজে রেখে সেই তুলা দিয়ে হালকা করে ত্বক ঘষলে দাগ দূর হবে।
  • ৭. পরিমাণ মতো লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০মিনিট রাখুন ও তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • ৮. এক চা চামচ কমলার রস, এক চা চামচ লেবুর রসের সাথে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে পুরো ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
  • ৯. শুষ্ক স্বাভাবিক ত্বকের জন্য একটা ডিমের কুসুম ১ চা চামচ লেবুর রস, ৪ থেকে ৫ ফোটা জলপাইয়ের তেল, ও ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করুন। ও ১০ থেকে ২০ মিনিট পরে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্র্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করু। তাহলে বলিরেখা দূর হবে ও ত্বক হবে উজ্জ্বল।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে ছেলেদের ও মেয়েদের মুখের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করা যায় বা কালো দাগ ও ব্রণের দূর করার উপায় গুলো নিয়ে। আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন কিভাবে কালো দাগ ও ব্রণের দাগ নিরাময় করা যাবে। এই ওয়েবসাইটে আমরা সুস্বাস্থ্য, ত্বক ও লাইফস্টাইল এর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আর্টিকেল শেয়ার করে থাকে। এমনি সব পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url