লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায় - চুল কালো করার তেলের নাম

চুলের যত্নে ডিম ও লেবু ব্যবহারলেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায় ও চুল কালো করার তেলের নাম সহ চুল কালো করার ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় সম্বন্ধে যারা জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। কেননা এই আর্টিকেলে চুল পাকা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায় - চুল কালো করার তেলের নাম

আপনার যদি মাথার চুল পেকে থাকে এবং চুল কালো করার উপায় ও ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিচে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল কালো করার অনেকগুলো পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক এই পোস্টে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিকভাবে পাকা চুল কালো করা যায়। এবং চুল কালো করার আরো বিভিন্ন রকম উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। আপনারা যারা চুল কালো করার উপায় জানতে চান তারা পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়

লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়

অল্প বয়সে কি আপনার চুল পেকে যাচ্ছে, পাকা চুল কালো করতে চান। কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে আর দুশ্চিন্তা করবেন না। আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত আপনাদের জন্য তৈরি করা। তাই পাকা চুল কালো করার উপায় গুলো জেনে নিন। এবং বাসায় যার পাকা চুলের সমস্যায় ভুগছেন তার চুল সহজে কালো করে দিন। নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • লেবুর রস ও মধুঃ চুল কালো করার অন্যতম উপায় গুলোর মধ্যে লেবু হচ্ছে একটি। ১ চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ১/২ চা চামচ বা পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। এবং চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মিশ্রণটি লাগান। তারপর ৩০ মিনিট রেখে ভালোমতো শ্যাম্পু করে ও হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে পাকা চুল কালো হয়ে যাবে।
  • লেবুর রস এবং নারিকেল তেলঃ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হলো নারিকেল তেল। পাকা চুল কালো করতে নারকেল তেল অনেক সাহায্য করে। নারিকেল তেলের প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ১ চা চামচ নারিকেল তেল ও ২ চা চামচ লেবুর রস। দুইটি মিশ্রণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের প্রয়োগ করুন। এবং অপেক্ষা করুন ২৫ মিনিট এরপরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি টানা ১৫ দিন ব্যবহার করলে চুল কালো হয়ে যাবে।
  • লেবুর রস ও চাঃ চা চুল কালো করার উপায় হিসেবে অনেক পরিচিতি। চা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যা ধূসর চুলকে সহজে কালো করে। চা এর প্যাকটি বানাতে ঠান্ডা ১ কাপ চা ও পরিমাণ মতো লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে চুলে প্যাকটি ব্যবহার করুন। ও ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ১০ দিন এভাবে চুলে প্যাকটি লাগালে চুল কালো হয়ে যাবে।
  • লেবুর রস ও অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল চুল কালো করতে দারুন কাজ করে। এবং ক্ষতির হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। পরিমাণ মতো অলিভ অয়েলের সঙ্গে ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ চুলে তেলে দেওয়ার পদ্ধতির মতো করে ব্যবহার করুন। এবং ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের কুসুম ও লেবুর রসঃ ডিম যেমন শরীরের জন্য উপকারী,তেমন চুলের জন্য অনেক উপকারী। চুলের জন্য ডিমের কুসুম প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ডিমের কুসুম চুলকে সিল্কি ও ঝরঝরে করতে সাহায্য কর। এই মিশ্রণটি বানাতে পরিমাণ মতো লেবুর রস ও একটি ডিমের কুসুম নিয়ে দুইটা উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে প্রয়োগ করুন এবং ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ডিম যেহেতু গন্ধ জাতীয় এজন্য শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
  • নারিকেল তেল ও লেবুর রসঃ লেবুতে রয়েছে ফসফরাস এবং ভিটামিন সি যা চুলের পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে অনেক সাহায্য করে। এই মিশ্রণটি বানাতে লাগবে কুসুম গরম নারিকেল তেল ও পরিমান মত বা ২ চা চামচ লেবুর রস। এই দুটো উপাদান দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগাতে হবে। এবং ১ ঘন্টা দেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে দ্রুত পাকা চুল কালো হয়ে যাবে।

চুল কালো করার তেলের নাম

চুল কালো করার তেলের নাম

অনেকেই চুল কালো করার তেলের নাম সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্যই মূলত আমাদের এই পোস্টট। তো চলুন জেনে নেই কোন তেল চুল কালো করে এবং তেলের নাম গুলো কি কি।

সরিষার তেল

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের ভরপুর সরিষার তেল। যা চুল কালো করে। এই তেলের সঙ্গে মেহেদী পাউডার মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল হবে মজবুতর ঝলমলে। এবং সরিষার তেল চুলের গোড়াও শক্ত করে। প্রথমে চুলাতে সরিষার তেল ভালো মতো গরম করে নিতে হবে।

এবং সেই তেলের মধ্যে ১ কাপ মেহেদী পাউডার দিয়ে মিশিয়ে ভালোভাবে চুলে ও মাথায় ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মত রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে যদি নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল অনেক কালো হবে।

চুলের যত্নের পাশাপাশি এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে চুল কালো করতে সাহায্য করে। যেমন সবুজ শাকসবজি,বাদাম,মাছ,ডিম,দুধ ফলমূল খেলেও চুল কালো হবে।

চুল কালো করার জন্য নিচে কিছু তেলের নাম উল্লেখ করা হলো। নিজের নাম অনুযায়ী আপনাদের পছন্দমত যে কোন তেল আপনারা ব্যবহার করতে পারেন।

  • তিলের তেল।
  • মেথির তেল।
  • ভ্যাসমল তেল।
  • আমলা তেল।
  • কালোজিরা তেল।
  • ডাবল আমলা গোল্ড।
  • কাস্টর তেল।
  • অলিভ অয়েল।
  • জোজোবা তেল।

এই সকল ধরনের তেল যদি আপনি চুলে ব্যবহার করেন। তাহলে চুল হবে ঘন কালো ও চুলের গোড়া হবে মজবুত।চুলকে সুন্দর করতে নিয়মিত এর মধ্যে যেকোনো একটি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এ তেল গুলো ব্যবহার করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। যে আপনার চুল কতটা বৃদ্ধি হচ্ছে। কতটা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ছে ও চুল সহজে কতটা বড় হচ্ছে।

চা পাতা দিয়ে চুল কালো করার উপায়

চা পাতা দিয়ে চুল কালো করার উপায়

ঘন ঘন চুলে কালার করার পরেও চুল পাকা সমস্যা দূর হচ্ছে না। অনেকেই আছেন যাদের অকালে চুল পেকে যায়। তখন তারা চুলে কলপ বা কালার ব্যবহার করে। কিন্তু ঘনঘন কালার করেও চুল কালো থাকে না। কালো চুল প্রাকৃতিকভাবে পেতে চাইলে ব্যবহার করুন চায়ের লিকার।তাহলে জেনে নেই চায়ের লিকার কিভাবে ব্যবহার করলে চুল কালো হবে।

  • চায়ের মাধ্যমেঃ প্রথমে ৬ চা চামচ তা নিয়ে নিবেন তারপরে কড়া করে চা বানিয়ে নিবেন। এরপরে চা আস্তে আস্তে ঠান্ডা করে নিবেন। তারপর চুলে ঢেলে দিন বা হাত দিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। এবং ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • চাও ও কফি ব্যবহার করুনঃ এই মিশ্রণটি বানাতে ৩ কাপ পানি নিতে হবে ও ৩ চা চামচ কফির গুঁড়ো এবং ৩ চা চামচ চা দিতে হবে। তারপর ভালোভাবে চা ও কফির গুলোটি ফুটিয়ে নিতে হবে। এবং সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে চুলে হেয়ার ব্রাশ দিয়ে চুলে লাগিয়ে অন্তত ঘণ্টাখানেক রেখে এরপর চুল ধুয়ে নিতে হবে।
  • তুলসী পাতা ও চাঃ প্রথমে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তার মধ্যে চার থেকে পাঁচটি তুলসী পাতা ও ৫ চামচ চা এর গুঁড়ো দিয়ে ভালোমতো ফুটিয়ে নিন । এবং ঠান্ডা হয়ে গেলে হাত দিয়ে অথবা ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টার মতো রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • কফির গুড়ো ব্যবহার করুনঃ চায়ের মতো উপকার কফিও আপনাকে এনে দিতে পারে। কফি ও আপনার চুলকে কুচকুচে কালো করে দিবে। এজন্য আপনাকে ৫ থেকে ৬ চা চামচ কফির গুলো নিতে হবে। এবং ৫ থেকে ৭ মিনিটের মতো কফি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে মাথার চুলে ঢেলে দিতে হবে ও সম্পূর্ণ চুলে দিতে হবে তারপর কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন ।

একই নিয়মে যদি আপনি চা দিয়েও করতে পারেন। তাহলে অনেক উপকার হবে ও চুল কুচকুচে কালো করে দিবে।

  • ব্ল্যাক টি ব্যবহার করুনঃ ১ কাপ পানিতে ৩ ব্ল্যাকটি ফুটিয়ে নিন। এবং সম্পূর্ণভাবে ঠান্ডা করে নিন ও ছেকে নিন। তারপরে ব্রাশের সাহায্যে বা হাত দিয়ে ভালোমতো চুলে লাগান এবং ২ ঘণ্টার মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • কড়া লিকারের চা ব্যবহার করুনঃ কড়া লিখলে চা বানিয়ে ঠান্ডা করে চুলে ব্যবহার করে ৩০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • অরিগেনো পাতা ও রোজমেরি পাতাঃ ২ টি অরিগেনো পাতা ও ২ টি রোজমেরি পাতা এবং ৭ টি ব্যাগ দিয়ে একসাথে ফুটিয়ে নিন। এবং ঠান্ডা করে চুলে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • চা কফি ও লেবুর রসঃ পরিমাণ মতো পানিতে ২ চা চামচ কফি এবং ৫ চা চামচ চা পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন।এবং ঠান্ডা করে তার মধ্যে ২ থেকে ৩ চামচ লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ।এই মিশ্রণটি সপ্তাহে পাঁচবার ব্যবহার করলে অনেক ভালো রেজাল্ট পাবেন।

হেনা দিয়ে চুল কালো করার পদ্ধতি

হেনা দিয়ে চুল কালো করার পদ্ধতি

হেনা যে চুলের জন্য কতটা উপকারী এটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। এমন কিছু উপাদান আছে যা সঠিকভাবে হেনার সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল দ্রুত কালো হবে তো চলুন নিচে থেকে জেনে নেই সেই উপাদান গুলো কি কি।
  • হেনা কফি ও আমলাঃ চুল পাকার রুখতে আমরা অনেক সাহায্য করে। আমলাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা চুলের জন্য অনেক উপকারী। ১ চা চামচ কফি পাউডার ৩ চা চামচ হেনা পাউডার এবং ৩ চা চামচ আমলা পাউডার নিয়ে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে একটা ঘন প্যাক বানিয়ে নিন। এবং চুলের সব জায়গায় ব্যবহার করুন। ও ২ ঘন্টার মতো রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের কুসুম ও হেনা পাউডারঃ হেনার সাথে মিশাতে হবে একটা ডিমের কুসুম। কারো যদি ডিমে গন্ধ লাগে বা অ্যালার্জি থাকে তাহলে ডিমের জায়গায় টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এবং লাগবে ২ চা চামচ চা বা কফি এবং সর্বশেষ লাগবে ২ থেকে ৩ চা চামচ লেবুর রস। এইসব উপকরণ গুলো ভালো করে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে এক থেকে দুই ঘণ্টার মতো।তাহলে চুল কালো হবে। কুচকুচে কালো চুল পেতে প্যাকটি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করুন।
  • আমলকি হেনা ও লেবুর রসঃ হেনার সঙ্গে ১ চামচ আমলকি পাউডার ১ চা চামচ কফি পাউডার ও পরিমাণ মতো লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। চুল খুব সহজেই কালো হয়ে যাবে।

আমলকি এবং হেনার পাতা একসঙ্গে বেটে নিন। এরপরে মিশান চা বা কফির গুড়ো ভালো মতো মিশিয়ে চুলে গোড়া আগায় ভালোভাবে লাগিয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে চুল হবে কালো ও ঝলমলে। তবে বাজার কৃত আমলকি বা হেনা পাউডার ব্যবহার না করাই ভালো।

হেনা দিয়ে আরও একটি প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে চুল কালো হবে। এজন্য আমাদের লাগবে ৩ চা চামচ হেনা ২চা চামচ টক দই এবং ২চা চামচ নারিকেল তেল এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলের কালো করবে। চুলের জন্য এই প্যাকটি অনেক উপকারী। যেকোনো চুলের জন্যই হেনা অনেক ভালো কাজ করে। এজন্য চুলের প্যাক তৈরি করতে হেনা সর্বপ্রথম তালিকায় রাখুন।

চুল কালো করার গাছ

চুল কালো করার গাছ

কেশতী এক ধরনের গুন্ন গাছ যা জলা বেশি জন্মিয়ে থাকে। অনেক নাম আছে এই কেশতী পাতার। যেমন কেউ ডাকে কালসাতা বলে আবার কেউ ডাকে কালাকেশরিয়া বলে তবে এই একটা গাছের অনেক গুণ রয়েছে। যেমন এই গাছটা চুল কালো করতে অনেক সাহায্য করে। চুলের যত্নে ভালো কাজ করে বলে একে ডাকা হয় কেশুতি বলে। তবে এই কেশতী গাছের অনেক জনপ্রিয় নাম হলো কেশরাজ।

এই কেশুতি গাছের পাতা বেটে সরাসরি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

টনিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন

কেশতি পাতা বেটে তার মধ্যে তিলের তেল, নারিকেলের তেল, গোটা জবা ফুল, অল্প একটু মেথি, গোটা আমলকি, একমুঠো কারি পাতা দিয়ে সব গুলো উপকরণ ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে একটা কৌটাতে বা বোতলে রেখে দিতে পারেন। কাচের বোয়ামে কৌটাতে রাখলে বেশি ভালো হয়।এই তেলটি নিয়ম করে চুলে মাসাজ করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। মাথা ঠান্ডা রাখবে।ও চুল ঘন ও লম্বা হবে।

এই তেলটি উকুন দূর করতেও ভালো কাজ করে।রাতে তেলটি চুলে লাগিয়ে একটা পরিষ্কার সাদা কাপড় দিয়ে মাথা বেঁধে রেখে ঘুমালে সকালে উঠে দেখবেন যে আপনার উকুন মরে গেছে। এই কেশতী পাতা আপনি হেয়ার মাক্স বানিয়ে ও ব্যবহার করতে পারেন।

এজন্য প্রথমে কেশতী পাতা বেটে তার ভিতরে ২ চা চামচ মেথির পাউডার পরিমাণ মতো নারিকেল তেল ও টক দই দিয়ে একটা ডিমের কুসুম দিয়ে মিশিয়ে একটা হেয়ার মাক্স বানিয়ে নিন। এবং চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।এই মাক্সটি প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

চুলের জন্য আরও ঔষধি গাছ রয়েছে সেগুলো হল

  • ভৃঙ্গরাজ।
  • ব্রাহ্মী।
  • আমলকি।
  • অ্যালোভেরা ।
  • মুকুনুউয়েনা।
  • ভেতিভার।
  • অশ্বগন্ধা।
  • মেথি।

লেখকের মতামত

সম্মানিত ভিউয়ার্স, আজকের এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় ছিল মাথার চুল কালো করার ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় গুলো নিয়ে। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করে থাকেন আর এই পোষ্টের উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার চুল পাকা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আমরা এই ওয়েবসাইটে লাইফস্টাইল এর ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আর্টিকেল তুলে ধরি। এমনই সব ইনফরমেটিভ পোস্ট পেতে নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url