অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও ভিটামিন
চুলের যত্নে ডিম ও লেবু ব্যবহারঅতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন সহ চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় গুলো নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা এই পোষ্টের উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে আশা করা যায় চুল পড়া সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পাবেন।
আর কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে সেই সমস্যার কারণ গুলো জানতে হয় সেজন্য এই পোস্টে চুল পড়ার সমস্ত কারণগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। তাই পদ্ধতিগুলো ও কারণগুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
যে সকল ছেলেরা ও মহিলারা তাদের চুল পড়া রোধ করতে এবং চুল ঘন করতে কি কি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে চায় তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা চুল ঘন ও চুল পড়া বন্ধ করার বিভিন্ন টিপস ও পদ্ধতি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পদ্ধতি গুলো জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
চুল পড়ার কারণ
আপনার চিরুনিতে কি আগের চেয়েও বেশি চুল দেখা যাচ্ছে? অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি দেখলেন যে বালিশের উপর অনেক চুল পড়ে রয়েছে। এমনটা কিছুদিন পর পরই হয় আপনার সাথে তাই না। চুল পড়ার সমস্যাটা নতুন কিছু না। নির্দিষ্ট একটা সীমা আছে চুল পড়ার। আমাদের চালচলন ও খাদ্যাভাসের উপর চুল অনেকাংশে নির্ভর করে। আমরা সবাই না জেনে বা জেনে এমন কিছু ভুল করি যেগুলোর কারণে চুল পড়ার সমস্যাটা বৃদ্ধি পায়। চলুন দেখে নেই কি কি কারণে চুল পড়তে পারে।
- ক্ষতিকর UV রশ্মির জন্য চুল ধরতে পারেঃ শুধুমাত্র সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি আপনার ত্বকের পাশাপাশি চুলের অনেক ক্ষতি করে। সূর্যের ইউ ভি আপনার চুলকে শুষ্ক দুর্বল ও ভঙ্গুর করে দেয়। যার জন্য চুল পড়ার হার অতিরিক্ত বেড়ে যায়। এজন্য সূর্যের সরাসরি ক্ষতিকর তাপ থেকে বাঁচতে সূর্য লোক থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন ও ব্যবহার করুন ছাতা, স্কাফ, হ্যাট। এগুলো আমাদের চুলকে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
- অতিরিক্ত টাইট করে চুল বাধার জন্য চুল ধরে করাঃ হাই পনিটেল বা খোঁপা দেখতে অনেক সুন্দর দেখালেও এভাবে দীর্ঘক্ষণ চুল বেঁধে রাখার জন্য আপনার চুলে গোড়া আলগা হয়ে পারে। এবং চুল পড়ার হার ও বেড়ে যেতে পারে। এজন্য এই নিয়মে প্রতিদিন চুল না বেঁধে বিভিন্নভাবে চুল বাধার চেষ্টা করুন। এবং চুলের খোপা ও ঝুটি করার সময় হালকা করে বাধার চেষ্টা করুন।
- চুলে অতিরিক্ত হিট দেওয়া ও কেমিক্যাল ব্যবহার করাঃ চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো চুলে অধিক পরিমাণে কেমিক্যাল ব্যবহার করা বা কালার করা। আর অনেকে আছেন যারা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকান যা চুল পড়ার আরো একটি বড় কারণ। এগুলো আপনার চুলকে শুষ্ক ও ভঙ্গুর করে তোলে। চুল শুকানোর জন্য আপনি ফ্যানের বাতাস ব্যবহার করতে পারেন এতে সবচেয়ে ভালো হয়। চুলের জন্য হিট প্রটেক্টিভ ব্যবহার করা উচিত নয়।
- চুলের সঠিক পণ্য ব্যবহার না করাঃ চুলের জন্য যে পণ্য সঠিক তা যদি ব্যবহার না করা হয় তাহলে তো চুল পড়ার স্বাভাবিক বিষয় তাই না। ত্বকের মতোই চুলও ভিন্ন ভিন্ন ধরন রয়েছে। আপনার চুল যদি শুষ্ক হয় আর আপনি যদি ব্যবহার করেন এমন একটা শ্যাম্পু যা তৈলাক্ত চুলের জন্য তাহলে তো সমস্যা হবেই। এজন্য মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পেতে। এবং শ্যাম্পু ও তেল কেনার আগে অবশ্যই দেখে নিন তাতে কি কি উপাদান রয়েছে। এবং সেই উপাদান গুলো আপনার চুলের সাথে একজাস্ট হবে কিনা।
- ভেজা অবস্থায় চুল আছড়ানোঃ কমবেশি সবারই এই অভ্যাসটা আছে। যারা গোসল থেকে এসে ভেজা চুল আচঁড়াতে বসে যায়। এজন্য চুল পড়ার সমস্যাটা অনেক বৃদ্ধি হচ্ছে দিন দিন। চুল যখন ভেজা থাকে তখন চুলের গোড়া নরম হয় যার জন্য ভেজা অবস্থায় আচঁড়াতে গেলে চুল সহজেই উঠে আসে। চুল ভেজানো অবস্থায় হাতে আঙ্গুল দিয়ে জটগুলো ছাড়িয়ে নিন। এবং ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে চুলগুলো ঝরঝরে করে নিন। তারপরে আস্তে আস্তে আচঁড়ান। এতে কম চুল পড়বে।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
যদি একবার চুল ঝরতে শুরু করে তাহলে যেন সেই ঝরা থামেই না। চুল পাতলা ও পড়া শুরু হলে চুলের সুন্দর্যতা হারিয়ে যায়। আপনি কি চুল পড়া বন্ধ করার জন্য চুলে নানা ধরনের পণ্য ব্যবহার করেও কোন সমাধান বা ফল পাচ্ছেন না। তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা এই পোস্টটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন যে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় গুলো। তো চলুন জেনে নেই উপায় গুলো কি কি।
- আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে
মেথির ব্যবহার
চুল পড়া বন্ধ করার চমৎকার কার্যকরী উপাদান হলো মেথি। মেথি চুল পড়া বন্ধ করে ও চুল দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে যদি আপনি চান তাহলে আপনার কি চান যে আপনার নতুন চুল গজাক,তাহলে মেথির ব্যবহার শুরু করুন। মেথিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন যা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এবং মেথির থাকা আয়রন ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম চুল ওকালপক্কতা রোধ করে। আর সেই সাথে চুল ঘন ও মসৃণ করে।
নিয়মঃ
পরিমাণ মতো পানিতে ২ থেকে ৩ চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বা গোসল করার আগে মেথি বেটে তার সাথে ৪ থেকে ৫ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টার মতো রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুলের গোড়া শক্ত হবে। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
নিম পাতার ব্যবহার
চুল ত্বকের জন্য নিম পাতা অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতাকে প্রাকৃতিক ঔষধ ও বলা হয়। নিম পাতায় রয়েছে উচ্চ মাথার ফ্যাটি এসিড যা মাথার ত্বক ও চুলের জন্য একদম উপযুক্ত। মাথার ত্বক ভালো থাকলে চুলও বাড়তে থাকবে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে। যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য নিম পাতা অনেক উপকারী উপাদান। নিম পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় শক্ত হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়।
নিয়মঃ
নিম পাতার রসের সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে তা মাথার ত্বকে ও চুলের গায়ে ব্যবহার করলে দ্রুত চুল লম্বা হয়। এবং সেই সাথে মাথা স্কেল্পের সমস্যা ও দূর হয়। পরিমাণ মতো নারকেল তেলের সাথে ১০ থেকে ১৫ টি নিম পাতা বেটে তার রসটি নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে মাথার ত্বকে কাজ করে। তাছাড়াও আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল দিয়ে আপনি নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ করতে এই প্রতিকারটি নিয়মিত চুলে ব্যবহার করুন।
নারিকেল দুধের ব্যবহার
নারিকেল তেল তো চুলের যত্নে ব্যবহার করেনই।তবে কখনো নারিকেলের দুধ তুলে ব্যবহার করেছেন। চুলের জন্য কিন্তু এটাও বেশ উপকারী। চুল দ্রুত লম্বা করার পাশাপাশি চুল পড়া বন্ধ করতে দারুন কাজ করে নারিকেলের দুধ। এটা আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এতে কোন প্রকার ক্ষতিকর উপাদান নেই। মাথার রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও চুলের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে নারিকেলের দুধের জুড়ি নেই।
নিয়মঃ
চুলের যত্নে পরিমাণ মতো নারিকেলের দুধ হালকা গরম করে মাথা স্কেল্পে ও চুলের গায়ে ভালো করে ঘষে ম্যাসাজ করুন। এরপরে শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করুন। এবং তারপরে চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্রতিকারটি সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার করলে চুল যেমন মজবুত হবে তেমনি হবে সুন্দর ও ঝলমলে।
মধু দই ও লেবুর প্যাক
চুলে প্রোটিন ও ভিটামিনের যোগান বাড়াতে ও চুলের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে মধু দই ও লেবুর প্যাক অনেক কার্যকারী। ১ চা চামচ দই ১ চা চামচ মধু ও পরিমাণ মতো লেবুর রস দিয়ে একটা ঘন প্যাক বানিয়ে চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা জেল
এই প্রতিকারটি চুলে তেল থাকা অবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না। ঝরঝরে চুলে ব্যবহার করতে হবে। অ্যালোভেরা জেল বা রস চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপরে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই জেলটি সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে।
চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
মনে হয় আপনার চুল দেখতে ভীষণ সুন্দর। কিন্তু যদি চুল পড়া নিয়মিত বাড়তে থাকে তাহলে আপনার চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এক সময় হারাতে বাধ্য হবেন। শারীরিক অসুস্থতা, পরিবেশ দূষণ, মানসিক নানা ধরনের চাপের কারণে চুল ঝরতে ঝরতে পাতলা হয়ে যায়। এমনকি চুলে বাইরের কেমিক্যাল প্রয়োগ করলেও চুল দ্রুত করতে পারে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় থাকলে তার জন্য শীঘ্রই সমাধান বের করা প্রয়োজন। এছাড়াও চুল যে কোন কারনে পড়ুক না কেন, চুলে নিয়মিত সঠিক যত্ন নিলে চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুল ঘন হবে। চলুন জেনে নেই কিভাবে স্বাস্থ্য উজ্জল চুল পাবেন।
- আরো পড়ুনঃ ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
শীতের সময় চুলের সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। চুলের খুশকি পড়া চুলের রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা ঘিরে ধরে শীতে। এই সকল সমস্যায় কিছু উপায় রয়েছে। যা আপনাকে দ্রুত জানতে হবে। চুল পড়া, চুলে খুশকি হওয়া ও চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো অনেক সমস্যা রয়েছে। যেগুলো জয় করতে আপনাকে চুলের বেশি বেশি যত্ন নিতে হবে। চলুন জেনে নেই কিছু সহজ উপায় চুল পড়া বন্ধ করার।
- মাথায় গরম পানি নয়ঃ কখনোই আপনি গোসল করার সময় মাথায় গরম পানি ব্যবহার করবেন না। আপনার চুলের জন্য স্বাভাবিক পানি অনেক উপকার। অনেকেই আছেন যারা শীতের কালে গোসলের জন্য সব সময় গরম পানি ব্যবহার করে থাকে। গোসল করার সময় গরম পানি ব্যবহার করলেও মাথায় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। এতে আপনার চুল ভালো থাকবে।
- মাথায় প্রতিদিন শ্যাম্পু নয়ঃ এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের গোসলের সময় শ্যাম্পু ছাড়া চলে না। চুলের ময়লা দূর করতে ও চুল ঝরঝরে সিল্কি করতে প্রতিদিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করেন। শ্যাম্পু প্রতিদিন ব্যবহার করার দরকার নেই। চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের পুষ্টি ও চুলের সৌন্দর্যতা নষ্ট হতে পারে। এজন্য প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা যথেষ্ট। চুল ঝলমলে ও সুস্থ রাখতে রোজ শ্যাম্পু ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
- চুলে হিট ব্যবহার বন্ধ করুনঃ অনেকেই হেয়ার স্টাইল করতেও চুল শুকাতে হিট ব্যবহার করে থাকেন। যা চুলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। চুলে দৈনিক হিট ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে চুলে হিট দেওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে। গোসলের পর চুল হেয়ার ডায়ার দিয়ে না শুকিয়ে চুল স্বাভাবিক বাতাসে শুকিয়ে নিন।
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
বর্তমানে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। অতিরিক্ত চুল পড়া সত্যিই অনেক চিন্তার বিষয়। অনেকের তো আবার চুল পড়তে পড়তে চুল পাতলা ও মাথায় টাক পড়ে যায়। অতিরিক্ত চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে। যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির ঘাটতি, চুলে নিয়মিত যত্ন না নেওয়া, চুলের ঠিকমতো শ্যাম্পু তেল ব্যবহার না করলে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে।
বর্তমান সময়ের অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা নিজেকে স্লিম রাখতে অল্প পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করে। যার ফলে তাদের চুল পড়ার সমস্যাটাও বেশি দেখা দেয়। অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় আলুর রসের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। চলুন জেনে নেই আলুর রস যেভাবে ব্যবহার করবেন।
- আলুর রস সমস্ত চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। ও ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- পরিমাণ মতো আলুর রসের সাথে ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে সমস্ত চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন। ও আধা ঘন্টা পরে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন।
- একটা পিয়াজ ও আলুর রস নিয়ে একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
- একটা ডিমের কুসুম ও তিনটি আলুর রস নিয়ে তাতে একটা চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। ও ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- হিট ব্যবহার বন্ধ করুনঃ অনেকেই আছেন যারা চুলের স্টাইল করতে গিয়ে তুলে অতিরিক্ত হিট দেন। যা চুলের জন্য মোটেও ঠিক নয়। চুলে বেশি হিট দিলে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে ও চুল শুষ্ক হতে পারে।
- অয়েল মাসাজ করুনঃ অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, ও নারকেল তেল নিয়ে মিশিয়ে একটি তেলের মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপরে মিশ্রণটি মাথার ত্বক সহ পুরো চুলের আগা থেকে গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। এক থেকে দুই ঘন্টা পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। আরো ভালো হবে যদি তেলটা মিশ্রণটি চুলে সারারাত রাখেন।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুনঃ প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি গ্রহণ করুন। ও শীতকালে মৌসুমী ফল ও সবজি বেশি খান। এসব খাবারে খনিজ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় চুলকে অনেক সুরক্ষিত রাখবে।
- ময়েশ্চারাইজারঃ চুলে ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। যেগুলোতে ভালো পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার আছে সেগুলো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের রং ও কেমিকেল যুক্ত পুণ্য ব্যবহার করা বন্ধ করুন । চুলে নিয়মিত হেনা প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। বাড়ির মেহেদি পাতা বেটে হেনা প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে আরো বেশি ভালো ফল পাবেন।
মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যায় অধিকাংশ মেয়েরাই পড়ে থাকে। আর এই চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মহিলারা ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় লিখে। আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করতে কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। মেয়েদের চুল মেয়েদের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে আর সেজন্য মেয়েরা তাদের চুলের প্রতি বেশি যত্নবান হয়ে থাকে। নিচে চুল পড়া রোধে প্রাকৃতিক বিভিন্ন পদ্ধতি উপস্থাপনা করা হয়েছে।
- পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধ করতে ভীষণ কার্যকর। পেঁয়াজের রস নিয়ে সরাসরি চুলের গোড়ায় লাগান। পেঁয়াজে এজন্য একটা ঝালালো গন্ধ আছে। এজন্য গন্ধ দূর করতে এসেনশিয়াল অয়েল পাঁচ থেকে সাত ফোটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। ও চুলে লাগিয়ে 20 মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মহিলারা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করলে তারা চুল পড়া রোধ করতে পারবে।
- তেলঃ কয়েক রকমের তেল একসাথে মিশিয়ে রাতে চুলে ব্যবহার করুন। ও সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। এই তেলের মিশ্রণটি সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন তাহলে দেখবেন চুল পড়া বন্ধ হবে।
- ফল ও শাকসবজিঃ বেশি বেশি শাকসবজি খান। শীতে নানা রকমের সবজি ও ফল উঠে বাজারে। যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, সিম, ব্রকলি, পালংশাক, মুলা, গাজর, আরো অনেক ধরনের সবজি সহ ফল পাওয়া যায়। এগুলো খাবার যেমন তেমন সুস্বাস্থ্য ও শরীরের জন্য উপকারী, তেমনি চুলের জন্য অনেক উপকারী। এসব খাবার উপস্থিত খনিজ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার চুলের সুরক্ষিত রাখবে।
- মধু জিরা ও অলিভ অয়েলঃ ১ চামচ জিরার সাথে ১/৪ কাপ অলিভ অয়েল ভিজিয়ে রাখুন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। তারপর তেলের থেকে জিরা গুলো থেকে আলাদা করে নিন৷ ও তেলের মধ্যে ২ চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে সমস্ত চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মাসাজ করুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে দ্রুত কাজ হবে।
- অ্যালোভেরাঃ নিয়মিত চলে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়। এলোভেরার রস বা জেল যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন।অ্যালোভেরা জেল বা রস চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ভেজষ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ ও চুলকে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ও ঝলমলে দেখাতে এটাই যথেষ্ট।
- কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধঃ অনেক ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে যেগুলো চুলের ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করুন সালফেট ও প্যারাবিন মুক্ত। শীতের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো কাজ করে বেজড শ্যাম্পু বা বেজড কন্ডিশনার।
তাছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে চুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। একটা চামচ মেথি ও আধা কাপ নারিকেল তেল নিয়ে ফুটিয়ে নিন। ও ঠান্ডা করে নিন তারপরে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মাসাজ করুন। এবং এক ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আরো ভালো হয় যদি তেলটা রাতে ব্যবহার করে সারারাত চুলের লাগিয়ে রাখুন ও সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন।
চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়
সপ্তাহে অন্তত দুইবার গরম তেল স্কেল্পে ও চুলে মাসাজ করুন ও শ্যাম্পু করুন৷ অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো অয়েল, নারিকেল তেল,আমন্ড প্রাকৃতিক অয়েল যা চুলের রুক্ষতা কমাতে ও চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।এছাড়াও নিয়মিত স্কেল্পে তেল মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বারেও চুল ঘন করে।
কয়েল মাসাজ যেমন চুলের জন্য উপকারী, তেমনি ড্রাই ম্যাসাজ ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। যদি আপনি এমনি আঙ্গুলের ডগা দিয়ে স্কেল্পে মাসাজ করেন তাহলে স্কেল্পে রক্ত সংবহন বাড়বে ও আবার নতুন করে চুল গজাবে।
অ্যালোভেরা জেল, পেঁয়াজের রস, নারিকেল তেল, ও ক্যাস্টর অয়েলের মত সাধারণ উপাদান গুলোতে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। যা চুল পড়া রোধ করতে ও চুল ঘন করতে প্রাকৃতিকভাবে অনেক ভূমিকা পালন করে। এই সকল উপাদান দিয়ে আপনি বাসায় বানিয়ে নিন হেয়ারমাস্ক।ও স্কেল চুলে লাগিয়ে আধা ঘন্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি যদি আপনি সপ্তাহে একবারও ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুল আস্তে আস্তে ঘন হতে থাকবে।
চুলের যত্নের পাশাপাশি নজর দিন আপনার খাবারেও। দুধ, ডিম, মাছ, ছানা, দই ইত্যাদি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে পারেন। তাছাড়াও বাঁধাকপি, ব্রকলি, পালং শাকের মতো সবুজ শাকসবজি গুলো খেলে চুল মজবুত করে। চুলে ক্যারাটিন ও চুলকে অনেক ঘন করে তোলে।
পেয়ারা, স্ট্রবেরি, কমলার মত ফল দৈনিক খাবার তালিকায় রাখুন। আপনার চুল আরো ভালো রাখতে ভালো মানের তেল ও কন্ডিশনার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের শুষ্কতা খুশকি ও চুল পড়ার মতো সমস্যা ও কমিয়ে ও চুলের গোড়া শক্ত করতে ভ্যালুমাইজিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
নিম পাতা
নিম পাতার মধ্যে যে কত ঔষধি গুন রয়েছে তা হয়তো সবারই জানা। চুল পড়া কমাতে নিম পাতা অনেক সাহায্য করে। নিম পাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করার উপাদান। খুশকি কমাতে নিমপাতা অনেক সাহায্য করে। চুল বৃদ্ধি করতেও চুলের ফলিকল শক্ত করতে নিম পাতার অনেক অবদান রয়েছে। প্যাক বানিয়েও আপনি নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন।
নিম পাতা কাঁচা বেটে বা গরম পানি দিয়ে ফুটিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাথার স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগিয়ে আধাঘন্টা দেখে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার ব্যবহার করুন।
আমলকি
চুলের ভিটামিনের অভাব হলে চুল পড়তে পারে। ভিটামিনছি এর ভালো উৎস হলো আমলকি। চুলের সৌন্দর্যতা বজায় রাখতে এর কোন জুড়ি নেই। আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের খুশকি দূর করতে চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। আমলকি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও মাথা স্কেল পরিষ্কার রাখতে ও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
গ্রিন টি
নতুন চুল গজাতে ও চুলের ফলিকল শক্ত করতে গ্রিন টি বেশ কার্যকর। তাছাড়া গ্রিন টি বিপাক বাড়ায় যার জন্য চুল স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হয়। গ্রিন টি দ্রবন নিন তারপরে চুলে ধুয়ে ফেলুন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন পার্থক্য।
বিটের রস
শরীরে সর্ব রোগের সমাধান বলা হয় বিটের রসকে। যা প্রত্যেক বাড়ির রান্নাঘরে রয়েছে। চুলের সার্বিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে ও চুল পড়া কমাতে বিট অনেক সাহায্য করে। এজন্য চুল পড়ার সমাধানের প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে খাদ্য তালিকায় বিট রাখুন।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রয়েছে সালফার উপাদান যা চুল পড়া কমায় ও চুল পূর্ণ জীবিত করে। পেঁয়াজের রস মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা মাথার ত্বকের ও চুলের জীবাণু ধ্বংস করে। চুল ঘন ও শক্ত করতে নিয়মিত চুলে পেঁয়াজের রস ঘষে ব্যবহার করুন।
চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন
মাথার চুল পড়ার অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো ভিটামিনের অভাব। কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে? এবং চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন এর নাম কি? বা চুল পড়া বন্ধে কোন ভিটামিন ভালো? এই প্রশ্নগুলো যাদের মনে এসে থাকে বা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হয়েছে। চুল পড়া বন্ধ করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের নাম নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মুখের ভিতরে সাদা ঘা কেন হয়
- ভিটামিন -ই : ভিটামিন- ই মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং প্রদাহ কমাতে অনেক সাহায্য করে।
- ভিটামিন -ডি: ভিটামিন -ডি চুলকে স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী করে তোলে। এবং শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন -সি: ভিটামিন -সি চুলকে মজবুত করে ও চুল ভাঙ্গার প্রতিরোধ করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্লোজেন তৈরি করতে সাহায্য করে।
- বি -ভিটামিন: নিরাসিন, বায়োটিন, ও কোবানামিন(ভিটামিন বি ১২) চুল পড়া রোধ করতে ও চুল বৃদ্ধির জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।
- ভিটামিন -এ: ভিটামিন -এ চুলকে সুস্থ রাখে ও মাথার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার করতে সাহায্য করে।
চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক
কম হোক বা বেশি আমাদের সবার মধ্যে চুল পড়া সমস্যাটা রয়েছে। কিন্তু এই সমস্যাটা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে তখন মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। সত্যি যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। যারা চুলের পিছনে এক ঢাল টাকা খরচ করো কোন ফল পাচ্ছে না। তাদের জন্য আমরা কিছু পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের প্রায় সবার বাড়িতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগালে আপনি পাবেন ঘন ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুল। আসুন জেনে নেই কিছু হেয়ার প্যাক সম্পর্কে।
মধু ও ডিমের হেয়ার প্যাক
মধু ও ডিমের যে কত গুন চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য তা প্রায় সবারই জানা। চুল ঝলমলে ও সুস্থ রাখতে মধু ও ডিম অনেক কাজে আসে। এই দুটি উপাদান দিয়ে যদি চুলের জন্য হেয়ার প্যাক বানানো যায়। তাহলে চুল হবে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল মসৃণ ও ঝলমলে। তাছাড়াও চুলের জেল্লা ফেরাতে ও চুল পড়া কমাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিমের হেয়ার প্যাকেে কোন জুড়ি নেই।
নিয়মঃ
একটা পাত্রে প্রথমে দুইটা ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এবং তার মধ্যে ১ থেকে ২ চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে মাথার ত্বক সহ চুলের সমস্ত গায়ে মাখিয়ে রেখে দিতে হবে এক ঘন্টার জন্য। তারপরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
এলোভেরা হেয়ার প্যাক
চুল সব সময় ভালো রাখতে এলোভেরা অনেক কাজে আসে। অ্যালোভেরা মাথার স্কেল্প অনেক ভালো রাখে। যদি আপনার দুষণে ও রোদে চুলের বারোটা বাজে তাহলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন একবার।
নিয়মঃ
৪ থেকে ৫ চামচ এলোভেরা জেল এর সাথে ১ চামচ মধু ২ চা চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল মেশিয়ে একটা ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। ও মাথার স্কেল্প সহ চুলে ভালোভাবে মাসাজ করে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টা পরে শ্যাম্পু করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কলা ও নারকেলের দুধের হেয়ার প্যাক
নারকেল তেল যে আমাদের চুলের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সবাই জানি। তেমনি নারকেলের দুধ ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। আপনি যদি চান তাহলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা এক মাসের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।
নিয়মঃ
একটা কলা ভালোভাবে চটকে তার সাথে আধা কাপ নারিকেলের দুধ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে বা হাত দিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপরে মিশ্রণটি ভালো করে স্কেল্পে ও চুলের গায়ে লাগিয়ে ঘন্টা খানিকের মতো রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। নারকেলের দুধে রয়েছে প্রোটিন, ও কলাতে রয়েছে ফসফরাস, যা আপনার চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি যোগাবে। চুল পড়া কমাবে ও চুলকে মজবুত করবে।
জবা ফুলের হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে জবা ফুলের কোন জুড়ি নেই। চুলের জন্য জবা ফুলের প্যাক অনেক কার্যকারী। জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর এন্টি অক্সিজেন যা চুলের পড়া রোধ করতে ও চুল বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। জবা ফুলের পাপড়ি হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।
নিয়মঃ
আপনার চুল অনুযায়ী জবা ফুল নিন,ও পেস্ট বানিয়ে নিন। তার মধ্যে পরিমাণ মতো নারিকেল তেল মিশিয়ে একটা হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলের আলোচিত বিষয় ছিল ছেলেদেরও মেয়েদের চুল পড়া বন্ধের উপায় গুলো নিয়ে। আশা করি আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এই পোস্টের তথ্যগুলো দ্বারা আপনারা উপকৃত হয়েছেন। উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করলে আশা করা যায় আপনার চুল পড়ার সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url