প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়
৪ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার নড়াচড়াপ্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় ও বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সহ কি করলে, কি খেকে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে সে বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেল।
যে সকল মায়েরা বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির উপায় জানতে চান বা জানার জন্য এই আর্টিকেলে এসেছেন তাদেরকে স্বাগতম। আমরা আজকে এই বিষয়টা নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
প্রায় প্রসূতি মায়েরাই একটা বিষয় জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকে যে কিভাবে, কোন কাজ করলে বা কোন খাবারে বুকের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিষয়গুলো সম্পূর্ণ জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়
একটা বাচ্চার জন্মের পর তার আদর্শ খাবার হল একমাত্র মায়ের বুকের দুধ। সেক্ষেত্রে বাচ্চার জন্য একজন মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর ধারণা রাখা জরুরি। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব এজন্য সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।
- তরল জাতীয় খাদ্য গ্রহণঃ বাচ্চাকে প্রতিবার বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে যদি মা তরল জাতীয় খাবার যেমন ফলের রস, পানি, দুধ বা পানি সমৃদ্ধ কোনো সবজি খায় তাহলে মায়ের বুকের দুধের পরিমাণ অনেকটা বৃদ্ধি পায়। এজন্য চেষ্টা করবেন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে তরল জাতীয় যেকোনো খাবার খাওয়ার।
- পেঁপেঃ একটা কাইমোপাপেইন নামে এনজাইম থাকে পেঁপেতে যা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধের জন্য অন্যতম উপাদান। এজন্য প্রসূতি মায়েরা চেষ্টা করবেন নিয়মিত পেঁপে খাবার।
- ফলমূলঃ ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন ও ফাইবার থাকে যা মায়ের দুধ বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। দুধ উৎপাদন বাড়াতে কমলা, পেঁপে, আপেল, কলা, আতা, আঙ্গুর, তরমুজ ও স্ট্রবেরি জাতীয় ফল পুষ্টিবোধক হিসেবে কাজ করে।
- করোলাঃ প্রচুর পানি ও উচ্চমানের পুষ্টি আছে করোলাতে এই সবজিটা মাকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে ও বুকের দুধ বৃদ্ধি বা অধিক উৎপাদন করতে অনেক সক্ষম। এজন্য প্রসূতি মায়ের খাবারের তালিকায় করোলা রাখুন।
- নারিকেলঃ নারিকেলের কোলেস্টোরেল ও ক্যালোরের পরিমাণ কম হলেও এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস আছে অনেক যা চারটা কলার পুষ্টির থেকেও অনেক বেশি। স্ত্যদানকারী মায়েদের জন্য নারিকেল অনেক উপকারী।
- কচু শাকঃ বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের শরীরে আয়রন থাকা জরুরী। কচুর শাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে এজন্য গর্ভাবস্থায় ও স্ত্যনদানকারী মায়েদের জন্য কচুর শাক খুবই উপকারী একটি খাবার।
- কাজুবাদামঃ প্রতিদিন কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। পানিতে সারারাত কাজুবাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে হয় এই কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হরমনকে উদ্দীপ্ত করতেও দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে।
- শাকসবজিঃ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে রয়েছে খনিজ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে অনেক সহায়ক। বিশেষভাবে উপকারী শাকগুলো হল লাল শাক, কলমি শাক, পুইশাক, পালং শাক, সিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি।
- মাছঃ দেশি রক্ত জাতীয় মাছ মায়ের দুধ বৃদ্ধির পাশাপাশি মায়ের শরীরের রক্তের অভাব দূর করতে অনেক সাহায্য করে। মাছের রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মায়ের খাদ্য তালিকায় টুনা, ম্যাকেরেল স্যালমন মাছ ও আমাদের দেশী মাছের মধ্য শিং, মাগুর, জিওল, কই, বাইন মাছ রাখতে পারেন।
- দুগ্ধজাত খাবার খানঃ দুধ জাতীয় খাবারে ভিটামিন এ ও ডি, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে যা মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ অবদান রাখে দুধ, মাখন, ছানা, পানির, দই ইত্যাদি।
- মসলাঃ মসলার মধ্যে জিরা, রসুন,মৌরী ও মেথি শাকে ইস্ট্রোজেন উপাদান থাকে যা বুকের দুধের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়াতে রসুন অনেক সহায়তা করে।
- বীজ ও বাদামঃ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রোটিন ও ফাইবার থাকে বীজে ও বাদাম যা মায়ের দুধ বাড়ানোর অন্যতম উপাদান। কুমড়ার বিচি, পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ও বাদাম ও বীজে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে আর এগুলা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
উপরে উল্লেখিত কথাগুলোর পাশাপাশি আপনাকে কিছু নিয়ম- ও কিছু কাজ অবলম্বন করতে হবে বা নিচের বলা কাজগুলো করলেও মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উপরের কথাগুলোর পাশাপাশি নিচের দেওয়া তথ্যগুলো মেনে চলুন।
- আপনার শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় স্তন থেকে কিছুটা দূরেও উপরে রেখে খাওয়ান। এভাবে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে বাচ্চা একটু বেশি দুধ পাবে।
- আপনার শিশুকে ঘনঘন দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। দিনে ১ ঘন্টা পর পর বাচ্চাকে খাওয়ান ও রাতে ২ ঘন্টা পর পর খাওয়ান।
- বাচ্চাকে যত ঘন ঘন দুধ খাওয়াবেন বুকের দুধ তত বেশি উৎপাদন হতে থাকবে। এক পাশের স্তনের দুধ খাওয়ানো হয়ে গেলে অন্য পাশের স্তনের দুধ খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে দুই পাশের স্তনের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত ও তেলে ভাজা খাবার বেশি খাবেন না এবং চা ও কফি অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট সেবন করবেন না।
যে কোন খাবার ভালোভাবে রান্না করতে হবে বিশেষ করে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ জাতীয় খাবার গুলো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে ও খাদ্য বাহিত রোগের সংক্রমণ এড়াতে হবে। উপরে উল্লেখিত উপায় গুলো মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর জন্য ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন এতে করে আপনারা অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন।
প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়
একটা শিশু জন্মের পর অনেক মায়েরা আছেন যারা বুকের দুধ খাওয়ানোর উপায় গুলো খুঁজতে থাকেন কারণ অনেক এর ক্ষেত্রে বুকের দুধ যতটুকু পরিমাণ উৎপাদন হয় তা শিশুকে খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ হয় না। তবে শুধু আপনার ক্ষেত্রে এমন না আমাদের দেশে প্রায় অনেক মহিলাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরে।
যেহেতু একটা নবজাতক শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই হলো তার পুষ্টি ও খাবারের একমাত্র উৎস এজন্য প্রসূতি মায়েরা তাদের শিশুর আরাম ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক চিন্তিত থাকে। যদি আপনি একজন প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়ানো নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনাকে অনেক সহায়তা করতে চলেছে। একজন নতুন মায়ের বিভিন্ন কারণে স্বল্পতা বুকের দুধ দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কি খেলে গর্ভের বাচ্চার ওজন বাড়ে
এজন্য প্রস্তুতি সব মায়েদের খাবারের তালিকায় পুষ্টি ও ভিটামিন জাতীয় খাবার রাখাটা অনেক জরুরী। আপনার খাদ্য তালিকা সঠিক থাকলে আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি উৎপাদন হতে পারে এবং খাদ্যর পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সঠিকভাবে রেখে একটি তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন। সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
- একটা নির্ধারণ রুটিন তৈরি করুন বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য। আপনার বাচ্চা ও আপনার সুবিধাও অনুযায়ী এক থেকে তিন দিনের মধ্য খাওয়ানোর তালিকা বা নিয়ম তৈরি করুন।
- নবজাতক বাচ্চার থেকে পাঁচ মাস বাচ্চার জন্য মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার এজন্য অন্য বাড়তি খাবার বাচ্চার থেকে এড়িয়ে চলুন।
- বাচ্চাকে ঘন ঘন খাওয়ান যাতে করে আপনার স্তন খালি হয়ে যায় আর যদি বাচ্চা দুই স্তন খেয়ে খালি রাখতে না পারে তাহলে আপনি হাত দিয়ে নিজ থেকে স্তনের দুধ বের করে দিবেন। মনে রাখবেন খালি স্তনের দুধ বৃদ্ধি হতে অনেক সহায়তা করে।
- বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য ফিডার বা বোতল জাতীয় কিছু এড়িয়ে চলুন। বাচ্চার মুখে স্তন প্রবেশ করিয়ে প্রাকৃতিকভাবে খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
এইসব পদ্ধতির পাশাপাশি মায়ের খাদ্য তালিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরী। তো চলুন নিতে জেনে নিই কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো খেলে প্রস্তুতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করবে।
- তিলজাতীয় খাবারঃ প্রসূতি মায়েদের তিলের ভর্তা, তিলের নাড়ু ও তিল জাতীয় খাবার বেশি বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ এই তিলের বীজে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ইস্ট্রোজেন উপাদান রয়েছে।
- রসুনঃ প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক বলা হয় রসুনকে, এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আমাদের স্বাভাবিক মানুষের পাশাপাশি প্রস্তুতি মায়েদের জন্য। এটি মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনে অনেক সাহায্য করে এবং মাতৃকালীন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
- ওটসঃ সুপার ফ্রুট বলা হয় ওটসকে, ওটসে রয়েছে আইরন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান। আর সেইসাথে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ওটস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য প্রসূতি মায়েদের খাদ্য তালিকায় ওটস রাখতে পারেন। ওটসের মত দানাশস্য যে কোন খাবার খেতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।
- মেথীঃ আপনারা নিশ্চয়ই মেয়েদের জ্ঞান সম্পর্কে জানেন, মেথির বিভিন্ন গুণ রয়েছে যা প্রসূতি মায়ের দুধ বৃদ্ধি করতে অনেক সহায়তা করে। উপকারী এস্ট্রোজেন নামক উপাদান থাকে মেথির মধ্যে যার দুধ উৎপাদন করতে সাহায্য করে। সেজন্য নতুন মায়েরা মেথি বা মেথির শাক নিয়মিত খেতে পারেন।
- জিরাঃ মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে থাকে জিরা এবং এর পাশাপাশি হজমেরও কাজ করে থাকে। পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এই জিরা। জিরার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, খাবার তরকারির মসলা হিসেবে আপনি জিরা ব্যবহার করতে পারেন।
- কাজুবাদামঃ কাজু বাদামে রয়েছে ভিটামিন কে যা হারের জন্য অনেক উপকারী এবং এই কাজুবাদাম প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাপক উপকারী একটি ফল। দুধ বৃদ্ধি করার জন্য আপনি কাঁচা কাজু বাদাম খেতে পারেন, দেহের খনিজের চাহিদা পূরণ হয় নিয়মিত কাজুবাদাম খেলে। তা ছাড়া কাজু বাদামে রয়েছে লুটেন-অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও জিয়াক্রাথিন যা ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে চোখের রক্ষা করে।
- পানিঃ মায়ের দুধের পানির পরিমান প্রায় ৯০ শতাংশই এজন্য বুকের দুধ বৃদ্ধিতে মায়ের উচিত প্রচুর পানি পান করা। স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত অন্তত .৮ থেকে ১০ গ্রাম পানি পান করা প্রয়োজন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করা সম্ভব। স্বাভাবিকভাবে যদি মা মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকে ও মায়ের খাদ্যতালিকা সঠিক থাকে তাহলে বুকের দুধ বৃদ্ধির মাত্রা ও সঠিক থাকে।
কি খেলে বুকের দুধ কমে যায়
বাচ্চা জন্মের শুরুর দিকে প্রায় সব মায়েদেরই বুকে দুধের পরিমাণ অনেক থাকে। কিন্তু আস্তে আস্তে দুধের পরিমাণ কমে যায় অর্থাৎ বাট যত বড় হয় দুধের পরিমাণ তত কমতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে যদি মায়ের দুধ কমে যায় সেটা অনেক দুশ্চিন্তার বিষয় যা আমরা সহজে ভেবে দেখি না। আমরা সাথে সাথে বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো শুরু করে দিই।
আগে থেকে আমরা যদি কারণগুলো জেনে নিই যে কি কি খেলে বুকের দুধ কমে যায় তাহলে আমাদের আর এই সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনাকে সবার আগে মনে রাখতে হবে যে আপনার খাবারের উপর আপনার বাচ্চার দুধ পাবে। আপনি প্রতিদিন যত পরিমান সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন তত পরিমাণ আপনার দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
পানির পরিমাণ বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ দুধের মধ্যে ৯০ ভাগই পানি থাকে। প্রোল্যাকটিন নামে একটা হরমোন থাকে নারীদের শরীরে যেটা দ্বারা দুধ তৈরি করতে সাহায্য করে। যদি কারো শরীরে এই হরমোনটা বেশি বা কম থাকে তাহলে কিন্তু বুকের দুধ কমে যেতে পারে। তাছাড়া মায়ের যদি থাইরয়েড কোন সমস্যা থাকে তাহলেও বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
- বাচ্চাকে বুকের দুধ দেরি করে খাওয়ানো শুরু করলে সেক্ষেত্রে বুকে দুধ কমে যেতে পারে।
- বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে অন্য কিছু খাওয়ালে তখন শিশুর ক্ষুধা কমে যেতে পারে আর তখন বাচ্চা বুকের দুধ কম খেতে পারে।
- যদি মা মানুষিক ও শারীরিকভাবে চিন্তিত বা ক্লান্ত থাকেন তাহলেও মায়ের বুকের দুধ কমে যেতে পারে এজন্য স্তন্যদানকারী মাকে সুষম পুষ্টিকম খাবার গ্রহণ করতে হবে ও চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে এবং বেশি পরিমাণে বিশ্রামও ঘুমাতে হবে।
- মায়ের দুধের প্রধান উৎস হলো পানি। মা যদি বেশি বেশি তরল বা পানি পান না করে তখন বুকের দুধ কমে যায় ও প্রসাবে জ্বালাপোড়া সহ অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
বুকের দুধ কমে যাওয়ার অন্যান্য কারণগুলো তো জেনে নিলাম তো চলুন এবার জেনে নেই কি খাবার খেলে মায়ের বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
- মরিচ টমেটোঃ মরিচ ও টমেটো বেশি পরিমাণে খেলে বাচ্চার ডায়রিয়া, পেট ব্যথা সহ নানা সমস্যা হতে পারে এজন্য স্তনদানকারী মায়েরা এই জাতীয় খাবার গুলো কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। এই খাবার বেশি খেলে বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
- কোকোঃ থিব্রোমোলাইন নামক উপাদান রয়েছে কোকোতে যা প্রোলাক্টিন হরমোনের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে আসলে প্রোলাক্টিন হরমোনেই নিয়ন্ত্রণ করে।
- চা-কফি যুক্ত পানীয়ঃ চা কফি যুক্ত পানি ও মায়েদের বুকের দুধ উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এজন্য স্তমদানকারী মায়েদের চা-কফি জাতীয় পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
- তেল-চর্বিযুক্ত খাবারঃ অতিরিক্ত তেল চর্বি খাবার শরীর ওজন বাড়াতে পারে ও মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির হার কমাতে পারে। এজন্য স্তনদানকারী মায়েদের বুকের দুধ কমে যাওয়ার পিছনে দায়ী তেল চর্বিযুক্ত খাবারগুলো তাই এ সকল খাবারগুলো থেকে প্রসূতি মাকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
- অ্যালকোহলঃ মা যদি অ্যালকোহল পান করে তাহলে বুকের দুধ কমতে পারে এবং বাচ্চার জন্যও সেটা অনেক ক্ষতিকর। সে ক্ষেত্রে স্তনদানকারী মায়েদের অ্যালকোহল পান করা একেবারেই উচিত নয়।
- ধূমপানঃ স্তনদানকারী মায়েদের বুকের দুধ কমে যাওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান করার কথা প্রসূতি মায়েদের ভাবনাতেও আনা যাবে না এমনকি ধূমপান করা কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলেও মায়ের দুধ বৃদ্ধি কমে যেতে পারে।
তাছাড়া কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধ আছে যেগুলো সেবন করলে মায়েদের হরমোনের সমস্যা হতে পারে ও বুকের দুধ উৎপাদন কমে যেতে পারে। এজন্য উত্তম দানকারী মায়েদের যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন করার আগে চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে।
বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
একটা বাচ্চা জন্মের পর তাকে মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ানো প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রায় অনেক নারীদের বুকের দুধ বিভিন্ন কারণে কমে যায়। আর বাচ্চা ঠিকমতো মায়ের দুধ না পাওয়াই তারও স্বাস্থ্য নষ্ট হয় এবং পুষ্টিহীন হয়ে পড়ে। এজন্য আজকের এই পোষ্টের এই অংশ থেকে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার উপায় গুলো চলুন জেনে নেই।
- মায়ের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি রাখার চেষ্টা করুন। যেমন পুষ্টি ও রসালো ফল, দেশি মাছ, ডিম, দুধ, সবুজ শাক-সবজি, ওটস, মেথি, রসুন, কালোজিরা, বাদাম, বীজ, তীল, নারিকেল, করোলা ও তরল জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেতে দিন। মায়ের খাবারের তালিকা সঠিক থাকলে বাচ্চা ও প্রচুর পরিমাণ বুকের দুধ পাবে।
- মায়ের দুধ উৎপাদনের জন্য মাকে বেশি পানি পান করতে হবে কারণ মায়ের দুধের প্রধান প্রধান উৎস হল পানি। এজন্য বাচ্চার বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে যদি মা এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করে সেক্ষেত্রে বুকে বৃদ্ধি পাবে।
- বুকের দুধ উৎপাদনে আপনাকে বেশি পরিমাণ ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে। কারণ স্তন্যদানকারী যদি কাজের প্রেসারে থাকে অথবা শারীরিক ও মানসিক চাপে থাকে তাহলে এই প্রভাবে আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। সেজন্য এই সময়ে অতিরিক্ত টেনশন বা বেশি কাজ না করাই উচিত।
- মায়ের দুধ বৃদ্ধির আরও একটি উপায় হল যখন আপনার বাচ্চাকে আপনি দুধ পান করাবেন এবং বাচ্চার যখন দুধ পান করা হয়ে যাবে তারপরে দুইটি ব্রেস্ট আপনি পাম্প করাবেন। এমনভাবে কিছুদিন পাম্প করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
- আপনার শিশুকে যখন বারবার করে দুধ খাওয়াবেন তখন দেখবেন বেশি দুধের পরিমাণটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি আপনার বুকের দুধ কম থাকে তাহলে আপনার শিশুকে স্তন মুখে দিয়ে ঘন ঘন দুধ খাওয়াবেন এর ফলে আপনার বুকের দুধ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
- বুকের দুধ উৎপাদনে খেজুর, বাদাম ও কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি ও ভিটামিন রয়েছে যা বুকের দুধ উৎপাদনে অনেক বেশি কার্যকারী। এগুলোতে শর্করা আছে প্রচুর পরিমাণ যা আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধিতে অনেক সহায়তা করবে।
- যখন আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন তখন একটা স্তন ভালো মতো খাওয়া না হওয়া পর্যন্ত অন্য স্তনটা দিবেন না। একটা স্তনের দুধ ভালো মতো খাওয়া হয়ে গেলে অন্যটা দিবেন। এতে বুকের দুধ বেশি পাবে ও এভাবে বুকে দুধ খেলে আস্তে আস্তে দুধ বৃদ্ধি ও পাবে।
- বুকে দুধ উৎপাদনে কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে, সামান্য পানি দিয়ে হালকা গরম করে নিন। এরপর পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিয়মিত সেগুলো খেলে বুঝতে পারবেন যে বুকের দুধ কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সর্বশেষ আর একটা পরামর্শ হলো আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। ডাক্তার আপনাকে যেমন নিয়ম মেনে চলতে বলবে বা যা করতে বলবে আপনি যদি সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনার বুকের দুধ অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।
বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট
বাজারে অনেক ধরনের ট্যাবলেট পাওয়া যায় যা বুকের দুধ উৎপাদনের সাহায্য করে কিন্তু ট্যাবলেট মোটেও খাওয়া উচিত নয়। এরপরেও যদি আপনারা এই ট্যাবলেট খেতে চান তাহলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপরে পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
কোন ফল খেলে বুকের দুধ বাড়ে
আপনার বাচ্চাকে দরকারি পুষ্টি দেবার জন্য সবথেকে ভালো উপায় হল বুকের দুধ খাওয়ানো। কিন্তু বুকের দুধে নানা সমস্যা আসতে পারে যেমন দুধ শুকিয়ে যাওয়া, দুধ কমে যাওয়া ইত্যাদি। এই অবস্থায় আপনাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে কারণ আপনার দুধ উৎপাদনের সাথে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য জড়িয়ে আছে।
দুধের উৎপাদন কমে গেলে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে আর এই সমস্যা সমাধানের নানা ধরনের উপায় আছে। যেমন কিছু খাবার আছে যেগুলো মায়ের জন্য অনেক উপকারী এবং দুধ বৃদ্ধিতেও অনেক সাহায্য করে। এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আসুন আমরা জানি যেগুলো পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- ছোলাঃ তে আছে অনেক বায়ো অ্যাকটিভ কম্পাউন্ড, প্রোটিন এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। এতে বুকে দুধ উৎপাদনের বেস সহায়তা করে।
- সজনে ডাটাঃ সজনে ডাটা ও মরিঙ্গাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। স্যুপ, স্ট্য ও তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন। এটি বুকের দুধের বৃদ্ধি বাড়ায়। ক্যাপসুল বা পাউডার হিসেবে ওষুধ ও পাওয়া যায়।
- গাজরঃ আপনার খাবারে গাজর অনেক খাদ্য গুণ যোগ করে আর এটাতে রয়েছে ফাইটোইস্টোজেন যা বুকের দুধ বৃদ্ধি করে। রান্না করে বা সালাত হিসাবে এটা খেতে পারেন।
- টোফুঃ একটা সয়-সমৃদ্ধ খাবার হল টোফু যার মধ্যে আছে ফাইটোইস্টোজেন মায়ের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। টোফু সালাত অথবা মূল খাদ্য হিসেবে খেতে পারেন।
- মৌরীঃ ফাইটোইস্টোজেন রয়েছে মৌরীতে যা বুকের দুধের যোগান বাড়ায়। মৌরী হজমেও অনেক সাহায্য করে। মৌরী স্যুপ, স্ট্যু অথবা চা এবং ভেজানো পানি গাড়িতেও ব্যবহার করা যায়।
- লাল সবজিঃ বেটা ক্যারোটিনে ভরপুর বিটরুট, মিষ্টি আলু, লাল শাক, গাজর ইত্যাদিতে। মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনে এগুলো অনেক বড় ভূমিকা পালন করে এবং লিভারকেও ভালো রাখে।
- সবুজ সবজিঃ করলা, লাউ, পুঁইশাক, চিচিঙ্গা, পিয়াজের কলি, ঢেঁড়স, কাঁকরোল, কচুর শাক, বরবটি, কলমি শাক ইত্যাদি সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন, আইরন ও ক্যালসিয়াম। এগুলো মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং বুকের দুধ উৎপাদনে অনেক বড় অবদান রাখে।
- জিরেঃ প্রচুর পরিমাণ আয়রনের ভরপুর জিরে। জিরে অনেক বেশি দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ জিরে দিয়ে সারারাত ভিজে সকালে সেই পানি ছেকে খেয়ে নিতে পারেন।
কোন মাছ খেলে বুকের দুধ বাড়ে
স্তনদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে কিছু মাছ রয়েছে যেগুলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর এবং মায়েদের পাশাপাশি বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কার্যকারী। নিচে কিছু মাছের নাম দেয়া হলো যে মাছগুলো খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে থাকে।
- স্যালমন
- হেরিং
- ক্যাপেলিন
- ঝিনুক
- নীল কাঁকড়া
- হক
- হ্রদের হোয়াইট ফিশ
- আটল্যান্টিক ম্যাকেরেল
- রেইনবো ট্রাউট
- মুলেট
- গলদা চিংড়ি
- দেশী মাছঃ শিং মাছ, মাগুর মাছ, জিওল মাছ, কই মাছ, বাইন মাছ
বুকের দুধ না আসার কারণ
বাচ্চার বয়স ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু মায়েদের খাওয়াতে বললে তারা বলে যে দুধ খায়না বা পায়না। মায়ের বুকের দুধ বিভিন্ন কারণে কমে যেতে পারে নিচে থাকছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।
আমাদের দেশের প্রায় স্তন দানকারী নারীরা অপুষ্টিতে ভুগেন। এবং গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে রয়েছে অনেক ধরনের কুসংস্কার যা প্রায় নারীরাই এই কুসংস্কর গুলো মেনে থাকেন। এজন্য তারা স্তনদানকারী অবস্থায় অনেক অপুষ্টিতে ভোগেন আর সেক্ষেত্রে বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ কম পেতে পারে।
মায়ের দুধ উৎপাদন করতে হলে আগে মাকে ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণ খেতে হবে তবেই মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন হবে। আপনাদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কোন খাদ্য থেকে দুধ বৃদ্ধি পায় আর যদি মা খাদ্য কম গ্রহণ করে তাহলে কিভাবে দুধ বৃদ্ধি পাবে। পুষ্টি ও ভিটামিন সম্পন্ন দুধ পাওয়ার জন্য মায়ের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে।
মায়েদের বিভিন্ন কারণে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে অনিচ্ছা যাগে। মাকে বুকের দুধ উৎপাদনে অনেক আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। বাচ্চাকে সঠিক জায়গায় ও সঠিক পদ্ধতিতে না খাওয়ালে বাচ্চা স্বাচ্ছন্দ বোধ করেনা এবং খাওয়ানোর নিয়ম সঠিক না হলে স্তন ফেটে যাওয়া এবং স্তন ব্যথা হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঠিক পদ্ধতি শিখে নেওয়ার জন্য অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পারিবারিক দুশ্চিন্তা ও মানসিক অশান্তির কারণে বুকের দুধ কমে যেতে পারে। মায়ের যদি ঠিকমতো ঘুম না হয় তাহলে ও বুকের দুধ কমে যেতে পারে এবং নিজের প্রতি অযত্নবান হলেও দুধ না আসার কারন হতে পারে। এজন্য মায়েদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন। যদি বাচ্চাকে ফিডার দিয়ে দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে আর বাচ্চা মায়ের দুধ মুখে নিতে চাই না।
বাচ্চাকে ফিডার খাওয়ানো অনেক সহজ এজন্য মায়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চাকে ফিডার দুধ খাইয়ে থাকেন। আর মায়ের দুধের চেয়ে ফিডারের দুধ বেশি মজা করে খেয়ে থাকে। আশা করছি আপনারা এই বিষয়গুলো সহজে বুঝতে পেরেছেন।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি প্রসূতি মায়েরা কি কি করলে বা কি কি খেলে অথবা কোন কাজ গুলো অনুসরণ করলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে। আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েছেন। উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করলে আশা করা যায় মায়েদের বুকের দুধ না পাওয়ার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এমনই বিভিন্ন টাইপের ইনফরমেশনাল পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url