দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় - প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় কত হলে নরমালদ্রুত হাই পেশার কমানোর উপায় ও হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় এবং প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে এ সকল বিষয়ে এখন প্রায় কম বেশি সকলেরই প্রশ্ন থেকে থাকে। কারণ এখন প্রায় মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো হাই প্রেসার। এই হাই প্রেসার রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং হাই প্রেসার হলে মানুষের অন্যান্য রোগ গুলো বৃদ্ধি পায় যেমন, স্ট্রোক হৃদরোগ ইত্যাদি।
দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

অতিরিক্ত টেনশনের কারণে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয় যার ফলে হাই প্রেসার হয়। আর হাই প্রেসার একসময় মহামারি আকার ধারণ করে এই রোগ মানুষের ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্য হানি ঘটায়। হাই প্রেসার এর লক্ষণ, এ রোগ হলে কি খেতে হবে ও কি খাওয়া উচিত না এবং হাই প্রেসারের কারণ গুলো কি কি সহ এ রোগ হলে করণীয় কি এইসব বিষয়গুলো এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। হাই প্রেসার সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

সবার কাছে খুব পরিচিত একটি রোগ হল হাই প্রেসার সঠিক সময় এই রোগ চিহ্নিত করে চিকিৎসা না করলে মারাত্মক স্বাস্থ্য হানি ঘটতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এর রোগে আক্রান্ত হতে পারে কিন্তু তারা বুঝতে পারে না। এমন অনেকেই আছে যারা জানেনা যে তাদের হাই প্রেসার আছে। হাই প্রেসার ধরা পড়ার পর পর সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে ঝুঁকিমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব। আমরা এই পোস্টে হাই প্রেসার সম্পর্কিত সকল তথ্য নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

উচ্চ রক্তচাপের অপর নাম হাইপ্রেসার এই রোগ নীরব অবস্থায় থাকলেও স্বাস্থ্যর অনেক ক্ষতি করে। উচ্চ রক্তচাপ অধিক হারে বেড়ে গেলে হৃদরোগ, স্টক হতে পারে এবং বেড়ে যায় মৃত্যুর ঝুঁকি। সেই কারণে হাই প্রেসার দ্রুত কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় গুলো তাহলে চলুন নিচে থেকে দেখে নেওয়া যাক।
  • শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করাঃ সকল মানুষের ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপ কমানো সম্ভব তাছাড়া নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করা যেতে পারে। জোরে জোরে হাটাহাটি করলে রক্তচাপ কমতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
  • শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখাঃ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সঠিক ওজন রাখাটা অনেক জরুরী। অতিরিক্ত ওজন হলে শরীরে নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে যদি আপনার অতিরিক্ত ওজন এবং অতিরিক্ত কলেস্টেরল থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন।
  • গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাসঃ হঠাৎ হাই প্রেসার দেখা দিলে তা দ্রুত কমানোর সহজ উপায় হিসেবে গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং মননশীল শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। শরীরে শিথিল প্রতিক্রিয়াকে ডায়াফ্রাম্যাটিক শ্বাস-প্রশ্বাস ট্রিগার করতে পারে। এটি ঘুরে হরমোনের স্ট্রোক কমাতে সাহায্য করে ও নিম্ন রক্তচাপকে উৎসাহিত করে।
  • মানসিক চাপ না নেওয়াঃ দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে যোগব্যায়াম, মেডিটেশন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
  • সঠিক পরিমাণ ঘুম পাড়াঃ রক্তচাপ কমাতেও সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা স্বাস্থ্যকর ক্যারিওভাস কুলার ফাংশন সমর্থন করতে ঘুমের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
  • ডার্ক চকলেট খাওয়াঃ ডার্ক চকলেট এমন ফ্ল্যাভোনরেড আছে যা যৌন রক্তনালী গুলোতে শিথিল এবং রক্ত সঞ্চালন অনেক উন্নত করতে সাহায্য করে। কমপক্ষে ৭০ পার্সেন্ট কোকো সামগ্রী ও চকলেট সর্বাধিক সুবিধার জন্য বেছে নিন। হাই প্রেসার কমানোর জন্য সহজ উপায় হিসেবে ডার্ক চকলেট খাওয়া খুবই উপযোগ্য হতে পারে।
  • সঠিক পরিমাণ পানি পানঃ প্রতিটা মানুষকে দিনে ৮ লিটার পানি পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। বেশি বেশি পানি পান করলে হার্ড এবং কিডনি ভালো থাকে। একটি মানুষকে সুস্থ রাখতে পানিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে

কেউ যখন হঠাৎ অসুস্থ হয় তখন আমরা প্রথমে মনে করি তার আবার হাই পেশার হলো কিনা? এই হাই প্রেসার মানে হলো শরীরের মধ্যে প্রবাহিত রক্তচাপ অর্থাৎ ব্লাড প্রেসার ধমনী গুলোতে রক্তের বেশি চাপ থাকলে তাকে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ বলে। হাই ব্লাড প্রেসার উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক বলা হয়।
প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায়ই মানুষ এই হাই ব্লাড প্রেসার রোগে ভুগছেন। বয়স্কদেরই যে শুধু উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে এমন নয় সব বয়সের মানুষের এই সমস্যা হতে পারে যদি খাদ্যাভাসের অনিয়ন্ত্রণ হয়। হার্ট ফেল, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক ও হতে পারে এই উচ্চ রক্তচাপের কারণে। তাহলে চলুন জেনে নিই প্রেসার হাই হলে কি খেতে হবে।

প্রেসার হাই কমাতে যা খাবেনঃ

  • খাবারের তালিকায় প্রতিদিন প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি রাখুন যেমন টমেটো, লাউ, শসা, বেগুন, কুমড়া, ফুলকপি, মটরশুটি, পালং শাক, বাঁধাকপি, কলমি শাক ইত্যাদি।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে। টমেটো, কলা, ডাবের পানিতেও পটাশিয়াম থাকে, আঙ্গুর, রসুন, পেয়াজ, তরমুজ, পাতি লেবু ইত্যাদি।
  • দৈনিক যে ফল খাওয়া দরকার যেমন পেঁপে, পেয়ারা, আমলকি, বেদেনা, নাশপতি ইত্যাদি। এই ফলগুলোর মধ্য থেকে যেকোন ফল আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন। খাদ্যভাস সঠিক রাখতে হবে ও প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে যা খাবেনঃ

হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা ওষুধের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভাস ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকে অনেক গুরুত্ব দেয়। তারা মনে করেন যে ওষুধ খেলেই যে শুধু হাই প্রেসার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমনটা নয়। চিরতরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একটি সুস্থ সুশৃংখল জীবন যাপনের সাথে স্বাস্থ্যকর ডায়েটলিস্টও প্রয়োজন।

অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যভাস জীবন যাপনের অনিয়ম মানসিক উদ্বিগ্ন মাত্রা অতিরিক্ত কাজের চাপ এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে এবং কিছু খাবারের মধ্যেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যে খাবারগুলো প্রয়োজন তা নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
  • কুমড়ার বীজঃ কুমরা খেলেও অনেকে হয়তো এই কুমড়ার বীজ খান না, কুমড়ার বীজ বেঁচে ফেলে দেন কিন্তু অনেক পুষ্টি রয়েছে এই কুমড়ার বীজেও। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা এই কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। এটাতে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • বিট রসঃ বিট রস খুবই উপকারী একটি সবজি এই বিট রসের মতো উপকারী সবজি খুব কম পাওয়া যায়। আপনারা যারা হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন তারা এই বিট রস প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এই বিটের রস ধমনী শিথিল রাখে ও উচ্চ রক্তচাপ কমায়। তাই যদি আপনার হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে সর্বপ্রথম ২৫০ মিলি বিটের রস খাবেন।
  • টমেটোঃ টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আছে টমেটো অন্যতম। টমেটোতে আরো আছে ক্যারোটিনাইয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন। হৃদপিন্ডের জন্য এই উপাদান অনেক ভালো।
  • তেতুলের রস ও টক দইঃ আপনার যদি হঠাৎ করে পেশার বেড়ে যায় তাহলে আপনি তেতুলের রস বা টক দই খেতে পারেন এতে আপনি কিছুক্ষণের মধ্যেই শান্ত হয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনি পটাশিয়াম যুক্ত যেকোনো খাবার যেমন কলা, পাতি লেবু, তরমুজ ইত্যাদি খেয়েও আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন এবং ভিটামিন সি যুক্ত ফল কমলা খেতেও পারেন। এই ফলটাও অনেক কার্যকর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে।
যদি আপনার হঠাৎ করে এই প্রেসার বেড়ে যায় তাহলে উপরের উল্লেখিত খাবারগুলো খেতে পারেন আশা করি এতে আপনি সুফল পাবেন।

হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না

সব বয়সের মানুষেরই হাই প্রেসার হতে পারে মধ্যবয়সী বা প্রাপ্ত বয়সী সকল বয়সের মানুষের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দেয়। যখন মানুষের শরীরে স্বাভাবিকের চাইতে রক্তচাপ বেড়ে যায় তখন তাকে হাই প্রেসার বলে আবার ব্লাড প্রেসারও বলে। হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে ওজন কমানো ও খাদ্যাভাসের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি জনিত রোগ হতে পারে। হাই পেশার হলে কি কি খাওয়া যাবেনা বা কি কি খাওয়া বারণ তা নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে।

  • লবণঃ হাই প্রেসার এর রোগীদের প্রথমে লবণ খেতে মানা। শরীরের সোডিয়াম জমা থাকার কারণে হাই ব্লাড প্রেসার হয় সেই কারণে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য লবণ খুব ক্ষতিকর। তাই নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে লবণ জাতীয় খাবার পরিহার করাই ভালো। সেই সাথে খাবারের সাথে লবণ ও বিট লবণ গ্রহণ না করাই ভালো।
  • কফিঃ যাদের কফি খাওয়া দৈনিক রুটিনের মধ্যে পড়ে তাদের কফি না খেলে যেন দিন ভালো যায় না। কিন্তু তারা অনেকেই জানেনা কফি তাদের শরীরে কতটা ক্ষতিকর আবার অনেকে জেনেই খাই। কফি খেলে হাই প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। ক্যাফেইন জাতীয় এই জিনিসটি রক্তের মধ্যে মিশে স্ট্রোকের মত ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যাদের হাই প্রেসার আছে তাদের কফি পান করা থেকে দূরে থাকায় ভালো।
  • ফাস্টফুড এবং বেকারই খাবারঃ এখন প্রাই মানুষ ফাস্টফুড খাবার ও বেকার খাবার বেশি পছন্দ করে থাকে ও বেশি খেয়ে থাকে। এই প্যাকেট জাত খাবারের মধ্যেই ক্ষতিকর উপাদান দেওয়া থাকে যা থেকে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। প্রচুর পরিমাণে তেলে ভাজা চর্বিযুক্ত খাবার থেকে হাই প্রেসার হতে পারে।
  • লাল মাংসঃ হাই প্রেসার বেড়ে যায় লাল মাংস খেলে। খাসির মাংস গরুর মাংস মহিষের মাংস অধিক হারে হাই প্রেসার বাড়িয়ে দেয়। কারণ এইসব মানুষের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক থাকে যে কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই আপনার যদি হাই প্রেসার থেকে থাকে তাহলে এই খাবারগুলো পরিহার করুন।
  • মিষ্টি জাতীয় খাবারঃ চিনিযুক্ত খাবার খেলে হাই প্রেসার বেড়ে যায়। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে অনেক মোটা হয়ে যেতে পারে অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে হাই প্রেসারে আক্রান্ত হতে পারে। চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করে মধু খেতে পারেন। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত।
  • ডিমের কুসুম ও মুরগির চামড়াঃ ডিমের কুসুম খাবার ফলে বেড়ে যায় হাই প্রেসার এবং বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। মুরগির চামড়ায় অনেক চর্বি থাকে যার কারণে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।
  • আচার ও সস জাতীয় খাবারঃ হাই পেশার একটি মানুষের জীবনে বড় সমস্যা।, হাই প্রেসারের রোগীদের আচার এবং সহজ জাতীয় খাবার একেবারেই না খাওয়াই উচিত কারণ আচারে এবং সচে চিনি লবণ দেওয়া থাকে যা রক্তচাপ বাড়তে পারে।
  • অ্যালকোহলঃ অ্যালকোহল পান করার ফলে তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বেড়ে যায় তাছাড়া এতে অনেক পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা ওজন বাড়তে পারে। তাই অ্যালকোহল জাতীয় বা কোমল পানীয় পরিত্যাগ করুন।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ

কি কি উপসর্গ দেখে বুঝবেন যে আপনার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে নিচে উপসর্গগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
  • পেশার ও সুগারের সমস্যা এখন অনেক মানুষের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই সমস্যাটার বয়সের কোন মাপকাঠি নেই যে কোন বয়সে এই সমস্যাটা যে কারোরই হতে পারে। রক্তচাপ যদি কম থাকে তাহলেও সমস্যা আর যদি বেশি হয় তাহলে তো অনেক মুশকিল হয়ে পড়ে। যদি আপনার হাই পারটেনশন থাকে তাহলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা শরীরে আসতে পারে। যদি রক্তচাপ ১৩০/৮০ mmHg বা আরো বেশি হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার উচ্চ রক্তচাপ অবধারিত।
  • অনেক ধরনের স্টেজ আছে হাইপার টেনশনের। অনেকের মানসিক ও পারিবারিক টেনশনে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। যে কোন ধরনের টেনশন অতিরিক্ত করলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তীব্র গরমে পেশার লো হয়ে গেলেও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা টাই বেশি থাকে। যদি আপনার পেশার ১২০/৮০ mmHg মধ্য হয় তাহলে পেশার ঠিক আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। ডায়াস্টোলিক ৯০ mmHg এবং সিস্টোলিক চাপ ১৪০ mmHg এর বেশি হলেও তা অনেক চিন্তার বিষয়।
  • সাধারণভাবে উচ্চ রক্তচাপের বিশেষ কোনো লক্ষণ থাকে না। হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে উচ্চ রক্তচাপ হলে মাথা ঘোরায়, চোখে ব্যথা হওয়া, ঘাড়ের পিছনে ব্যথা হওয়া ও চোখে অস্পষ্ট দেখা এগুলো উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির লক্ষণ। এর সাথে যদি শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় ও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে বুঝবেন যে আপনার উত্তর রক্তচাপ বেড়ে গেছে। অনেকের চোখে তীব্র ব্যথা থাকে ও চোখে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং সেই সাথে শরীর দুর্বল হওয়া সমস্যাও থাকে।
উপরে উল্লেখিত যে কোন উপসর্গ আপনার দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাছাড়া যদি আপনার বয়স ১৮ হয়ে থাকে তাহলে অন্তত দুই মাস পর পর রক্তচাপ পরীক্ষা করুন এবং একটি সঠিক ডায়েটলিস্ট মেনে চলুন তার পাশাপাশি হালকা যোগব্যায়াম করুন।

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণ

হাই পেশার বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো নিচে দেওয়া হয়েছে।

  • ধূমপান করা।
  • অতিরিক্ত লবণ খাওয়া।
  • বয়স ৬৫ বছরের উর্ধ্ব হওয়া।
  • ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া।
  • পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না করা।
  • রাতে একটানা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার চেয়ে কম ঘুমানো।
  • নিয়মিত শাকসবজি ও ফলমূল না খাওয়া।
  • পরিবারে কারো হাই প্রেসার থাকলে।
  • অধিক হারে চা, কফি, কোমল পানীয় ও অন্যান্য ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাবার অভ্যাস থাকা।

হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়

কিছু মানুষ আছে সারা বছরই হাই প্রেসারে ভোগে তাদের জন্য কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো। উচ্চ রক্তচাপ যদি বেশি শরীরে প্রভাব ফেলে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক লোকদের কিছু দিন পর পর হাই প্রেসার মাপা দরকার। যদি সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ বা তার বেশি থাকে তখন হাই প্রেসার আছে বলে ধারণা করা হয়।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়

অনেক সময় রক্তচাপের কোন লক্ষণ দেখা যেতে নাও পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মানুষের কঠিন অসুখ হয়ে পড়ে যেমন স্টক, বৈকল্য, হৃদরোগ। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মাথা ঘোরানো, বুক ধরফর করা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, মাথাব্যথা আরো ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

হাই প্রেসার এর রোগীদের জোরে জোরে হাটার অভ্যাস করতে হবে। অতিরিক্ত ওজন বেশি হলে তা কমাতে হবে। খাবারের সাথে বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস যদি থেকে থাকে তাহলে তা ত্যাগ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে এইভাবে জীবন যাপনের ধরন পরিবর্তন করে উত্তর কমানো সম্ভব।
ধূমপান থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে এবং সকল দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ থাকলে তা কমাতে হবে। যারা হাই প্রেসারে কখনো আক্রান্ত হননি তারা যদি এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে তাহলে তারা উচ্চ রক্তচাপ তথা হাই প্রেসার হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। যারা আক্রান্ত হয়ে আছেন তাদের রক্তচাপ না কমলে ওষুধ খেতে পারেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে প্রয়োজনে হাতের কাছে রাখার চেষ্টা করুন যাতে আপনি খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পান এবং ওষুধ পান করার কথা ভুলে না যান। যারা এই রোগে আক্রান্ত হননি তাদের উচিত কিছুদিন পরপর হাই প্রেসার মেপে দেখা। তবে এই রোগে যদি হঠাৎ কেউ আক্রান্ত হয়ে যায় তবে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। সুপরিকল্পিত জীবন করলেই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ।

হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে

সুস্থ মানুষের যদি হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যায় তাহলে মাথায় বেশি করে পানি ঢালতে হবে বা বরফ দিতে হবে প্রয়োজনে বিশ্রাম নিতে হবে। তেতুলের শরবত খেতে হবে তাহলে রক্তচাপ কমে যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং তিনি ওষুধ দিলে ওষুধ খাওয়া উচিত।

হাই প্রেসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের

যে সকল মানুষ শারীরিক পরিশ্রম কম করে, অধিকার এ ধূমপান করে, যারা ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত সে সকল ব্যক্তিদের উচ্চ রক্ত চাপ হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি।

উচ্চ রক্তচাপের কারণ

বেশিরভাগ মানুষ হাই প্রেসারের রোগী আর কিছু মানুষের অন্য কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে কিডনির অসুখ থাইরয়েড গ্রন্থের রোগ অন্তক্ষরা গ্রন্থের অসুখ আবার জন্মগতভাবেও অনেকে উচ্চ রক্তচাপ রোগে আক্রান্ত হয়। গর্ভকালীন সময়েও উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।

রক্তচাপ বেড়ে গেলে কি কি রোগ হয়

স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তচাপ বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে কি কি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা নিজে তুলে ধরা হয়েছে।

  • কিডনির সমস্যা।
  • হার্ট অ্যাটাক।
  • হৃদরোগ।
  • স্ট্রোক।
  • হার্ট ফেইলিউর।
  • পায়ে রক্তচলাচল কমে যাওয়া আবার পচা ঘা হতে পারে।
  • মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি ডিমেনশিয়া।
  • অ্যাওটা নামক দেহের বৃহত্তম ধমনির রোগ।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের আলোচিত বিষয় ছিল হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ এর লক্ষণ, কারণ, করণীয় ও প্রতিকার নিয়ে যা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা হাই প্রেসার তথা উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। আমরা এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট করে থাকি এমনই বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url