দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ - কিডনি পাথরের লক্ষণ

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা - দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিতদীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ, কিডনি পাথরের লক্ষণ সহ কিডনি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কিডনি রোগের সম্পর্কে সকল তথ্য জানার জন্য এই আর্টিকেলে এসে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ

কারণ এই আর্টিকেলে আমরা কিডনি বিষয়ক সকল তথ্য গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি এর রোগের সকল বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলোর মধ্যে কিডনিও একটি। আমাদের শরীরের দূষিত বজ্রগুলোকে বের করে শরীরের রক্তকে পরিশোধিত করে। বর্তমানে অনেকেই কিডনি সমস্যায় ভুগছেন ও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই কিডনি ভালো রাখতে কি কি করা প্রয়োজন, কি খাওয়া প্রয়োজন, কি করা উচিত নয়, কিডনির সমস্যার লক্ষণগুলো কি কি এ সকল বিষয়গুলো জানা আমাদের অনেক প্রয়োজন।

আর এই আর্টিকেলে আমরা কিডনি বিষয়ে নানান তথ্য উপস্থাপনা করেছি। আশা করি এই সকল তথ্যগুলো আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ মানুষের ধীরে ধীরে ক্ষতি করে যার লক্ষণগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না। রোগটি অনেক বড় পর্যায়ে না যাওয়া পর্যন্ত ভালোভাবে নির্ণয় করা যায় না। কখনো কখনো আবিষ্কৃত হয়েছে যে কিডনি স্বাভাবিকের কার্যকারিতা ২৫ শতাংশ নেমে এসেছে এই রকম পরিস্থিতিতে অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা ব্যাপকভাবে বিষাক্ত জমা হতে পারে।
কিডনি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ সময়ের সাথে আস্তে আস্তে বিকাশ লাভ করে নিচে কিছু দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

  • বমি
  • ঘুমের সমস্যা
  • ক্লান্তি বা দুর্বলতা
  • ক্ষুধা মন্দা বা খাবারের প্রতি অনীহা
  • শরীরে চুলকানি হলে
  • বমি বমি ভাব অনুভব করা
  • পায়ের গোড়ালি এবং পা ফুলে যাওয়া
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হলে
  • পেশীতে টান ধরা
  • তুলনামূলক প্রসব কম হওয়া অথবা প্রসব বেশি হওয়া
  • বুকে ব্যথা

কখনো আবার অনির্দিষ্ট হতে পারে কিডনি রোগের লক্ষণগুলো তার মানে হল অন্য কোন অসুখের ও লক্ষণ হতে পারে এই লক্ষণগুলো। আপনি যদি এই লক্ষণগুলো অনুভব করেন তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কিডনি রোগের লক্ষণ

কিডনি রোগের লক্ষণ

বাংলাদেশ প্রায় মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় এবং বেশিরভাগ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অনেকেই জানেন না কিভাবে কিডনি রোগ আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় কোন উপসর্গ বোঝার আগে কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তখন কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না।
প্রসবে দুর্গন্ধ হওয়া, ঘন ঘন প্রসাব করা, প্রসব করার সময় জ্বালাপোড়া করা, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া, শরীর-মুখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি কিডনি রোগের লক্ষণ। উচ্চ রক্তচাপ, নেফ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি রোগ হয়ে থাকে। অনেক মাস বা বছর ধরে চিকিৎসা করার পরেও এ রোগ ভালো না হলে তখন কিডনি তার কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে।

কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। আমাদের আর্টিকেলে কিডনি রোগের লক্ষণ প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব যা আপনাদের কিডনি রোগ চিহ্নিত করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহজ হবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন।

কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো প্রথমে বোঝা যায় না কিডনি কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে আস্তে আস্তে কিডনি রোগের লক্ষণগুলো ধরা পড়ে নিচে কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

  • ওজন কমে যাওয়া।
  • মনোযোগ কমে যাওয়া।
  • মাঝেমাঝেই মাথাব্যথা হওয়া।
  • প্রসবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হওয়া।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে পানি জমে ফুলে যাওয়া।
  • বমি বমি ভাব হওয়া।
  • প্রসব কম বা বেশি হওয়া ও প্রসবের সাথে রক্ত যাওয়া।
  • শরীরে ক্লান্তি ভাব আসা।
  • শরীরের বিভিন্ন অংশের চুলকানি বা র‍্যাশ হওয়া।
  • সবসময় শীত শীত লাগা।

নানা কারণে কিডনির কার্যকারিতা হারিয়ে মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে পারে। এ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার করার উপায় জানা থাকলে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ লক্ষ্য করলে এবং খাদ্যভাসের পরিবর্তন করে সুস্থ থাকা যায়। মানব দেহকে সচল রাখতে কিডনির গুরুত্ব অপরিসীম।

মানুষের শরীরের মূল অঙ্গ গুলোর মধ্য কিডনি একটি কিডনির প্রধান কাজ হল রক্ত থেকে বজ্র পদার্থ অতিরিক্ত পানি এবং যে সকল ক্ষতিকারক পদার্থ আছে তা শোষণ করা এবং পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন ব্যালেন্স বজায় রাখতে কিডনি কার্যকারী ভূমিকা রাখে যা মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া কিডনির কাজ হল লবণ ও পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করা ইত্যাদি।

বিভিন্ন কারণে কিডনি রোগ হতে পারে কিডনিতে পাথর হলে অতিরিক্ত ওষুধের প্রভাবে কিডনি বিকল বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে চিকিৎসা করে ভালো না হলে কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে বুঝতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকা যায় এবং জীবনে ঝুঁকি কমে যায়।

এই কিডনি রোগ প্রতিরোধের কিছু করণীয় জেনে নিই চলুন।

  • রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক মাত্রায় রাখুন।
  • ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন।
  • কিডনি রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ফলমূল খাবেন না।
  • কিডনির সমস্যায় নিয়মিত রুটিন মেইনটেইন করানো আবশ্যক।
  • খাবার পাতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
  • কিডনি রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ খাবেন।
  • প্রতিদিন বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন।
  • নিয়মিত হাঁটুন এবং শারীরিক পরিশ্রম করুন।

কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে মানুষকে নিরবে শেষ করে দেয়। কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে শরীরে আরও বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে যার ফলে স্বাস্থ্যর অবনতি ঘটে এবং প্রাণহানি ঘটতে পারে। কিডনি রোগের সমস্যা বোঝার লক্ষণ গুলো হলঃ

  • শ্বাস নিতে কষ্ট বা শ্বাসকষ্ট হওয়া।
  • খাবারে রুচি না থাকা ও মুখে বাজে গন্ধ হওয়া।
  • ত্বকে চুলকানি ও র‍্যাশ হওয়া।
  • বারবার প্রসাব করা, প্রসবের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া অথবা প্রসাবে অতিরিক্ত ফেনা হওয়া।
  • পিঠের নিচে ব্যথা অনুভব করা।
  • গরম আবহাওয়ার মধ্যেও ঠান্ডা লাগা।
  • পায়ের গোড়ালি এবং পা ফুলে যাওয়া।

হঠাৎ করে প্রসাবে পরিবর্তন হলে কিডনি ফেইলিওর হতে পারে। প্রসব কমে গেলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন খিচুনি হওয়া, বারবার বমি হওয়া, ক্ষিদা মন্দা দেখা দেওয়া, উচ্চ রক্তচাপ আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে তাছাড়া হৃদ যন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের কিডনি ফেইলিওর হয়েছে তাদের জন্ডিস দেখা দিতে পারে এবং তাদের জ্বর থাকতে পারে।

অনেকের প্রসবের সাথে রক্ত আসতে পারে। খালি পেটে পানি পান করা উচিত তাহলে কিডনি ভালো থাকে তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো কারণ এতে বমি হতে পারে, খিচুনি হতে পারে, মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে এবং মৃত্যুও হতে পারে তাই সারাদিনে অল্প অল্প করে পানি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ

শরীরের খুবই প্রয়োজনীয় অংশ হলো কিডনি এজন্য এই কিডনি সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতাকে বলা হয় নিরব ঘাতক। এ রোগ আস্তে আস্তে আপনার শরীরে বাসা বেঁধে আপনাকে একেবারে মেরে ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষের স্বাস্থ্য জটিলতা গুলোর মধ্য মারাত্মক অবস্থান করছে এ কিডনি ড্যামেজ ক্যান্সার।

একটা বিষয় আতঙ্কের যে বেশিরভাগ মানুষেরা কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হলে বুঝতে পারে না। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে হারাতে হচ্ছে একের পর এক প্রাণ। সাধারণত কিছু লক্ষণ দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে আপনার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে তাহলে চলুন জেনে নেই সমস্যাগুলো কি কি।

  • খাবারে অরুচিঃ খাবারের প্রতি বিভিন্ন কারণে অরুচি আসতে পারে তবে ঘন ঘন বমি হলে বা ঘন ঘন বমি বমি ভাব হলে বিষয়টা এড়িয়ে যাবেন না। শরীরে এ ধরনের সমস্যা গুলো টক্রিন তৈরির কারণ হতে পারে।
  • প্রসাবে সমস্যাঃ কিডনি রোগের অন্যতম বড় লক্ষণ হলো তুলনামূলকভাবে কম বা বেশি প্রসাদ হওয়া। শুধু এই নয় ঘন ঘন প্রসাদ রাতে করাও কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ। সাধারণত এই ধরনের সমস্যা গুলো কিডনি ফিল্ডারের ক্ষতি করতে পারে।
  • প্রসাবের সময় ব্যথাঃ কিডনি ড্যামেজ এর আরেকটি বড় লক্ষণ হল প্রসাবে ব্যাথা। প্রসাবে প্রধানত জলন ও ব্যথা হওয়া এইগুলো সংক্রমণের লক্ষণ। এই সমস্যাগুলো কিডনিতে ছড়িয়ে পড়লে পিঠে ব্যথা ও জ্বর হয়।
  • প্রসাবে রক্তঃ কিডনি যখন প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে তখন প্রসবের সঙ্গে রক্তের কোষগুলো বের হয়। কিডনি সংক্রমণে সাধারণত কিডনি পাথর সমস্যাও হয় তাছাড়া প্রসবের ফোম খুব বেশি থাকলে তখন বুঝতে হবে প্রসবের সাথে প্রোটিন বের হচ্ছে এটি অ্যালবামিন নামে একটি প্রোটিন যা প্রসাবে উপস্থিতির জন্য ঘটে।
  • পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে গেলেঃ যদি হঠাৎ করে গোড়ালি এবং পা ফুলে যায় তাহলে বুঝবেন যে কিডনিতে কোন সমস্যা রয়েছে। কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যায় যার কারণে গোড়ালি ও পা ফুলে যায়।
  • চোখের চারপাশে ফুলে যাওয়াঃ কিডনি সমস্যা থেকে প্রসাবের সাথে অতিরিক্ত প্রোটিন বের হয় যা চোখের আশেপাশে ঘুরে। এই সমস্যাটা অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
  • ছোট ছোট শ্বাসঃ ফুসফুসের তরল অনেক জমা হতে থাকে কিডনি ড্যামেজের কারণে। কিডনি রোগের সমস্যা শরীরের রক্ত স্বল্পতা সৃষ্টি করে যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেকে এজন্য সংক্ষিপ্ত শ্বাস নেয়।
  • ত্বকে র‍্যাশ এবং চুলকানি দেখা দেওয়াঃ রক্তে পুষ্টি ও খনিজ গুলো ভারসাম্যহীন হলে ত্বকে চুলকানি ও স ফুসকুড়ি দেখা দেয়। আর যখন সঠিকভাবে কিডনি কাজ না করে তখন শরীরে পুষ্টি ও খনিজের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা পরিলক্ষিত হয়।
  • মাংসপেশিতে টানঃ হয়তোবা আপনি জেনে থাকবেন যে ইলেক্টোলাইট উপাদান গুলোর ভারসাম্যহীনতা থেকে কিডনি রোগের সমস্যা সৃষ্টি হয় আর যখন এই উপাদান গুলো কমে যায় তখন চুলকানি এবং পেশিতে টান ধরে।
  • অনেক ক্লান্ত অনুভব হওয়া ও মনোযোগ কমে যাওয়াঃ কিডনি কার্যকারিতা কমলে টক্রিনের এবং রক্তের দূষক উপাদানের দিকে পরিচালিত করে। যার জন্য আপনি দুর্বল ও ক্লান্তবোধ করেন এবং কাজের প্রতি আপনি মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। এই লক্ষণ গুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরী ছোটখাটো সমস্যা বলে অবহেলা করলে এই সমস্যা গুলোই প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।

সুস্থ কিডনির লক্ষণ

একটা সুস্থ মানুষের দিনে ৭ থেকে ৮ বার প্রসাব সাধারণত পেয়ে থাকে। কিন্তু এর থেকে বেশি বা কম পেলে তা কিডনি জনিত সমস্যা বলে মনে করা যেতে পারে। শরীরের জন্য বেশি প্রসাদ বা কম প্রসাদ হওয়া কোনটাই ভালো না আবার কারো কারো প্রসবের সাথে রক্ত আসে, প্রসবের রং বদলে যায়, প্রসাবে প্রচুর দুর্গন্ধ হয় তাহলে এইসব কিডনি রোগের লক্ষণ।

সরলে অধিক হারে টক্সিন জমলে ত্বক শুষ্ক হয় এবং এলার্জি চুলকানি হতে পারে, ঘাম দুর্গন্ধ ও হতে পারে। কিডনির আরেকটি লক্ষণ হলো পা ঘেমে যাওয়া শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া ওজন কমে যাওয়া খিদে কমে যাওয়া সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বমির ভাব হওয়া। এমন বিষয় অনেকেই অজানা তাই কোন কারনে শরীরের অসুস্থতা বুঝতে পারলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিডনি মানুষের শরীরের ছাঁকনির মত কাজ করে। কিডনির কাজ হল মানুষের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে তরতাজা রাখা। কিডনির সংযোগ আছে শরীরের অন্য অঙ্গ গুলির সাথে যার কারণে কিডনি বিরল হলে অন্য অঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ করে না।

উচ্চ রক্তচাপ বেশি থাকলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে কারণ শরীরের বজ্র পদার্থ গুলো বেরতে পারে না এগুলো জমতে থাকলে সমস্যার সৃষ্টি হয় তখন কিডনি কাজ করা ক্ষমতা হারায়। তাই যাদের সুগার, প্রেসার ও অন্য রোগে ভুগছেন তাদের এ বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরে রাখা উচিত। উচ্চ ডায়াবেটিসের ফলে মানুষের অজান্তেই শরীরের বড় রকমের ক্ষতি হতে পারে সেই কারণে এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কিডনি যখন মানব দেহ থেকে দূষিত পদার্থ থেকে বের করতে ব্যর্থ হয় তখন সৃষ্টি হয় শরীরের বিভিন্ন সমস্যার যেমন পায়ের গোড়ালি ফুলে যায়, পায়ের পাতা হলুদ হয়ে যায় আস্তে আস্তে পা মুখ চোখ ফুলে যাওয়া কিডনি রোগের লক্ষণ। কিডনি ঠিকঠাক মত কাজ না করার কারণ হলো শরীরে অনেক পরিমাণে সোডিয়াম জমা হয়েছে।

গোড়ালি ফুলে যাওয়াকে ইডিমা বলে, লিভারের সমস্যা হলে শরীর ক্লান্ত লাগা দুর্বল বোধ হওয়া কিডনির সমস্যা হলেও এ লক্ষণ গুলো দেখা দেয় এবং পেট ব্যথা লাগে হাঁটাচলাতে ক্লান্ত ভাব বা অনুভব হয়, খাবার অরুচি ভাব দেখা দেয়, শরীরের অধিক মাত্রায় প্রক্সিন জমে থাকলেও এই সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের টক্সিন জমলে খিদে কমে যায় আবার খাবার দেখলে বমি লাগে এবং ওজন কমে যায়।

কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ

কিডনির সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিডনি ইনফেকশন যাকে বাংলায় আমরা কিডনি প্রবাহ বা কিডনি সংক্রমণ বলে থাকে। আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি, যা আমাদের শরীরের ছাকনির এর মত কাজ করে। এছাড়া বিষাক্ত বজ্র পদার্থ গুলো কিডনি প্রসবের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বের করে দেয়।

কিডনিতে ইনফেকশন হলে কিডনি সামগ্রিক সুস্থতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের ওপর ও প্রভাব ফেলে। এই পোস্টে আমরা কিডনির ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে জানব। কিডনি সংক্রমণ একটি পাইলোনেফ্রাইটিস নামে পরিচিত। যখন মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে তখন কিডনিতে সমস্যা গুলো ছড়িয়ে পড়ে।

কিডনির ইনফেকশন এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঠান্ডা লাগা, পাশে বা পিঠে ব্যথা হওয়া, উচ্চ জ্বর, বেদনাদায়ক ঘন ঘন প্রসাব, রক্তাক্ত বা মেঘলা প্রসাব, ক্লান্তি অনুভব করা, বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব হওয়া এই লক্ষণগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যদি আপনি এই লক্ষণগুলো অনুভব করেন বা দেখতে পান তাহলে যতটা দ্রুত সম্ভব সঠিক চিকিৎসা ও চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। নিচে সাধারণ লক্ষণগুলো রয়েছে রয়েছে।

  • ঠান্ডা লাগা এবং ঘামঃ কিডনি ইনফেকশন ব্যাক্তিদের অতিরিক্ত ঘাম এবং ঠান্ডা লাগা থাকতে পারে।
  • পিঠে ব্যথাঃ সাধারণত কিছু লোক পিঠে ব্যথা ছাড়াও পাশে ব্যথা অনুভব করে।
  • পেটে ব্যথাঃ অস্বস্তিকর ভাবে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
  • ক্লান্তী এবং দুর্বলতাঃ কিডনি সংক্রমণ ব্যাক্তিদের সামগ্রিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি হতে পারে।
  • ফ্লাশড স্কিনঃ শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে ত্বক লালচে বা ফ্লাশ দেখা যেতে পারে।
  • বমি বমি ভাব এবং বমিঃ কিছু কিছু ব্যক্তির এই সময়ে বমি হওয়া এবং ঘন ঘন বমি ভাব অনুভব করেন।
  • পেটের কমলতাঃ কিডনির আশেপাশের অংশ স্পর্শ করলে তা কোমল লাগতে পারে।
  • উচ্চ জরঃ কিডনি সংক্রমণ হলে প্রায়ই হঠাৎ করে উচ্চ জর আসবে।
  • প্রসাবের সমস্যাঃ প্রসাবের ধরন সাধারণভাবে পরিবর্তন হবে। প্রসবের সময় জ্বালা বা ব্যথা জরুরী বা ঘনঘন প্রসাব রক্ত বা মেঘলা প্রসাবও হতে পারে।
  • ফ্ল্যাস্ক পেইনঃ ফ্ল্যাস্ক পেইন পাশে ব্যথা বা পিঠে ব্যথা নামে পরিচিত এটি কিডনি সংক্রমণে সাধারণ লক্ষণ। এটি স্থায়ী ও অনেক গুরুতর হতে পারে।
  • বেদনাদায়ক পেটে ব্যথাঃ এমন কিছু ব্যক্তিরা আছে যাদের মলত্যাগের সময় অস্বস্তিকর ব্যথা হয়। এটিও এই রোগের একটি লক্ষণ।
  • বেদনাদায়ক মিলনঃ যাদের কিডনি সংক্রমণের সমস্যা রয়েছে তারা যৌন মিলনের সময় অনেক ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
  • দুর্গন্ধযুক্ত প্রসাবঃ কিডনি সংক্রমনের রোগীদের প্রসাবে অপ্রীতিকর তীব্র গন্ধ হতে পারে।
  • মানসিক পরিবর্তনঃ হলে মানসিক পরিবর্তন বা বিভ্রান্তি হতে পারে।
কিডনি সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তি যে একই লক্ষণ দেখা যাবে এমন নয়। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে লক্ষণ গুলো সংমিশ্রণ এবং তীব্রতা পরিবর্তন হতে পারে। বা সন্দেহ হয় তাহলে সঠিক চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় করে জটিলতা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়

প্রায় অনেকেই সঠিক জানে না যে কিডনির সমস্যা হলে কোথায় ব্যথা হয়। আমাদের দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কিডনি, শরীরের দুইটা কিডনি থাকে। শরীরে যদি মেরুদন্ডের বা কোমরের আশেপাশে ব্যথা অনুভব হয় তখন আমাদের অনেক দুশ্চিন্তা হয়। আমরা মনে করে যে কিডনিতে আবার কোন ধরনের সমস্যা হলো কিনা?

কিডনিতে যদি সমস্যা হয় তাহলে অন্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। তাই দেহের কোন জায়গায় যদি ব্যথা অনুভব করেন তাহলে আতঙ্কিত না হয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে কিডনি ব্যথার জন্য কোন নির্দিষ্ট জায়গা থাকে না।

কিডনি কত পয়েন্ট থাকলে ভালো

কত পয়েন্ট হলে কিডনি ভালো বা কত পয়েন্ট থাকলে কিডনি সুস্থ থাকবে আমরা এটা অনেকেই জানিনা বা অনেকে জানার আগ্রহ পোষণ করি। তাহলে চলুন এই প্রশ্নের মধ্যে জেনে নেই কিডনি কত পয়েন্ট থাকলে ভালো। যদি কিডনির পয়েন্ট ছেলেদের ক্ষেত্রে ০.৭ থেকে ১.৪ থাকে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ০.৬ থেকে ১.২ থাকে তাহলে বুঝবেন যে আপনার কিডনি একদম সুস্থ আছে।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি কিডনি বিষয়ক রোগের লক্ষণ গুলো নিয়ে এবং এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় গুলো নিয়ে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি। এমনই নানান ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটের পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url