মুখের ভিতরে সাদা ঘা কেন হয়দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও দাঁতের কালো দাগ দূর করার মেডিসিন এবং দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা যারা আপনাদের দাঁতের পানের দাগ, আয়রনের দাগ ও দাঁতের পোকা জনিত সমস্যা সহ দাঁতের ক্যাভিটি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।
সেই সব মানুষদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব কিভাবে উপরোক্ত এই সমস্যাগুলো থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভূমিকা
দাঁত আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ বটে। দাঁতে পোকা জনিত সমস্যা দেখা দিলে যেমন তীব্র যন্ত্রণা হয় তেমনি খাওয়া-দাওয়া তেও নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই আজ আলোচনা করব কিভাবে ঘরোয়া দাঁতের পোকা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এবং আরো আলোচনা করব কিভাবে দাঁতের পানের দাগ,আয়রনের দাগ ও কালো দাগ দূর করা যায়। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
দাঁতের গোড়ায় কালো দাগ দূর করার উপায়
দাঁত সুন্দর ও ঝকঝকে পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি শরীরের মধ্যে দাঁত হল মানুষের সব থেকে সুন্দর জিনিসের মধ্যে একটি। আমরা সকলেই সুন্দর হাসি এবং সুন্দর দাঁত দেখতে অনেক পছন্দ করি। নানা কারণে আমাদের দাঁতের গোড়ায় কালো দাগ তৈরি হয়ে যায়।
দাঁতের মধ্যে কালো দাগের জন্য আমরা সবার সামনে কথা বলা বা মন খুলে হাসতেও পারি না। এই দাঁতের কালো দাগ দূর করার কিছু উপায় রয়েছে যা আপনি খুব সহজেই দাঁতের গোড়ার কালো দাগ দূর করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে দাঁতের কালো দাগ দূর করা যায়।
দাঁতের গোড়ায় কালো দাগ দূর করতে লেবু খুব ভালো কাজ করে। আমরা লেবু খাবার পরে যেই খোসাটা থাকে সেটা ফেলে না দিয়ে সেটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভালোভাবে দাঁত ও দাঁতের সাথে মাড়ি ঘষে নিন। এতে করে আপনার দাঁতের কালো দাগ ,ছোপ দুটোই চলে যাবে। কিছুদিন এভাবে লেবুর খোসা দিয়ে দাঁত ঘষলে দাঁ ত একদম পরিষ্কার ঝকঝকে হয়ে যাবে।
তুলসী পাতা
১৫/২০ টি তুলসী পাতা নিয়ে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে পেস্ট বানিয়ে নিন এবং সেটা দিয়ে নিয়মিত ব্রাশ করুন। আপনার দাঁতের গোড়ায় কালো দাগ দূর করতে এই পেস্ট অনেক সাহায্য করবে। এবং দাঁত হবে পরিষ্কার ও দাগহীন।
দাঁতের কালো দাগ দূর করার মেডিসিন
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের দাঁতে বিভিন্ন কারণে কালো দাগ হয়ে গিয়েছে কিংবা আস্তে আস্তে দাগ পড়ছে যা দাঁত ব্রাশ করার পরেও ওঠেনা। অস্বস্তিকর একটা পরিবেশ হয়ে পড়ে এই বিষয়টা নিয়ে। আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চায় দাঁতের কালো দাগ দূর করার কি মেডিসিন আছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে সব বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। দাঁতের কালো দাগ দূর করার কিছু মেডিসিনের নাম নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
LANBENA Teeth Whitening Mousse: এই মেডিসিন ব্যবহার করলে খুব সহজে আপনি আপনার দাঁতের কালো দাগ দূর করতে পারবেন। এটি যে কোন বয়সের মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। মেয়ে অথবা ছেলে যে কেউ দাঁতের কালো দাগ দূর করতে এই মেডিসিনটি নিতে পারবেন। এই মেডিসিনটি দাঁতের কালো দাগ ,দাঁতের হলুদ ভাব, রক্ত পড়া, দাঁতের নিচে কালো দাগ দূর করবে মাত্র এক মাসে।
এই মেডিসিনটির আরো গুণাবলী রয়েছে, যেমন এই মেডিসিন টি দাঁতের শিরশিরি ভাব দূর করে, মাড়ির ঘা ভালো করে, দাঁতের ব্যথা কমায় ও দাঁতের আরো বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে। এই মেডিসিনটির ব্যবহারের ফলে চা,পান-সুপারি,ধূমপান ও কফি এমন সব জিনিস খেয়ে দাঁতে যে দাগ তৈরি হয় সেগুলোকে দূর করে ।
তাছাড়াও দাঁতের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ময়লা বা কালো দাগ দূর করতে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। দিনে তিন থেকে চারবার মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলি করলে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
দাঁতের পোকা বের করার গাছ?
দাঁতের ব্যথা ভালো করতে খুবই ভালো কাজ করে "আকন্দ ফুলের গাছ"। এই গাছকে বেটে এর রস তুলাই নিয়ে দাঁতের ব্যথার স্থানে লাগালে দাঁতের ব্যথা ভালো হবে।
দাঁত ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম?
Fenamic 500 mg: দাঁতের ব্যথা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে এই ট্যাবলেটটি। প্রাপ্তবয়স্করা এটা খেতে পারবে এবং এই ট্যাবলেট দিনে দুইবার অর্থাৎ সকালে ও রাতে খেতে হবে।
Fenamic 250 mg: যাদের বয়স ১৮ নিচে তারা এই 250 mg ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। কিন্তু শিশুদের খাওয়ানো যাবে না। ৬ বছর বয়সের বাচ্চা থেকে এটা খাওয়ানো যাবে। দিনে দুইবার অর্থাৎ সকালে ও রাতে।
দাঁত ব্যথার কারণ?
১.ক্যারিজ সৃষ্টিকারক জীবাণুর জন্য।
২.দাঁতের ফাঁকে খাদ্য জমে থাকার কারণে।
৩.মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে।
৪.ভালোভাবে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে।
৫.ধূমপান ও অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করার কারণে।
দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক?
1.Flublast Tablet
2.Cofotil Plus 500 mg
3.Sefrad 500 mg
4.Moxacil 500 mg
দাঁত ব্যথার দোয়া?
লিকুল্লি নাবাইম মুছতাকারুত্তঁ ওয়া ছাওফা তা'লামূল
দাঁতের কালো দাগ দূর করার পেস্ট
দাঁতের কালো দাগ দূর করতে খুব সহজে আপনি আপনার হাতের কাছে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে পেস্ট বানিয়ে দ্রুত দাঁতের কালো দাগ দূর করতে পারবেন।
ত্রিফলা পাউডার ও নিম পাউডার
ত্রিফলা পাউডার ও নিম পাউডার এবং এতে অল্প লবণ ও পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। দিনে ১ থেকে ২ বার এই পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করুন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার দাঁতের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
সরিষার তেল ও বিট লবণ
সামান্য সরিষার তেল নিয়ে তাতে এক চিমটি বিট লবণ মিশিয়ে দাঁতে ঘষতে হবে টানা কয়েকদিন। এভাবে বিট লবণ মিশ্রিত তেল দাঁতে ঘষলে আপনার দাঁতের কালো দাগ দূর হবে এবং দাঁত হবে পরিষ্কার ঝকঝকে।
দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের দাঁতের প্রতি অযত্নতা। আমরা প্রায় সকলেই দাঁতের প্রতি খুব একটা যত্নবান নয়। যার ফলে দাঁতের নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে আমাদের। নিজে দাঁতের পোকা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় আলোচনা করা হয়েছে।
১.দাঁতের পোকা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার প্রথমে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ফ্লুরাইড টুথ পেস্ট দাঁতের পোকা দূর করতে ভালো কাজ করে। তাই দাঁতের পোকা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করুন ফ্লুরাইড টুথপেস্ট।
২. ফসফরাস,ক্যালসিয়াম ও মিনারেল জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করুন। এই ধরনের খাবার দাঁতের পোকা দূর করতে সাহায্য করবে।
৩.খান ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবারগুলো দাঁতের পোকা তাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন ব্রকলি,আলু,পালং,টমেটো ইত্যাদি।
৪. দাঁতের পোকা থেকে রেহাই পেতে হলে চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. দাঁতের পোকার হাত থেকে রেহাই পেতে খেতে পারেন সুগার ফ্রি চুইংগাম
দাঁতের আয়রনের দাগ দূর করার উপায়
মানুষের শরীরের সবথেকে বড় অংশ হলো দাঁতের সৌন্দর্য। আমাদের সবারই সঠিকভাবে দাঁতের যত্ন নেওয়া দরকার। বিভিন্ন কারণে আমাদের দাঁতে আয়রনের দাগ পড়ে যায়। দাঁতের বিভিন্ন ময়লা ও আয়রন থেকে মুক্তি পেতে কিছু উপকরণ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা খুব জরুরী। নিতে তা আলোচনা করা হয়েছে।
কলার খোসাঃ হলো দাঁতের যত্নে অনেক উপকারী উপাদান। প্রথম একটি কলা থেকে খোসাটা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর খোসার ভেতরের সাদা অংশটা চার থেকে পাঁচ মিনিট ধরে দাঁতে ভালো করে ঘষতে হবে। বেশ কয়েকদিন এভাবে কলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষলে দাঁতের আয়রন ও বিভিন্ন ময়লা নিমিষে দূর হয়ে যাবে। তবে খোসা ছাড়ানোর সাথে সাথেই ব্যবহার করতে হবে কয়েকদিন ফেলে রেখে ব্যবহার করলে কাজ করবে না।
গাজরঃ অন্যতম উপকারী জিনিস হলো গাজর। যা দাঁতের কালো দাগ, হলদে দাগ দূর করতে সক্ষম। দাঁত পরিষ্কার ও দাখিল করতে সাহায্য করে গাজোরে থাকা ফাইবার। এজন্য নিয়মিত গাজর খাওয়া খুবই জরুরী।
বেকিং সোডাঃ দাঁতের গোড়া শক্ত ত ও দাঁতের দাগ দূর করতে বেকিং সোডা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। হাফ চা চামচ পানিতে লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তারপর সেই উপাদানটি পাঁচ মিনিট ধরে দাঁতে লাগিয়ে এরপর মুখ ভালোভাবে কুলকুচি করে ফেলুন।
এই মিশ্রণটি দ্বারা আপনি দ্রুত দাঁতের দাগ থেকে রেহাই পাবেন। দাঁতের সমস্যা থাকলে ও না থাকলেও ছয় মাসে একবার হলেও দাঁতের বিশেষজ্ঞ,দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
দাঁতের পানের দাগ দূর করার উপায়
দাঁতের পানের দাগ স্থায়ীভাবে দূর করতে সর্বপ্রথম আপনাকে পান খাওয়া বাদ দিতে হবে। তারপর আপনি ঘরে বসে দাঁতের পানের দাগ দূর করার উপায় বের করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত দুইবার করে ব্রাশ করা দরকার সবার ক্ষেত্রেই। আপনি পান খেলে অথবা না খেলেও উচিত দুইবার ব্রাশ করা। এবার যদি আপনি পান খাওয়া ছেড়ে না দিয়ে নিয়মিত পান খান তাহলে আপনার দাঁতের প্রতি আরো বেশি যত্নশীল হতে হবে। এর সঙ্গে আপনাকে দুইটা কাজের ওপর খেয়াল রাখতে হবে যেমন, আপনার দাঁতগুলি যেন আরো গাড়ো না হয় এবং নতুন করে দাঁতে যেন দাগ না পরে।
- প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার ফিটকিরি দিয়ে ভালোভাবে কুলকুচি করুন।
- দিনে যতবার পান খাবেন ততবার পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলকুচি করুন।
- পান খেলে দিনে তিন থেকে চারবার ব্রাশ করুন। অন্তত সপ্তাহে একদিন মন দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন।
আমি নিজের থেকে একটি পদ্ধতি বলছি। এক টুকরা কয়লার সাহায্য দাঁতের দুইপাশে ভালোভাবে ঘুষবেন। আপনার দাঁতের যেখানে বেশি দাগ সেখানে বেশি করে ঘষবেন এবং হাতের সময় নিয়ে কুলকুচি করুন। তারপর একটা ডেন্টাল পিন অথবা টুথ পিক দিয়ে দাঁতের ফাকের গারো দাগ গুলোকে আস্তে আস্তে পরিষ্কার করুন। ধৈর্য নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, একদিনে সম্ভব হবে না,দিনে দিনে পরিষ্কার করতে হবে।
দাঁতের প্লাক দূর করার উপায়
দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে বিভিন্ন ধরনের ময়লা ও প্লাক জমে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে যদি দাঁতের যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তেমনি একটি বড় সমস্যা হল দাঁতের মধ্যে প্লাক জমা। যা একেবারে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। তাহলে জেনে নিন যে কিভাবে এই সমস্যা দূর করবেন নিম্নলিখিত এই সমস্যা সমাধান আলোচনা করা হয়েছে।
গ্লিসারিন ও অ্যালোভেরা,বেকিং সোডা,পাতি লেবু
গ্লিসারিন ও অ্যালোভেরা যেমন ত্বকের যত্ন উপকারী তেমনি দাঁতের প্লাগ দূর করতেও এটি অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। এই দুইটা উপাদানের সাথে আধা কাপ বেকিং সোডা ও পরিমাণ মতো পানি নিয়ে চার চা চামচ এলোভেরা জেল ও এক চামচ পাতি লেবুর রস নিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এবং নিয়মিত এই পেস্ট ব্যবহার করলে আপনি পরিষ্কার ও ঝকঝকা দাঁত পাবেন।
কমলার খোসা
আমরা অনেকেই কমলা খেয়ে কমলার খোসা ফেলে দেই। অথচ দাঁতের প্লাক দূর করতে এই কমলার খোসা অনেক কাজে লাগে। দাঁতের এনামেল পরিষ্কার ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে এই কমলার খোসা। আপনি চাইলে তাজা কমলার খোসার পাশাপাশি খোসা গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন। কমলার খোসা বা কমলার গুঁড়োর সাহায্য যদি ব্রাশ করেন তাহলে আপনার দাঁত কয়েকদিনের মধ্যে হয়ে যাবে প্লাক মুক্ত ও স্বাস্থ্যকর।
কমলা,স্ট্রবেরি ও টমেটো
কমলা,স্ট্রবেরি ও টমেটো এটি ভিটামিন সি যুক্ত তিনটি একসাথে মিস করে সেই পেস্ট দাতে লাগান পাঁচ দশ মিনিট ধরে অপেক্ষা করে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই উপাদানে আপনার মুখের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করবে। এবং আপনার মুখে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা জীবানু ও প্লাক খুব দ্রুত দূর করবে।
দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায়
পাইরিয়া দাঁতের রোগ হিসেবে পরিচিত। এটি মানুষের মুখের ভেতর দাঁতের চারপাশের কোষগুলোকে আক্রান্ত করে।পেরিয়োডোন্টিটিস এটি গুরুত্বের অবস্থাকে বলা হয়। এই সময়ের দাঁত পড়ে যায়। এবং হাড় ক্ষয় হয় ও নারীর থেকে দাঁত সরে যেতে পারে। এবং মুখে শ্বাস নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ থাকতে পারে। পাইরিয়া দূর করতে যে নিয়মগুলো বজায় রাখতে হবে তা হলঃ
১।।দৈনিক দাঁত মাজা, প্রতিদিন অন্তত দুইবার ভালোভাবে মুখের আনাচে-কানাচে ব্রাশ করলে জীবাণু ব্যাকটেরিয়া দাঁতের প্লাগ তৈরি করতে পারবেনা।
২।।আপনার দাঁতের মধ্যে যদি যথেষ্ট ফাঁকা স্থান থাকে তাহলে আন্তঃদন্ত মাজনি ব্যবহার করা ও নিয়মিত ফ্লস করা জরুরী।
৩।।নিয়মিত জীবাণুন নাশক মাউথ ওয়াশ ইউজ করা। মুখের জন্য উপকারী এই ক্লৌরোহেক্সিডিন গ্লুকোনেট ভিত্তিক মাউথ ওয়াশ। যদিও গিঙ্গিভিটিস ভালো করতে পারে কিন্তু পাইরিয়ার কারণে ক্ষয় হওয়া দাঁতের অংশ কখনো তা ফিরিয়ে আনতে পারে না।
দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের গর্ত দূর বা ক্যাভিটি প্রতিরোধের পাঁচটি উপায় এর কথা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
১. নিয়মিত প্রতিদিন দুই বেলা ঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
২. অম্লযুক্ত খাদ্য, কফি মিষ্টি যুক্ত পানীয় অথবা আঠালো খাদ্য ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা।
৩. খাবার খাওয়ার পর সব সময় পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলকুচি করতে হবে।
৪. ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. ডেন্টাল বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা অবশ্যক।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক, আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এবং এই আর্টিকেলটি দ্বারা আপনি উপকৃত হয়েছেন। এমনই স্বাস্থ্যসেবা মূলক বিভিন্ন পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকবেন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url