১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল

আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল ডাক্তার লিস্ট১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল সে সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এই আর্টিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে ফেসবুক স্ট্যাটাস সহ আরো অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিষয়গুলো জানতে হলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেন তাহলে ১৬ই ডিসেম্বরের ইতিহাসের নানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন ১৬ই ডিসেম্বরের কিছু ইতিহাসের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যায়।

পোস্ট সূচিপত্র

ভূমিকা

আমাদের বাংলাদেশে অনেকগুলো জাতীয় দিবস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় দিবস। এটি আমাদের জাতীয় দিবস এবং প্রতিবছর এই দিনটা সারা দেশের মানুষ উদযাপন করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ১৬ই ডিসেম্বরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সেগুলো জানতে আমাদের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে করুন।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলায় কত সন ছিল? এই প্রশ্নটি বাংলাদেশের বিভিন্ন পরীক্ষায় বা ভাইভাতে করা হয়ে থাকে। যেমন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়,যে কোন সরকারি-বেসরকারি চাকরির ভাইবাই ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় প্রশ্নটি করা হয়ে থাকে। সেজন্য আমাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি প্রত্যক্ষের জন্যই জেনে রাখা প্রয়োজন এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এই প্রশ্নের উত্তর জানাটাও আমাদের জন্য দরকার।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তানি বাহিনীরা আত্মসমর্পণ করেন সেই সনটি ছিল বাংলায় ১৩৭৮

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল

পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হওয়া তখন শুধু সময়ের ব্যাপার । প্রায় সূর্য ডুবু-ডুবু। তখন থমথমে পরিবেশ পূর্ব বাংলার যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর ঢাকার। কোথাও কোথাও থেমে থেমে যুদ্ধ চলছিল শহরের আশেপাশে। এমনকি বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ চলছিল শহরের প্রাণকেন্দ্রেতেও।
এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এর সন্ধ্যাবেলায় ৫ টা ২৫ মিনিট ঘটিকায় ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বর্তমানে) পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্বাঞ্চলের প্রধান জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান মিয়াজী বাংলাদেশ ভারত যৌথ কমান্ডারদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর পরই শহরের পথে স্লোগান তুলেন বাংলার বীর মুক্তিযুদ্ধারা।

বিজয় দিবস সম্পর্কে ১০টি বাক্য

** পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্ম সমর্পণের এই দিনে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

** বাঙালিরা তাদের দেশের বীরদের প্রতি এই দিনে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন কারণ তারা এই দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন।

** বাঙালি জাতির জন্য একটি গৌরবময় দিন হল ১৬ই ডিসেম্বর নামক এই দিনটা। এই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাঙালি জাতির গর্ব। যা তারা উৎসাহ এবং আবেগ দিয়ে প্রতিবছর উদযাপন করে থাকেন।

** বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন সেটি হল মহান বিজয় দিবস। তারা বিশ্বকে দেখায় যে তারা একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন জাতি।

** ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস,এই দিনে মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে যায় এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

** বিজয় দিবসের প্রধান অনুষ্ঠান ঢাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়।
** বিজয় দিবসের দিনে মানুষ জাতীয় পতাকা উত্তোলন,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় অংশ নেয়।

** ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় ছুটির দিন এবং ব্যাপকভাবে এটি সারা দেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার কোথায় আত্মসমর্পণ করে

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে ৯৩,০০০ পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্য স্যালেন্ডার কর ভারত ও বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের কাছে। যার জন্য পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান ঘটে। যার ফলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উপাধি লাভ করে ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান করেন। এটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ কর্মীসংখ্যার দিক থেকে।
আর এই দিনটি বাংলাদেশের বিজয় দিবস নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় রমনা রেসকোর্স ময়দানে বিকেল ৪ঃ৩১ মিনিটে (বাংলাদেশী সময়) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধিনায়ক জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী লিখিত চুক্তিতে সই করেন। এই ঘটনাটি ঢাকার পতন বলেও পরিচিত।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ফেসবুক স্ট্যাটাস

বর্তমানে আমাদের প্রতি দিন শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। এখন আমাদের কাছে ভার্চুয়াল জগত অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা জীবনের প্রতিটা মুহূর্তের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিনের আনন্দ ঘন মুহূর্ত কথা শেয়ার করে থাকি ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আমরা সকল আনন্দ বিশ্বের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিতে পারি।

আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে সকল উৎসবের জন্য স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন দিয়ে থাকি আজ আমরা বিজয় দিবস উপলক্ষে নতুন কিছু স্ট্যাটাস বা ক্যাপশন আপনাদের উদ্দেশ্য উপস্থাপনা করলাম।

** পাখি উড়ে দূর আকাশে,বিজয়ের সুরে সুর মিলিয়ে। সাধু গায় আপন সুরে,প্রাণের সঞ্চয় ঘরে ঘরে।

** পা চলে একই তালে হাতে হাত রেখে,তেরে আসে মুক্তি কামে বিজয়ের পতাকা নেড়ে।
** মোদের দেহে থাকতে রক্ত বৃথা যাবে না শহীদের দান। প্রয়োজন হলে আবার দেব রক্ত ঢেলে বজায় রাখতে বিজয়ের মান। লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি যে বিজয় নিশান।

** রংধনু রঙে রাঙালো রঙিন রাঙ্গা রথ,সেই রথই চিনে নিয়েছে বিজয়ের সকল পথ।

** বিজয়ের হাসির পিছনে রয়েছে লাখ লাখ শহীদের রক্ত মহান বিজয় দিবসের সকলকে জানাই শুভেচ্ছা।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস স্ট্যাটাস

স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস হিসেবে পরিচিত হয় এবং এই দিবসটি প্রতি বছর পালিত হয়। এই আর্টিকেলে আমি বিজয় দিবসের কিছু স্ট্যাটাস উপস্থাপিত করব যাতে সোশ্যাল মিডিয়া ও বন্ধুবান্ধবদের মাঝে এখান থেকে সংগ্রহ করে শেয়ার করতে পারেন। নিচে বিদায় দিবসের কিছু স্ট্যাটাস উপস্থাপনা করা হয়েছে।

** বিজয় মানে একটি গর্বিত জাতি,বিজয় মানে একটি লাল সবুজের পতাকা,বিজয় মানে লাল টুকটুকে মানচিত্র। আর এই বাংলাদেশ মহান বিজয় দিবসের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে জানাই এক প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

** নিজের দেশের সম্মান আপনি যখন বিদেশে বা অন্যদেশের কাছে বাড়াতে পারবেন,তখন আপনার সম্মান ও বাড়বে মানুষের কাছে। এবং তখন আপনি গর্বিত বাঙালি হিসেবে গড়ে উঠবেন। সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

** নীলের মাঝে কষ্ট,আর লালের মাঝে ভালোবাসা,সাদার মাঝে বন্ধুত্ব,কালোর মাঝে অন্ধকার আর সবুজের মাঝে আমার বাংলাদেশ। জয় বাংলা
** সবকটা জানালা খুলে দাওনা! আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের গান। ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালোবাসে দিয়ে গেছে প্রাণ। শ্রদ্ধা জানাই সেই সকল বীরদের যাদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীন বাংলার।

** ছোট-বড়,নারী পুরুষ সকলেই স্বাধীন বেশ, যুদ্ধ করে পেয়েছি দেশ। ঘরে ঘরে বিজয় দিনে নেইকো খুশির শেষ।

** লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি যে বিজয় নিশান,দরকার হলে আবার দেব রক্ত ঢেলে রাখতে শহীদ বিজয় দিবসের মান।

** প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ মরণ বাংলাদেশ আমার জীবন বাংলাদেশ। আমাদের জীবন মরণ এই বাংলাদেশ। স্বাধীনতা দিবসের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

** এটাই হোক আমাদের শপথ। মহান স্বাধীনতা দিবসে সূর্যদয়ে তুমি সূর্য অস্তে তুমি ও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্মভূমি।

** এই মাটিতে শুয়ে আছে লক্ষ্য শহীদ গাজী নতুন করে তাদের মত হতে আছি রাজি।

** দেশের জন্য ভাষার জন্য আমরা করি লড়াই বিশ্বে আমার বীরের জাতি করতে পারি বড়াই।

লেখক এর মতামত

প্রিয় পাঠক, আশা করি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এর কিছু ইতিহাস সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। আর ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবস সম্পর্কে এই আর্টিকেলে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বলি আলোচনা করা হয়েছে আশা করা যায় সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে।

আর আমরা আমাদের আর্টিকেলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। তাই এমনই নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url