ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিতইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা,সেনজেন দেশের সুবিধা কি সহ সেনজেন ভুক্ত দেশ কয়টি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের সহজ ব্যবস্থার জন্য ইউরোপের সকল দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়। আর এই চুক্তিতে যে কয়টি দেশ বা রাষ্ট্র স্বাক্ষর করেনি সেই সকল দেশকে ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশ বলা হয়।
পোস্ট সূচিপত্র
ভূমিকা
যে সকল দেশ সেনজেন ভুক্ত সেই সব দেশে নানান সুযোগ সুবিধা থাকে। আর যেসব নন সেনজেন ভুক্ত দেশ সেই সব দেশগুলোতে ভ্রমণ করার প্রসেস অনেকটাই কঠিন। আপনারা যারা ইউরোপের এই দেশগুলোতে ঘুরতে যেতে চান তাদের এই সকল বিষয়ে জানার সুবিধার্থে আমাদের আজকের নিবন্ধন। ইউরোপের এইসব ননসেনজেন দেশের সম্বন্ধে জানতে আমাদের এই পোস্টটি পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সেনজেন অর্থ কি
ইউরোপের সকল দেশ একত্রিত হয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। আর এই চুক্তির মূল বিষয়বস্তু ছিল ইউরোপ মহাদেশের সকল দেশগুলোর মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি ,যতে ইউরোপের এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজে যথাযথ করা সম্ভব হয়। এ চুক্তিটি ১৯৯৫ সালে হয় এবং এ চুক্তির স্থান ছিল লুক্সেমবার্গের সেনজেন নগর।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব কত ২০২২
এ চুক্তিতে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ স্বাক্ষর করেন এবং কিছু দেশ এই চুক্তিকে না খোঁজ করে দেন। যেই ইউরোপীয় দেশগুলো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি সেই সব দেশগুলোকে ননসেনজেন দেশ বলে।
সেনজেন দেশের সুবিধা কি
সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোর ভেতর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কোন ঝামেলা ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে গমন করা যায়। আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু হলো ইউরোপের সেনজেন ও নন সেনজেন দেশ। ইউরোপের ২৬ টি সেনজেন ভুক্ত দেশ রয়েছে কিন্তু ২০২৩ সালে ইউরোপের আরও একটি দেশ এই সেনজেন ভুক্ত দেশের সাথে যুক্ত হয়। তাই বর্তমানে ইউরোপে ২৭ টি সেনদের মুক্ত দেশ রয়েছে।
আপনি একটি সেনজেন ভুক্ত দেশের পাসপোর্ট নিয়ে ইউরোপের এই ২৭ টি সেনজেন ভুক্ত দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন যা অনেক সুবিধাজনক একটি বিষয়। শুধু তাই নয় আপনি ৯০ দিন পর্যন্ত যে কোন সেনজেন ভুক্ত দেশে থাকতে পারবেন। ভ্রমণের জন্য হোক বা ব্যবসায়িক কাজের জন্য হোক। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন তিন মাসের বেশি যদি থাকেন তবে তা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত করা হবে।
ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশ কোনগুলো সেই বিষয়ে বেশি আগ্রহ দেখাই বা সেই সম্পর্কে জানতে চায়। ইউরোপে অনেকগুলো নন সেনজেন দেশ রয়েছে। নিম্নে ইউরোপের ননসেনজেন দেশগুলোর তালিকা দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার এপস
- Romania
- Poland
- Bulgaria
- Croatia
- Serbia
- Cyprus
- Albania
- Ireland
- Bosnia and Herzegovina
- Montenegro
- Moldova
- Belarus
- Macedonia
- Ukraine
- Armenia
- Azerbaijan
- Georgia
- Kosovo
- Monaco
- Russia
- San Marino
- Türkiye
উপরে উল্লেখিত দেশগুলো ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশ। আপনি যদি এই নন সেনজেন দেশগুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতেও ঘুরতে যেতে চান তবে প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা আলাদা করে পাসপোর্ট ভিসা থাকতে হবে। তা না হলে সে দেশের প্রচলিত আইনে দন্ডভুক্ত হতে পারেন।
সেনজেন ভুক্ত দেশ কয়টি
ইউরোপ মহাদেশের ২৭ টি সেনজেন ভুক্ত দেশ রয়েছে। মূলত সেনজেনভুক্ত দেশ বলতে বোঝায় যে দেশগুলো তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ সীমানার জটিলতা দূর করে মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে বা ভ্রমণের বা মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টির জন্য সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশের অবাধ বিচরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ দেশগুলোকে বোঝায়। নিচে সেনজেন ভিসার দেশগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কুয়েত ১ রিয়াল বাংলাদেশের কত টাকা
- Austria
- Portugal
- Germany
- Czech Republic
- Poland
- Italy
- Luxembourg
- Estonia
- Latvia
- Spain
- Lithuania
- Finland
- Slovenia
- Iceland
- Slovakia
- Denmark
- Hungary
- Malta
- Switzerland
- Belgium
- France
- Liechtenstein
- Greece
- Norway
- Sweden
- Netherlands
- Croatia
সেনজেন ভুক্ত সর্বশেষ দেশ
সেনজেন ভুক্ত দেশ ছিল মোট ২৬ টি। কিন্তু ২০২৩ সালে আরেকটি দেশ এই তালিকায় তাদের নাম লেখায়। সেই দেশটি হলো ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। সেনজেনভুক্ত সর্বশেষ দেশ বা ২৭ তম দেশ হলো ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। বর্তমানে সেনজেনভুক্ত ২৭ টি দেশ রয়েছে। অর্থাৎ সেজন মুক্ত দেশের সংখ্যা সর্বমোট ২৭ টি।
সেনজেন ভিসা কি
সহজ ভাষায় সেনজেন ভিসা কি তা বলতে গেলে বলা যায় ইউরোপের যে কোন একটি সেনজেনভুক্ত দেশের পাসপোর্ট নিয়ে সেনজেন ভুক্ত বা সেনজেন আওতাধীন যে কোন দেশে যাওয়া যায়। ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক কাজে যে কোন ক্ষেত্রেই যাওয়া যায় এইসব সেনজেন ভুক্ত দেশে। এবং ৩ মাস বা .৯০ দিন সেই দেশে অবস্থান করা যায়।
সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায়
আপনি যদি ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে ঘুরতে বা যে কোন কাজে যেতে চান তবে সেনজেন ভিসা লাগবে। আর এই সেনজেন ভিসা পেতে হলে আপনাকে Online এ আবেদন করতে হবে। গুগলে ইংরেজিতে Schengen Visa Application Form লিখে Search দিলেই আবেদনের সাইট পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ সৌদি রিয়াল রেট বাংলাদেশ
মনোযোগ দিয়ে আবেদন ফরমটি ফিলাপ করবেন। যা যা তথ্য চাই সেগুলো সঠিক তথ্য দিবেন। এবং আবেদন ফরম এর প্রতিটি ঘর পূরণ করতে হবে কোন ঘর ফাঁকা রাখা যাবে না। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এর একটি জেরক্স কপি জমা দিতে হবে। আরেকটি কথা মনে রাখবেন ডেট ও সিগনেচার অবশ্যই থাকতে হবে ফ্রমে।
বাংলাদেশ থেকে সেনজেন ভিসা পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশে যেতে চান। তারা বাংলাদেশে ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দূতাবাস যে কয়টি রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আরেকটি কথা বলে রাখা ভালো এই সেনজেন ভিসার আবেদন শুধুমাত্র এই সকল দেশের দূরতাবাস থেকেই করতে পারবেন।
সেনজেন ভিসার খরচ
নিচে সেনজেন ভিসার খরচের তালিকা দেওয়া হয়েছেঃ
বয়স | ইউরো ডলার |
---|---|
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রথম আবেদন | ৮০ ইউরো ডলার |
৬ থেকে ১২ বছরের ভেতরের শিশুর প্রথম আবেদন | ৪০ ইউরো ডলার |
০ থেকে ৬ বছর বয়সী বাচ্চার প্রথম আবেদন | ০ ইউরো ডলার বা এদের জন্য আলাদা টাকা খরচ হয় না |
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক, আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা আকারে তুলে ধরেছি এবং এর পাশাপাশি সেনজেন দেশের সুবিধা কি সহ সেনজেন ভুক্ত দেশ কয়টি তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েছেন এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।
আজকের এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয়ের উপর যদি আপনার কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং ইউরোপের নন সেনজেনভুক্ত দেশ এর তালিকা এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারে। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url