বিজয় দিবসের উপস্থাপনা
ডিসেম্বর মাসের দিবস সমূহ ২০২৩বিজয় দিবসের উপস্থাপনা,কততম বিজয় দিবস ও বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে আজকের এই নিবন্ধন। আপনি যদি ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় দিবস এর উপস্থাপনা এবং বিজয় দিবসের কিছু সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চান।
বিজয় দিবসের উপস্থাপনা |
তাহলে আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলে বিজয় দিবসের উপস্থাপনা ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচীপত্র
ভূমিকা
১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় দিবস আমাদের দেশে প্রতি বছরই পালিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন স্কুল কলেজ হতে শুরু করে নানান সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই দিবস উপলক্ষে বহুমুখী কর্মসূচি মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। আর এই অনুষ্ঠানে প্রয়োজন পড়ে থাকে উপস্থাপনার। আর উপস্থাপক কে স্মার্টলি সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে হয় বা উপস্থাপনা করতে হয়।
শুধুমাত্র এই বিজয় দিবস উপলক্ষে নয় যেকোনো অনুষ্ঠানের উপস্থাপন করতে হলে কথার ভেতর মাধুর্যতা,সৌন্দর্যতা বজায় রাখার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আপনি যদি এই দিবসে উপস্থাপনা করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পন্ন করুন।
কততম বিজয় দিবস ২০২৩
আগামী ১৬ ই ডিসেম্বর অর্থাৎ এবারের বাংলাদেশের ৫৩ তম জাতীয় বিজয় দিবস পালন করা হবে। ১৯৫২ সাল থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে। যদি ও ২০২০ সালে ৫০ তম পূর্ন হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার, সেই সময়ে করোনা ভাইরাসের কারণে বিজয় দিবস বাংলাদেশ এ উদযাপন করা সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুনঃ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কত সন ছিল
২০২১ সালে অর্থাৎ গত বছর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৬ই ডিসেম্বরে। জাতির জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পুরো গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এটি জাতির সবার সামনে আত্মত্যাগ কে ফুটিয়ে তোলে। এত বছর পরেও স্বাধীনতার বাংলাদেশে দেশদ্রোহী এখন পর্যন্ত বসবাস করছে।
যাদের এখন পর্যন্ত বিচার কার্যকর হয়নি। খুবই বেদনারায়ক এই বিষয়টি বাঙালিদের জন্য প্রতিটি বাঙালি জাতি চাই এর সুষ্ঠু বিচার।
বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
আজকের এই অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপস্থিত সম্মানিত প্রধান অতিথি,সম্মানিত সভাপতি, বিশেষ অতিথি ও প্রধান শিক্ষকসহ শ্রদ্ধেয় আমার সকল শিক্ষক এবং আমার সকল সহপাঠীবৃন্দ আমার পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও সালাম ও মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে।
বাঙালি জাতির এই দিনটি অবিস্মরণীয়। আজ ১৬ই ডিসেম্বর,গভীর শ্রদ্ধার সাথে এই দিনটাকে আজ স্মরণ করছি। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যাদের জীবন সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করেছে,তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সকল বাঙালির। এই দিনেই পৃথিবীর বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজ এর নাম লেখায় স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য যেসব দামান ছেলেরা ১৯৭১ সালে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কত প্রাণের বিনিময়ে কত শত বাধা পেরিয়ে আজকে আমাদের এই বিজয়। এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেছে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এদেশের দামান ছেলেরা।
আরো পড়ুনঃ ডিসেম্বর মাসের দিবস সমূহ ২০২৩
যদিও আমাদের দেশ পাকিস্তানি শাসকের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে কিন্তু দেশের দুর্নীতি, রাহাজানি সন্ত্রাসী সহ আরো নানা দিক দিয়ে এই দেশের মানুষ এখনো স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও জীবন যাপন করতে পারে না। যেদিন এগুলো দমন হয়ে একটি সুশীল সমাজ সুশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে,সেদিন থাকবে না কোন অনাহারি,থাকবে না কোন অশিক্ষিত মানুষ,থাকবে না কোন দুর্নীতি। নবজাগরণের উদ্দীপ্ত হবে বাংলাদেশ পৃথিবীতে। থাকবে লাল সবুজের মানচিএ
বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আবার এলো বছর ঘুরে আমাদের বিজয়ের মাস। এই মাস বেদনার একই সঙ্গে স্বজন হারানোর শোকের আবার উদযাপনের। নানা আয়োজন থাকছে এবার। ৫৩টি জাতীয় পতাকা স্বাধীনতার ৫৩ বছরের প্রদর্শিত করবে দেশের ৬৪ টা জেলায়। মুক্তিযুদ্ধের সমাবেশ প্রতিটি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রদক্ষিণ শেষে সর্বশেষ জেলা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয়ভাবে .১৬ই ডিসেম্বরের মুক্তিযোদ্ধাদের মহান সমাবেশ।
আজকের এই দিন বাঙালি জাতির গৌরবের দিন লাল সবুজের পতাকা বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পাওয়ার দিন। আজ এই পতাকা মানচিত্রে এসেছে যেসব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে। বাঙালি জাতির এর জন্য ছিল সুদীর্ঘ সাধনা ও তপস্যা। শেখ মজিবর ছিলেন এই প্রত্যাশার কান্ডারী। সেই ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ আরো সোচ্চার হয়ে ওঠেন পাকিস্তানীরা।
আরো পড়ুনঃ গরম জলে মধু খাওয়ার উপকারিতা
মধ্যরাতে ফলস্বরূপ ২৫ শে মার্চ নিবর্ষ বাঙালির ওপর পাকবাহিনী আক্রমণ চালায়। আস্তে আস্তে যখন মুক্তিবাহিনী সুগঠিত হয় স্বাধীনতার ঘোষণায় ২৫ মার্চ পর থেকে তখন আরো অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। জ্বালিয়ে দেয় ঘুমন্ত মানুষের হাজার হাজার বাড়িঘর। যুবকদের বেছে বেছে ধরে এনে পৈশাচিক নির্যাতন চালায় এবং গুলি করে হত্যা করে।
রাজাকার ও পাক সেনাদের এমন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একসময় বাংলার সাধারন মানুষ সম্মিলিত হয়ে নেমে পড়েন জনযুদ্ধে। কুমার কামার কৃষক শিক্ষিত অশিক্ষিত ছাত্র ও শিক্ষক কিশোর শিশু নারী সহ যুদ্ধে সকল শ্রেণীর মানুষ একত্রে অংশগ্রহণ করে এই তীব্র সংগ্রাম চালিয়ে যায় দেশকে সঙ্কামুক্ত করার আকাঙ্ক্ষায়।
আরো পড়ুনঃ জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই
বাংলার মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর পূর্ণ হয় এই ১৬ই ডিসেম্বরে। সাধারণ কোন বিজয় নয় এই ১৬ই ডিসেম্বর এর বিজয় এই জাতীয় বিজয় আমাদের চেতনার বিজয় এই বিজয় আমাদের রক্তের আত্মপরিচয়ের বিজয়। তাই আমাদের কাছে এই বিজয় একই সঙ্গে গৌরবের ও প্রেরণার। কয়েক দশকের চেয়ে সামাজিক অবস্থা বর্তমান বাংলাদেশের অর্থ যে অবস্থান করছে শীর্ষে তা রাখে না বলার অপেক্ষা।
বর্তমানে সরকার যেভাবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। তাতে এই সকল সমস্যা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাবে বাংলার মানুষ। একটি স্বাধীন আদর্শ হিসেবে বাংলাদেশকে গঠন করে তুলতে অবশ্যই আমাদের বিজয় দিবসের তাৎপর্য যথার্থভাবে অনুধাবন করতে হবে।
বিজয় দিবসের উপস্থাপনা
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঘোষণা দিতে হবে বিশেষ অতিথি, প্রধান অতিথি হিসেবে কারা থাকবে তাদের নাম। অবশ্যই ঠিকঠাক পদবী উল্লেখ করতে হবে নামের আগে। সাধারণত বসার স্থান,স্টেজ বা মঞ্চ অতিথিদের জন্য করা হয়। তাই মঞ্চে উঠে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে অতিথিদের। সাধারণত সভাপতি মঞ্চে উঠেন অতিথিদের নিয়ে।
বিষয়টি এমনভাবে বলা যায়
শুরুতেই বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমাদের সভাপতিকে বিশেষ অতিথি ও সম্মানিত প্রধান অতিথিকে সাথে নিয়ে স্টেজ বা মঞ্চে উঠে আসার জন্য।
১৬ ডিসেম্বর বাংলার বিজয়ের দিন। বাঙালি ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। ২ লক্ষ মা বোনের প্রতীক্ষা আর ত্যাগ ও ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মদান এবং কোটি বাঙ্গালীর আত্মনিবেদন গণ বিরত্বে গৌরব গাঁথা মুক্তি পায় বাঙালি জাতি পরাধীনতার অভিশাপ থেকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল হতে ১৯৫২ সালে হয় ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন,১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থন,১৯৭১ সালের ৭ মার্চ হয় সেই গৌরবময় ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ এ গণহত্যা আরম্ভ হলে তারপরের দিন ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু।
লেখক এর মতামত
প্রিয় ভিউয়ার্স, আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও বক্তব্য সম্পর্কে ভালো একটি জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। এই পোস্টে শুধু উপস্থাপনার বক্তব্যর কথা আলোচনা করা হয়নি। এই বিজয়ের ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কথাও সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হয়েছে। এমনই আরো পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের পাশে থাকুন। ধন্যবাদ!
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url