প্লেজিয়ারিজম কি-আর্টিকেল লেখার কৌশল

আমরা যখন কোন আর্টিকেল লিখি বিভিন্ন আর্টিকেল এমন থাকে যে টিউটোরিয়ালের মত। আর সেই সকল আর্টিকেল এর জন্য বোঝানোর সুবিধার্থে স্ক্রিনশট নেয়ার প্রয়োজন পড়ে আটকে জানব স্ক্রিনশট কিভাবে নিতে হয় আর এর ব্যবহার সম্পর্কে ও আর্টিকেল লেখালেখি করার সময় অনেক সময় অনেক জায়গায় ভুল হয়ে যায় সেই ভুল গুলো কেমন করে সংশোধন করা যায় সে বিষয়ে আজকে জানবো
আটিকেল রাইটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য
আটিকেল রাইটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য 
এবং আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট যদি কেউ কপি করে তাহলে সেটি কেমন করে বুঝবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব এই পোস্টে আরো আলোচনা করব প্লাইজারিজম কি ও এটা কেন করা উচিত নয় এবং জানবো আর্টিকেল স্পেলিং ও স্ক্রাপিং নিয়ে।

পোস্ট সূচীপত্র

ভূমিকা

এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব স্ক্রিনশট টেকনিকস,গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার,কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,প্লাইজারিজম কি,কেন করবেন না,আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ বিষয়গুলো নিয়ে।

স্ক্রিনশট টেকনিক

এমন অনেক পোস্ট রয়েছে যেগুলো ভিওয়ারদের বোঝানোর সুবিধার্থে স্ক্রিনশট নেয়ার প্রয়োজন পড়ে থাকে। যেমন উদাহরণস্বরূপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারে পিডিএফ বা যে কোন ফাইল কিভাবে পাঠানো যাই এই বিষয়ে জানতে বা বোঝাতে গেলে স্ক্রিনশট নেয়ার প্রয়োজন হয়। আমরা সবাই জানি ফেসবুক মেসেঞ্জার দিয়ে শুধুমাত্র ছবি,ভিডিও পাঠানো যায়। কিন্তু কোন ফাইল পাঠানো যায় না, যেমন অডিও ফাইল,পিডিএফ ফাইল,ডকুমেন্ট ফাইল এগুলো পাঠানো যায় না।

আর এইসব ডকুমেন্ট কিভাবে ফেসবুক মেসেঞ্জার দিয়ে পাঠানো যাই এই বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গেলে এবং এগুলো কিভাবে পাঠানো হয়,কোন অ্যাপ লাগে ও কার ভিতরে গিয়ে কোথায় ক্লিক করতে হয়, এইসব বিষয় ভালোভাবে বোঝানো সুবিধার্থে পোষ্টের বিভিন্ন জায়গাতে স্ক্রিনশট ব্যবহার করতে হয়। তাই আজ জানবো কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হয় এবং কিভাবে বড় আকারের স্ক্রিনশট না নিয়ে প্রয়োজনীয় অংশের স্ক্রিনশট নিতে হয়, ও অপ্রয়োজনে অংশকে কিভাবে বাদ দিতে হয়।

কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নেওয়ার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে এর ভিতরে সবচেয়ে সহজ যে পদ্ধতি রয়েছে সেটা নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
  • প্রথমে আপনি যে জিনিসের স্ক্রিনশট নিবেন সেটা আপনার ডিসপ্লের উপরে রাখুন।
  • এরপর আপনার কম্পিউটারের সার্চ বক্সে গিয়ে লিখেন Snipping Tool এরপর সেটাকে ওপেন করুন।
  • তারপর নিউ বাটনে চাপ দিন, আপনি কতটুকু স্ক্রিনশট নিতে চাইছেন ততটুকু সিলেক্ট করে নিন।
  • এরপর ডান পাশের থ্রিডটে ক্লিক করে সেভ অপশনে চাপ দিয়ে কোন ফাইলে সেভ করবেন সেটা সিলেক্ট করে সেভ করুন। অথবা কিবোর্ড থেকে Ctrl+S চাপ দিলেও সেভ হয়ে যাবে।
  • আপনি যদি কোন একটি স্ক্রিনশট স্ক্রিনের পুরোটা জুড়ে নিয়ে নেন এবং আপনি চাচ্ছেন যে স্ক্রিনশটের প্রয়োজনীয় অংশটুকু শুধু দেখাবেন। তাহলে সেটা কেমন করে দেখাবেন এখন চলুন সেটা দেখে নেই।
  • প্রথমে আপনার কম্পিউটারে থাকা ফটোশপ টি ওপেন করুন।
  • এরপর স্ক্রিনশটটি ফটোশপে আনার জন্য কিবোর্ড থেকে Ctrl+O একসঙ্গে চাপ দিন।
  • এরপর কোন স্ক্রিনশটটি এডিট করবেন সেটি সিলেক্ট করে ওপেন করুন।
  • এরপর স্ক্রিনশটের অতিরিক্ত অংশ বাদ দিতে Crop Tool এ ক্লিক করুন।
  • এরপর স্ক্রিনশট সিলেকশন এর ওপর রাইট ক্লিক করে Clear Ratio করে নিন। এতে করে আপনি আপনার ইচ্ছেমতোCrop করতে পারবেন।
  • এরপর অতিরিক্ত অংশকে বা অপ্রয়োজনীয় অংশকে কেটে নিন।
অনেক সময় ছবির আইডেন্টিটি না থাকার কারণে ছবি চুরি হয়। এটা এড়াতে চাইলে বা আপনার ছবি আপনি কাউকে ব্যবহার করতে না দিতে চাইলে ছবির উপর জলছাপ বসাতে পারেন। কিভাবে ছবির ওপর জলছাপ দেয়া হয় এবার সেটা জানবো।
  • ছবির ওপর জলছাপ বা আপনার সাইডের নাম দিতে Text Tool এ চাপ দিন,তারপর ছবির উপর একবার চাপ দিন।
  • এরপর লিখার সাইজ বেশি বড় থাকলে সেটাকে ছোট করে নিন।
  • এরপর কিবোর্ড থেকে Ctrl+A একসঙ্গে চাপ দিয়ে উপরে ডান পাশের Text Color পছন্দ করে চেঞ্জ করে নিন।
  • এরপর আপনার নাম বা আপনার সাইডের নাম লিখুন তারপর আবার Ctrl+A দিয়ে সিলেট করে লেখাটার সাইজ ছোট-বড় করে নিন ও ফ্রন্টটি চেঞ্জ করে নিন।
  • এবার কিবোর্ড থেকে Ctrl+T একসঙ্গে চাপ দিয়ে Text টিকে পজিশন নতুন বসিয়ে নিন।
  • এরপর টেক্সটিকে ঝাপসা করতে ডান পাশে Opacity অপশনে ক্লিক করে যতটুকু ঝাপসা করা দরকার ততটুকু করে নিন।
  • আর যদি অপাসিটি অপশন খুঁজে না পান তাহলে Window থেকে Layers সিলেক্ট করলেই চলে আসবে।
  • এবার এটিকে সেভ করতে কিবোর্ড থেকে Ctrl+Shift+Alt+S এক সাথে চাপ দিলে Save অপশন চলে আসবে। তারপর আপনার ইচ্ছামত সাইজ দিয়ে কোন ফাইলে সেভ করবেন সেটা সিলেট করে Save এ ক্লিক করলেই Save হয়ে যাবে।
ছবিতে বা স্ক্রিনশটে যদি মার্ক করতে চান তাহলে ফটোশপে অনেকগুলো টুল রয়েছে। কিন্তু আজকে আলোচনা করব এমন একটি টুল নিয়ে যেটা যে কেউ নিয়ে কাজ করতে পারবে সহজেই। সেই টুলটা হল মার্ক টুল। প্রথমে মার্ক টুলটির ওপরে ক্লিক করে সেটাকে সিলেক্ট করুন। এই ব্রাশ টুলটি ইমেজ লেয়ারের ওপরে লিখতে পারবেন। ইমেজ লেয়ারের উপর ক্লিক করে সিলেক্ট করুন।

ব্রাশ টুলের পয়েন্টার কে চাইলে ছোট-বড় করতে পারবেন আর এটা করার জন্য কিবোর্ডের P বাটনের পাশে থার্ড ব্যাকেটের শুরু আর থার্ড ব্রেকেট এর শেষ এটা দিয়ে করতে হয়। এরপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে ছলেট ব্রাশ সিলেক্ট করুন এবং এটি যেখানে মার্ক করবেন সেখানে ক্লিক করলেই মার্ক হবে। আর যদি মার্কটি করার পর মনে হয় সেটি মুছে ফেলবেন তাহলে কিবোর্ড থেকে Ctrl+Z চাপ দিলেই মুছে যাবে।

গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার

লিখালিখি করার সময় গ্রামটিক্যাল বা ব্যাকরণের ভেতর যদি কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে সেগুলো কিভাবে ঠিক করা যায় সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব। আমরা এই গ্রামেটিক্যাল এরর দুই রকম ভাবে চেক করব,কারণ অনেকে বাংলায় লেখালেখি করে আবার অনেকেই ইংরেজিতে। বাংলার ক্ষেত্রে কিভাবে গ্রামেটিক্যাল এরর চেক করা যায় সেটা দেখব এবং ইংরেজির ক্ষেত্রে কিভাবে চেক করা যায় সেটাও দেখব।

সাধারণত ব্রাউজারগুলোতে ইংরেজি ভালোভাবে সাপোর্ট করে এবং বাংলা সবকিছু ঠিকমতো সাপোর্ট করে না। যার ফলে ইংরেজি গ্রামেটিকাল এরর চেকগুলো ব্রাউজার ইন্টার ফেসেই করতে পারব। আর যদি আমরা বাংলা ব্যাকরণের ভুলগুলো চেক করতে চাই বা ঠিক করতে চাই সে ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা করে এক্সটেনশন বা অ্যাপ অথবা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

ইংরেজিঃ ইংরেজি লিখায় বানান ভুল হলে বাই ডিফল্ট ভুল ইংরেজি লিখার নিতে লাল কালি দিয়ে মার্ক হয়ে থাকে। আর সেই মার্কিত ভুল লেখার ওপরে মাউস দিয়ে রাইট ক্লিক করলে কয়েকটি সঠিক সাজেশন দিয়ে দেয় ভুল লেখাটির জন্য। এইভাবে খুব সহজে ইংরেজি লেখার ভুল সংশোধন করা যায়।

বাংলাঃ বাংলা বানান সংশোধন করতে হলে প্রথমে সমস্ত লেখা লিখে নেয়ার পরে কপি করে কম্পিউটারে ইন্সটলকৃত অভ্র Avro Spell Checker টি ওপেন করুন এবং সেখানে পেস্ট করে দিন। এরপরে Spell Check এ চাপ দিন এরপরে ভুলগুলো সংশোধন করে নিন।

কপিরাইটিং বিশ্লেষণ

কনটেন্ট রাইটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কপিরাইটিং এর গুরুত্ব টা কি? এখন এই কপি রাইটিং জিনিসটা আসলে কি এটা সোজা বাংলায় উদাহরণ দিয়ে বোঝানো খুব জটিল বিষয় হয়ে যাবে। তাই এটা বোঝানোর জন্য কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে হবে। Attention,Promise,Coll To Action আমরা যেহেতু আজকে কপিরাইটিং নিয়ে আলোচনা করব সেহেতু এই তিনটা জিনিস সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন স্টেজে গিয়ে জানার প্রয়োজন হবে।

এই তিনটি শব্দগুলোকে আপনি মনে রাখেন। মনে করেন যে আপনি ফেসবুকে আছেন এবং ফেসবুক স্ক্রল করছেন। এবং স্কুল করতে করতে হঠাৎ করে "ফ্রিতে শুরু করুন ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স" এমন একটা জিনিস দেখতে পেলেন। আর এটা দেখে আপনি মনে করেন যে আপনার মনের ভিতরে প্রশ্ন জাগলো দেখিত বিষয়টা কি।

এখন আপনি ভিডিওটা অন করে দেখতে শুরু করলেন, এবং এটি দেখতে দেখতে আপনার মনের ভিতর এটি শিকার ইচ্ছা/আগ্রহ জাগলো তখন আপনি এই বিষয়টাকে আমলে নিয়ে ভালো করে যাচাই-বাছাই করলেন ও ভর্তি হয়ে গেলেন। এই যে উদাহরণটি দিলাম এ বিষয়টা নির্ভর করছে আপনার কপিরাইটিং কতটুকু বেটার হবে তার ওপর নির্ভর করে। কপিরাইটিং যত বেশি এট্রাক্টিভ হবে তত বেশি মানুষ আগ্রহ দেখাবে এবং তা বিক্রি হবে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসছে কবে রাইটিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আবার কোর্স বিক্রি করার সম্পর্ক কি। এবার চলুন আমরা সেই বিষয়গুলোতে যাই যে বিষয়ে আপনাদের একটু আগে বলেছিলাম।

Attention

তো কপি রাইটিং এর ভিতরে রয়েছে Attention আপনি যখন রাস্তাঘাটে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখেন অনেক শত শত হাজার হাজার বিজ্ঞাপন দেখা যায় তাই না? সবগুলোই কি আপনার মনে শুট করে? করে না। কিছু কিছু বিজ্ঞাপন হয়তো আপনার মনকে আকর্ষণ করতে পারে। আর এটাকে বোঝাই Attention সিক করা। ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে যদি কোন কিছু দেখে আপনার নজর আটকে যায় তাহলে সেটা আপনার Attention গ্রাপ করেছে।

তো একজন কনটেন্ট ক্রিয়েট এর কাজ হচ্ছে আপনার Attention তাকে ক্যাচ করা। তাহলে বুঝতে পারছেন কপিরাইটিং এর শুরুর বিষয়টা হচ্ছে পাঠকদের বা যাদের কাছে কোর্স বিক্রি করা হবে বা যাদের কোন সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের Attention বা তাদের মনোযোগ টাকে আকর্ষিত করাকে বোঝায়। আর শুরুতে যে উদাহরণটি দেয়া হয়েছিল "ফ্রিতে শুরু করুন ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স" এটাও এই বিষয়ের ভেতরে পড়ে।

Promise

আপনি যে সেবা বা আপনার পণ্যটা আপনার কাস্টমারদের কাছে দিচ্ছেন সেটা আপনার এই লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যাবে বা এই কাজ আদৌ হবে বা এই কোর্সটা করার পর সে আদৌ টাকা ইনকাম করতে পারবে এমন প্রমিসিং কোন কিছু আপনার বিজ্ঞাপনের মধ্যে থাকতে হবে।

Coll To Action

আপনি আপনার কাস্টমারের অ্যাটেনশন সিক করেছেন,কাস্টমারকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন এবার এরপরের কাজটি হচ্ছে আপনার কাস্টমারকে সেই সে মাটি দিয়ে দেওয়া বা ওই প্রোডাক্টটি বিক্রি করে দেওয়া এটাকেই বলে Coll To Action

এই কপিরাইটিং মানে হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ব্যাপার। আর এই কপিরাইটিং এর কাজ হচ্ছে আপনার কোন একটি সেবা বা প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আর সেটি পৌঁছে দেয়ার জন্য বিশেষভাবে তিনটি দিক অনুসরণ করতে হয় তা হল
  • Attention
  • Promise
  • Coll To Action

Plagiarism কি? কেন করবেন না

প্লাইজারিজম জিনিসটা কি? মনে করেন আপনি একটা লেখা লিখেছেন আপনার ওয়েবসাইটে আর সেই সম্পূর্ণ একটি পোষ্ট কোন একজন ব্যক্তি কপি করে তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিয়েছে। আবার মনে করেন যে কোন একজন ব্যক্তি পুরো পোস্ট কপি করেনি অর্ধেক পোস্ট কপি করে তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছে।

আবার মনে করেন যে আপনার লেখা অর্ধেক ও কপি করেনি আবার পুরোটাও কপি করেনি কিছু অংশবিশেষ বা কয়েকটি পেরা কপি করে তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছে। সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় আপনি পরিশ্রম করে যে লেখাগুলো লিখছেন বা ইন্টারনেটে আপনার যে উপস্থিতি রয়েছে সেটা যদি নিজের নামে চালিয়ে দিতে চাই সেই ইফোর্টটাকেই আমরা বলছি প্লাইজারিজম

 যদি আপনি কারো কপি করেন বা কেউ আপনার লেখা কপি করে তাহলে আপনি তার বিরুদ্ধে বা সে আপনার বিরুদ্ধে লিগ্যাল আইরনও ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং কপিরাইট স্টাক দিতে পারবে বা পারবেন। প্লাইজারিজম কি এবং এটা কেন করা উচিত নয় আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন। এখন আলোচনা করব আপনার লেখা কেউ কপি করেছে কিনা সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন সে বিষয়ে।

এটার জন্য আপনাকে একটি সাইড ইউজ করতে হবে সাইট নাম হল Copyscape.com, এখানে আসার পরে আপনি আপনার যে পেজের লেখা চেক করবেন যে কেউ কপি করেছে কিনা সেই পেজের লেখা কপি করে পেস্ট করে দিতে হবে এবং সার্চ করলেই এর ফলাফল দেখাবে। কিন্তু এটার একটা প্রবলেম হলো এটা ফ্রি ভার্সনে খুব বেশি লিংক চেক করা যায় না। বেশি লিংক চেক করার জন্য আপনাকে প্রিমিয়াম ভার্সন টি ক্রয় করতে হয়।

এর বাইরেও একটু ওয়ে আছে কেউ কপি করেছে কিনা সেটি দেখার। এটি করার জন্য প্রথমে আপনার লিখার যে কোন একটি অংশ কপি করে গুগলে সার্চ দিতে হবে। সার্চ দেবার পর দেখুন আপনার লেখার সাথে অন্য কারো লেখা মিলছে কিনা। যদি মিলে যাই তাহলে ভাববেন আপনার লেখাগুলা সে কপি করছে।

আটিকেল স্পেনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ

আমরা জানবো আর্টিকেল স্পিলিং ও আর্টিকেল স্ক্যাপিং জিনিসটা কি, কিভাবে করতে হয়, এগুলো করা উচিত কিনা বা হচ্ছে এগুলোর লাভ ক্ষতি কি এই পুরো ব্যাপারগুলো আজকের এই পোস্টে জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন শুরুতেই জানে  নেয়া যাক আর্টিকেল স্পিনিং এই জিনিসটা কি

আটিকেল স্পেনিং

আপনারা হয়তো অনেকেই স্পিনিং স্পেলিং এই শব্দর সাথে পরিচিত রয়েছেন বা পরিচিত থাকতেও পারেন। এই আর্টিকেল স্পেলিং বলতে আসলে কোন একটা আর্টিকেল থেকে অন্য আরেকটা আর্টিকেল তৈরি করাকে বোঝায় এবং নতুন আর্টিকেলটা আগের আর্টিকেলের থেকে ভিন্ন, ভিন্ন বলতে এই অর্থে ভিন্ন যে প্রথমে যে আর্টিকেলটা ছিল সেই আর্টিকেলটা

মনে করেন যে শব্দের উপর শব্দগুলো লেখা ছিল পরবর্তীতে যে আর্টিকেলটা তৈরি করা হবে সেখানে সেম শব্দগুলো থাকবেনা হয়তো কোন শব্দ অন্য শব্দ দিয়ে রিপ্লেস হয়ে যাবে। মোট কথা হল একটা আর্টিকেল লেখা আছে সেইটার ভেতরে মনে করেন যে সব মিলিয়ে ২০০০ শব্দ আছে শেখান থেকে মনে করেন যে ১০০০ শব্দের সিনোনিম বা হচ্ছে অন্য অর্থবোধক শব্দ দিয়ে চেঞ্জ করে রিপ্লেস করে একটা আর্টিকেল তৈরি করা হয়েছে।

তাহলে এরকম আর্টিকেলকে আমরা স্পেলিং বলি। এটা করে কনটেন্ট যদিও ইউনিক হয় তবুও এটা করা ঠিক নয়। কারণ এমন আর্টিকেল করে আবার কখনো করেনা আর গুগল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে তাহলে google আপনার ওয়েবসাইটে কিক করতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনার আর কোন পোস্ট গুগলের  নাও হতে পারে।

আটিকেল স্ক্রাপিং

আর্টিকেল স্পেলিং এ আমরা যা করলাম একটা আর্টিকেলকে আমরা জাস্ট কপি করে সেটার ভিতরে আমরা বিভিন্ন শব্দগুলো চেঞ্জ করে নতুন আরেকটা আর্টিকেলের রূপ দিয়ে দিলাম। এটাকে বলে আটিকেল স্পেলিং। অন্যদিকে আর্টিকেল স্ক্রাপিং হচ্ছে আমরা কোন একটা কিওয়ার্ড দিয়ে দিব মনে করেন যে একটা ওয়েবসাইটের ভেতরে গিয়ে বা কোন একটা স্ক্র্যাপিং করার ওয়েবসাইটে গিয়ে কোন একটা কিওয়ার্ড দিয়ে দিব।

মানে কোন বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখতে হবে সাপোজ অর্ডিনারি আইটি ব্যাপারে একটি আর্টিকেল লিখব তাহলে অর্ডিনারি আইডি এই কিওয়ার্ডটা শুধুমাত্র ওখানে দিয়ে দিব, দিয়ে আমরা স্টাপ বাটনে চাপ দিব তাহলে কি হবে? অটোমেটিক ভাবে অর্ডিনারি আইটি সম্পর্কে একটু পোস্ট লিখে দিয়ে দিবে এমনি এমনি। এরকম কাজকে বলা হয় আটিকেল স্ক্রাপিং।

লেখক এর মতামত

প্রিয় ভিউয়ার্স আশা করি আমাদের আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url