ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এই প্রশ্নের উত্তরটা আমরা প্রায়ই মানুষেই উত্তর দিতে পারবো না। আপনারা বিভিন্ন মানুষের মুখে শুনে থাকবেন তারা প্রায়শই বলে এই খাবারটি খেলে ওই ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়, এই সবজি ওই ভিটামিনের উৎস ইত্যাদি। প্রত্যেক ভিটামিনেরি চাহিদা রয়েছে মানুষের শরীরে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। আজকে আমরা জানব ভিটামিন এর কাজ কি,
ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি |
এবং কোন ভিটামিনে কোন কাজ করে,কোন খাবার থেকে কোন ভিটামিন পাওয়া যায় এবং মানুষের দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিন গুলো কোন বিষয়ে কোন কাজ করে। আপনিও যদি ভিটামিন সম্পর্কিত সকল খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সম্পন্ন পড়ুন,আশা করি আপনিও উপকৃত হবেন।
পেজ সূচিপএঃ
ভূমিকাঃ
ভিটামিন হলো খাদ্য জরুরি কিছু জৈব অনু। এই ভিটামিন কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক পানি দ্রবণীয় ভিটামিন, দুই চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন বা স্নেহ জাতীয় পদার্থের ভিটামিন। এই সকল ভিটামিন এর অভাবে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন কি ও কত প্রকার এর কাজ ও এর উৎস সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ভিটামিন কি ও কত প্রকার
ভিটামিন কিঃ ভিটামিন হলো এক ধরনের পুষ্টি যা মানুষের শরীরকে ঠিকভাবে কাজ করতে ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। সহজ ভাবে বলতে গেলে ভিটামিন দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি, রক্ষণাবেক্ষণ,বৃদ্ধি এবং অন্যান্য কার্যাবলী সঠিকভাবে সম্পাদনসহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে থাকে সাধারণত তাকে ভিটামিন বলে। নানান রকমের খাদ্য থেকে মানুষ এই ভিটামিনের বড় একটি অংশ পেয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই
মানুষের শরীরে এই ভিটামিনের বা পুষ্টির অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন রোগ ও সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন কত প্রকারঃ ভিটামিন ৬ প্রকার,কিন্তু এর ভিতরে ভাগ রয়েছে। আবারো এই ছয় প্রকারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১.চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন বা স্নেহ জাতীয় পদার্থের ভিটামন।
২.পানিতে দ্রব্যনীয় ভিটামিন।
ভিটামিন মোট কত প্রকার
ভিটামিন মূলত ছয় প্রকার কিন্তু এদের ভিতরে ভাগ রয়েছে।
- ১.ভিটামিন "এ"-A
- ২.ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
- ভিটামিন "বি১"-B1
- ভিটামিন "বি২"-B2
- ভিটামিন "বি৩"-B3
- ভিটামিন "বি৫''-B5
- ভিটামিন "বি৬"-B6
- ভিটামিন "বি৭"-B7
- ভিটামিন "বি৯"-B9
- ভিটামিন "বি১২"-B12
- ৩.ভিটামিন "সি"(C)
- ৪.ভিটামিন "ডি"(D)
- ৫.ভিটামিন "ই"(E)
- ৬.ভিটামিন "কে"(K)
আবার এই ছয় প্রকার ভিটামিন কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১.স্নেহ জাতীয় পদার্থের ভিটামিন।
- ভিটামিন "এ"(A)
- ভিটামিন "ডি"(D)
- ভিটামিন "ই"(E)
- ভিটামিন "কে"(K)
২.পানিতে দ্রব্যনীয় ভিটামিন।
- ভিটামিন "বি" কমপ্লেক্স
- ভিটামিন "সি"-C
ভিটামিন এর কাজ কি
যে বিশেষ জৈব পরিপোষক খাদ্য উপাদান যা খাদ্য অতি অল্প পরিমাণ থেকে শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তাকে ভিটামিন বলে।
ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তাঃ
১.স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্যঃ মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন খুবই প্রয়োজনীয় বা অপরিহার্য।
২.রোগ প্রতিরোধের জন্যঃ ভিটামিনের প্রধান কাজই হল মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ করা।
৩.খাদ্য প্রাণ হিসেবেঃ মানুষের জীবন ধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদান হলো ভিটামিন সেই জন্যই এটাকে খাদ্য প্রাণ বলা হয়ে থাকে।
ভিটামিন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
মানবদেহের যে কোন প্রয়োজনীয় ভিটামিন বা পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিলে তার স্বাভাবিক কার্যকলাপ ক্ষমতা কমে যায় এবং দেখা দিতে পারেন নানা ধরনের সমস্যা। যেকোন ভিটামিন তথা পুষ্টির অভাব দেখা দিলে মানুষের শরীরে কিছু ইঙ্গিত দেয়,হতে পারে তা মানসিক কিংবা শারীরিক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে ভিটামিনের অভাবে শরীরে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হল
শুষ্ক ঠোটঃ ঠোঁট ফেটে যাওয়া অথবা শুকিয়ে যাওয়া এইসব ঘটনা বেশিরভাগ শীতকালে দেখা দেয়। কিন্তু শরীরে যদি ভিটামিন বি-B এর অভাব হয় তাহলে এই সমস্যাটি শুধু শীতকালে নয় সকল ঋতুতে দেখা দিবে।
অবসাদঃ পরিমিত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও যদি সব সময় আপনি অবসাদগ্রস্ত থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার ভিটামিন ডি-D এর অভাব রয়েছে।
মলিন ত্বকঃ ভিটামিন ই-E এর অভাবে চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে তা মলিন হয়ে থাকে।
কাটা ছেঁড়াঃ আপনার যদি সহজে ত্বক কেটে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন সি-C এর ঘাটতি রয়েছে।
মলিন চুলঃ ভিটামিন বি-B এর অভাব থাকলে চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে মলিন ভাব দেখা দেয়।
খুশকিঃ শরীরের ফ্যাটি এসিডের অভাব থাকলে মাথায় খুব শি হয়।
ক্লান্তি অনুভব করা,দুর্বলতা ভাব,মাথা ঘোরা,অস্থিরতা,চোখে কম দেখা,রাতকানা,গর্ভধারণের সমস্যা,বৃদ্ধিতে বিলম্ব ইত্যাদি।
আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে।
ভিটামিন এর উপকারিতা
ভিটামিন আমাদের শরীরের যতটুকু দরকার তা একবারে তৈরি হয় না বা আমাদের শরীরের চাহিদা থেকে কম তৈরি হয়। আমাদের শরীরে এই জৈবিক উপাদান তথা ভিটামিন আস্তে আস্তে তৈরি হয়। তাই পুষ্টিকর বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করে তা আমাদের যোগান দিতে হয়। এই পুষ্টির অভাবে বা ভিটামিনের ঘাটতি হলে আমাদের শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য।
এক একটি ভিটামিন আমাদের শরীরে এক এক ভাবে কাজ করে থাকে। ভিটামিন গুলোর কাজ, এর উৎস, এর অভাবে কি কি সমস্যা সেগুলো নিম্ন আলোচনা করা হলো
ভিটামিন-এ (vitamin-A)
ভিটামিন এ তৈরি হয় দুটো উৎস থেকে
- ১.উদ্ভিদ জাত থেকে।
- ২.প্রাণীজাত থেকে।
উদ্ভিদ জাতঃ উদ্ভিদ প্রজাতির উৎস রঙিন ফলমূল, হলুদ ও সবুজ শাক-সবজি যে সকল ফলপ্রজাতির রং যত গারো হয় সেই ফলে তত বেশি ভিটামিন এ পাওয়া যায়। যেসব ফরমূলে এই ভিটামিনের উপস্থিতি পাওয়া যায় তা হল
- ব্রকলি
- গাজর
- বাদাম
- কাঠবাদাম
- কাজুবাদাম
- খেজুর
- পাকা পেঁপে
- মিষ্টি কুমড়া
- কমলালেবু ইত্যাদি
প্রাণীজাতঃ প্রাণীজাত উৎস মাংসাশী প্রাণী থেকেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। যেমন মাছ-মাংস ডিম। মাছের বা মাংসের তথা মাংসাশী প্রাণীর দ্বারা তৈরি জিনিস যেমন বাটার,চিজ ইত্যাদি।
- ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
- শরীরে পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ত্বক ঠিক রাখে।
- দেহ কোষের গঠনে কাজ করে থাকে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (vitamin B complex)
শরীরে স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিপাক প্রক্রিয়া,প্রজনন স্বাস্থ্য শরীরের নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ভিটামিন। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মূলত ৮ প্রকার হয়ে থাকে। সবগুলোকে একত্রে মিলিয়ে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলা হয়। এই ভিটামিন পানি দ্রবনীয়। যা শরীরের দীর্ঘদিন থাকে না, এটাকে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হয়। আসুন এই ভিটামিনের এক একটি নাম সম্পর্কে জেনে নিই
- ভিটামিন বি১ (থায়ামিন)
- ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লেভিন)
- ভিটামিন বি৩ (নিয়াসিন)
- ভিটামিন বি৫ (প্যানটোথেনিক অ্যাসিড)
- ভিটামিন বি৬(পাইরিডোক্সিন)
- ভিটামিন বি৭(বায়োটিন)
- ভিটামিন বি৯(ফলিক এসিড বা ফকেট)
- ভিটামিন বি১২(কোবালামিন)
আমাদের শরীরে ভিটামিন মজুদ থাকা খুবই প্রয়োজন কারণ ভিটামিনের অভাবে হতে পারে নানা অসুখ আমাদের শরীরের সবথেকে যে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয় তা হল ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। তাই এই ভিটামিন সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকতে হবে এবং এর উৎস কোন খাবারে রয়েছে এর কাজ কি কি এর উপকারিতা কি তা আমাদের জানা প্রয়োজন।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের গুন বা উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক চলুন
- বি১২ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
- ক্ষুধা সৃষ্টি করে
- দুর্বলতা দূর করে
- মুখে ও গলার ঘা প্রতিরোধ করে
ভিটামিন বি ৯ এর কাজ
এই ভিটামিন পানি দ্রবণীয়। এই ভিটামিন কে ফলিক এসিড ও বলা হয়ে থাকে।
- স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে
- ভিটামিন ই এর কাজ
- আমাদের দেহ-ত্বক সতেজ রাখে
- চুল পড়া কমায়
- চোখে যতি ঠিক রাখতে সাহায্য করে
- মাতৃগর্ভে শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের সহযোগিতা করে
ভিটামিন কে এর কাজ
- রক্ত ক্ষয়ের সময় রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে
- গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন তৈরি করে।
- ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা দেয়।
সাধারণত এই ৮ ভিটামিন একই খাবারে পাওয়া যায় না। তাই আপনাকে সব ধরনের খাবার খেতে হবে ঘুরে ফিরে। কিন্তু মনে রাখবেন আমিষ খাবার ছাড়া ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায় না।
ভিটামিন সি (vitamin-C)
সর্দি বা ঠান্ডার ঝুঁকির পাশাপাশি ক্যান্সার,হার্ট অ্যাটাক ও স্টক এর ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন। এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সাথে ত্বক,দাঁত,কোষ ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উৎসঃ
- আমলকি
- পেয়ারা
- কমলালেবু
- আমড়া
- জাম্বুর
- করমচা
- পাকাপেঁপে
- কালোজাম
- মাল্টা
- বরই
- পাকাআম
- জলপাই
- আতা
- জামরুল
- বাঙ্গী
- বেদনা
- আনারস
- নিচু
- পাকা তাল ইত্যাদি।
এবং বিভিন্ন রকম শাক সবজি যেমন
- আলু
- কাঁচামরিচ
- বাঁধাকপি
- লেবু
- বাতাবি লেবু
ইত্যাদিতে এই ভিটামিনের উপস্থিতি থাকে।
এর কাজঃ
- হার ভালো রাখে চোখের জ্যোতি বাড়ায় ওজন কমায়
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
- মুখেও গলার শুষ্কতা রোধ করতে ভিটামিন সি কাজ করে থাকে।
- কাটা ছেড়ার দূরত্ব ভালো করে
- শরীর থেকে দুর্বলতা দূর করে
ভিটামিন ডি(vitamin-D)
এই ভিটামিন টি রৌদ্রজ্জ্বল ভিটামিন নামে পরিচিত। এ ভিটামিন মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা দেহের দ্বারা ক্যালসিয়াম,ফসফরাসের উৎপাদন,নিয়ন্ত্রণ ও শোষণের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উৎপাদন। এবং শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে কার্যকরী করে তুলে যা বিভিন্ন ধমনীয় নানা ধরনের কঠিন ভাব ও ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এটি আসলে কোন ভিটামিন নয় এটি প্রো-হরমোন বিভাগের অধীনে পড়ে।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর বিখ্যাত খাবার
কিন্তু এটার গুরুত্বও মানব দেয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন ই (vitamin-E)
শরীরের সঠিকভাবে কার্যকারিতার জন্য যেমন প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন প্রয়োজন ঠিক তেমনি পুষ্টি বা ভিটামিনের ও প্রয়োজন। আগের উল্লেখিত ভিটামিন গুলোর মতই 'ই'(E) ও একটি ভিটামিন। এই ভিটামিন চর্বি দ্রবণীয় ভিটামিন। এটি মানবদেহ দ্বারা ব্যবহৃত একমাত্র আলফা-টোকোফেরল। এর মূল কাজ হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হয়ে কাজ করা।
উৎসঃ
- সূর্যমুখী,কুসুম ও সোয়াবিন তেল
- সরিষা বী
- বাদাম
- চিনা বাদাম,চিনা বাদাম মাখন
- বিট গ্রিনস,কলার্ড গ্রিনস,পালং শাক
- কমলা
- পেপারিয়া
এই ভিটামিন শরীরের নানার রকমের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রাখতে ভূমিকা পালন করে ও এর পাশাপাশি এটি কোষকে সজিব রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন কে (vitamin-k)
এই ভিটামিনটা চর্বিত দ্রবনীয়। এই ভিটামিন স্বাভাবিক রক্ত জমাট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে হারের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় যা হার ও হৃদয় ভালো রাখে।
এই ভিটামিন দুই প্রকার বিশিষ্ট
- ১.ভিটামিন কে১
- ২.ভিটামিন কে২
ভিটামিন কে১ বেশিরভাগ পাতাযুক্ত সবুজ শাক-সবজিতে পাওয়া যায় যেমন পালং শাক,পুঁইশাক,ব্রকলি বাঁধাকপি ইত্যাদি।
ভিটামিন কে২ প্রাণীভিত্তিক খাদ্য ও ফাফার্মেন্টেড খাদ্যে উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়। যেমন মুরগির মাংস,গরুর মাংস,দই,মিষ্টি,নাট্টো ইত্যাদি।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আমাদের সুস্থভাবে জীবন যাপনের জন্য ভিটামিনের প্রয়োজন অতুলনীয়। তাই আমাদের জানতে হবে ভিটামিনের কাজ কি,কোন ভিটামিন কোন কাজ করে কোন কোন খাদ্য থেকে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়। আশা করি আজকের এই পোস্টটি দ্বারা ভিটামিন সম্বন্ধে একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন।
ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url