ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ

আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ? ঘন ঘন সর্দি লাগার কারণ ও প্রতিকার। বছর জুরেই ঠাণ্ডা সর্দি-কাশী এর সমস্যা দেখা দিলেও শীতকালে এই সমস্যা গুলো অনেক বেশি দেখা দেয়। সর্দি-কাশী রোগের জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার খুব একটা দরকার পড়ে না। কিছু নিদ্দেশনা মানলে ঘরে বসেই নিজে নিজে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকিও কমানো যায়।
ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ
ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ
অনেকেই মনে করেন যে ভিটামিন সি,রসুন ও একানেশিয়া নামের হারবাল ওষুধ সেবনেই সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে কিংবা সর্দি কাশি থেকে তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়।

পেজ সূচিপএঃ

ভূমিকা

সর্দি কাশি,ঠান্ডা লাগা বা সর্দি জ্বর এগুলো এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ রোগ। শীতকালে সর্দি কাশির সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। আসলে এই সমস্যাটি জটিল কোন সমস্যা নয়, এ সকল সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান ঘরোয়া উপায়েই করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নিন কোন কোন উপায়ে এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

সর্দি কেন হয়

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হওয়া রোগগুলোর মধ্যে একটি হলো সর্দি-কাশি। রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বছরে ৪ থেকে ৬ বার এবং শিশুদের বছরের ১০ থেকে ১২ বার সর্দি-কাশি জ্বর হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তারমানে একজন মানুষের জীবন দশায় ২০০ বারের বেশি সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসলে এই সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগা বিষয়টা মারাত্মক কিছু না এটা হল ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়।
সর্দি কাশি থাকা অবস্থায় নাসারন্ধ্রের ভিতরে মিউকাস লাইনিং অতিক্রম করে প্রবেশ করে সংক্রমণকারী জীবনু। এর জন্য নাসারন্ধ্রের ভিতরে অতিরিক্ত সর্দি জমা হয়ে যায়। ডাক্তাররা যেটাকে 'রাইনোরেয়া' বলে থাকে।

সর্দি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

প্রায়ই মানুষের সর্দি কাশি হয়ে থাকে এবং তা কিছুদিন পর এমনি এমনি ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এই সর্দি কাশি মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়ে থাকে তাই মানুষ তাড়াতাড়ি এটা থেকে মুক্তি পেতে চাই এর জন্য অনেকেই সর্দি-কাশি ভালো হবার বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে থাকেন। আর অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ওষুধ শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও এ রোগ খুব তাড়াতাড়ি দূর করা যায়।

নাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায়

ঘরে বসেই নিজে থেকে খুব সহজে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি কাজ করলে ঘরে থেকেই এই রোগ দূর করা যাই
  • চেষ্টা করুন শরীরকে গরম রাখতে।
  • বেশি বেশি পানি পান করুন (কুসুম গরম পানি হলে ভালো হয়)
  • এক গ্লাস দুধের সাথে এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন।
  • সর্দি-কাশী দূর করতে জাদুকরই কাজ করে আদা চা, তাই সর্দি-কাশি হলে আদা চা পান করুন।
  • লেবু ও মধু একত্রে মিশিয়ে খাইলেও আদা চা এর মত উপকার পাওয়া যায়।
  • তুলসী পাতা ও আদা পানিতে দিয়ে পানি ফুটিয়ে কুসুম ঠান্ডা করে পান করুন।
  • ৪/৫ কোয়া রসুন ঘি দিয়ে ভেজে চাবিয়ে খাবেন।

ঘন ঘন সর্দি লাগা কিসের লক্ষণ

সর্দি-কাশি জ্বর এইগুলো খুব বেশি জটিল রোগ নয়, এই ভেবে আমরা এ রোগগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না, এই কাজ করা মোটেও ঠিক নয়। তাই যদি ঘনঘন সর্দি কাশি হয় ও সর্দি-কাশি দুই সপ্তাহের বেশি থাকে তাহলে এটিকে অবহেলা করা ঠিক নয়। মাসে ২/৩ বারের চেয়ে বেশি ঠান্ডা লাগলে সতর্ক হতে হবে। আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। 
 তার জন্য আপনাকে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে।
এ সকল রোগ ভালো না হওয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতেপারে যেমন 
  • এলার্জি
  • হাঁপানি
  • সাইনোসাইটিস
  • সংক্রমণ
  • নিউমোনিয়া 

লেখকের মতামত

মূল কথা হলো হাইড্রেটেড থাকুন। সর্দি-কাশি ভালো করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্য হল হাইড্রেট থাকা। কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলেও পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। বেশি বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে ভিটামিন সি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

উপরের আলোচনা যদি আপনার ভালো লাগে এবং এই পোস্ট পড়ে উপকৃত হন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url