জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই

জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই তাই বলে কি আপনি থেমে থাকবেন? প্রতিষ্ঠিত হতে হলে পরিশ্রমী হতে হবে। নিজের জীবনকে সুন্দর করতে হলে পরিশ্রমী হওয়ার উপায় খুঁজে বের করুন। নিজেকে সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।

স্ব-উন্নয়নে মনোযোগের সাথে কাজ করলে(সে যে কাজই হোক না কেন) ভবিষ্যতে আপনি ও আপনার কর্মজীবনে তা ইতিবাচক ফলাফল আসে এবং অনেক অল্প সময়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ারের উন্নতি করতে পারেন।
জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই
জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই
যারা সফলতা লাভ করে তাদের জানা আছে প্রতিযোগিতা সব সময় সব কাজেই থাকবে তাই তারা সফলতা পাবার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকেন এবং সফলভাবে সফলতার সাথে জীবন যাপন করেন।জীবনে ভালো দিন পেতে হলে অনেকগুলো খারাপ দিনের সাথে লড়াই করতে হয়। তাই অক্ষমতার সাথে লড়াই করে সফলতাকে জয় করতে হবে এবং এর জন্য করনীয় কি কি তার নিম্নে আলোচনা করা হলো

পেজ সূচিপএঃ

ভূমিকা

একটি সফল জীবন গড়া অসম্ভব কিছু নয়,যদি আপনি আপনার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন এবং নিজেকে পরিবর্তন করেন। সফল জীবন গড়ে তুলতে হয়তো আপনার একটু সময় লাগবে আপনি ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করে যাবেন সফলতা আসবেই আসবে ইনশাল্লাহ।

একটি সুন্দর জীবন লিড করার জন্য বা সফল ব্যক্তি হওয়ার জন্য যা যা করণীয়........

সফল মানুষ

সাফল্য মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে
  • ভালো/সৎ কাজে সাফল্য
  • খারাপ/অসৎ কাজে সাফল্য
আমাদের সকলেরই ইচ্ছা ভালো কাজে সফল ব্যাক্তি হওয়া। ভালো কাজের সাফল্যগুলো সব সময় মানুষ সম্মান দেয়। আর খারাপ কাজের সাফল্য সমাজের কাছে অসম্মানিত করে। সফলতা প্রতিটা ব্যক্তির স্বপ্ন। আর কে না সফল হতে চায়? এবং সবচেয়ে বেশি খুশি লাগে যখন নিজের ইচ্ছায় কোন সাফল্য পাওয়া যায়।সফল মানুষ তাকেই বলে যিনি তার লক্ষ্য অর্জন করেন এবং তার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে চেষ্টা করেন যাতে তিনি তার লক্ষ্যতে পৌঁছাতে পারেন।

সফল মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবিরাম কঠোর পরিশ্রম করে যান। তিনি তার জীবনে হার্ডওয়াক,সঠিক পরিকল্পনা/লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নিবেশ ব্যবস্থাপনা করে তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়।

নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার উপায়

নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার নয়টি উপায় আলোচনা করা হলো

স্বপ্ন দেখুনঃআপনি যেটা হতে চান সেটা স্বপ্ন যদি আপনার মনে আকা থাকে তাহলে তা বাস্তবায়ন সহজ হবে আর আপনার সমস্ত মনোযোগ থাকবে সেই স্বপ্নটাকে বাস্তবায়নে রূপ দিতে।

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যঃ আমরা যারা অসফল ব্যক্তি আমরা জানিই না যে আসলে আমরা কি চাই? আবার কোন চাওয়া নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি ও হতে পারে না। যেকোনো কাজ করতে হবে গভীর আগ্রহের সাথে। আপনি আপনার মনের মাঝে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত করুন, এই লক্ষই আপনাকে পৌঁছিয়ে দিবে সাফল্যের সিঁড়িতে।
মেধা যাচাইঃ মনে করেন আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। এটাও মনে করেন যে আপনি সফলও হয়ে গেছেন। এরপর কি? আপনি কি থেমে যাবেন? আপনি তো আর বসে থাকবেন না তাই না? সাফল্যের একটি সিঁড়ি পার করে আপনি আরেকটি সিঁড়িতে পা দিবেন কারন লক্ষ্য অর্জনে মানুষের দক্ষতার শেষ নাই। তাই আপনি আপনার মেধা যাচাই করুন।

সুনিশ্চিত পরিকল্পনাঃ আপনাকে সুনিশ্চিত পরিকল্পনা করতে হবে সফলতা অর্জনের জন্য। যেটাকে আপনি নকশা বা মানচিত্রের সাথে তুলনা করতে পারেন। আপনার কল্পনাকে সুন্দরভাবে না সাজালে আপনি সফল হতে পারবেন না। আপনার বর্তমান অবস্থান ও আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যের অবস্থানের মাঝের দূরত্বটা মাথায় রাখুন। এসবের ভিতরে অনেক বাধা আসতেই পারে বাধা গুলোর সমাধানের উপায় বের করুন।

আত্মবিশ্বাসঃ যেকোনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আত্মবিশ্বাসী হওয়া অনেক প্রয়োজন। আপনি যদি ভাবেন আমি পারবো না তাহলে আপনি ধরে নিবেন আপনি ব্যর্থ হবেন। কারণ আপনি চেষ্টা করার আগেই আপনার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। যদি মনে বিশ্বাস থাকে লক্ষ্য যতই কঠিন হোক না কেন সফলতা নিশ্চিত। নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না তানাহলে উৎসাহ-উদ্দীপনা কমে যাবে। আপনি ভাববেন আমি পারবোই।

ইতিবাচক মনোভাবঃ আপনার লক্ষ্যের প্রতি আপনি সব সময় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন। এই মনোভাবেই আপনাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।

কর্মদক্ষতা অর্জনঃ স্কেল বা দক্ষতা সফলতার এক অন্যতম উপায়। দক্ষতা ছাড়া কোন কাজেই সফল হওয়া অসম্ভব। তাই আপনার লক্ষ্য বিষয়বস্তুর উপর দক্ষতা অর্জন করুন।

সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ সফল ব্যক্তিরা সময়কে সবসময় মূল্য দিয়ে থাকে, তাই আপনার উচিত সময়কে মূল্য দিতে শেখা। সময়ের কাজ সময় সেরে ফেলতে হবে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে মনেকরি এখন কারো কাজ তখন করব, আজকের কাজ কালকে করব বলে ফেলে রাখি। এমন টা কারা মোটেও ঠিক নয় কারণ সময়ের অবমূল্যায়নের জন্য জীবনে ভর করে বসে হতাশা এবং অসফলতা।

ধৈর্য ও মানসিক প্রশান্তিঃ সফল হতে চাইলে আপনার অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে এবং আপনার কাজের প্রতি মানসিক প্রশান্তি বিরাজ করতে হবে। ধৈর্য ও মানসিক প্রশান্তি কেবলমাত্র সাফল্যের জন্যই নয় আপনার জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন।

পরিশ্রমী হওয়ার উপায়

জীবনে উন্নতি বা সাফল্য পাবার জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম,আর পরিশ্রম করাটা সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ পরিশ্রম কোন সহজ কাজ নয়। পরিশ্রমী হওয়ার সহজ উপায় হল আমি মনেকরি কাজকে ভালোবেসে কাজটি যদি করেন তাহলে পরিশ্রম বেশি করতে পারবেন। আপনি যাকে ভালোবাসেন তার জন্য যদি কোন কঠিন কাজ করেন কাজটি যদিও কষ্টের হয় তবুও কাজটি আপনি আনন্দের সাথে করবেন।


ঠিক তেমনভাবেই কাজের সাথে সম্পর্ক করতে হবে যাতে কঠিন ও কষ্টের কাজ হলেও তা আপনি মন দিয়ে ও আনন্দের সাথে কাজটি করতে পারেন। পরিশ্রম বলতে শুধু শারীরিক শক্তিকেই বোঝাই না এর পাশাপাশি মানসিক বিষয়ও জড়িত। এবং এর সাথে জড়িত কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা

  • বড় কাজগুলোকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করুন.
  • একটি কাজে ফোকাস করুন/মাল্টি ট্রাকিং বাদ দিন।
  • শরীরের প্রতি যত্নবান হন।
  • একটানা অনেকক্ষণ কাজ করবেন না।
  • পরিশ্রম শেষের ফলাফল ভেবে কাজ করুন।
  • সৃজনশীল হন।
  • নিজেই নিজের সমস্যা সমাধান বের করুন।

জীবনে চলার পথে বাধা আসবেই

একটা বার ভেবে দেখুন তো, সফলতা যদি সহজে মানুষ পেয়ে যেত তাহলে সাফল্যের কোন মূল্য থাকতো? যেকোনো সাফল্য প্রাপ্তির আনন্দ তখনই দ্বিগুণ হয় যখন সেটাকে অর্জন করতে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সবকিছুর উপর গিয়ে লড়তে হয়। আপনি যদি আপনার আত্মবিশ্বাস স্থির ও অটুট রাখেন তাহলে যতই বাধা বিপত্তি আসুক না কেন আপনি সফল হবেন।
আপনাকে মানতে হবে যে সবার মধ্যেই অপতিরোধ্য ক্ষমতা রয়েছে। কেউ এই ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে পারে আর কেউ পারেনা যারা পারে তারাই সফলতার মুখ দেখে।একটা কথা সবসময় মাথায় রাখবেন,আপনার সফলতার পিছে সবচেয়ে বড় বাধা আপনি নিজেই। আপনিই আপনার সাফল্যের শত্রু ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনাকে বোঝাতে পারবেন না যে আপনাকে কোন বাধাই দমিয়ে রাখতে পারবে না। আপনি অপ্রতিরোধ্য।

 কারণ আপনি আপনাকে ছোট করে ভাবলে সফলতা অর্জন করা প্রায় অসম্ভব।
তাই ভুলেও কখনো নিজেকে ছোট ভাববেন না। আপনি শুধু ভাববেন আপনি পারবেন,আপনার সে যোগ্যতা আছে। তাহলে আপনার সফলতার পথে আর কোন বাধা বড় হয়ে দাঁড়াতে পারবেনা।

ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা

সফলতার পথে যাত্রা শুরু করলে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে এটা স্বাভাবিক বিষয়, এবং আপনি বারবার হেরে যেতেও পারেন। তবে সেই হারকে বা অসফলতাকে নেগেটিভ ভাবে না নিয়ে পজিটিভ ভাবে নিন। আপনি যত বেশি হারবেন আপনি সফলতার দিকে তত বেশি এগিয়ে যাবেন। আর এর সাথে বোনাস পাবেন জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার কৌশল।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠকগণ আসল কথা হল কঠোর পরিশ্রম সফলতার মূল চাবিকাঠি ও কঠোর পরিশ্রমই সৌভাগ্যর প্রসূতি। কর্মের মাধ্যমে মানুষ তাদের ভাগ্য গড়ে নেয়। পরিশ্রমই সৌভাগ্যকে বয়ে নিয়ে আসে। অদম্য প্রচেষ্টা ও শ্রমের সমষ্টিই সৌভাগ্যর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। বারবার ব্যর্থ হবার পরেও লক্ষ্যে অটুট থাকার মানসিকতা নিয়ে মেধা ও শ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে কাজে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অনেক জটিল জটিল কাজও সহজ করা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url