সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়

গরম জলে মধু খাওয়ার উপকারিতাআজকে আলোচনা করব সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়। সহজে মোটা হওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায়।ওজন বেশি বা কম হলে যেমন সমাজের মানুষের নানা কটু কথা,হাসির পাত্র ও বক্র চাহনির মুখোমুখি হতে হয়। তেমনি ওজন কম বা চিকন হলেও একই ধরনের পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়। শুটকি,অপুষ্টিতে ভুগছে,দুর্ভিক্ষ,ফু দিলে উড়ে যাবে,বাড়িতে খেতে দেয় না। এমন নানা মন্তব্য আর নেতিবাচক ঠাট্টা মশকরায় জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে যায় কারো কারো।
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
এসব থেকে রেহাই পাবার জন্য সমাজে অনেকেই যেমন বাড়তি ওজন কমাতে চেষ্টা করে,তেমনি কিভাবে একটু ওজন বারানো যায় তা নিয়েও উন্মুখ থাকেন কেউ কেউ। কিন্তু ওজন বাড়াতে গিয়ে নানা রকম ভুল করে বসেন অনেকে, যার ফলে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয় অনেককে।

আজ আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব কিভাবে সহজে মোটা হওয়া যায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া।সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাস্থ্যবান হবার বিষয়গুলো জানতে চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পেজসূচিপএঃ

ভূমিকা

মোটা হওয়ার জন্য অসংখ্য উপায় রয়েছে। তবে তার মধ্যে সহজ রয়েছে কয়েকটি। যেগুলো কোন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুব সহজে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। নিম্নে মোটা হওয়ার সহজ উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কিভাবে সহজে মোটা হওয়া যায়

বেশি বেশি খাবার গ্রহণ করাঃ একসাথে বেশি খাবার না খেয়ে কিছুক্ষণ পরপর খাবার গ্রহণ করুন। প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর অন্তর কিছু না কিছু খাবার খান। যেমন দুধ,দই,বিভিন্ন ফল,ছানা ইত্যাদি। এতে আপনার শরীরের পুষ্টির পাশাপাশি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এটি মোটা হওয়ার মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোঃ আমাদের শরীর ঠিক রাখতে ঘুমের কোন বিকল্প নাই । প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ইয়োগা বা যোগাসন করুন এতে আপনার ওজন অনেক তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করুনঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা কম ক্যালরি গ্রহণ করি কিন্তু ওজন বৃদ্ধির জন্য এর উল্টাটা হবে। শরীরের চাহিদা তুলনায় বেশি ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য।

সঠিক পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণঃ শুধুমাত্র ক্যালোরি গ্রহণ করলেই হবে না এর পাশাপাশি সঠিক পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করুন। কারণ আপনি যদি শুধুমাত্র ক্যালোরি গ্রহণ করেন তাহলে তা আপনার বাড়তি ফ্যাটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।তাই ক্যালোরির সাথে সঠিক পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করুন। প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন দুধ,ডিম,ডাল ইত্যাদি।
চকলেট এবং চিজ খানঃ আপনি আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে এবং খাবার তালিকায় চকলেট এবং চিজ রাখতে পারেন। তাড়াতাড়ি মোটা হওয়ার জন্য কিছু বাইরের খাবার অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি চাইলে বাইরের খাবার খেতে পারেন কিন্তু তা হতে হবে পরিমাণ মত কারণ এতে ফ্যাট থাকে। বেশি খেলে শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কিসমিস, কাঠবাদাম,খেজুর খেতে পারেন। দুধ ডিম খেতে পারেন। ড্রাই ফুড জাতীয় খাবার খেতে পারে কারণ এগুলোতে ক্যালরির মাত্রা অনেক বেশি থাকে।

মোটা হওয়ার ব্যায়াম

অনেকেই মনে করেন ওজন কমাতেই শুধু ব্যায়াম প্রয়োজন, কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলেছেন ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন বাড়ানোর জন্য ও ব্যায়াম খুবই প্রয়োজন। এজন্য প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা প্রয়োজন,এতেকরে আপনার ক্ষুধা বারবে, হজম পক্রিয়া ভালো হবে, এবং ঘুম ভালো হবে।এজন্য জিমে জেতে পারেন,জিমে অভিজ্ঞ ট্রেইনার থাকেন।

মোটা হওয়ার প্রাকৃতিক ঔষধ

আমরা যারা প্রয়োজনে তুলুন অনেক বেশি চিকন তারা সব সময় চিন্তায় মগ্ন থাকি কিভাবে মোটা হওয়া যায়। এবং অল্প সময়ে মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন মোটা হওয়ার ওষুধের আশ্রয় নিয়ে থাকি। এটা আসলে মোটেও ঠিক নয় কারণ এই ওষুধ সেবনে আমাদের শরীর নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা হওয়ার কিছু উপায় জেনে আসি চলুন।

বারবার খাবার খাবেন প্রতি দুই ঘন্টা পর পর কিছু না কিছু খাবার খাবেন। ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি ক্যালরি নিন এবং ক্যালরির পাশাপাশি সঠিক পরিমান প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। হাসিখুশি থাকুন দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন,পরিমিত ঘুমান ও ডায়েটে চকলেট এবং চিজ রাখুন।

লেখক এর মতামত

প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাকে মোটা হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। সেই সাথে খাবারের চাহিদা বাড়াতে হবে। বারবার খাবার গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেই দিকে নজর রাখতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। সেই সাথে সর্বত্র হাসিখুশি থাকতে হবে মূলত কোন প্রকার দুশ্চিন্তা বা টেনশন করা যাবেনা।

নিয়মিত সকালে এক্সারসাইজ করতে হবে,এতে করে শরীরের রক্ত চলাচল প্রবাহ ভালো হয়। উল্লেখিত উপদেশগুলো মেনে চললে আপনি তাড়াতাড়ি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডিজি মাল্টিপ্লাই এর পোস্টে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url